পৃথিবীর ৪৫০০+ ধর্মের মধ্যে কোনটি সত্য? (ব্যবচ্ছেদ)

পৃথিবীর ৪৫০০+ ধর্মের মধ্যে কোনটি সত্য? যেটি মানছি সেটি যদি মিথ্যা হয়? অন্য ধর্মের নরকে যদি যাই? এত ধর্ম যাচাই করা কিভাবে সম্ভব? সবাই সত্য দাবী করে সুতরাং সব ভুল!? (ব্যবচ্ছেদ) 🖋Author: Aminur Rashid ☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳


মতবাদ,ধর্ম,বিশ্বাস,অবিশ্বাস,কুসংস্কার,কালচার.. 


এসব অতিত থেকেই চলমান ছিলো। কুরআন পড়লে এমন অনেক অনেক বিষয় সম্পর্কে আমরা অবগত হই। 


কুরআনে ২ টি বিভাগ সম্পর্কে খুব ভালো ভাবেই আলোচনা করা হয়েছে,,,


১) পৌত্তলিকতা 

২) ইহুদি-খ্রিষ্টান (বর্তমানে পৌত্তলিক নানান মতবাদের অনুসারী)


এই পৌত্তলিকতার সেক্টরটা আসলেই বিরাট ছিলো। যে পৌত্তলিকতা বর্তমানে বেশিরভাগ ধর্মেই রয়েছে। কিছু ধর্ম আগে পৌত্তলিক ছিলো বা সময়ের আবর্তনে হয়েছে। আর কিছু কিছু পৌত্তলিকতা আগে থেকে ছিলো এখন তাদের কিছু ডিভিসন ভার্সন বের হয়েছে। এই আরকি! কুরআনে আপনি দেখবেন, নবী ইব্রাহিম (আঃ) এর পিতা ছিলেন মূর্তিপূজক। বেশিরভাগ নবীদের জীবনে তাদের কাওমের কমন পাপ ছিলো শিরক এবং তা ছিলো মূর্তিপূজা, শয়তান পূজা, গো পূজা, প্রকৃতি পূজা, ট্রিনিটি, বহুঈশ্বরবাদ, অবতারবাদ ইত্যাদি ইত্যাদি। মূসা (আঃ) এর সময় বাছুর পূজা করা হয়েছে। আজ গো কে মাতা, গো কে ভক্তি, এমনকি গোমূর্তিপূজাও হচ্ছে। সেই প্রাচীন সময় থেকে পৌত্তলিকতা ছিলো। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর সময়েও কাফেরদের মধ্যে পৌত্তলিকতা ছিলো। তো যুগে যুগে পৌত্তলিকতা থেকে নানান ডিভিসন বের হয়ে নানান পৌত্তলিক ধর্মে রুপান্তরিত হলো। বাকি থাকলো ইহুদি-খ্রিষ্টান/বাইবেল-তানাখ তাওরাত যাবুর ইঞ্জিল পূর্বের কিতাব গুলির বিকৃত রূপ। তো ইহুদি-খ্রিষ্টান যাকে আমরা আব্রাহামিক রিলিজিয়ন হিসেবে বলে থাকি। দুঃখজনক ভাবে এগুলিও যুগে যুগে কালের বিবর্তনে পৌত্তলিকতার মিক্সিং এ পরিণত হয়েছে। ট্রিনিটি, অবতারবাদ (ঈশ্বরের মানুষ হয়ে জন্ম), ঘন্টা, যিশুমূর্তি পূজা ইত্যাদি আরও নানান পৌত্তলিকতার মিশ্রণ সংমিশ্রণ। ইসলাম একমাত্র দ্বীন যা কিনা এসব পৌত্তলিক মতবাদ থেকে মুক্ত। বর্তমানের ৪৫০০+ ধর্মের মধ্যে মেক্সিমামই হচ্ছে পৌত্তলিক এবং পৌত্তলিক এর সংমিশ্রণ, পৌত্তলিকতা প্রকৃতিপূজা + কুসংস্কার , নাস্তিকতার মত। 


৪৫০০+ ধর্ম


৪৫০০+ ধর্মের ব্যাপারে আসি... 


পাঠক যারা উপরের কিছু না পড়েই এখানে ঝাপ দিয়েছেন তাদের বলব উপরের গুলিও পড়ে নিন। কিপ্টামি কইরেন না। 


যাইহোক, ৪৫০০+ ধর্মের ব্যপারে আসলে অনেকে নানান জরিপ দেয় ধর্মালম্বী জনসংখ্যা নিয়ে। তার মধ্যে অন্যতম Wikipedia


যেটি অনুযায়ী,, 


  Christianity (31.1%)

  Islam (24.9%)

  Irreligion (15.6%)

  Hinduism (15.2%)

  Buddhism (6.6%)

  Folk religions (5.6%)

  Other religions (1%)


[ ২০২০ সাল অনুযায়ী ]


খ্রিষ্টানধর্মের অনুসারী (৩১.১%) 

ইসলাম ধর্মের অনুসারী (২৪.৯%) 

ধর্মহীন জনসংখ্যা (১৫.৬%) 

হিন্দু ধর্মের অনুসারী (১৫.২%) 

বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী (৬.৬%) 

Folk ধর্মের অনুসারী (৫.৬%) 

অন্যান্য ধর্মের অনুসারী (১%


___


নাস্তিকদের যুক্তি খন্ডন


বহুলপ্রচলিত যুক্তি ১)  ৪৫০০+ ধর্মের ধর্মগ্রন্থ যদি ১ দিনে একটা শেষ করি তারপরেও তো ৪৫০০+ ধর্মের ধর্মগ্রন্থ শেষ করা সম্ভব না! 


জবাবঃ


উপরে যদি দেখেন খ্রিষ্টান আর ইসলামের পর সর্বোচ্চ মানুষ হচ্ছে ধর্মহীন! হিন্দুদের থেকেও বেশি পার্সেনটিজ ই ধর্মহীনরা। 


৪৫০০+ ধর্ম নিয়ে যেসকল নাস্তিকরা বলে থাকে তাদের বলবো, নামে কয়েকটা যেমন খ্রিষ্টান, ইসলাম, ধর্মহীন, হিন্দু, বৌদ্ধ, Folk বা সাথে শিখ, জৈন এসব। আর ৪৫০০+ এর মধ্যে এসব আর বাকিগুলি মাত্র ১% হ্যাঁ ১%


এই ১% নিয়ে টানাটানি করে কি লাভ? ১% এর ধর্মই সামাজিক, কালচারাল ধর্ম। ঈশ্বর ছাড়া , বৌদ্ধ ধর্মের মত। এই টাইপ ধর্ম কয়েকটা। যার মধ্যে কিছু পন্ডিতদের মধ্যমে চলে বা মানুষের মাধ্যমে চলে। আবার এসব ধর্মের ধর্মগ্রন্থই নেই। 


নাস্তিকরা একটা যুক্তি দেয় যে প্রতিদিন ১ টা ধর্মগ্রন্থ শেষ করলেও ৪৫০০+ ধর্মগ্রন্থ কিভাবে শেষ করবো। 


যেখানে কিনা ৪-৫ টা বাদে বাকি সবই ১% আর এসবতো দূরে থাক মেজর ৪-৫ টা ধর্মের মধ্যেই ঈশ্বর অনুপস্থিত! 


যেমন ইসলাম খ্রিষ্টানের পর "ধর্মহীন, atheist" অর্থাৎ ঈশ্বরের অনুপস্থিত মতবাদ। 


তার পরে হিন্দুধর্ম শেষে, বৌদ্ধধর্মে ঈশ্বর নেই। বৌদ্ধ একটি ধর্ম কম "মতবাদ" হিসাবেই বলা যায়। 


এর পর Folk ধর্ম। 


এ ধর্মের কোন Holy Script নেই। লোকধর্ম যা নানান কালচার দেশ সংস্কৃতি জাতি রীতিনীতি এসব নিয়ে। 


ওইযে বললাম, ১% এর ধর্মই সামাজিক, কালচারাল ধর্ম। আরে ১% তো পরের বিষয়, মেজরিটির মধ্যেই লোকধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, ধর্মহীন পাওয়া যায়। শুধু ইসলাম, খ্রিষ্টান, হিন্দু বাদে। 


তারপরেও নাস্তিকরা, ইসলামবিদ্বেষী-রা একটা কথা বলেই থাকে সচরাচর যে ৪৫০০+ ধর্মগ্রন্থ পড়ে শেষ করা যাবে না। 


ইসলাম মানলে কি হবে ৪৫০০+ এর কোন একটি ধর্ম যদি সত্য হয় তাহলে তো জাহান্নামেই যাবো। 


এদের এহেন দাবী যে কতটা সত্য তা তো বললামি। যেখানে মেজর ধর্মেই ধর্মগ্রন্থ ছাড়া ধর্ম, ঈশ্বর ছাড়া ধর্ম রয়েছে। সেখানে তারা কোন যুক্তিতে বলে ৪৫০০+ ধর্মগ্রন্থ কিভাবে পড়া সম্ভব!? যেখানে ৪-৫ ধর্ম বাদে বাকি ১% আর যে ৪-৫ আছে তার মধ্যে ইসলাম, খ্রিষ্টান আর হিন্দু বাদে বাকি মেজর গুলিতেই ঈশ্বর ও ধর্মগ্রন্থের অনুপস্থিতি রয়েছে। শুধু মেজর নয় বরং অনেক ধর্মেই ঈশ্বর এবং ধর্মগ্রন্থ অনুপস্থিত! যেখানে ধর্মগ্রন্থ-ই অনুপস্থিত। সেখানে ধর্ম আছে বলেই যে ধর্মগ্রন্থ আছে এমন বলাটাও অজ্ঞতায় ঢিল ছুড়ার ন্যায়। 


সুতরাং এসব দাবী করা নেস্টিকরা এটিই প্রমাণ করে যে তারা মেজর ধর্মের ধর্মগ্রন্থ আছে কিনা নেই! ঈশ্বর আছে কি নেই সেই সম্পর্কেই অজ্ঞ। তারা শুধু ইসলামবিদ্বেষ করেই ক্লান্ত।


__


বহুলপ্রচলিত যুক্তি ২) ইসলাম কেন মানবো? ৪৫০০+ ধর্ম! মৃত্যুর পরে যদি দেখি অন্য কোন ধর্ম সত্য। তাহলে তো ৪৫০০+ ধর্মের অন্য কোন ঈশ্বরের অন্য কোন জাহান্নাম বা নরকে যেতে হবে। সুতরাং ধার্মিক হলেও সেইফ না। নাস্তিকই ভালো!? 


জবাবঃ

শুরুতে বলেছিলাম যে পৌত্তলিকতার ডিভিসন প্রকৃতিপূজা। 


যেমন Folk বা লোকধর্ম। তারাও নানান মূ্র্তি অনুষ্ঠান ভক্তি করে। তারা লৌকিকতার অনুসারী সমাজ জাতি কালচারাল আরকি। 


সুতরাং কুরআনেই এসব পৌত্তলিকতার কথা বলা আছে যা যুগে যুগে এসবে রুপান্তরিত হয়ে রয়ে গেছে। 


সুতরাং নানান মতবাদের কালচারাল ধর্ম, সামাজিক সংস্কৃতি মূলক ধর্মের যা কিনা ১% তা নিয়ে লাফালাফি করাটা অযৌক্তিক।


সুতরাং মেজর গুলিই মেইন। যেখানে ঈশ্বর আছে স্রষ্টা আছে স্রষ্টা প্রেরিত গ্রন্থ বাণী ওহী আছে।


সুতরাং যাহারা বলে থাকেন যে ৪৫০০+ ধর্মের একটা সত্য হলে কি করবো। তাদের বলবো, বাস্তবে ৪৫০০+ এর সবই কালচারাল, ধর্মগ্রন্থহীন, ঈশ্বরহীন, মূর্তি ভক্তির মিশ্রণ এবং বিলুপ্ত অর্থাৎ ১%


মেজর ধর্মের ৩ টি ছাড়া বাকিগুলিতে ঈশ্বর নেই সেখানে কিভাবে বলেন যে অন্য ধর্মের জাহান্নামে গেলে...! যেখনে ঈশ্বরের কনসেপ্ট টাই নেই। holy script টাই নেই। আর জাহান্নাম!!!


