বিষয়ঃ ইসলাম ও বামহাতিদের কথা!
উৎপত্তিস্থলঃ গাঞ্জা ডট কম (জার্মান নেস্টু)
🖊Author: Aminur Rashid
☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲
[ খণ্ডন সিরিজে আমরা ইসলাম বিদ্বেষীদের অভিযোগ গুলি খণ্ডন করবো, তূলনামূলক ধর্মতত্ত্বে আলোকপাত করবো। একদম খুটিনাটি বিষয়েও কনসেপ্ট ক্লিয়ার করার চেষ্টা করবো ইংশাআল্লাহ ]
_________
প্রশ্নঃ আমরা জানি পৃথিবীর অনেকেই বামহাতি। ইসলাম কেন বামহাতির উপর নির্যাতন, বকাবকি করতে শিখায়? বমহাতিরা নাকি শয়তান! অনেককে লানতও দেয়া হতো।
একজন বামহাতির সাথে ইসলাম এত নির্মম কেন? ইসলামের জন্যই এই বিভেদ কেন?
(গাঞ্জা ডট কমের দাবীগুলো খণ্ডন করবেন)
জবাবঃ আলহামদুলিল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার এবং সালাম ও দুরূদ প্রিয় নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর।
একটা কথা আছে যাকে ভালো লাগে না তার হাঁটার স্টাইলেও সমস্যা। যাকে ভালো লাগে না তার সঠিক ও সত্য কথাও ভালো লাগে না।
সবসময় নাস্তিকরা ইসলামকে নিয়ে মিথ্যাচার আর অপপ্রচারে মেতে থাকে। এটি নতুন কিছু না! আজকে এমনই একটা টপিক নিয়ে আলোচনা করবো।
জার্মান নাস্তিকের গাঞ্জা ডট কম থেকে দাবীগুলো নিয়ে খণ্ডন করবো। এছাড়াও প্রমাণ করবো যে এরা আসলে কিভাবে তালকে তিল বানায়। এরা "হাইলাইট" করে ঠিকই কিন্তু নিজের সুবিধামত। এই সুবিধাবাদী ইসলাম বিদ্বেষী, মিথ্যাবাদীদের দাবীগুলিতে নজর দেই চলুন।
টাইটেলে যেহেতু ইসলাম! সেহেতু কথা তো বলতেই হয়!
তার আগে শুরুরকথা হোক!
শুরুর কথাঃ
১) বামহাতি - ডানহাতি!
বামহাতি তাদেরকেই বলা হয় যারা বামহাত ব্যবহার করতে বেশি সাচ্ছন্দবোধ করে। তারা বাম হাতে কাজ করতেই বেশি পারদর্শী। ডান হাতে কাজ করতে সাচ্ছন্দবোধ করে না। তারা ডান হাতে কাজ করতে পারে না বাম হাতেই ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
২) কেনো হয়?
এটি অনেক কারণেই হয়ে থাকে, এটি যেমন জেনেটিক কারণ। আবার অভ্যাসগত কারণেও একজন মানুষ বামহাতি হতে পারে। আবার অনেকে অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বামহাতি থেকে ডানহাতি হতেপারেন।
৩) জনসংখ্যার পসিবিলিটি কেমন?
পৃথিবীর মেক্সিমাম মানুষই ডানহাতি। বামহাতিরা ডানহাতিদের তুলনায় অনেক অল্প। মেক্সিমাম ক্ষেত্রেই একজন শিশু ডানহাতি হওয়ার পসিবিলিটি বেশি থাকে। পিতামাতা উভয়েও যদি বামহাতি হয় তারপরেও বামহাতির তূলনায় ডানহাতি সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর পিতামাতা উভয়, বা একজন যদি ডানহাতি হোন তাহলে তো বরাবরের মতই ডানহাতি সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এইটা যেহেতু ইসলাম আর বিজ্ঞানের টার্ম না সেহেতু উইকিপিডিয়া ব্যবহার করছি। আর এসব নাস্তিকরাও মানে, দেয়ার কারণ আলোচনার সংশ্লিষ্টতা এছাড়া কিছু না।
For example, if both parents of a child are left-handed, there is a 26% chance of that child being left-handedRight-handedness is the most common type. Right-handed people are more skillful with their right hands. Studies suggest that approximately 90% of people are right-handed.Overall, around 90% of people are right-handed. [Wikipedia] [1]
৪) কিসের প্রভাবে হয়?
