হিন্দুশাস্ত্রের আলোকে নারী! ব্রহ্মবৈর্বত স্কন্দ পুরাণ ও আমার জিজ্ঞাসা - ৩


ব্রহ্মবৈর্বত স্কন্দ পুরাণ ও আমার জিজ্ঞাসা - ৩
বিষয়: হিন্দুশাস্ত্রের আলোকে নারী!
লেখক: নাজমুস সাকিব
পরিমার্জন ও জিজ্ঞাসায়: Aminur Rashid
☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳


"ইহা শুধুমাত্র জিজ্ঞাসা, যারা জ্ঞানী তারা জবাব দিবেন। জিজ্ঞাসা করা কোন ধর্মই নিষেধ করে না যদি মানেন তাহলে জিজ্ঞাসা করায় কোন সমস্যা নেই। কটুক্তি পছন্দ নয়, আমরা সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় আপনাদের কাছে প্রশ্ন ছুড়বো!

প্রশ্ন ছুড়ার যৌক্তিক কারণ হলো আপনাদের ইসলামে নারী নিয়ে নানান মিথ্যাচার ও কটুক্তি অশ্লিল কথাবার্তার ফলসরূপ পাল্টা প্রশ্ন।

মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী ইসলামকে যেভাবে ছোট করে তার মিথ্যার্থ প্রকাশ বই বের করেছে। যদি ইসলামকে এভাবে কটুক্তি করে বই লেখা যায়। তাহলে এটি তো শুধু একটা প্রশ্নপত্র তাও দয়ানন্দের মত নয় বরং সাবলিল ও সুন্দর ভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে।

আর হ্যাঁ বেশিরভাগ হিন্দুরাই পুরান মানে পুরাণ কে পঞ্চম বেদ মানে এবং খুবই কম মানুষই ইহাকে বর্জন করে।" - আমিনুর রশীদ

প্রশ্ন করাকে নিষেধ করবেন নাকি?

যেখানে আপনারাই বলেন,,


[ ইসলামে নারী সংক্রান্ত অভিযোগসমূহের জবাব ]

[০]

কন্যার পিতা কন্যাকে পাত্রের হাতে অর্পণ  করার সময় অনেক অশ্ব, গো ও যথাশক্তি বস্ত্রাদি সমম্বিত ও অধিক অলংকারের সহিত কন্যাকে অর্পণ করবে।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ আবন্ত্যখণ্ড,রেবাখণ্ডম,অধ্যায়ঃ ৫০, শ্লোকঃ ৩২ ও ৩৩

প্রশ্নঃ হিন্দুধর্মে বিবাহ মানেই ভিক্ষাবৃত্তি যৌতুক পেশা বুঝায়? ইহা কি নারী শোষণ!? আর যে সকল হিন্দু পুরুষেরা বিয়ে করতে যায় শাস্ত্রের আলোকে তারা বিবাহ না বরং ভিক্ষাবৃত্তি করতে যায় কি?

[১]

নারী শাস্ত্রবিগর্হিত দিবসে জন্ম নিলে সে নারী হলো বিষ বা বিষ কন্যা।
◑ স্কন্দ পুরানঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৬১, শ্লোকঃ ৬

আমার জিজ্ঞাসাঃ কোন দিবসে জন্মগ্রহণ এর সাথে নারী বিষ হবার কি সম্পর্ক!? কোন যুক্তিতে? এটিকে কি বলা যেতে পারে? কুসংস্কার নাকি নারীদের প্রতি চরম বিদ্বেষ মনোভাব? আপনারাই বলুন। আমি কিছুই বলছি না।

[২]

শাস্ত্রবিগর্হিত বিষাক্ত নারীকে কেউ বিবাহ করলে সে ছয় মাসের মধ্যে মৃত্যু বরণ করবে।
◑ স্কন্দ পুরানঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৬১, শ্লোকঃ ৮

আমার জিজ্ঞাসাঃ শুরুতে বুঝলাম কোন এক দিবসে জন্ম গ্রহণ করলে নারী বিষাক্ত হয়। এই শ্লোকে বলা হচ্ছে সেই বিষাক্ত নারী কে কেউ বিয়ে করলে ছয় মাসের মধ্যে মৃত্যু হবে! এটি কোন সাইন্টিফিক প্রমাণে প্রমাণিত বা এটির কি আদৌ কোন বাস্তবিক প্রমাণ রয়েছে? যদি বাস্তবিক নাই থাকে তাহলে কি এটি মিথ্যা কুসংস্কার সাইন্টিফিক ভুল? নাকি নারী বিদ্বেষ মনোভাবের বহিপ্রকাশ হিসেবে এসবের উৎপত্তি?