যেখানে ঈশ্বর পরকাল এসবেরই অস্তিত্ব নেই। সেখানে ৪৫০০+ এর মধ্যে একটা সত্য হলে অন্য ধর্মের নরকের কথা বলাটা কতটাই অজ্ঞতা। 


এমনকি মজার বিষয় হচ্ছে ৩ ধর্মের মধ্যেও হিন্দু ধর্মে পূনর্জন্ম কনসেপ্ট রয়েছে। হিন্দুদের সবাই পূণর্জন্ম তে বিশ্বাসী আমার দেখা পৌরণিক বা আর্য পূণর্জন্মতে বিশ্বাসী তারা গীতা, বেদ, মনুস্মৃতি তেই পূণর্জন্ম নিয়ে কথা বলে থাকেন। 


তবে কিছু কিছু আবার স্বর্গ নরকের কথা বলে থাকে। তবে যখন পূণর্জন্ম + স্বর্গ নরক এর কথা আসে তখন বিজ্ঞরা বলেন যে পূণর্জন্মের মধ্যমেই পরের জন্মে পৃথিবীতেই স্বর্গ পৃথিবীতেই নরক। বা স্বর্গ নরক সাময়িক এর পরে পূণর্জন্ম হবে। মনুস্মৃতিতে আবার এক জন্মে কি পাপ করলে পরের জন্মে কি হয়ে জন্ম হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে। 


আবার বৌদ্ধধর্মেও পূণর্জন্ম কনসেপ্ট আছে। 


সুতরাং কাটসাট করে খ্রিষ্টান ধর্ম আর ইসলাম ধর্ম থাকে, পরকাল বিষয়ক জান্নাত জাহান্নাম বিষয়ে। 


এখানেও ঝামেলা আছে যিশু খ্রিস্ট নাকি সবার পাপ মোচন করেছেন সুতরাং সেদিকেও জান্নাত জাহান্নাম কনসেপ্ট এ ঘাপলা রয়েছে। 


So,, 


খ্রিষ্টানধর্ম, যিশু পাপ মোচন ঘাপলা

হিন্দুধর্ম, পূনর্জন্ম ঘাপলা

বৌদ্ধ, ঈশ্বরই নেই + পূণর্জন্ম ঘাপলা

Folk সহ ১% ঈশ্বরহীন, কালচারাল, লৌকিক ঘাপলা


আর বাকি রইলো ইসলাম যেখানে সুস্পষ্ট যে মানুষের জীবন একটাই, প্রতিটি জীবের মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। এবং তাদের আমলনামা অনুযায়ী তাদেরকে আখিরাতের অনন্ত জীবন জাহান্নাম বা জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। 


একদম পরিষ্কার কনসেপ্ট। 


পৃথিবীর মানুষ মহাবিশ্বের সকল কিছু জানতে পারে নি যা জানতে পেরেছে তা ক্ষুদ্র অতি ক্ষুদ্র। এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ক্ষুদ্র। তবে আখিরাত যেটি সম্পর্কে কোন মানুষই জানে না। আর ঠিক এই জায়গায় ইসলাম একদম পরিস্কার কনসেপ্ট দিয়েছে পরকাল তথা আখিরাত সম্পর্কে একদম ক্লিয়ার। যা অন্য কোন ধর্ম ক্লিয়ার করে নি বরং ঘাপলা যুক্ত। 


ইসলামই একমাত্র যেটি আখিরাত তথা পরকালের কনসেপ্ট স্পষ্ট ভাবে বলেছে। 


তারপরেও যখন নাস্তিকরা বলে যে ৪৫০০+ ধর্মের যেকোন ধর্মের জাহান্নামে যদি যাই!! 


কথাটা আসলেই হাস্যকর ঠেকে ! ¡! ¡


[ নিচে আরও আলোচনা হবে। ]

__


বহুলপ্রচলিত যুক্তি ৩) সব ধর্মই যেহেতু বলে নিজের ধর্ম সত্য তার মানে বুঝা যায় সব ধর্মই মিথ্যা। মানব রচিত গোহায় খচিত!? জবাবঃ এটি হলো তাদের দেওয়া আরেকটা লজিকাল ফ্যালাসি। এটি কয়েকটা গল্পের মাধ্যমেই খণ্ডন করা যায়। আমার শুনা একটি গল্প হলো, ধরেন একটা নৌকাতে ১০০ জন মহিলা আর একটা ছোট বাচ্চা। এখন ১০০ জন মহিলাই দাবী করছে যে ওই ছোট বাচ্চাটি তার। এখন যেহেতু ১০০ জন মহিলাই দাবী করছে বাচ্চাটি তার। সেহেতু কি বাচ্চাটা কোন মাহিলারই না প্রমাণ হয়? নাস্তিকরা কি বলবে যে ১০০ জন দাবী করেছে বাচ্চাটা নিজের। ১০০ জন যেহেতু দাবী করছে সেহেতু বাচ্চাটা আসলে করারোই না। এটি বলবে? কখনোই না। কারণ ১০০ জন দাবী করলে প্রমাণ হয় না যে ১০০ জনই মিথ্যা বলেছে বরং একজন সত্যই বলেছে। বাচ্চা তো আর এমনি এমনি তে আসে নি। বা আরেকটা বলা যায়, একটি স্কুল শ্রেণিকক্ষে একটি বই পাওয়া গেছে। বইয়ে কোন নাম নেই। একদম নতুন বই। পরের দিন যখন শিক্ষক বললেন বইটি কার? তখন শ্রেণিকক্ষের সবাই দাবী করলো বইটি তার। এখন আমার প্রশ্ন সবাই যেহেতু দাবী করেছে বইটি তার। এর মানে কি এই বইটি কারোরই নয়? ঠিক একই ভাবে সবাই যদি বলে তার ধর্ম সত্য। এর মানে এই নয় যে সব ধর্মই মিথ্যা।

___


ধর্মসমূহ


হতেগোনা কয়েকটা ধর্মের কথাই বলি,, 


Largest religious groups

Religion Followers

(billions) Cultural tradition Founded References


Christianity


Islam


Hinduism


Buddhism


Folk religion


Medium-sized religions

Religion Followers

(millions) Cultural tradition Founded References


Shinto


Taoism


Voodoo 60 African religions Dahomey, 


Sikhism


Judaism


Spiritism


Mu-ism


Confucianism


Baháʼí Faith


Jainism


Cheondoism


Hoahaoism


Caodaism


Tenriism


Druze


[Engwikipedia]


খ্রিস্ট ধর্ম - ২৩০কোটি


ইসলাম ধর্ম - ১৮০ কোটি 


নাস্তিকতাবাদ, মুক্তমনা, ইহবাদ, জুচে, ধর্মহীন ** - ১১০ কোটি


হিন্দু ধর্ম - ৯০কোটি


চীনা লোকধর্ম - ৩৯ কোটি ৪০ লক্ষ


বৌদ্ধ ধর্ম - ৩৭ কোটি ৬০ লক্ষ 


মহাযান - ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ


থেরবাদ - ১২ কোটি ৪০ লক্ষ


বজ্রযান - অজানা


উপজাতীয়দের বিশ্বাসসমূহ - ৩০ কোটি

বিভিন্ন বিশ্বাস এর মধ্যে পড়ে, যেমন - উপজাতীয় বিশ্বাস, শামানবাদ এবং পেগান ধর্ম।


আফ্রিকীয় সনাতন বিশ্বাসসমূহ - ১০ কোটি


শিখ ধর্ম - ২ কোটি ৩০ লক্ষ


আত্মাবাদ - ১ কোটি ৫০ লক্ষ

কোনো একক সংঘবদ্ধ ধর্মীয় গোষ্ঠী নয়।


ইহুদি ধর্ম - ১ কোটি ৪০ লক্ষ


বাহাই ধর্ম - ৭০ লক্ষ 


জৈন ধর্ম - ৪২ লক্ষ


শিন্টো - ৪০ লক্ষ

যারা শিন্টোকে ধর্ম হিসেবে মেনে নিয়ে পালন করেন হিসেবে উল্লেখ করেছেন, শুধু তারাই এখানে অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া ইতিহাস, জাতি ও ঐতিহ্যগতভাবে যারা নিজেদের শিন্টো মনে করেন, তাদেরকেও এখানে অন্তর্ভুক্ত করলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১০ কোটি বা ততোধিক।


কাও দাই - ৪০ লক্ষ 


জরথুস্ত্র ধর্ম - ২৬ লক্ষ 


ফালুন গং - ২১ লক্ষ*

বিভিন্ন জরিপকারী সংস্থা একে কোনো আলাদা বিশ্বাস বা ধর্ম মনে না করায় এর অনুসারীদের প্রকৃত সংখ্যা অযাচাইযোগ্য রয়ে গেছে।


টেনরিকিও - ২০ লক্ষ 


নব্য-পেগান ধর্ম - ১০ লক্ষ


একত্ববাদী সর্বজনীনতাবাদ - ৮ লক্ষ


রাসটাফারি আন্দোলন - ৬ লক্ষ


[Bangwikipedia]


তো এখানে মোট ২০-২৫ টার মত ধর্ম পাওয়া গেল। আর সবার শেষে রাসটাফারি যার অনুসারী মাত্র ৬ লক্ষ। ২০-২৫ এর সর্বনিম্ন যেখানে মাত্র ৬ লক্ষ সেখানে ৪৫০০ ধর্ম কোথায়? আদৌ কি ৪৫০০+ ধর্ম, ধর্মের মানুষ Exist করে? নাকি পৃথিবীর সব মতবাদ সব প্রথা সব গোষ্ঠী কে ধর্ম ট্যাগ দিয়ে ৪৫০০+ করা হয়েছে!? নাকি অতিত থেকে বর্তমানের সকল ধর্ম? নাকি বিলুপ্ত হয়ে গেছে এমন ধর্ম সহ ৪৫০০+? 


যাইহোক, 

২০-২৫ টা ধর্মের মধ্যেও প্রায় সবই কালচারাল, ঈশ্বর হীন, ধর্মগ্রন্থহীন। 


৬ লক্ষের পর বাকি আর যেসব থাকে সেগুলি আদৌ ধর্ম বলা যায়? সেগুলি প্রথা যা মানুষ ধারণ করে বিধায় ধর্ম নামে আখ্যায়িত করা যায়। কিছু গুষ্টি নিয়ে প্রথাই বলা যুক্তিযুক্ত। 


চলুন এই কয়েকটি ধর্মের কনসেপ্ট জেনে নেই,, 


ধর্মসমূহের ভিত্তি ও ধারণা


খ্রিষ্টানধর্মঃ পিতা পুত্র পবিত্র আত্মা। ট্রিনিটি, অবতারবাদ ধারনা পোষণ কারী। যিশু পাপ মোচন করে ক্রুসবিদ্ধ হয়েছে বিশ্বাসে বিশ্বাসী।


ইসলামঃ There Is No God But Allah, and Prophet Muhammad (PBUH) Messenger Of Allah... একমাত্র Lord আল্লাহ। তিনি ছাড়া কোন ঈশ্বর নেই স্রষ্টা নেই। তিনি একমাত্র একজন তার কোন অংশীদার নেই। তার সমতূল্য কেউ নেই। তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টি করেছেন আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে। তাদেরকে জীবন দিয়েছেন। একদিন মৃত্যু আসবে এবং বিচার ফয়সালা হবে এবং মানুষ যাবে জান্নাত অথবা জাহান্নাম। যে জান্নাতে যাবে সে সফল এবং সেখানে আজীবন বসবাস করবে। আর যে জাহান্নামে যাবে সে ব্যার্থ! অমুসলিম হলে আজীবন জাহান্নামেই শাস্তি ভোগ করবে। 


ধর্মহীনঃ ঈশ্বরে অবিশ্বাসী, সংশয়বাদী.... 