বংশগত, জেনেটিক, অভ্যাসগত নানান কারণেই হতে পারে। যেসকল মানুষের মস্তিষ্কের বাম পাশটা বেশি কার্যকরী তারা সাধারণত ডানহাতি হয়। আর যেসকল মানুষের মস্তিষ্কের ডান পাশটা বেশি কার্যকরী তারা সাধারণত বামহাতি হয়ে। [2]
৫) বামহাতি থেকে ডানহাতি!
আমার আর্টিকেলের মূল বিষয় এখন বুঝতে পারবেন না। এখন যা আলোচনা করছি তা সবই বামডান নিয়ে একটু ধারণা। পরবর্তীতে আমরা দেখবো নাস্তিকদের আসল স্বরূপ ও ইসলাম আসলে আদৌ বামহাতিদের নিচু বলছে নাকি।
অনেকে বামহাতি থেকে ডানহাতি হওয়ার চেষ্টা করে। কেউ পারে না আবার অনেকের জন্য তা হয়ে উঠে কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার। অনেক জরিপে আবার দেখা গেছে অভ্যাসগত পরিবর্তনের মাধ্যমেও বাম টু ডানে আসা যায়।
রেফারেন্সটি দিচ্ছি জনাব শামসুল আরেফিন ভাইয়ের কষ্টিপাথর বই থেকে,,,
এখানে দেখা যাচ্ছে বামহাতিদের মধ্যে অনেক গুলি সমস্যা দেখা যায়। বামহাতিরা ঝূঁকিতেও থাকে।
আর পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই ডানহাতি এবং যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সব কিছুই ডানহাতিদের জন্য বানানো অর্থাৎ সেভাবে বানানো। এ থেকেও বুঝা কষ্টসাধ্য নয় যে ডানহাতি মানুষই বেশি।
আর বামহাতি থেকে ডানহাতি হওয়া অনেকক্ষেত্রেই সম্ভব আবার অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভবও বটে।
এই গেলো বামহাতি-ডানহাতি নিয়ে কিছু জেনারেল খুচরা আলাপ।
এবার আসি নাস্তিকদের দাবী ও ইসলাম কি বলে এ নিয়ে,,,,
আর হ্যাঁ তাদের আর্টিকেলের টাইটেল যেহেতু ছিলো "ইসলাম এবং বামহাতিদের কথা" সেহেতু বুঝা গেলো তারা বামহাতির থিউরি বুঝাতে ইসলামকে টেনেছে। আমিও তাই টানবো। প্রথমঅংশে থাকবে তাদের দাবী নিয়ে আলোচনা, শেষঅংশে থাকবে ইসলাম ও বামহাতি, ডান-বাম সম্পর্কে খোলাসা আলোচনা।
প্রথমঅংশঃ নাস্তিকদের আসল চেহারা ও দাবীসমূহ খণ্ডন।
দাবী: ১
"সেই প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন সমাজে বামহাতিদের প্রতি নানা ধরণের বৈষম্য এবং অবিচারের প্রমাণ পাওয়া যায়। শুধু প্রাচীনকাল বা মধ্যযুগ কেন, এই বর্তমান সময়েও বামহাতে কিছু করা অনেক সমাজে অশুভ বা শয়তানের কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। বামহাতিদের প্রতি বৈষম্য প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়, যখন ধর্মগ্রন্থ বা পৌরানিক কাহিনীগুলোতে শয়তানকে বামহাতি হিসেবে বর্ণনা করা হয়।""ধর্মবিশ্বাসী পরিবারগুলোতে শিশুরা বামহাতি হলেই, তাদের ওপর কঠিন আচরণ লক্ষ্য করা যায়। একে শয়তানের প্রভাব, জ্বীনের আছর বা অশুভ শক্তির কাজ বলেও বিবেচনা করা হয়। অনেক সময় ডাক্তার কবিরাজ কিংবা পীরের কাছে নিয়ে এর চিকিৎসার চেষ্টাও করা হয়ে থাকে। যা একটি শিশুর ওপর নির্যাতন এবং যার ফলে তার ওপর নানা ধরণের মানসিক প্রভাব পড়ে। সে ধীরে ধীরে নিজেকে অশুভ, তুচ্ছ, বাজে চরিত্র হিসেবে ভাবতে শুরু করে।"