[৩]

শাস্ত্রবিগর্হিত দিবসে জন্ম নেওয়া সেই বিষাক্ত নারীর পিতার বংশ ও শ্বশুর কুল বিনষ্ট হবেই।

◑ স্কন্দ পুরানঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৬১, শ্লোকঃ ৯

আমার জিজ্ঞাসাঃ নারী বিষাক্ত হবে কোন কারণ ছাড়া তার সাথে তার পিতার বংশ ও শ্বশুর কুলও বিনিষ্ট কেন হবে? কোন দিবসে জন্মগ্রহণ কি এতটাই পাপ? এটা কি আসলেই কোন যুক্তির কাতারে বা বাস্তবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মানা যায়?

[৪]

শাস্ত্রবিগর্হিত বিষাক্ত নারীকে ত্যাগ করার মধ্যেই শান্তি।
◑ স্কন্দ পুরানঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৬১, শ্লোকঃ ১০

আমার জিজ্ঞাসাঃ বিষাক্ত নারী হয় জন্মের কারণে তাহলে কেন দিবসে জন্ম দেন ঈশ্বর? আর জন্মগ্রহণের কারণে কি সে বিষাক্ত? আর কেনই বা তাকে ত্যাগ করলে শান্তি?

[৫]

শাস্ত্রবিগর্হিত বিষাক্ত নারীরা হলো পাপী।
◑ স্কন্দ পুরানঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৬২, শ্লোকঃ ১০ ও ১৩

আমার জিজ্ঞাসাঃ বিষাক্ত হয়েও শেষ নেই। পাপীও বটে! জন্মের কারণে বর্ণ হয় আবার দিবসে জন্মের কারণে বিষাক্ত হয় আবার পাপীও হয়। শুধু জন্মের কারণে!? এটি কেমন কথা!

[৬]

শাস্ত্রবিগর্হিত দিবসে জন্ম নেওয়া নারী দোষ বহুলা ও নিন্দানীয়।
◑ স্কন্দ পুরানঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৬২, শ্লোকঃ ১৪

আমার জিজ্ঞাসাঃ শাস্ত্রবিগর্হিত দিবসে জন্ম নেয়া নারী বিষাক্ত, পাপী, নিন্দানীয়! কিছু বলার নেই।

[৭]

যোনিতে পরশুক্র (পরপুরুষের বীর্য) সেবনাপরাদ হইতে নারী শুদ্ধি লাভ করে।
◑ স্কন্দ পুরানঃ নাগরখণ্ড,অধ্যায়ঃ ২০৮, শ্লোকঃ ৬

আমার জিজ্ঞাসাঃ নারীদের কে শুদ্ধি লাভ করতে হলে পর পুরুষের বীর্য যোনিতে নিতে হবে? এ কেমন শুদ্ধি?

[৮]

অধার্ম্মিকা নারী শুদ্ধ লাভ করতে পারে না।
◑ স্কন্দ পুরানঃ নাগরখণ্ড,অধ্যায়ঃ ২০৮, শ্লোকঃ ৭

আমার জিজ্ঞাসাঃ অধার্ম্মিকা নারীও কি পরপুরুষের বীর্য গ্রহণে শুদ্ধি পাবে? শুদ্ধি পাবার এ কেমন পদ্ধতি?

[৯]

যে নারীর পেটে রেতঃ (পুরুষের বীর্য) প্রবেশ করেছে সেই নারী বহৃি দগ্ধ (আগুনে পুড়লে) শুদ্ধি লাভ করে। 
◑ স্কন্দ পুরানঃ নাগরখণ্ড,অধ্যায়ঃ ২০৮, শ্লোকঃ ৮

আমার জিজ্ঞাসাঃ এখন কি আবার আগুনেও দগ্ধ হতে হবে নাকি? এটি সতিদাহের অন্য ভার্সন? এ কেমন বিধান আর কেমন শুদ্ধি!?

[১০]

ব্রত ভঙ্গ করার চেয়ে স্ত্রী কে হত্যা করা অনেক ভালো।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৪৪,শ্লোকঃ ৩

আমার জিজ্ঞাসাঃ অনেক উক্তি দেখেছি এমন কখনো দেখিনি! ইহা কি চরম নারী বিদ্বেষ নয়?