হিন্দুধর্মঃ তেত্রিশ কোটি ঈশ্বর আরেক মতে তেত্রিশ প্রকার ঈশ্বর আরেক মতে এক ঈশ্বর বহু দেবতা আবার ট্রিনিটি আছে। দেবতার অভাব নেই তার মধ্যে অনেক বড় বড় দেবতাও রয়েছেন। মূর্তিপূজার অনুমোদন রয়েছে। প্রতিমা পূজা নিষিদ্ধ কথা হলে বলতে হবে বৈপরীত্য। মূর্তিপূজা সম্পর্কে দু মত পাওয়া যায়। নানান অবতার ঈশ্বর বলা হয় যেমন কৃষ্ণ কেও ঈশ্বর বলা হয়ে থাকে যা বহুঈশ্বরবাদের দিকে যায়। তাই এই মতের অনুসারীরা খ্রিষ্টানদের বলে থাকেন "যিশু ঈশ্বরের সন্তান আর কৃষ্ণ সয়ং ঈশ্বর"। পরকাল হিসেবে পূণর্জন্ম প্রসিদ্ধ। দুনিয়ায় অমুক খারাপ কাজ করলে অমুক প্রাণি-জীব হয়ে জন্মগ্রহণ করবে। আবার স্বর্গ-নরক কনসেপ্টে বললে পূণর্জন্ম হবে আর পৃথিবীতেই স্বর্গ পৃথিবীতেই নরক। তো মোট কথা পৌরণিক বিশ্বাস অনুযায়ী স্বর্গ নরক আছে তবে সেসবেও ধ্বংস আছে স্বর্গ থেকে আবার পৃথিবীতে পূণর্জন্ম হবে। অনেকে ভাবেন ইসলামের মত হয়তো হিন্দুদের স্বর্গ নরক! মোটেও না তাদের মতবাদ হলো স্বর্গ নরকের পর আবার পৃথিবীতে নানান কর্ম অনুযায়ী নানান জীবে পূণর্জন্ম হবে। আর যারা নিজদের বৈদিক দাবী করেন তারা মূলত পৃথিবীতেই স্বর্গ পৃথিবীতেই নরকে বিশ্বাসী পূণর্জন্ম এখানে বিদ্যমান। 


বৌদ্ধধর্মঃ ঈশ্বর নেই। গৌতম বুদ্ধকে ভগবান বলা হয়। পূনর্জন্ম কনসেপ্ট রয়েছে, বিষয়টা আজব ঈশ্বর নেই তবে পূণর্জন্ম কনসেপ্ট বিদ্যমান। পূণর্জন্ম কনসেপ্ট হচ্ছে পাপ কাজ করলে নানান জীবে জন্মলাভ। 


লোকধর্মঃ Holy script নেই। লৌকিক , সনাতন আঞ্চলিক ধর্ম। পন্ডিত দ্বারা পরিবর্তন হয়ে থাকে। পৌত্তলিকতা থেকে প্রভাবিত। দেবতা সংশ্লিষ্ট ইত্যাদি। লৌকিক কালচারাল বলা যায়, প্রথার মতন। 


মহাযানঃ বৌদ্ধ ধর্মরেই সাব বলা যায়। (উদাহরণস্বরূপ ক্যাথলিক, প্রোটেস্ট্যান্ট ইত্যাদি) 


থেরবাদঃ বৌদ্ধ ধর্মেরই সাব। (উদাহরণস্বরূপ ক্যাথলিক, প্রোটেস্ট্যান্ট ইত্যাদি) 


বজ্রযানঃ এটিও বৌদ্ধ ধর্মের সাব/শাখা। 


উপজাতীয়দের বিশ্বাসসমূহঃ শামানবাদ, প্যাগান (উপজাতীয় বিশ্বাস) 


আফ্রিকীয় সনাতন বিশ্বাসসমূহঃ আত্মা দেবতা বিশ্বাস আত্মার সাথে যোগাযোগ ও নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নৈবদ্য আচার অনুষ্ঠান পালন। লওয়ার উপাসনা করে। মোট ১৮০ টি লওয়া রয়েছে। প্যগানিজম সংযুক্ত। 


শিখধর্মঃ এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী যার নাম Waheguru স্বর্গ নরক নেই। মানুষ মরে গেলেই সব শেষ। যে জীবন আছে, এই জীবনই উপভোগ হবে স্বর্গ বা নরকের মত। আক্ষরিক অর্থে স্বর্গ নরক নেই। শিখরা স্বর্গ নরক বললেও সেটা অনান্য ধর্মের মত না। যে আধ্যাত্মিক ভাবে ঈশ্বরের সাথে বা ঈশ্বরের অনুগত সেটাই স্বর্গ যে ঈশ্বরের অনুগত না সেটাই নরক। পরকাল স্বর্গ নরক নেই বললেই চলে।


আত্মাবাদঃ নাম যেমন কাজও তেমন। এই মতবাদ বস্তুবাদী মতবাদের মত। সকল বস্তুতে আত্মা আছে পাথর, নদী, বৃষ্টি সবকিছুতে। আর Holy script নেই। আর ঈশ্বর ক্যাটাগরিরো না। 


ইহুদিধর্মঃ ওইযে বললাম, তাওরাত তানাখ বিভ্রান্তি। একেশ্বরবাদী, আর বাইবেলের কিছু গ্রন্থ নিয়ে তানাখ। ইহুদিধর্ম নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। তানাখ কে মূসা (আঃ) এর উপর নাজিল করা তাওরাত বলে দাবী করেন ইনারা। আর ঈসা (আঃ) এর উপর নাজিল করা ইঞ্জিলকে বাইবেল দাবী করে খ্রিষ্টানরা। ইহুদি-খ্রিষ্টান নিয়ে একটু পরে বলছি। 


বাহাইধর্মঃ এই ধর্ম মূলত আধ্যাত্মিক ধর্মিক ঐক্যতে বিশ্বাসী। এতটাই ঐক্য তে বিশ্বাসী যে তারা সব ধর্ম এবং দূত দের মানে। তারা মানে গৌতম, মুহাম্মদ (সাঃ), যিশু সবাই স্বর্গীয় দূত। এই ধারণাটা ভ্রান্ত কারণ গৌতম আর যিশু, মুহাম্মদ (সাঃ) কখনোই এক কনসেপ্টের নন। বৌদ্ধ ধর্মে ঈশ্বর নেই আর ইসলাম ধর্মে আছে। সুতরাং সব ধর্ম এবং সব দূতদের মানা অযৌক্তিক। ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য আলাদাভাবে এমন করা জানি না কত টুকু ঠিক আছে। মৃত্যুর পর কোন শাস্তির বা পুরুষ্কারের বিধান নেই।  এক কথায় এতটাই ঐক্য করতে চাচ্ছেন যে সব ধর্ম আর সব দূত দের এক জায়গায় করে ফেলেছেন। 


জৈনধর্মঃ অনেকটা বৌদ্ধ ধর্মের মত। পৌত্তলিক এবং ঈশ্বরহীন। 


শিন্টো/শিন্তোঃ এটিও বৌদ্ধ ধর্মের মতই। তবে এটি "ধর্ম" কম "প্রথা" হিসেবে যোগ্য। দেবদেবীতে বিশ্বাসী পৌরণিক। আর নিজেস্ব কোন ধর্মগ্রন্থ নেই তবে কিছু ইতিহাস বই আছে যেমন The Kojiki ইত্যাদি। পূনর্জন্ম কনসেপ্ট রয়েছে। 


কাও দাইঃ এটি তিন মতবাদের এক। সব ধর্মকে এক ভাবা, অনেকটা বাহাই ধর্মের মত। নিজস্ব holy book নেই। শুধু প্রার্থনা, রীতি এসবের বই আছে। এসব holy script না। পুরপুরি ধর্ম মানলে স্বর্গ আছে নাহলে পূনর্জন্ম cycle চলমান থাকবে। এই ধর্ম অনেক ধর্মের মিশ্রণ। (1920) 


জরথুস্ত্র ধর্মঃ একেশ্বরবাদী তার সাথে ইনারা অগ্নি পূজারী। ঈশ্বরের সাথে আগুনের তুলনা। এদের ধর্মগ্রন্থ জেন্দাবেস্তা যেটা আবার ঋগ্বেদের সাথে সাদৃশ্যতা রাখে। জোরথুষ্ট্র স্রষ্টাকে বলেছেন আলোক শক্তি,অগ্নি যার ফলস্বরূপ আজ অগ্নিপূজা করা হয় বা ঈশ্বরের সাথে সংশ্লিষ্ট করা হয়। 


"ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন যে হিন্দুধর্মের ঋগ্বেদের অসুর "বরুণ"কে পারসি ধর্ম জরাথুস্ট্রবাদের আহুরা মাজদা বলা হয়। পরে পৌরাণিক কাহিনীতে, বরুণকে জলের দেবতা বানানো হয়েছিল।" (Wikipedia) 


পরকাল সম্পর্কে মতপার্থক্য আছে। heaven or hell বা rebirth সম্পর্কে। এই ধর্ম জন্মগত ধর্ম। অন্য ধর্ম থেকে এই ধর্ম গ্রহণ করা যায় না। 


ফালুন গংঃ এটিকে মতবাদও বলা যায়। পূনর্জন্মে বিশ্বাসী! কর্মের মাধ্যমে পরের জীবন ভালো হবে। নৈতিক দিক থেকে ভালো হতে হবে। ব্যায়াম ধ্যান অনুশীলন করে আধ্যাত্মিক উপকারীতা লাভ করা যায়। এটিকে ধর্মবিশ্বাস না বললেও চলে। 


টেনরিকিওঃ একেশ্বরবাদ ও দেবতা সংশ্লিষ্ট ধর্ম। পূনর্জন্ম কনসেপ্ট। মানুষের কর্মই ধর্ম, জীবন মৃত্যু জীবন মৃত্যু। দেহ হয় ধার করা, পূনর্জন্ম হলে অতিতের স্মৃতি ভুলে যায়। 


নব্য-পেগান ধর্মঃ এটা নিয়ে কি বলবো এককথায় পেগানিজম,পৌত্তলিকতা। 


একত্ববাদী সর্বজনীনতাবাদঃ এই ধর্ম মূলত ঐক্যবদ্ধ। পৃথক বিশ্বাসে বিশ্বাস করার প্রয়োজন হয় না। এই ধর্মে মানুষ নাস্তিক, আস্তিক, সংশয়বাদী, অজ্ঞেয়বাদী সবই হতে পারে। একশ্বরবাদ হোক আর বহুঈশ্বরবাদ ব্যাপার না। বিবেক ঐক্যতাই এর কাঠামো।


[ এর মাধ্যমেই বুঝা যায় নানান মতবাদ। ধারণ করা হয় এমন প্রথা সমূহকেও ধর্ম ট্যাগ দিয়ে ৪৫০০+ করা হয়েছে। এ জন্য ইসলাম কোন ধর্ম না বরং ধর্মের থেকেও উপরে দ্বীন পুরো জীবনব্যবস্থা। সকাল থেকে রাত। জীবন থেকে মৃত্যু। দুনিয়া থেকে আখিরাত পর্যন্ত... মনোনীত দ্বীন ]


রাসটাফারি আন্দোলনঃ খ্রিস্টান ও ইহুদী থেকে প্রভাবিত। ট্রিনিটি ও বাইবেলরে বুক অফ রিভিলেশনের সাথেও সংশ্লিষ্ট। জাহ অর্থাৎ বাইবেলের যিহোবা বিশ্বাসী,একেশ্বরবাদী। এরা বাইবেলকে বিকৃতও মনে করেন। 


এরা মনে করে পরকাল বলে কিছু নেই। তবে মজার বিষয় হচ্ছে ইনারা বিশ্বাস করেন এই জীবন অমর। সবাই অমর। কেউ মারা যায় না শুধু তারাই মারা যায় যারা জাহকে বিশ্বাস করে না। বা পরিপূর্ণ বিশ্বাসী নয় বা ত্রুটিযুক্ত বিশ্বাসী। তারাই শুধু মারা যায়। জাহের বিশ্বস্ত যারা নয় তারাও মৃত্যবরণ করে। (Wikipedia)


আশাকরি এটা বলা লাগবে না যে এই কথাটা কতটুকু বাস্তবসম্মত। 

____


উপরে তো ২৫ টা ধর্মই দেখলেন। এবার একটু টনক নাড়াই চলুন! কি বলেন? উপরের সব ধর্মের মধ্যে শুধুমাত্র একটি ধর্ম হ্যাঁ শুধুমাত্র একটি ধর্ম যেটি সবচেয়ে পৃথক। যে ধর্মে পৌত্তলিকতা নেই প্যাগানিজম নেই। যে ধর্মে ঈশ্বরের অবতার নেই। যেই ধর্মে ট্রিনিটি নেই। যেই ধর্মে জীবন মৃত্যু জীবন মৃত্যু পূণর্জন্ম নেই। যেই ধর্মে নেই বহুঈশ্বরবাদ। যে ধর্মে নেই কোন দেবতা নেই ঈশ্বরের কোন মূর্তি প্রতিমা। ইসলাম না অগ্নিপূজা, প্রকৃতিপূজা, মূর্তিপূজা, গোপূজা, প্রতিকপূজা। ইসলাম নয় নাস্তিকতা, নয় সংশয়! ইসলাম নয় তিন ঈশ্বরের ধর্ম! ইসলামে কোন ট্রিনিটির ধর্ম নয়। নয় হিন্দুইজম ট্রিনিটি নয় খ্রিষ্টানিটির ট্রিনিটি। ইসলাম নয় গৌতম ভক্তি ঈশ্বরে অস্বীকার আর পূণর্জন্মে নানান জীবে জন্ম নেয়া ধর্ম। ইসলাম নয় লোকধর্মের মত আঞ্চলিক লৌকিকতার ধর্ম। ইসলাম নয় রাসফারি মত। ইসলাম নয় জৈন, বৌদ্ধ, মহাযান, থেরবাদ ইত্যাদির মত। ইসলাম নয় কোন পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী ইসলাম নয় কোন অংশিদারীতে। ইসলাম নয় দেবতা কনসেপ্টের ভরপুর ধর্ম। ইসলামে আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই। 


অনেকে বলেন না যে কেন ইসলামে সবচেয়ে বড় পাপ শিরক!? 