খণ্ডনঃ
যত দোষ নন্দ ঘোষ
এটাই হলো ইসলাম বিদ্বেষ, যত দোষ সব ইসলামের। বামহাতিকে নেতিবাচক দেখা ইসলামের শিক্ষা না। এটা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যেই পাওয়া যায়। অনেকেই বাম হাত বাড়ানোকে অভদ্রতা ভাবেন। গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও বামকে বেয়াদবি ভাবা হয়।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ভাবে বাম হাত ডান হাতকে অনেকে অনেকভাবে নিয়ে থাকে। সেটার সাথে ইসলামকে জুড়ে দিয়ে ইসলামকেই দায়ী বানানো কত বড় নিচু মানের বিষয় তা বোঝতে কলাবিজ্ঞানী হবার জরুরত নেই।
এরা এসবের সাথে ইসলামকে জড়িয়ে দিতে চাচ্ছে! বাহ ভালোই তো।
যেখানে কিনা হিন্দুইজমে এটিকে অশুভ হিসেবে পণ্ডিতরা বলে থাকেন। ভারতবর্ষে ডান-বাম জাতপাত ধর্মীও বিষয় যা হিন্দুইজমের সাথে জড়িত। নাস্তিকদের গড ফাদারদের কান্ট্রি গুলিও ডান-বামের বৈষম্য তৈরি করেছে আর দোষ শুধু ইসলামের??
খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় গ্রন্থেও বামকে নেতিবাচক ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তবুও কেন তাদের টাইটেলে শুধু "ইসলাম" জুড়ে দেয়া হচ্ছে? এর মূল কারণ একটাই তাদের যত চুলকানি সব ইসলাম নিয়ে। ইসলাম বিদ্বেষ করলেই তারা ইহলৌকিক লাভবান হতে পারে।
আর কিছু মিথ্যা দাবী যেমন বামহাতি হওয়ায় শয়তানের আসর, কবিরাজী করা এসব কখনোই আমি শুনি নি। আর বামহাতি হলে পরিবার ও সমাজে যেসকল সমস্যা হয় তা ইসলামের কোন কথার জন্য না বরং মানুষ জেনারেলি বামকে নেতিবাচক ভাবে দেখে, ইসলামের সাথে এর বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। অন্যান্য ধর্মের মানুষরা যেমন নেতিবাচক ভাবে দেখে ধর্মহীন মানুষরাও দেখে আর মেক্সিমাম মানুষ ডানহাতি হওয়ায় অনেক ঝামেলা দেখা দেয়। কারণ বামহাতকে অনেকে নোংরা পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করে, বামকে অভদ্রতা মনে করে অনেকে যা পুরোপুরিই ব্যাক্তিগত, সামজিক কালচার।
এর সাথে ইসলামের সম্পর্ক নেই। কিন্তু নাস্তিকরা সকল মানুষের বলা কথাকে ইসলামের উপর চাপিয়ে দিল।
"শয়তানের কাজ" এই শব্দ দিয়ে পুরো ওয়াল্ডের একটা কমন টপিককে ইসলামের সাথে জুড়ে দেয়া হলো। এই হলো নাস্তিকদের নিরপেক্ষ জ্ঞান অন্বেষণ।
আর সমাজের কুসংস্কার, নেতিবাচক বিষয়ের সাথে ইসলামকে জড়িয়ে দেয়ার কোন মানে নেই। যারা বামকে নেতিবাচক ভাবে নেন তারা এটা নর্মালি নেন। ইসলামের জন্য না, তাই ইসলামকে হাইলাইট করে ভুল ব্যাখ্যা দেয়ার মতলব যে খারাপ তা বুঝার বাকি নেই।
আর এমন ভাবে বলছে যেনো ইসলাম বামহাতিদের নিয়ে এসব কথার শুরু করেছে। ইসলামই উৎস!