[১১]

স্ত্রীর সঙ্গ দিলে পাপ হবে।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৪৪,শ্লোকঃ ৫

আমার জিজ্ঞাসাঃ "অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর" নারী আমাদের সাহায্য করে আমরাও নারীদের সাহায্য করি। নারীদের সঙ্গ কেন দিব না? যদি তা সঠিক হয়?

[১২]

কখনো নারী জাতির সঙ্গে কথা বলা উচিৎ না।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৪৪,শ্লোকঃ ৭

আমার জিজ্ঞাসাঃ কেন? নারী তো নিজের স্ত্রীও!

[১৩]

নারীরা লোহার মতো শক্ত। তাই লোহার মতো নারীজাতিকে স্পর্শ না করাই ভালো।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৪৪,শ্লোকঃ ৮

আমার জিজ্ঞাসাঃ বাস্তবে পুরুষকে লোহার সাথে তুলনা দেয়া যায় তবে নারী নরম-কোমল। নারী লোহা নয় আর নারীকে স্পর্শ না করা!!! থাক আর না বলি।

[১৪]

নারী জাতিকে স্পর্শ করলে পুরুষ পাপী হয়ে পরে।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৪৪,শ্লোকঃ ৮

আমার জিজ্ঞাসাঃ পরনারীর ক্ষেত্রে মানা যায়। তবে নারী বিদ্বেষ মনোভাবে হলে কি মানা যায়?

[১৫]

সকল অনর্থের মূল একমাত্র নারী।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৪৪,শ্লোকঃ ৯

আমার জিজ্ঞাসাঃ নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই ভালো খারাপ রয়েছে। সকল অনর্থের মূল নারীদের দিলে কি হবে? ইহা কি চরম ভাবে নারী বিদ্বেষ নয়?

[১৬]

সকল পুরুষের উচিৎ সকল নারী জাতিকে দূর থেকে পরিত্যাগ করা।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৪৪,শ্লোকঃ ১০

আমার জিজ্ঞাসাঃ কেন? নারীহীন থাকাটাই কি আমাদের শিক্ষা!? বিয়ে ছাড়াই কি থাকতে হবে? নাকি সমকামীতা ছড়াতে হবে?

[১৭]

নারী জাতি ছাড়া পৃথিবীতে অন্য কোনো পাপ নেই।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৪৪,শ্লোকঃ ১১

আমার জিজ্ঞাসাঃ পুরুষরা কি পাপ করে না? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়। তাহলে এহেন দাবীর কারণ কি? নারী জাতির উপর এত ক্ষিপ্রতা-র উদ্দেশ্যেটাই বা কি?

[১৮]

নির্লজ্জ পুরুষেরা স্ত্রী লোকের সেবা করে থাকে।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৪৪,শ্লোকঃ ১২

আমার জিজ্ঞাসাঃ স্বামী স্ত্রীর বন্ধন ভালোবাসার বন্ধন। একে অপরকে সেবা করবে এতে নির্লজ্জতার কি আছে? নারীর সেবা করলেই নির্লজ্জ কেন?

ইসলামে সেই শ্রেষ্ঠ যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। আলহামদুলিল্লাহ

[১৯]

নারী জাতি হলো পুরুষ কামুক। তারা সব সময় অন্যপুরুষের প্রতি বেশি অনুরাগ দেখায়।
◑ স্কন্ধ পুরাণঃ নাগরখণ্ডম, অধ্যায়ঃ ৪৪,শ্লোকঃ ১১

আমার জিজ্ঞাসাঃ স্বাভাবিকভাবে কামুকতা নারীদের থেকে পুরুষদের বেশি বা প্রকাশ করা হয় বেশি।সুতরাং পুরুষদের কথা বললে মানাতো। আর কামুকতা থাকলেই পুরো নারী জাতিকেই কেন দোষ দিতে হবে!? আর পুরুষ জাতিই বা কেন বাদ গেলো? যেখানে পুরুষ জাতিই বেশি কামুক নারীদের তুলনায়!?? ইহা কি এক পক্ষী নারী বিদ্বেষ নয়?