দেখুন প্রতিটি ধর্মে ঈশ্বরের সাথে অংশিদার রয়েছে। মানুষ তার আসল রবকে ভুলে কিসের পূজা করছে? তারা আত্মা, অগ্নি, প্রকৃতি, মূর্তি, দেবদেবী পূজারী হয়েগেছে। 


বলো তিনি আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়! 


তিনি সেই রব যার কোন কপি নেই দেবতা নেই ট্রিনিটি নেই। অবতার নেই। এটি সেই ধর্ম! 


যে ধর্ম এসেছিলো শিরক উঠিয়ে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করতে। যে দ্বীন এসেছিলো এটি বলতে যে এসব মূর্তি এই অগ্নি এই দেবতা এই দেবদেবী এই ত্রিত্ববাদ এই মানুষরূপী অবতার তোমাদের স্রষ্টা নয়! 


তোমাদের ঈশ্বর একজন। যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। 


যুগে যুগে রাসুল এসেছে আর এই দাওয়াত দিয়ে গিয়েছিলো। তখনও মানুষ ভুলে ছিলো আজও আছে। একদিন তাদেরও চোখ খুলবে। তখন বুঝেও লাভ হবে না।... 


এটিই ইসলাম,, 


لآ اِلَهَ اِلّا اللّهُ مُحَمَّدٌ رَسُوُل اللّهِ 


There is no god except Allah, and Muhammad is the Messenger of Allah


আচ্ছা!? আপনি কোন ধর্ম না মানলে বিপদে পরবেন? 


হিন্দুধর্ম


না মানলে সমস্যা নেই আবার পূণর্জন্ম হবে। (বৈদিক মত) 


যদি স্বর্গ নরক থাকে সেখানে সামন্য সময় কাটিয়ে আবার পূণর্জন্ম হবে। (পৌরণিক মত) 


"পরমাত্মা এই জগত বারবার রচনা করেন" [যজুর্বেদ ৩১/৪]

.

"প্রকৃতির নিয়মে এই জগত পুণঃ পুণঃ সৃষ্টি হয় এবং ধ্বংস হয়।" [গীতা ৯/১০]

"মানুষ যেমন পুরান কাপড় ছেড়ে নতুন কাপড় পড়ে তেমনিভাবে মানবাত্মা একটা শরীর ছেড়ে অন্য শরীরে প্রবেশ করে।" [গীতা ২/২২]

"ব্রহ্মা থেকে শুরু করে সমস্ত কিট পতঙ্গের পুনর্জন্ম হয়।" [গীতা ৮/১৬]

◾কিন্তু যারা পরমাত্মাকে লাভ করে তার পূনর্জন্ম হয় না,,, 

"যারা পরমাত্মাকে লাভ করতে পারে তাদের পুনর্জন্ম হয় না।" [গীতা ৮/১৫]

◾অর্থাৎ,, পাপীদের পূনর্জন্ম হয়। 

কিন্তু যারা পাপী তারা কোন রূপে জন্ম নিবে সেটা নিয়ে বিস্তারিত বলেছে মনুস্মৃতি। 

আসুন দেখি,,, 


"যে যে পাপকর্ম দ্বারা ইহলোকে যে যে যোনি প্রাপ্ত হয়, সে সকল তোমাদিগকে বলিতেছি, শ্রবণ করো" [মনুস্মৃতি ১২:৫৪]

"যে ব্রহ্মণ হত্যা করে সে পরে জন্মে 'কুকুর, শূকর,গো,গর্দভ,উষ্ট্র,অজ, পক্ষী' হয়ে জন্ম নিবে।" [মনুস্মৃতি ১২:৫৫]

.

"যে ধান চুরি করে সে ইঁদুর হয়ে জন্ম নিবে।" [মনুস্মৃতি ১২:৬২]

"মাংস চুরি করলে পাখি, তেল চুরি করলে হবে তেলাপোকা, লবণ চুরি করলে কীট হয়" [মনুস্মৃতি ১২:৬৩]

[ পূণর্জন্ম নিয়ে ৩ টি অবশ্যপাঠ্য আর্টিকেল ,, ]

যদি নিম্ন শ্রেণীর জীব হয় জন্ম হয় (মনুস্মৃতি অনুযায়ী) তাহলে বলবো অপরাধ বাড়ছে একই সাথে কেন পপুলেশন বাড়ছে? সব তো নিম্ন জীব হবার কথা!? 


বৌদ্ধ+মহাযান+থেরিবাদ+লোকধর্ম+টেনকরিও+শিন্টো+কাওদাই সহ সবগুলিই এমন কনসেপ্ট যাতে আপনি কখনোই বিপদে পরবেন না। 


যেসব ধর্মে পূণর্জন্ম আছে সেহেতু বিপদ নেই আবার আপনি দুনিয়াতে জন্মগ্রহণ করছেন। আবার যেহেতু দুনিয়ায় জন্ম নিবো সুতরাং ক্ষতি নেই। 


যেসব ধর্মে পরকাল নেই সেই ধর্মের তো সমস্যাই নেই মানা না মানার। 


যে ধর্মে জীবনই অমর। সে ধর্ম কতটুক বাস্তব তা বলার বাকি থাকে না। 


যে ধর্ম লৌকিকতা, ব্যায়াম ধ্যান, ঈশ্বর পরকাল যেখানে কিছুই না। যে ধর্মে সবাই আস্তিক, নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী থাকতে পারে সেটিও কোন বিপদ না। 


তাহলে কি না মানলে বিপদ?


উঃ ইসলাম!!


আপনি যদি ইসলাম না মানেন আপনি ক্ষতিগ্রস্ত কারণ। ইসলাম সত্য হলে আপনাদের আজীবন জাহান্নামে কাটাতে হবে কোন নিস্তার নেই। আর হ্যাঁ আপনার জীবন একটাই! এমন না আপনি আবার দুনিয়াতে এসে ভালো কর্ম করে যেতে পারবেন। পূণর্জন্ম নিয়ে! 


সুতরাং আমিও বলছি, যারা ইসলাম মানে তারা সেইফ। কারণ ইসলাম সত্য হলে ক্ষতি নেই। আর মিথ্যা হলেও ক্ষতি নেই। 


আর যারা অন্য ধর্মের তারা যদি দেখে ইসলাম সত্য তাহলে বিরাট ক্ষতি আছে। 


তবে মুসলিমরা যদি দেখে অন্যধর্ম সত্য তাহলে ক্ষতি নেই কারণ আবার পূণর্জন্ম হবে দুনিয়াতে পাঠানো হবে। আবার সৎকর্ম করার সুযোগ আছে। 


এক কথায় ইসলাম সত্য হলে সকল অমুসলিম/অবিশ্বাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত। 


তবে যদি অন্য সকল ধর্ম সত্য হয় তাহলে এক হয় পূণর্জন্ম হবে আবার পৃথিবীতে আসা যাবে সৎকর্ম করা যাবে। নাহলে পরকাল থাকবে না। কোন ক্ষতি নেই। 


এবার বলুন বলুন! ইসলাম মানা কি সেইফ নয়!? 

এবার আর কোন যুক্তি চলবে না যে ৪৫০০+ ধর্মের অমুক যদি সত্য হয়, তমুক যদি সত্য হয়। সবই ক্লিয়ার হয়ে গেছে। এবার কি এই যুক্তি আর চলবে? 


এই যুক্তিটা এমন! যে


প্রথম ব্যাক্তিঃ আমার মাথায় চুল কয়টি বলতে পারলে পুরষ্কার দেব। 


দ্বিতীয় ব্যাক্তিঃ আপনার মাথায় ১০ লক্ষ চুল আছে!! 


প্রথম ব্যাক্তিঃ গুণে দেখাও। 


দ্বিতীয় ব্যাক্তিঃ আপনি গুনে ভুল বের করে দেখান! 

[ কারণ গুনা অসম্ভব সুতরাং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার পুরষ্কার পাবে, আন্দাজে বলেই ]

__


এই ঠিক এমনি দ্বিতীয় ব্যক্তির মত একটি সংখ্যা দিয়ে বুদ্ধিদেখায় নাস্তিকরা। যেমন ৪৫০০+ ধর্ম কোনটি সত্য হবে তুমি কিভাবে জানো! ৪৫০০+ ধর্মগ্রন্থ পড়া অসম্ভব! 


যেখানে বাস্তবতা ভিন্ন। 

__

এবার আরেকটি উপলব্ধি করার পালা। মস্তিষ্ককে ঘুরিয়ে এবার ভাবতে বসি। উপরে মোট ২৫ টা ধর্মের কনসেপ্ট নিয়ে কথা বলা হয়েছে। যার সর্বশেষে যে ধর্ম সেটার অনুসারী মাত্র ৬ লক্ষ! ২৫ টা ধর্মের সর্বশেষ ধর্মের অনুসারী ৬ লক্ষ! সেখানে এর নিচে আর কিই বা বাকি থাকে? বলুন?


World population 8.1 Billion 


২৫ ধর্মের জনসংখ্যার "কোটি হিসাব":- ৭৬০ কোটি

২৫ ধর্মের জনসংখ্যার "লক্ষ" হিসাব:- ৫৯৩ লক্ষ

_

মোটঃ ৭৬০ কোটি ৫৯৩ লক্ষ! +



কি দেখলেন? এখানে ২৫ টি ধর্মের সব জনসংখ্যাও দেয়া হয় নি কারণ কিছু ধর্মের জনসংখ্যা অজানা। তারপরেও ৭৬০ কোটি তথা 7 billion+ হয়ে গেছে। সেইসব অজানা জনসংখ্যা সহ বাদবাকি কয়েকটা প্রথা মতবাদ যেসব ধর্ম নামে ট্যাগ হয়েছে সেসব মিলে 8.1 billion হয়। 


সুতরাং ৪৫০০+ ধর্ম + ধর্মগ্রন্থ + ঈশ্বর কনসেপ্ট + স্বর্গ নরক কনসেপ্ট যেখানে Exist করে না। সেখানে শুধু এই কথা বলে হারেক রকম যুক্তি দিয়ে থাকেন নাস্তিক সমাজরা। 


যারা বলেন ৪৫০০+ এর কোন একটি ধর্ম সত্য হলে জাহান্নামে যেতে হবে তাদের বলি! উপরের ২৫ খানা ধর্মের মধ্যে ইসলাম বাদে কোন ধর্মে জান্নাত-জাহান্নামের কনসেপ্ট-ই নেই। 


ইসলামে জান্নাত জাহান্নাম পুরপুরি পরিস্কার। খ্রিষ্টান-ইহুদি তে ঘাপলা আছে। 

__


নাস্তিকদের কুযুক্তি বাদ যাক! 


নাস্তিদের কুযুক্তিকে এবার সরিয়ে ফেলার সময় চলে এসেছে। আমরা যা দেখলাম পৌত্তলিক, পূনর্জন্ম আছে এমন ধর্মই বেশি। আবার কিছু ধর্মে জীবনই সব। পরকাল বলে কিছু নেই। আবার কিছু ধর্মে জীবন অমর এমন বিশ্বাসী। 


সুতরাং সব কাটসাট করার পরে কি রইলো? 


ইসলাম, ইহুদি, খ্রিষ্টানিটি, জরথুস্ত্র 


জরথুস্ত্র প্রচীন এক ঈশ্বরবাদী ধর্ম। অগ্নিকে ঈশ্বরের প্রতিক পূজা হিসেবে নেন। তবে এ ধর্ম গ্রহণ করা যায় না। যারা জন্মগত তারাই এই ধর্মের ধার্মিক। 


তার পর থাকে ইসলাম, ইহুদি-খ্রিষ্টান। ( হিন্দু ধর্ম/ বৌদ্ধ ধর্ম তো বাদ কারণ পূণর্জন্ম/ঈশ্বরহীন ইত্যাদি। )


তারপরেও যদি হিন্দুধর্মকে রাখি তাহলে নাস্তিদের কি করা উচিত?