যার কারণে হিন্দুধর্মের নাম মুখে নিচ্ছে না যেখানে ভারতের হিন্দুদের মধ্যে বামকে অশুভ হিসেবে নেয়া হয়। আবার খ্রিষ্টান ধর্মের নামও নিচ্ছে না। নিচ্ছে না তার গড ফাদারের দেশগুলির নাম। ডাক্তার কবিরাজ আর পীর মুখে আসলেও হিন্দু পণ্ডিত পুরহিতদের কথা যেনো মূখেই আসে না।
উল্টো ইসলামের নামে দিচ্ছে মিথ্যা অপবাদ,, বাম হাত ব্যবহার করাকে কুরআন হাদিসের কোথায় বলা হয়েছে "জীনের আছর"? প্রমাণ আছে কি! নাকি নিজে নিজেই বানোয়াট কথা বলে গল্প সাজাচ্ছে? আর এটার সাথে ইসলামের কি সম্পর্ক!
এরাই তো সেই লোক যারা কুরআন - হাদিসের রেফারেন্স দেয়, হাইলাইট করে! এখন এরাই আবার অমুকের কথা তমুকের কথাকে ইসলামের সাথে জুড়ে দিচ্ছে। ভালোই তো নাস্তিকতার শিক্ষা!
দাবী: ২
"সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাম হাত দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব কাগজপত্র করতেন, কারণ তিনি একজন বামহাতি৷ অসংখ্য মেধাবী মানুষই বামহাতে কাজ করার বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছেন। তার মানে এই নয় যে, বামহাতি হলেই মেধাবী হবে। মেধা বা যোগ্যতার ক্ষেত্রে ডানহাতি কিংবা বামহাতি হওয়া কোন পার্থক্য তৈরি করে না। একটি হিসেবে দেখা গেছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ বাঁহাতি।"
খণ্ডনঃ
ইনি চাচ্ছিলেন উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে যে বামহাতিরাও ডানহাতি থেকে অনেক ভালো। কিন্তু ইসলামে ডানকে ভালো দেখিয়েছে। কিন্তু বেচারা সেটা প্রমাণ করতে পারেনি। অনেকেই এমন কথা বলে যে বামহাতি রা genius হয়ে থাকে। কিন্তু গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা।
Some suggest that “left-handed genius” stems from being forced to use both sides of the brain more often, allowing lefties to process large amounts of information more readily, according to anythinglefthanded.co.uk , but the evidence to support that claim is largely contradictory.In fact, the most recent study by Joshua Goodman, an associate professor at the Harvard Kennedy School, found lefties scored about 10 to 12 percent less than righties on “measures of cognitive skill”, even after controlling for health as babies and family background.5 (Several studies in the 1970s and 80s linked birth stress to handedness, but more recent reports are less conclusive.)
বামহাতিদের মধ্যে বাক ও আচরণগত সমস্যা দেখা যায়,,,
Looking at five large studies of individuals in the U.S. and United Kingdom, and data on education and employment, Goodman further found lefties also had more behavioral and speech problems and were more likely to have learning disabilities.