[২০]

ঈশ্বর সকলের সৃষ্টিকর্ত্তা, আর ঈশ্বরের সৃষ্টির মধ্যে নারীজাতি হলো চরম মূর্খ।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ১৩৯

আমার জিজ্ঞাসাঃ নারীজাতি কেন মূর্খ হবে? জেন্ডার কি জ্ঞানের মানদন্ড নাকি? পৃথিবীতে তাহলে জ্ঞানী নারীও কি মূর্খ? ইহা কেমন বিদ্বেষ?

[২১]

নারীজাতি অধিক মত্তা ও নিরন্তর কামাতুর।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ১৪০

আমার জিজ্ঞাসাঃ আবারও নারীদেরকেই কামাতুর বলা হচ্ছে? এক পক্ষী বিদ্বেষ নয় কি?

[২২]

স্ত্রীজাতির কথা সর্ব্বাপেক্ষা নিন্দনীয়।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৪,শ্লোকঃ ১২

আমার জিজ্ঞাসাঃ নারী বলে কি তাদের কথা নিন্দনীয়? কেন? নারীজাতি যদি এতই খারাপ হয় তাহলে ভগবানের কি দরকার ছিলো নারী সৃষ্টি করার?

[২৩]

স্ত্রীজাতি ত্রিভুবনের মধ্যে নিন্দা ভাজন।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৪,শ্লোকঃ ১৩

আমার জিজ্ঞাসাঃ যতভাবে পারা যায় সব ভাবেই নারীদের বিদ্বেষ করা হয়েছে। যারা ইসলাম এর হাতে গোনা ২ একটা বিষয়কে নারী বিদ্বেষ বলে মিথ্যা উপস্থাপন করেন তারা এত লম্বা লিষ্ট নিয়ে কি করবেন?

[২৪]

স্ত্রীজাতির কোনো ধর্ম নেই। তাদের একমাত্র সর্ব্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট ধর্ম স্বামীর সেবা করা।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৪,শ্লোকঃ ৩৭

আমার জিজ্ঞাসাঃ স্ত্রীদের ধর্মই নেই! তাহলে হিন্দধর্ম পুরুষদের জন্য? পুরুষতান্ত্রিক ধর্ম? আর পুরুষ সেবা করলে পুরুষ নির্লজ্জ আর নারী সেবা করলে উৎকৃষ্ট ধর্ম?

[২৫]

যে নারী স্বামীকে সামান্যতম কটুক্তি করে সে নারী যতই ধর্ম পালন করুক না কেন তার সপ্তজন্মকৃত পুণ্য বিনষ্ট হয়।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৪,শ্লোকঃ ৪০ ও ৪১

আমার জিজ্ঞাসাঃ এক পক্ষী বিদ্বেষ কেন? যত দোষ সব নারীদের? পুরুষের জন্যও তো কিছু বলা উচিত নাকি? না পুরুষ হলেই ধোয়া তুলসি পাতা?

[২৬]

পুংশ্চীল (ধর্মহীন /কুলহিন)  নারীর থেকে অপ্রিয় আর কেহই হয় না।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ২৭ ও ২৮

আমার জিজ্ঞাসাঃ নারী পুরুষ উভয়কে বলা কি উচিত ছিলো না? ইসলামে মানবজাতি ও জীনজাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদতের জন্য (সূরা যারিয়াত আয়াত ৫৬)

শুধু নারীদের জন্য না পুরো মানুষ জাতীর জন্যই বলা হয়েছে। কিন্তু হিন্দুশাস্ত্র শুধু নারীদেরই সব বিধান দোষ দিয়ে রেখেছে কেন?

[২৭]

পুংশ্চলী (ধর্মহীন/কুলহীন,) নারীকে কেউ দৃষ্টি দিয়ে দেখলো মানে সে যেন দৃষ্টি দিয়ে বিষ দেখলো।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ৩০

আমার জিজ্ঞাসাঃ 404 not found

[২৮]

পুংশ্চলী (ধর্মহীন/কুলহীন) নারীর কোনো জায়গা নেই জগতে।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ৩১

[২৯]

পুংশ্চলী (ধর্মহীন/কুলহীন) নারীরা নরঘাতীর চাইতেও ভয়ঙ্কর। 
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ৩১

[৩০]

পুংশ্চলী (ধর্মহীন/কুলহীন) নারীদের চাইতে আর নিকৃষ্ট কিছু নাই।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ৩২

[৩১]

পৃথিবীতে যত পাপ আছে তার থেকে বেশি পাপ পুংশ্চলী (ধর্মহীন/কুলহীন) নারীর মধ্যে দেখা যায়।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ৩৫

আমার জিজ্ঞাসাঃ কেন পুংশ্চলী পুরুষ কি নাই পৃথিবীতে? নাকি এসব শুধুই নারী বিদ্বেষের উদ্দেশ্যেই বর্ণিত?