নাস্তিদের উচিত ইসলাম, ইহুদি-খ্রিষ্টান ধর্ম নিয়ে গবেষণা করা। সাথে চাইলে হিন্দুধর্ম নিয়ে করতে পারেন এটি অপশনাল। 


এতদিন যাবৎ গবেষণার কথা উঠলেই নাস্তিকরা বলতো ৪৫০০+ ধর্ম, ধর্মগ্রন্থ , জাহান্নাম! আজ আমরা জানলাম ইসলাম, খ্রিষ্টান-ইহুদি বাদে বাকি সবই পূণর্জন্ম, পৌত্তলিক, অমরজীবন, জীবন কর্ম, লৌকিকতা অঞ্চলিক, ঐক্য, নাস্তিক আস্তিক সব জায়েজ এমন ধর্ম, পূণর্জন্ম cycle, ঈশ্বরহীন, ধর্মগ্রন্থহীন। 


সুতরাং এখন আর ৪৫০০+ বলে অজুহাত দিয়ে মুখে ফ্যানা তোলা যাবে না। এখন ইসলাম = কুরআন হাদিস আর ইহুদি-খ্রিষ্টান = বাইবেল- কে গবেষণা করতে হবে। এই দুটি নিয়ে গবেষণা করুন। 


৪৫০০+ বলে লাভ নাই। কারণ ইসলাম ইহুদি-খ্রিষ্টান বাদে বাকি ধর্ম না মানলেও নাস্তিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে ইসলাম যদি সত্য হয়ে যায় তাহলে তাদের আজীবন জাহান্নামে থাকতে হবে। 


যারা বলতো ৪৫০০+ ধর্মের কোন এক ধর্মের জাহান্নামে যদি যাই! তাদের বলবো ৪৫০০+ ধর্মের সবগুলি ধর্মের কনসেপ্ট অনুযায়ী সেসব না মানলেও কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে শুধুমাত্র ইসলাম না মানলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে সাথে ইহুদি-খ্রিষ্টান যুক্ত করলাম। নিচে তা নিয়ে আলোচনা করব। 


তবে, হ্যাঁ এবার আমি বলবো নাস্তিকরা অনেক তো সংখ্যা দিয়ে লজিক্যাল ফ্যালাসি করেছেন। ৪৫০০+ সংখ্যা বলে বলে মানুষদের তো অনেক বিভ্রান্ত করেছেন। কখনো তো ঘেটে দেখেন নি আসলেই কত ধর্ম কত অনুসারী আর ধর্ম গুলির ভিত্তি কি গড আছে নাকি নেই। Holy script আছে নাকি নেই। মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে ক্ষতি আছে নাকি নেই। 


এসব দেখেন নি জানার চেষ্টাও করেন নি। শুধু এত এত ধর্ম বলে অজুহাত দিয়ে গেছেন। 


এবার তো ক্লিয়ার হলো যে ইসলাম বাদে অন্য কোন ধর্ম না মানলে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তবে ইসলাম না মানলে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বাকি রইলো ইহুদি-খ্রিষ্টান নিয়ে কথা। 

__

এবার আবার একদম শুরুর দিকে ফিরে আসি। ওইযে বলেছিলাম,, 


"কুরআনে ২ টি বিভাগ সম্পর্কে খুব ভালো ভাবেই আলোচনা করা হয়েছে,,, 


১) পৌত্তলিকতা

২) ইহুদি-খ্রিষ্টান (বর্তমানে পৌত্তলিক নানান মতবাদের অনুসারী) 


এই পৌত্তলিকতার সেক্টরটা আসলেই বিরাট ছিলো। যে পৌত্তলিকতা বর্তমানে বেশিরভাগ ধর্মেই রয়েছে। কিছু ধর্ম আগে পৌত্তলিক ছিলো না, সময়ের আবর্তনে হয়েছে। আর কিছু কিছু পৌত্তলিকতা আগে থেকে ছিলো এখন তাদের কিছু ডিভিসন ভার্সন বের হয়েছে।"


আগেই বলেছিলাম এই পৌত্তলিকতা সেক্টর অনেক বিরাট ছিলো। এর ডিভিসন অনেক ছিলো। যা দেখতেই পেলেন। বেশীরভাগ বিশ্বাসই হচ্ছে মূর্তি, দেবদেবী, অবতার, ঈশ্বরের সন্তান স্ত্রী, ঈশ্বরের ত্রিত্ববাদ, ঈশ্বরের সাথে অংশিদারিত্ব, গোপূজা, প্রকৃতি পূজা, অগ্নিপূজা, শয়তানপূজা, অবিশ্বাস, বস্তুবাদী, অমরত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি! 


পৌত্তলিকতা সেক্টর এতটাই বড় ছিল এবং অনেক আগে থেকেই এসব ছিলো তাই সব নবীর সম্প্রদায়ের মধ্যে কমন পাপ ছিলো এসব। 


তাই আমিও বলি হিন্দুধর্ম প্রাচীন আসলেই প্রাচীন আর এই হিন্দুধর্ম থেকেও প্রাচীন ছিলো নানান পৌত্তলিকতা আচার ব্যবস্থা তাই সকল নবীর সম্প্রদায়ের কমন পাপ-ই দেখা যেত মূর্তিপূজা। সেটার আবর্তন ও বিবর্তনে আজ অনেক মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে। যার মূল ভিত্তি পৌত্তলিকতা! 


এই যে পৌত্তলিকতা এটির ডিভিসন সব দেখার পরে বাকি থাকে খ্রিষ্টান-ইহুদি। আর এই ধর্ম দুটির কথা কুরআনে নাম ধরে ধরে বলা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। কুরআনে পৌত্তলিকতা সেক্টর এর পর ইহুদি-খ্রিষ্টান নিয়ে আলোচনা নাম ধরে ধরে করা হয়েছে। 


এখন কথা হলো কেন এই দুটি ধর্ম নাম ধরে উল্লেখ করা। 


এর কারণ হলো পূর্ববর্তী কিতাব। যুগে যুগে নবী রাসুলদের পাঠানো হয়েছে। এই পৃথিবীতে এমন কোন জাতি ছিলো না যাদের নিকট কোন নবী পৌছে নি। 


আল্লাহ বলেন,, 


[৪:১৬৩] আন নিসা


إِنّا أَوحَينا إِلَيكَ كَما أَوحَينا إِلى نوحٍ وَالنَّبِيّينَ مِن بَعدِهِ وَأَوحَينا إِلى إِبراهيمَ وَإِسماعيلَ وَإِسحاقَ وَيَعقوبَ وَالأَسباطِ وَعيسى وَأَيّوبَ وَيونُسَ وَهارونَ وَسُلَيمانَ وَآتَينا داوودَ زَبورًا


নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ওহী পাঠিয়েছি, যেমন ওহী পাঠিয়েছি নূহ ও তার পরবর্তী নবীগণের নিকট এবং আমি ওহী পাঠিয়েছি ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়া‘কূব, তার বংশধরগণ, ঈসা, আইয়ূব, ইউনুস, হারূন ও সুলায়মানের নিকট এবং দাঊদকে প্রদান করেছি যাবূর।


[৪:১৬৫] আন নিসা


رُسُلًا مُبَشِّرينَ وَمُنذِرينَ لِئَلّا يَكونَ لِلنّاسِ عَلَى اللَّهِ حُجَّةٌ بَعدَ الرُّسُلِ وَكانَ اللَّهُ عَزيزًا حَكيمًا


আর (পাঠিয়েছি) রাসূলগণকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, যাতে আল্লাহর বিপক্ষে রাসূলদের পর মানুষের জন্য কোন অজুহাত না থাকে। আর আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ।


[৬:৪২] আল আনআম


وَلَقَد أَرسَلنا إِلى أُمَمٍ مِن قَبلِكَ فَأَخَذناهُم بِالبَأساءِ وَالضَّرّاءِ لَعَلَّهُم يَتَضَرَّعونَ



আর আমি তোমাদের পূর্বেকার জাতিসমূহের কাছে বহু রাসূল পাঠিয়েছি, আমি তাদের প্রতি ক্ষুধা, দারিদ্রতা ও রোগ ব্যাধি চাপিয়ে দিয়েছি, যেন তারা নম্রতা প্রকাশ করে আমার সামনে নতি স্বীকার করে।


[৩৫:২৪] ফাতির


إِنّا أَرسَلناكَ بِالحَقِّ بَشيرًا وَنَذيرًا وَإِن مِن أُمَّةٍ إِلّا خَلا فيها نَذيرٌ


আমি তোমাকে সত্যসহ পাঠিয়েছি সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে; আর এমন কোন জাতি নেই যার কাছে সতর্ককারী আসেনি।


[৪০:৭৮] আল মু'মিন 


وَلَقَد أَرسَلنا رُسُلًا مِن قَبلِكَ مِنهُم مَن قَصَصنا عَلَيكَ وَمِنهُم مَن لَم نَقصُص عَلَيكَ وَما كانَ لِرَسولٍ أَن يَأتِيَ بِآيَةٍ إِلّا بِإِذنِ اللَّهِ فَإِذا جاءَ أَمرُ اللَّهِ قُضِيَ بِالحَقِّ وَخَسِرَ هُنالِكَ المُبطِلونَ


আর অবশ্যই আমি তোমার পূর্বে অনেক রাসূল পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি আর কারো কারো কাহিনী তোমার কাছে বর্ণনা করিনি। আর আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন নিদর্শন নিয়ে আসা কোন রাসূলের উচিৎ নয়। তারপর যখন আল্লাহর নির্দেশ আসবে, তখন ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করা হবে। আর তখনই বাতিলপন্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


বলা হয় ১ লক্ষ ২৪ হাজার বা ২ লক্ষ ২৪ হাজার নবী রাসুল এসেছেন। এটা শুধু ধারনা বরং এর থেকেও বেশি এসেছেন। প্রত্যেকটি জাতির নিকট নবী রাসুল এসেছে। সেই নবী আদম (আঃ) থেকে মুহাম্মদ (সাঃ) সকল নবী রাসুল ইসলামের কথা তাওহিদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন দাওয়াত দিয়ে গেছে। মূর্তিপূজা পৌত্তলিকতা থেকে মানুষদেরকে মুক্ত করতে চেয়েছেন। সেই পৌত্তলিকতা নানান ডিভিসনে নানান ধর্মে পরিনত হয়ে আজ বলছে "ইসলাম নতুন ধর্ম" "হিন্দু ধর্ম প্রাচীন" আমি তাদের বলি শুনো, হিন্দু ধর্ম প্রাচীন হিন্দু ধর্মের ভাষা যত বৎসর তত বৎসর। তবে ইসলাম হচ্ছে আদম (আঃ) থেকে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত। ইসলাম শুধু আরবী ভাষায় সিমাবদ্ধ ছিলো না। সর্বশেষ কিতাব আরবি তবে যুগে যুগে কত নবী এসেছেন তার ইয়ত্তা নেই। 


হিন্দুরা বলবে আমাদের মনু! যেখানে মনুকে অনেকেই অস্বীকার করে। মনু মানলে মনুস্মৃতিও মানা লাগবে আর নিম্ন যোনিতে জন্ম সহ আরও অনেক কিছুই মানা লাগবে। 


আর মনু মানলেও হবে না, হিন্দুশাস্ত্রের পূর্বে কারা ধর্ম প্রচার করতো? কি বিধান ছিলো? অতিত যুগের কাছে যখন বেদ, গীতা, মহাভারত ইত্যাদি ছিলো না। তখন কারা এই ধর্ম প্রচার করতো? যুগে যুগে কি পথপ্রদর্শক এসেছিলো? কিতাব এসেছিলো? না আসলে তারা তো ধর্মহীন ছিলো! 


