কুরানের মুজেযা।। ফারাও বনাম বাদশা।। বাইবেলের ভুল আর কুরানের নির্ভুলতা...

✒️লেখকঃ আফিফ আলী
☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳






আমরা সকলেই তো ফারাওদের কথা শুনেছি তাই না? মূসা আঃ এর সময়কালে রাজাদের ফারাও বলা হত। পক্ষান্তরে ইউসুফ আঃ এর সময়ে রাজাদের রাজাই বলা হত। এই লেখার উদ্দেশ্য হল দুটা জিনিস প্রমাণ করা। 

প্রথমত এর দ্বারা প্রমাণিত হবে কুরান বাইবেল থেকে নকল করা নয় (নাউযুবিল্লাহ)

দ্বিতীয়ত কুরানের সত্যতা 

বাইবেলে বলা হয়েছে, 

তাই ফরৌণ য়োষেফকে ডেকে পাঠালে দুজন রক্ষী দ্রুত তাকে কারাগার থেকে বের করে আনল| য়োষেফ দাড়ি কামালেন, পরিষ্কার জামা পরলেন| তারপর ফরৌণের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন| (আদিপুস্তক 41:14)

ফরৌণ য়োষেফকে বললেন, “আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি কিন্তু কেউ তার ব্যাখ্যা করতে পারছে না| আমি শুনেছি য়ে তুমি স্বপ্ন শুনলে তার ব্যাখ্যা করতে পার|” (আদিপুস্তক 41:15)

এখানে দেখা যাচ্ছে যে, ইউসুফ আঃ এর সময়ে রাজাদের ফিরাউন বা ফরৌণ বলা হত। ঠিক বাইবেল অনুযায়ী মূসা আঃ এর সময়কালে রাজাদের কি বলা হত তা দেখে নেই। 

একদিন রাজা ফরৌণ মোশির কীর্তি জানতে পারলেন; তিনি তাকে হত্যা করতে চাইলেন| কিন্তু মোশি মিদিযন দেশে পালিয়ে গেল|মিদিয়নে এসে একটি কুয়োর সামনে মোশি বসে পড়ল| (যাত্রাপুস্তক 2:15)

প্রভু তখন মোশিকে বললেন, “আমি তোমাকে ফরৌণের কাছে একজন ঈশ্বর করে তুলেছি| আর হারোণ তোমার ভাই হবে তোমার ভাববাদী| (যাত্রাপুস্তক 7:1)

এখানে দেখা যাচ্ছে মুসা আঃ এর সময়ে রাজাদের ফিরাউন বলা হত।

তাহলে দেখা যাচ্ছে 

ইউসুফ আঃ এর সময়ে রাজাদের বলা হত ফিরাউন

আর মূসা আঃ এর সময়েও রাজাদের বলা হত ফিরাউন 

এবার আসুন সত্যতা যাচাই করা যাক। 

মূলত ইউসুফ আঃ এর সময়ে রাজাদের রাজা বলা হত ফিরাউন না। Dictionary of Britannica এর তথ্য অনুযায়ী ফারাও শব্দটি New Kingdom এর সময় 18th dynasty; B.C. 1539-1292 থেকে 22nd dynasty (B.C. 945-730 পর্যন্ত [১]। 

অথচ ইউসুফ আঃ এইসময়ের প্রায় দুইশবছর আগে ইজিপ্ত বা মিশরে যান [২]। 

তাই ইউসুফ আঃ এর সময় রাজাদের রাজা বলা হত ফারাও না। কিন্তু বাইবেলে ফারাও বলা হচ্ছে এখানে বাইবেলে স্পষ্ট আরকিওলজিকাল ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। অথচ কুরানে ইউসুফ আঃ এর সময়ে রাজাকে রাজা আর মূসা আঃ রাজাকে ফারাও বলা হয়েছে সুবহানাল্লাহ এখানে কুরান নিজেই বাইবেলের ভুল কে ঠিক করে দিয়েছে। 

12:43

وَ قَالَ الۡمَلِکُ اِنِّیۡۤ اَرٰی سَبۡعَ بَقَرٰتٍ سِمَانٍ یَّاۡکُلُہُنَّ سَبۡعٌ عِجَافٌ وَّ سَبۡعَ سُنۡۢبُلٰتٍ خُضۡرٍ وَّ اُخَرَ یٰبِسٰتٍ ؕ یٰۤاَیُّہَا الۡمَلَاُ اَفۡتُوۡنِیۡ فِیۡ رُءۡیَایَ اِنۡ کُنۡتُمۡ لِلرُّءۡیَا تَعۡبُرُوۡنَ ﴿۴۳﴾ 
Bengali - Bayaan Foundation
আর বাদশাহ বলল, ‘আমি স্বপ্নে দেখছি, সাতটি মোটা তাজা গাভী, তাদের খেয়ে ফেলছে সাতটি ক্ষীণকায় গাভী এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অপর সাতটি শুষ্ক। হে পারিষদবর্গ, তোমরা আমাকে আমার স্বপ্ন সম্বন্ধে ব্যাখ্যা দাও যদি তোমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে থাক’।

12:72

قَالُوۡا نَفۡقِدُ صُوَاعَ الۡمَلِکِ وَ لِمَنۡ جَآءَ بِہٖ حِمۡلُ بَعِیۡرٍ وَّ اَنَا بِہٖ زَعِیۡمٌ ﴿۷۲﴾ 
Bengali - Bayaan Foundation
তারা বলল, ‘আমরা বাদশাহ্র পানপাত্র হারিয়েছি, যে তা এনে দেবে, তার জন্য রয়েছে এক উট বোঝাই পুরস্কার। আর আমিই এর যামিন’।

তথ্যসূত্রঃ


২. Elias Karîm, “Qur’anic Accuracy vs. Biblical Error: The Kings & Pharaohs of Egypt,” www.islamic-awareness.org/Quran/Contrad/External/josephdetail.html; Dr. Abu Ameenah Bilal Philips, “An Aspect of the Qur’aan’s Miraculous Nature,” www.islaam.com/Article.asp?id=40.

Post a Comment

0 Comments