[৩২]

পৃথিবীতে পুংশ্চলী (ধর্মহীন/কুলহীন) নারীর থেকে পাপী আর কেউ নেই।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ৩৫

আমার জিজ্ঞাসাঃ ধর্মহীন কুলহীন = নারী প্রমাণিত।

[৩৩]

পুংশ্চলী (ধর্মহীন/কুলহীন) নারীর রান্না পাপ মিশ্রিত।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ৩৬

আমার জিজ্ঞাসাঃ রান্নার কি সম্পর্ক?

[৩৪]

ধর্মহীন বা পুংশ্চলী নারীর অন্ন বিষতুল্য, মূত্রতুল্য আর সে অন্ন দেবতাকে দান করলে নরকগামী হতে হবে।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ৩৭

আমার জিজ্ঞাসাঃ পুংশ্চলী পুরুষেরটা হবে বুঝি?

[৩৫]

ত্রিভুবনে একজন পুরুষের মুক্তির পথের বাধা হলো একমাত্র নারী।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৪,শ্লোকঃ ১৭

আমার জিজ্ঞাসাঃ নারী তথা মা না থাকলে যেখানে মানব জন্মই হতো না সেখানে মুক্তিতে বাধা কিভাবে হয়?

[৩৬]

নারী হচ্ছে মোহের কারন ও তপস্যার বন্ধক।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৪,শ্লোকঃ ১৭

আমার জিজ্ঞাসাঃ নারী যদি কামুতর হয় তাহলে তো পুরুষ মোহের কারব ও তপস্যার বন্ধক হবার কথা!

[৩৭]

সংসার নামক কারাগৃহে নারীরাই দুর্ব্বহ স্বরূপ।
◑ ব্রহ্মবৈর্বতপুরাণঃ শ্রীকৃষ্ণ-জন্মখণ্ড, অধ্যায়ঃ ২৩,শ্লোকঃ ১৮

[৩৮]

১. নারীগনই সমস্ত দোষের কারন।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ ২

[৩৯]

২. নারীদের দোষ হলো তারা অধিক সীমালঙ্ঘন করে।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ ১২

[৪০]

৩. বিশ্ব জগতে নারীদের থেকে বড় পাপী আর কোনো কিছু নাই।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ  ১৩

[৪১]

৪. নারীরা জগতের সকল পাপের মূল৷
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ  ১৩

[৪২]

৫. নারীরা পতি সর্ব্ব-জনবিদিত, রুপশালী ও বশবর্ত্তী হইলেও নারীগণ ছিদ্র পাইলেও তাহার অপেক্ষা করে না।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ  ১৪

[৪৩]

৬. নারীরা লজ্জাহীনের মতো পাতকী পুরুষের ভাজনা করে।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ ১৫

[৪৪]

৭. নারীজাতির থেকে অগম্য জগতে আর নাই।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ ২২

[৪৫]

৮. নারী পুরুষের সাথে কাম বৃত্তি সম্পন্ন করতে পছন্দ করে।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ  ২৪

[৪৬]

৯. বিষ, সর্প, ও আগুনের থেকে নারী অধিক ভয়ংকর। কারন নারী একাই একদিকে।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ  ৩১

[৪৭]

১০. নারী জাতির দুষ্টতা সৃষ্টির প্রথম থেকেই।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ  ৩২

[৪৮]

১১. যারা মূর্খ পুরুষ শুধু তারাই স্ত্রী জাতির প্রতি আসক্ত।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ ৩৩

১২. পুরুষদের উচিত নারীদের সাথে সঙ্গ না দেওয়া।
◑ শিবপুরাণঃ ধর্ম্ম-সংহিতা, অধ্যায়ঃ ৪৩, শ্লোকঃ ৩৪

[৪৯/ ০ সহ মোট ৫০ ]

——-

লাস্ট আমার জিজ্ঞাসাঃ সকল শ্লোক দ্বারা কি এটিই প্রমাণ হয় না যে চরমভাবে নারী বিদ্বেষ করা হয়েছে??


আরও পড়ুনঃ

মনুসংহিতা ও আমার জিজ্ঞাসা পর্ব ১

মনুসংহিতা ও আমার জিজ্ঞাসা পর্ব ২

Post a Comment

2 Comments