ইসলাম একমাত্র যেটি যুগে যুগে কিতাব দিয়েছে। আর প্রত্যেক জাতির কাছে নবী রাসুল প্রেরণ করেছে, আলহামদুলিল্লাহ। 


সংস্কৃত ভাষাই ৪-৫ হাজার বছর আগের,, 


বেদ এসেছে সংস্কৃত ভাষায় যার জন্মকাল দেখুন,,,


"ভাষাতাত্ত্বিকরা মনে করেন—ভারতীয় উপমহাদেশের ভাষাগুলো একটি ভাষাবংশের সদস্য। এই ভাষাবংশের নাম “ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ”। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের বেশ কিছু শাখা তৈরি হয় যার একটি শাখা হচ্ছে ভারতীয় আর্যভাষা। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার প্রাচীন রূপ পাওয়া যায় ঋগবেদের মন্ত্রগুলোতে, যা লেখা হয়েছিল ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। এক সময় কালের পরিক্রমায় এই ভাষা মানুষের কাছে দুর্বোধ্য ঠেকে কারণ দৈনন্দিন ব্যবহার হতে হতে ভাষা অনেকখানি পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ থেকে ৮০০ অব্দ পর্যন্ত বৈদিক বা বৈদিক সংস্কৃত ভাষার ব্যবহার ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দ থেকে পাওয়া যায় সংস্কৃত ভাষার ব্যবহার, যেটি ব্যাকরণবিদ পাণিনির হাতে বিধিবদ্ধ হয়েছিল। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা বলা হয় বৈদিক ও সংস্কৃতকে; এ ছাড়াও ছিল মধ্য ভারতীয় আর্যভাষা যা প্রাকৃত ভাষা নামেও পরিচিত। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ অব্দ থেকে ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এ ভাষাগুলোর কথ্য ও লেখ্য রূপ প্রচলিত ছিল।এ ভাষার অপভ্রংশ(বিকৃত রূপ) থেকে জন্ম নিয়েছে নানা আধুনিক ভারতীয় আর্যভাষা যেমনঃ বাংলা, হিন্দী, গুজরাটী, মারাঠী, পাঞ্জাবী প্রভৃতি ভাষা। আমাদের বাংলা ভাষার আদি রূপ পাওয়া যায় চর্যাপদে যা প্রায় ১ হাজার বছর আগে লেখা হয়েছিল। মাত্র ৩০০০ বছর সময়ের মধ্যে শুধু ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের এতগুলো আধুনিক ভাষা জন্ম নিয়েছে।" [ কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী' - হুমায়ুন আজাদ, পৃষ্ঠা ১৩-১৪ ]


যেখানে শুধু কাবার বয়সই ৫০০০ বছর আগে বলা হয়। তাহলে বুঝুন অতিতের নবীগণ কত যুগ পেরিয়ে এসেছেন। ঐতিহাসিক দিক দিয়ে ইসলামের উপরে কেউ টিকবে না। Historical দিক দিয়ে ইসলামের প্রমাণ নবী, কাবা, যিশু, মূসা (আঃ), নূ্হের নৌকা, ভাষাগত,অর্থগত আরও কত প্রমাণ রয়েছে। যা অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে নেই। 

_


তো এই যুগে যুগে কিতাবের মধ্যে কিতাব হচ্ছে তাওরাত, ইঞ্জিল। তাওরাত এসেছিলো মূসা (আঃ) এর উপর। ইঞ্জিল এসেছিল ঈসা (আঃ) এর উপর তার সম্প্রদায়ের জন্য। 


যুগে যুগে কিতাব আসলে তার পূর্ববর্তী কিতাব আর তখন চলে না। কুরআন আসার পর আগের সব  ধর্মগ্রন্থ বাতিল হয়ে গেছে। এবং এই কুরআন-ই শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাজিল করা সর্বশেষ কিতাব। সমগ্র মানবজাতির জন্য সর্বশেষ কিতাব এই কুরআন মাজিদ। 


সর্বশেষ কিতাব কুরআন যা এসেছে সমগ্র মানবজাতির জন্য,, 


[৪৫:২০] আল জাসিয়াহ


هذا بَصائِرُ لِلنّاسِ وَهُدًى وَرَحمَةٌ لِقَومٍ يوقِنونَ


এ কুরআন মানবজাতির জন্য আলোকবর্তিকা এবং নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য হিদায়াত ও রহমত।


সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর,, 


[৩৪:২৮] সাবা


وَما أَرسَلناكَ إِلّا كافَّةً لِلنّاسِ بَشيرًا وَنَذيرًا وَلكِنَّ أَكثَرَ النّاسِ لا يَعلَمونَ


আর আমি তো কেবল তোমাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না,

____


কুরআন আসার পর বাকি ধর্মগ্রন্থ বাতিল হয়ে যায়। তার পরে কি ঘটলো? ওই তাওরাত বিকৃত হয়ে গেলো আর হয়ে গেলো ইহুদিদের তানাখ যারা মূসা (আঃ) এর তাওরাতকে তানাখ ভাবে। আর ইঞ্জিলের বিকৃত রূপ বাইবেল যাকে খ্রিষ্টানরা ঈসা (আঃ) তথা যিশুর উপর নাজিল করা কিতাব ভাবে। 


আর এই চলে আসলো দুটি ধর্মের নাম "ইহুদি-খ্রিষ্টান" এই যে বিকৃত করা। এই বিকৃত কেমন বিকৃত ছিলো জানেন? 


এটি ছিলো পৌত্তলিকতার সাথে মিশ্রিত এক বিকৃতি। ওইযে এতক্ষণ বলে গেলাম পৌত্তলিকতা নিয়ে সেই পৌত্তলিকতাই বর্তমানের খ্রিষ্টান আর ইহুদিদের আকড়ে ধরেছে। ইহুদি খ্রিষ্টানরা আজ এমন ধর্ম মানছে এমন গ্রন্থকে ঈশ্বরের বাণী ভাবছে যা পৌত্তলিকতার মিশ্রণে মিশ্রিত হয়ে বিকৃত হয়ে গেছে। 


যার ফলস্বরূপ Hinduism এর ট্রিনিটি, অবতারবাদ আজ খ্রিষ্টানধর্মে। ঈশ্বরের মানুষ হয়ে জন্ম। পিতা পুত্র পবিত্র আত্মা! যিশুর ক্রুস পূজা। যিশুকে আল্লাহর পূত্র বলা।(নাঊজু্বিল্লাহ) 

যিশুকে ক্রুসবিদ্ধ হয়ে পাপ মোচন করে মারা যাওয়া বিশ্বাসী হয়ে উঠেন সবাই। 


এভাবেই আব্রাহামিক দুই ধর্ম রূপ নিল বিকৃত গ্রন্থে! তারা তাওরাত ইঞ্জিলের নামে মানছে বিকৃত তানাখ/বাইবেল। 


আল্লাহ বলেন,,, 


[৫:৭৩] আল মায়িদাহ


لَقَد كَفَرَ الَّذينَ قالوا إِنَّ اللَّهَ ثالِثُ ثَلاثَةٍ وَما مِن إِلهٍ إِلّا إِلهٌ واحِدٌ وَإِن لَم يَنتَهوا عَمّا يَقولونَ لَيَمَسَّنَّ الَّذينَ كَفَروا مِنهُم عَذابٌ أَليمٌ


অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তিন জনের তৃতীয়জন’। যদিও এক ইলাহ ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আর যদি তারা যা বলছে, তা থেকে বিরত না হয়, তবে অবশ্যই তাদের মধ্য থেকে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্পর্শ করবে।


[৪:১৭১] আন নিসা


يا أَهلَ الكِتابِ لا تَغلوا في دينِكُم وَلا تَقولوا عَلَى اللَّهِ إِلَّا الحَقَّ إِنَّمَا المَسيحُ عيسَى ابنُ مَريَمَ رَسولُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ أَلقاها إِلى مَريَمَ وَروحٌ مِنهُ فَآمِنوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَلا تَقولوا ثَلاثَةٌ انتَهوا خَيرًا لَكُم إِنَّمَا اللَّهُ إِلهٌ واحِدٌ سُبحانَهُ أَن يَكونَ لَهُ وَلَدٌ لَهُ ما فِي السَّماواتِ وَما فِي الأَرضِ وَكَفى بِاللَّهِ وَكيلًا


হে কিতাবীগণ, তোমরা তোমাদের দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর উপর সত্য ছাড়া অন্য কিছু বলো না। মারইয়ামের পুত্র মাসীহ ঈসা কেবলমাত্র আল্লাহর রাসূল ও তাঁর কালিমা, যা তিনি প্রেরণ করেছিলেন মারইয়ামের প্রতি এবং তাঁর পক্ষ থেকে রূহ। সুতরাং তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আন এবং বলো না, 'তিন'। তোমরা বিরত হও, তা তোমাদের জন্য উত্তম। আল্লাহই কেবল এক ইলাহ, তিনি পবিত্র মহান এ থেকে যে, তাঁর কোন সন্তান হবে। আসমানসূহে যা রয়েছে এবং যা রয়েছে যমীনে, তা আল্লাহরই। আর কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।

_


আর ইহুদিরা একশ্বরবাদী হলেও তারা নবী ঈসা (আঃ) ও মুহাম্মদ (সাঃ) কে অস্বীকার করেছে নবীদের উপর কলেমা লেপন করেছে। আবার খ্রিষ্টানরা মুহাম্মদ (সাঃ) অস্বীকার করেছে। 


ইহুদিরা যে তানাখ মানে সেটা বাইবেলেরই কয়েকটি পুস্তক। বিকৃত হয়ে যাওয়া বাইবেলের কিছু গ্রন্থ ইহুদিরা মানে তানাখ, তাওরাহ হিসেবে। আর খ্রিষ্টানরা মানে ইঞ্জিল হিসেবে। 


তাওরাত Hebrew bible: Genesis, Exodus, Leviticus, Numbers, Deuteronomy, ইত্যাদি। 


ইঞ্জিল Gospel: Matthew, Mark, Luke, and Jhon ইত্যাদি। 


এদের মূল একই। সেই বিকৃত সংযোজন বিয়োজন হওয়া বাইবেল। এখন কোনটি মানা উচিত? তাওরাত ইঞ্জিল নামে বিকৃত গ্রন্থ। নাকি শেষ নবীর উপর নাজিল করা last কিতাবকে? 


এবার যদি খ্রিষ্টান ধর্ম মানেন তাহলে ২ টি জিনিসের একটা গ্রহণ করুন। 


খ্রিষ্টান তত্ত্ব


১ম- যীশু পাপ মোচন করেছেন। 


বাইবেলে বলা হয়েছে, 


24) তিনি আমাদের “পাপভার তুলিয়া লইয়া” আপনি নিজে দেহে কাষ্ঠের উপরে বহন করিলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মরিয়া ধার্ম্মিকতার পক্ষে জীবিত হই; “তাঁহারই ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্য প্রাপ্ত হইয়াছ”।


25) কেননা তোমরা “মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছিলে,” কিন্তু এখন তোমাদের প্রাণের পালক ও অধ্যক্ষের কাছে ফিরিয়া আসিয়াছ। (১ পিতর ২/২৪-২৫) 


সুতরাং যিশু খ্রিষ্ট সবার পাপ নিজ কাঁধে নিয়েছেন। সুতরাং কোন চিন্তা নেই সবার পাপ মোচন হয়েছে। 

খ্রিষ্টান বড় বড় পণ্ডিতরা এটা পর্যন্ত বলেছে যে যার ইচ্ছা যেটা ইচ্ছা করো যেকোন পাপ করো পৃথিবীতে কোন সমস্যা নেই কারণ যীশু পাপের বোঝা নিয়ে গেছেন । 


সুতরাং এই পাপ মোচন কনসেপ্ট অনুযায়ী। খ্রিষ্টান ধর্ম না মানলেও সমস্যা নেই, পাপ করলেও সমস্যা নেই। কারণ অলরেডি যীশু সকল পাপ মোচন করে ফেলেছেন। সুতরাং আপনি যদি পাপী হোন তাতেও আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। কারণ আপনার পাপ মোচন হয়ে গেছে। 


তবে ইসলামে পাপ মোচনের কোন কনসেপ্ট নেই। পাপ করলে তওবা করে ভালো হতে হবে। আর অমুসলিম হলে তো হবেই না জান্নাত। সুতরাং ইসলাম না মানলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে খ্রিষ্টান ধর্ম না মেনে, যা মন চায় তা করলেও সমস্যা নেই কারণ সকল পাপ মোচন হয়েছে যীশুর মাধ্যমে। যীশু পৃথিবীর সবার পাপ মোচন করে গিয়েছেন। 


অনেক খ্রিষ্টানরা এটিকে খন্ডন করতে নানান যুক্তি দেন যেমন এটা নাকি শুধু রহমত। যেমন আল্লাহ বলেছেন রহমত ছাড়া জান্নাত পাবে না এমন। কিন্তু এটি যে তাল কে তিল বানানো হচ্ছে তা স্পষ্ট। যীশু রহমত বলে নি বরং বলেছেন তিনি পাপভার তুলিয়া নিয়েছেন। পাপভার নেয়া আর রহমত দুটিকে গুলিয়ে জগাখিচুরি বানালে কি কাজে দিবে? 


২য়- যিশু পাপ নিলেও সেটা রহমত। নিজের পাপের জন্য শাস্তি রয়েছে। 


এটি তাদের ভিত্তি ছাড়া কুযুক্তি। রহমত আর পাপভারকে এক বানাচ্ছেন ইনারা। তবে যদি এমন বিশ্বাসও কেউ করে তাহলে নাজাত পদ্ধতি টা দেখি চলুন। 


বাইবেল অনুযায়ী যা করলে নাজাত হবে না,,, 


ধনীরা, লোক দেখানো কাজ যারা করে, মূসা আঃ এর বিধান না মানলে, মূর্তিপূজারী হলে, যীশুকে প্রভু প্রভু বলা, ঈশ্বরের আদেশ না মানা, গালি দিলে, পরিবার ত্যাগ করে যীশুকে গ্রহণ না করলে, ইহুদিদের থেকে বেশি ধার্মিক না হতে পরলে, খুন করলে, মদ খেলে। 


তারা নাজাত পাবে না। 


[ Book Luke: 14/26-27, 18/25-26, Book Romans: 2/3, 14/12, 2/3, 1/32, 4/17, 1/27, 1/32, 14/21-24 Book 1 Corinthians 5/11 Book 2 Corinthians 6/9 Book Metthew: 6/14-15, 5/10, 5/30, 5/22, 5/20, 5/21/, 5/3 ]


তাহলে এই বিশ্বাস যদি গ্রহণ করেন তাহলে নাজাত পাওয়া Difficult হবে। সুতরাং নাজাত যেহেতু পাওয়া সম্ভব না সেহেতু খ্রিষ্টানধর্ম মানার দরকার নেই। আর যদি পাপ মোচন হয়ে যায় তাহলে তো পাপ করলেও কোন সমস্যা হবে না। 


ইসলামে নাজাত একদম সহজ


১৮:১০৭] আল কাহাফ


إِنَّ الَّذينَ آمَنوا وَعَمِلُوا الصّالِحاتِ كانَت لَهُم جَنّاتُ الفِردَوسِ نُزُلًا


নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তাদের মেহমানদারির জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস।


[১৮:১০৮] আল কাহাফ


خالِدينَ فيها لا يَبغونَ عَنها حِوَلًا


সেখানে তারা স্থায়ী হবে। তারা সেখান থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হতে চাইবে না।


[৬:১৬৪] আল আনআম


قُل أَغَيرَ اللَّهِ أَبغي رَبًّا وَهُوَ رَبُّ كُلِّ شَيءٍ وَلا تَكسِبُ كُلُّ نَفسٍ إِلّا عَلَيها وَلا تَزِرُ وازِرَةٌ وِزرَ أُخرى ثُمَّ إِلى رَبِّكُم مَرجِعُكُم فَيُنَبِّئُكُم بِما كُنتُم فيهِ تَختَلِفونَ


বল, ‘আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন রব অনুসন্ধান করব’ অথচ তিনি সব কিছুর রব’? আর প্রতিটি ব্যক্তি যা অর্জন করে, তা শুধু তারই উপর বর্তায় আর কোন ভারবহনকারী অন্যের ভার বহন করবে না। অতঃপর তোমাদের রবের নিকটই তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল। সুতরাং তিনি তোমাদেরকে সেই সংবাদ দেবেন, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে।


[৩৯:৫৩] আয্‌-যুমার


قُل يا عِبادِيَ الَّذينَ أَسرَفوا عَلى أَنفُسِهِم لا تَقنَطوا مِن رَحمَةِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَغفِرُ الذُّنوبَ جَميعًا إِنَّهُ هُوَ الغَفورُ الرَّحيمُ


বল, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।


৩য়- বিশ্বাসে নাজাত


আরেকভাবে দেখলে আপনি যদি ঈশ্বর ও ঈসা (আঃ) বিশ্বাস করেন। তাহলে নাজাত, 


43) তাঁহার পক্ষে ভাববাদীরা সকলে এই সাক্ষ্য দেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে তাঁহার নামের গুণে পাপমোচন প্রাপ্ত হয়। [প্রেরিত ১০/৪৩]


আর আমরা মুসলিমরাও বিশ্বাস করি আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালাকে ঈশ্বর এবং ঈসা (আঃ) কে নবী হিসেবে। 


সুতরাং দেখা যাচ্ছে,


১) যীশু সকল আদম সন্তান যারা আদমের পাপে পাপিষ্ঠ তাদের সমস্ত পাপ মোচন করেছেন।


তাহলে আমাদের ধর্ম-কর্ম না করলেও হবে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব না। অন্যদিকে ইসলাম সত্য হলে ইসলাম না মানলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন জাহান্নামে। 


২) নানান গুনাহের কারণে নাজাত হবে না। এমন যদি হয় তাহলে তো এমনিতেই যেহেতু গুনাহ মাফ নাই তাহলে ধর্মে থাকা আর না থাকা সমান। 


৩) ঈশ্বর ও ঈসা (আঃ) কে বিশ্বাস করলেই হবে। যে বিশ্বাস করবে সে নাজাত পাবে। তাহলে মুসলিমরাও বিশ্বাস করে যে আল্লাহ একজন। আর ঈসা (আঃ) তার নবী। যার উপর ইঞ্জিল নাজিল হয়েছে। 


ইহুদি ধর্ম মানলে আপনাকে যা যা অস্বীকার করতে হবে,,


আপনি যদি ইহুদিধর্ম মানেন তাহলে মূসা (আঃ) কে মূল ভাববেন। আপনাকে ঈসা (আঃ) কে অস্বীকার করতে হবে। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কেও অস্বীকার করতে হবে। 


আর খ্রিষ্টানধর্ম মানলে ঈসা (আঃ) কে মানতে হবে। মুহাম্মদ (সাঃ) কে মানা যাবে না। [ যদিও মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে বাইবেলে ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে। তবে খ্রিষ্টানরা তা মানে না। ]


আর যদি ইসলাম মানেন, ইসলামে মূসা (আঃ) কেও নবী হিসেবে মানা হবে। ঈসা (আঃ) কেও একজন নবী মানা হবে এবং শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপরেও। 


তো আপনারই বলুন ৩ ধর্মের মধ্যে কোনটা সেইফ? 


মূসা (আঃ) এর উপর নাজিল করা তাওরাতের বিকৃত কিতাব যা ডেইট অভার হয়ে গেছে সেটা মানবেন? নাকি ঈসা (আঃ) এর উপর নাজিল করা ইঞ্জিলের নামে চালিয়ে দেয়া বিকৃত বাইবেলকে মানবেন যেটাও ডেইট অভার হয়েছে। এবং একইসাথে বিকৃত হয়ে নানান বইয়ে নানান সংখ্যায় বিকৃত হয়েছে। নাকি Final ও সর্বশেষ নাজিল করা কিতাবকে মানবেন? কুরআন যেটি মানবজাতির জন্য সর্বশেষ কিতাব।


আর ইহুদি এবং খ্রিষ্টান উভয় ধর্মে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে। তবে তারা অস্বীকার করেন। যেখানে নবী ইব্রাহিম (আঃ), ইসহাক (আঃ), ইয়াকুব (আঃ), নূহ (আঃ), সালেহ (আঃ) সবাই শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনার কথা বলে গেছেন। 


আর নবীদের মৃত্যুর পর তাওরাত ইঞ্জিল বিকৃত সাধনের পর যুগ যুগে তারা পৌত্তলিক হয়ে গেলো। আল্লাহ থেকে মুখ ফিরালো। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কেও অস্বীকার করলো। 


এদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন,,, 


[২:১৪০] আল বাকারা 


 أَم تَقولونَ إِنَّ إِبراهيمَ وَإِسماعيلَ وَإِسحاقَ وَيَعقوبَ وَالأَسباطَ كانوا هودًا أَو نَصارى قُل أَأَنتُم أَعلَمُ أَمِ اللَّهُ وَمَن أَظلَمُ مِمَّن كَتَمَ شَهادَةً عِندَهُ مِنَ اللَّهِ وَمَا اللَّهُ بِغافِلٍ عَمّا تَعمَلونَ 


নাকি তোমরা বলছ, ‘নিশ্চয় ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাদের সন্তানেরা ছিল ইয়াহূদী কিংবা নাসারা? বল, ‘তোমরা অধিক জ্ঞাত নাকি আল্লাহ’? আর তার চেয়ে অধিক যালিম কে, যে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে যে সাক্ষ্য রয়েছে তা গোপন করে? আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন।


কুরআনে এদের কথা


আসুন এবার একটু কুরআন থেকে এদের কথা দেখি,, 

মূর্তিপূজা

[৬:৭৪] আল আনআম

وَإِذ قالَ إِبراهيمُ لِأَبيهِ آزَرَ أَتَتَّخِذُ أَصنامًا آلِهَةً إِنّي أَراكَ وَقَومَكَ في ضَلالٍ مُبينٍ

আর (স্মরণ কর) যখন ইবরাহীম তার পিতা আযরকে বলেছিল, ‘তুমি কি মূর্তিগুলোকে ইলাহরূপে গ্রহণ করছ? নিশ্চয় আমি তোমাকে তোমার কওমকে স্পষ্ট গোমরাহীতে দেখছি’।

[২৯:২৫] আল আনকাবুত

وَقالَ إِنَّمَا اتَّخَذتُم مِن دونِ اللَّهِ أَوثانًا مَوَدَّةَ بَينِكُم فِي الحَياةِ الدُّنيا ثُمَّ يَومَ القِيامَةِ يَكفُرُ بَعضُكُم بِبَعضٍ وَيَلعَنُ بَعضُكُم بَعضًا وَمَأواكُمُ النّارُ وَما لَكُم مِن ناصِرينَ

আর ইবরাহীম বলল, ‘দুনিয়ার জীবনে তোমাদের মধ্যে মিল-মহব্বতের জন্যই তো তোমরা আল্লাহ ছাড়া মূর্তিদেরকে গ্রহণ করেছ। তারপর কিয়ামতের দিন তোমরা একে অপরকে অস্বীকার করবে এবং পরস্পর পরস্পরকে লা‘নত করবে, আর তোমাদের নিবাস জাহান্নাম এবং তোমাদের জন্য থাকবে না কোন সাহায্যকারী’।

◆ অগ্নিপূজারী

[২২:১৭] আল হাজ্জ্ব

إِنَّ الَّذينَ آمَنوا وَالَّذينَ هادوا وَالصّابِئينَ وَالنَّصارى وَالمَجوسَ وَالَّذينَ أَشرَكوا إِنَّ اللَّهَ يَفصِلُ بَينَهُم يَومَ القِيامَةِ إِنَّ اللَّهَ عَلى كُلِّ شَيءٍ شَهيدٌ

নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং যারা ইয়াহূদী হয়েছে, যারা সাবিঈ, খৃস্টান ও অগ্নিপূজক এবং যারা মুশরিক হয়েছে- কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছুই সম্যক প্রত্যক্ষকারী।

◆ প্রকৃতি পূজা

[২৭:২৪] আন নম্‌ল

وَجَدتُها وَقَومَها يَسجُدونَ لِلشَّمسِ مِن دونِ اللَّهِ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيطانُ أَعمالَهُم فَصَدَّهُم عَنِ السَّبيلِ فَهُم لا يَهتَدونَ

‘আমি তাকে ও তার কওমকে দেখতে পেলাম তারা আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যকে সিজদা করছে। আর শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের জন্য সৌন্দর্যমন্ডিত করে দিয়েছে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে নিবৃত করেছে, ফলে তারা হিদায়াত পায় না’।

◆ শয়তান পূজা

[৩৭:১২৫] আস ছাফ্‌ফাত

أَتَدعونَ بَعلًا وَتَذَرونَ أَحسَنَ الخالِقينَ

তোমরা কি ‘বা’ল’ কে* ডাকবে এবং পরিত্যাগ করবে সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তা

[৪:১১৭] আন নিসা

إِن يَدعونَ مِن دونِهِ إِلّا إِناثًا وَإِن يَدعونَ إِلّا شَيطانًا مَريدًا

আল্লাহ ছাড়া তারা শুধু নারীমূর্তিকে ডাকে এবং কেবল* অবাধ্য শয়তানকে ডাকে। 

◆ দেবদেবী অবতার পূজা

[২৮:৬৪] আল কাসাস

وَقيلَ ادعوا شُرَكاءَكُم فَدَعَوهُم فَلَم يَستَجيبوا لَهُم وَرَأَوُا العَذابَ لَو أَنَّهُم كانوا يَهتَدونَ

আর বলা হবে, ‘তোমাদের দেবতাগুলোকে ডাক, অতঃপর তারা তাদেরকে ডাকবে, তখন তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আর তারা আযাব দেখতে পাবে। হায়, এরা যদি সৎপথ প্রাপ্ত হত। 

◆ অবিশ্বাসী

[৬:২৯] আল আনআম

وَقالوا إِن هِيَ إِلّا حَياتُنَا الدُّنيا وَما نَحنُ بِمَبعوثينَ

আর তারা বলেছিল, ‘আমাদের এ দুনিয়ার জীবন ছাড়া কিছু নেই এবং আমরা পুনরুজ্জীবিত হব না।’

[২:৫৫] আল বাকারা

وَإِذ قُلتُم يا موسى لَن نُؤمِنَ لَكَ حَتّى نَرَى اللَّهَ جَهرَةً فَأَخَذَتكُمُ الصّاعِقَةُ وَأَنتُم تَنظُرونَ

আর যখন তোমরা বললে, ‘হে মূসা, আমরা তোমার প্রতি ঈমান আনব না, যতক্ষণ না আমরা প্রকাশ্যে আল্লাহকে দেখি’। ফলে বজ্র তোমাদেরকে পাকড়াও করল আর তোমরা তা দেখছিলে।

[২:২৮] আল বাকারা

كَيفَ تَكفُرونَ بِاللَّهِ وَكُنتُم أَمواتًا فَأَحياكُم ثُمَّ يُميتُكُم ثُمَّ يُحييكُم ثُمَّ إِلَيهِ تُرجَعونَ

কীভাবে তোমরা আল্লাহর সাথে কুফরী করছ অথচ তোমরা ছিলে মৃত? অতঃপর তিনি তোমাদেরকে জীবিত করেছেন। এরপর তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দেবেন অতঃপর জীবিত করবেন। এরপর তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

◆ সংশয়বাদী

[৯:৪৫] আত তাওবাহ্

إِنَّما يَستَأذِنُكَ الَّذينَ لا يُؤمِنونَ بِاللَّهِ وَاليَومِ الآخِرِ وَارتابَت قُلوبُهُم فَهُم في رَيبِهِم يَتَرَدَّدونَ

একমাত্র সেসব লোক অনুমতি চায় যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে না, আর তাদের অন্তরসমূহ সংশয়গ্রস্ত হয়ে গেছে। সুতরাং তারা তাদের সংশয়েই ঘুরপাক খেতে থাকে।

◆ কিতাব রচনাকারী

[২:৭৯] আল বাকারা


فَوَيلٌ لِلَّذينَ يَكتُبونَ الكِتابَ بِأَيديهِم ثُمَّ يَقولونَ هذا مِن عِندِ اللَّهِ لِيَشتَروا بِهِ ثَمَنًا قَليلًا فَوَيلٌ لَهُم مِمّا كَتَبَت أَيديهِم وَوَيلٌ لَهُم مِمّا يَكسِبونَ

সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে। তারপর বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, যাতে তা তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করতে পারে। সুতরাং তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস।

◆ কিতাব বিকৃতকারী

[৩:৭৮] আল ইমরান

وَإِنَّ مِنهُم لَفَريقًا يَلوونَ أَلسِنَتَهُم بِالكِتابِ لِتَحسَبوهُ مِنَ الكِتابِ وَما هُوَ مِنَ الكِتابِ وَيَقولونَ هُوَ مِن عِندِ اللَّهِ وَما هُوَ مِن عِندِ اللَّهِ وَيَقولونَ عَلَى اللَّهِ الكَذِبَ وَهُم يَعلَمونَ

তাদের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা নিজদের জিহবা দ্বারা বিকৃত করে কিতাব পাঠ করে, যাতে তোমরা সেটা কিতাবের অংশ মনে কর, অথচ সেটি কিতাবের অংশ নয়। তারা বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, অথচ তা আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়। আর তারা আল্লাহর উপর মিথ্যা বলে, অথচ তারা জানে।

◆ ট্রিনিটি বিশ্বাসী

[৫:৭৩] আল মায়িদাহ

لَقَد كَفَرَ الَّذينَ قالوا إِنَّ اللَّهَ ثالِثُ ثَلاثَةٍ وَما مِن إِلهٍ إِلّا إِلهٌ واحِدٌ وَإِن لَم يَنتَهوا عَمّا يَقولونَ لَيَمَسَّنَّ الَّذينَ كَفَروا مِنهُم عَذابٌ أَليمٌ

অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তিন জনের তৃতীয়জন’। যদিও এক ইলাহ ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আর যদি তারা যা বলছে, তা থেকে বিরত না হয়, তবে অবশ্যই তাদের মধ্য থেকে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্পর্শ করবে।

[৪:১৭১] আন নিসা

يا أَهلَ الكِتابِ لا تَغلوا في دينِكُم وَلا تَقولوا عَلَى اللَّهِ إِلَّا الحَقَّ إِنَّمَا المَسيحُ عيسَى ابنُ مَريَمَ رَسولُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ أَلقاها إِلى مَريَمَ وَروحٌ مِنهُ فَآمِنوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ وَلا تَقولوا ثَلاثَةٌ انتَهوا خَيرًا لَكُم إِنَّمَا اللَّهُ إِلهٌ واحِدٌ سُبحانَهُ أَن يَكونَ لَهُ وَلَدٌ لَهُ ما فِي السَّماواتِ وَما فِي الأَرضِ وَكَفى بِاللَّهِ وَكيلًا

হে কিতাবীগণ, তোমরা তোমাদের দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর উপর সত্য ছাড়া অন্য কিছু বলো না। মারইয়ামের পুত্র মাসীহ ঈসা কেবলমাত্র আল্লাহর রাসূল ও তাঁর কালিমা, যা তিনি প্রেরণ করেছিলেন মারইয়ামের প্রতি এবং তাঁর পক্ষ থেকে রূহ। সুতরাং তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আন এবং বলো না, 'তিন'। তোমরা বিরত হও, তা তোমাদের জন্য উত্তম। আল্লাহই কেবল এক ইলাহ, তিনি পবিত্র মহান এ থেকে যে, তাঁর কোন সন্তান হবে। আসমানসূহে যা রয়েছে এবং যা রয়েছে যমীনে, তা আল্লাহরই। আর কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।

◆ অবতারবাদ 

[১১২:৪] আল ইখলাস

وَلَم يَكُن لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।

◆ ঈশ্বরের পুত্র

[২:১১৬] আল বাকারা

وَقالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا سُبحانَهُ بَل لَهُ ما فِي السَّماواتِ وَالأَرضِ كُلٌّ لَهُ قانِتونَ

আর তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি পবিত্র মহান; বরং আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা তাঁরই । সব তাঁরই অনুগত।

[৬:১০১] আল আনআম

بَديعُ السَّماواتِ وَالأَرضِ أَنّى يَكونُ لَهُ وَلَدٌ وَلَم تَكُن لَهُ صاحِبَةٌ وَخَلَقَ كُلَّ شَيءٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيءٍ عَليمٌ

তিনি আকাশমন্ডলী ও যমীনের উদ্ভাবক, কীভাবে তাঁর সন্তান হতে পারে যেহেতু তাঁর কোন সঙ্গীণীই নেই, সব কিছু তো তিনিই সৃষ্টি করেছেন, আর প্রতিটি জিনিস সম্পর্কে তিনি পূর্ণ জ্ঞান রাখেন।

[১১২:৩] আল ইখলাস

لَم يَلِد وَلَم يولَد

তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি।

◆ লৌকিকতা-ই আসল এমন বিশ্বাসী

[২:৮৬] আল বাকারা

أُولئِكَ الَّذينَ اشتَرَوُا الحَياةَ الدُّنيا بِالآخِرَةِ فَلا يُخَفَّفُ عَنهُمُ العَذابُ وَلا هُم يُنصَرونَ

তারা আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবনকে খরিদ করেছে। সুতরাং তাদের থেকে আযাব হালকা করা হবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।

◆ পাপিষ্ঠ ছাড়া সবাই অমর বিশ্বাসী

[৩:১৮৫] আল ইমরান

كُلُّ نَفسٍ ذائِقَةُ المَوتِ وَإِنَّما تُوَفَّونَ أُجورَكُم يَومَ القِيامَةِ فَمَن زُحزِحَ عَنِ النّارِ وَأُدخِلَ الجَنَّةَ فَقَد فازَ وَمَا الحَياةُ الدُّنيا إِلّا مَتاعُ الغُرورِ

প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর ‘অবশ্যই কিয়ামতের দিনে তাদের প্রতিদান পরিপূর্ণভাবে দেয়া হবে। সুতরাং যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফলতা পাবে। আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোঁকার সামগ্রী।
__

এমন অনেক অনেক আয়তই কুরআনে রয়েছে। কুরআন বলে দিয়েছে যুগে যুগে পৌত্তলিকতার ছড়াছড়ি আর আব্রাহামিক ধর্মেও বিকৃত সাধন হয়ে তৈরি হয়েছে বাইবেল/তানাখ। শুধু একটিই ধর্ম রয়েছে সেটি হচ্ছে দ্বীন জীবনব্যবস্থা যার নাম ইসলাম। 

এই কুরআনই এসকল সত্য আর মিথ্যার পার্থক্য করেছে। এই কুরআন হলো ফুরকান! সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী... 

শেষকথা


সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম,, 

১) ৪৫০০+ ধর্মের আদৌ কোন অস্তিত্ব নেই। অনেকগুলো বিলুপ্ত, অনেকগুলো শুধু মতবাদ প্রথা যাকে ধর্ম ট্যাগ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে যতগুলি আছে তাদের সবার ধর্মগ্রন্থ নেই। সুতরাং এটা বলা যাবে না ৪৫০০+ ধর্মের ৪৫০০+ ধর্মগ্রন্থ পড়েও শেষ করা সম্ভব নয়! 

২) ৪৫০০+ ধর্মের মধ্যে যদি অন্য কোন ধর্ম সত্য হয় ইসলাম যদি না হয় তাহলে কি হবে? এমন দাবী ভুল কারণ সব ধর্মের মধ্যে ঈশ্বর নেই। সব ধর্মে ধর্মগ্রন্থ নেই। সব ধর্মে জাহান্নাম কনসেপ্ট নেই। সুতরাং ৪৫০০+ ধর্মের অন্য ধর্মের জাহান্নামে বলা যাবে না কারণ সব ধর্মে জাহান্নাম কনসেপ্ট টাই নেই। ঈশ্বর কনসেপ্ট টাই নেই। মেজর রিলিজিয়নেই ঈশ্বর হীন, লৌকিক, ধর্মগ্রন্থহীন, জান্নাত জাহান্নাম কনসেপ্ট হীন ধর্ম পাওয়া যায়। আর বেশিরভাগই এমন। 

৩) ইসলাম, ইহুদি-খ্রিষ্টান বাদে বাকি যত ধর্ম আছে সে সব ধর্মের কনসেপ্ট ভিন্ন অর্থাৎ  পৌত্তলিকতা, ঈশ্বরহীন, ধর্মগ্রন্থহীন, পূণর্জন্ম বিশ্বাসী, কর্ম আর পূণর্জন্ম, পরকাল নেই, জীবন অমর যারা বিশ্বাসী তারা অমর, ঐক্যবদ্ধের নামে সব ধর্মকে সত্য বলা, ধর্মের নামে প্রথা-মতবাদ এসবে ভরপুর। যে ধর্মগুলো সত্য হলেও কোন ক্ষতি হবে না। 

৪) শুধু থাকে ইসলাম। ইহুদি-খ্রিষ্টান যারা তাওরাত ইঞ্জিলের নামে বিকৃত বাইবেল-তানাখ বিশ্বাসী। পৌত্তলিকতার সংমিশ্রণ হয়ে গেছে যা। মুসলিম নবী আর মানবজাতির জন্য যে ধর্ম এসেছে তাকে শুধু একটা জাতিতে আটকিয়ে, আল্লাহ উপাসনার ডাক দিয়েছেন যারা। ইহুদিরা তাদের উল্টো ভাবে চলছে ইহুদিরা যারা ঈসা (আঃ) ও মুহাম্মদ (আঃ) উভয়কেই অস্বীকার করে। খ্রিষ্টান যারা পৌত্তলিকতা মিশ্রণ ঘটিয়েছে ট্রিনিটি, ঈশ্বরের পুত্র, অবতার সহ আরও অনেক কিছুর মাধ্যমে। যেখানে বিশ্বাস করলেই নাজাত। নাহয় গুনাহ করলেই নাজাত বাতিল। বা যীশু সকল পাপ মোচন করে গেছেন। আদমের পাপে নাকি সবাই পাপিষ্ঠ এবং এই সব পাপ মোচন করে গেছেন যীশু। 

৫) বাকি রইলো ইসলাম, যার সাথে কোন ধর্মের তুলনা চলে না, যেটি পৌত্তলিকতা মুক্ত। যেটি পরকাল সম্পর্কে স্পষ্ট কথা বলেছে। যেটি সকল ধর্ম থেকে পৃথক এবং পবিত্র। যেটি শেষ কিতাব এবং যা নাজিল হয়েছে শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর ঈমান আনতে বলে। যেটি ডেইট অভার বা  বিকৃত নয়। যেটি একমাত্র মনোনীত দ্বীন। এজন্য অবিশ্বাসীরা ইসলামের উপর আঘাত হানে। কারণ তারাও জানে ইসলাম-ই একমাত্র যার কাছে তারা হেরে যায়। তারা পারবে না এই দ্বীনের আলো নিভিয়ে দিতে। 

[৩:১৯] আল ইমরান

إِنَّ الدّينَ عِندَ اللَّهِ الإِسلامُ وَمَا اختَلَفَ الَّذينَ أوتُوا الكِتابَ إِلّا مِن بَعدِ ما جاءَهُمُ العِلمُ بَغيًا بَينَهُم وَمَن يَكفُر بِآياتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَريعُ الحِسابِ

নিশ্চয় আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন হচ্ছে একমাত্র ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের নিকট জ্ঞান আসার পরই তারা মতানৈক্য করেছে, পরস্পর বিদ্বেষবশত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করে, নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত।

Post a Comment

0 Comments