তবে কিছু ক্ষেত্রে হয়তো ভালো করতে পারে।
দাবী: ৩
"বরঞ্চ, এরকম শিশুদের পিতামাতাদের উচিত একে খুব স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করা। স্কুলে কলেজে বা অন্যান্য বন্ধুদের মাঝে শিশুটি যদি বামহাতি হওয়ার কারণে বঞ্চনার শিকার হয়, তার সাহায্যে এগিয়ে আসা। মনে রাখতে হবে, সে একজন শিশু। এবং একটি পরিবারই তার সবচাইতে বড় আশ্রয়ের জায়গা। পরিবার থেকে একটু পাশে থাকে, একটু আশ্রয় তার জন্য অনেক সহায়ক হতে পারে। এটি কোন অবস্থাতেই শিশুটির কোন দোষ নয় বা অপরাধ নয়। সে যেন এই নিয়ে অপরাধবোধে না ভোগে, নিজেকে শয়তান বা অশুভ চরিত্র না ভাবে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা বাবা মায়ের দায়িত্ব।মেয়েদের মধ্যে বামহাতি হওয়াটি আরো বেশি কষ্টের হয়ে উঠতে পারে। অনেক পিছিয়ে পড়া সমাজেই মেয়েদের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে, তার ওপর মেয়েটি বামহাতি হলে তো কথাই নেই। পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়, শ্বশুরবাড়ির লোক কী বলবে, এগুলো নিয়ে তাদের শুনতে হয় নানান কথা"
খণ্ডনঃ
টাইটেলের সাথে এসব কথা একদমই অযৌক্তিক, কোন মেয়েকে হেয় করা, সন্তানদের মারপিট করতে হবে এমন কথা কুরআন হাদিসে নেই। এসব ঘটনা ইসলামের জন্য হয় না, অন্য ধর্ম বা নর্মালি অনেকেই এটাকে নেতিবাচক ভাবে নেয়।
এই নাস্তিকরা ছলচাতুরি করে সকল দোষ ইসলামের উপর দিলো, যেমন অশুভ মনে করে, ডানহাতি হতে বাধ্য করা, অপমানের ভঙ্গিতে দেখে। এই সকল অপবাদই নাস্তিকদের গড ফাদারদের থেকে উৎপত্তি, এটার জন্য খ্রিষ্টানিটিকে টানা গেলেও ইসলামকে কোনভাবেই সাদৃশ্য করা যাবে না। কিন্তু নাস্তিকরা তাদের ফাদারদের মতবাদগুলিকে ইসলামের দোষ নামে আখ্যায়িত করেছে। আসুন দেখে নেই,,,
১) বামহাতিদের অশুভ হিসাবে Sinistral বলার প্রচলন ছিল।
For thousands of years, southpaws were vilified as "unholy,” linked to various learning disabilities, and implicated in a range of behavioral and mental health conditions. (Lefties are still referred to as “sinistral” in the scientific community, a term derived from the Latin word “sinister,” meaning “of the left.”)
২) আমেরিকার পাব্লিক স্কুলে ডানহাত ব্যবহারে ফোর্স করতো। আর এখন দোষ ইসলামের নামে। নাকি আমেরিকা ইসলামকে ফলো করা শুরু করেছে হাস্যকর।
As recently as the 1960s, in fact, children who displayed tendencies towards left-handedness in the American public school system were “corrected” and forced to write and eat with their right hand. [3]Just like Prince William's great-grandfather George VI, it wasn't uncommon in the past for left-handers to be forced to use their right hand to do things.In the UK, left-handed people were historically forced to use their right hands for tasks where they would naturally use their left hand. This still happens in some countries now. [4] (BBC)
৩) এই ছবিটি দেখুন, জার্মান নাস্তিক তার আর্টিকেলের মূল ছবিটা এটা দিয়েছে,,
এই ছবির সাথে ইসলামের সম্পর্ক নেই তবে আছে অন্য এক তথ্য। এখানে আছে তাদের গড ফাদারদের মতবাদের তথ্য। ছবিটিতে লক্ষ্য করুন ছেলেটির হাতে লেখা "my left is right" কেন এমন লেখা জানেন?? কারণ,,,
Even language proves that left-handers get a bad rap.In French, "gauche" can mean "left" or "clumsy". In English the word 'left' comes from the Anglo-Saxon word 'lyft', meaning 'weak'. "Right" also means "to be right"
ইংরেজি শব্দে Right দিয়ে ডান আবার সঠিক। কিন্তু lyft = Weak যার প্রতিবাদের সাথে ছেলেটির ছবিটি প্রাসঙ্গিক। সে বামহাতি হওয়ায় বলছে যে নাস্তিকদের গড ফাদাররা বলে left = weak / right = সঠিক / কিন্তু না আমার left is right....
৪) ইসলামে নাকি শয়তান বলেছে,,, যত দোষ ইসলামের?? ল্যাটিন শব্দে কেন?
Left-handed people have been considered unlucky and even evil - the word "sinister" comes from the Latin word for left.
৫) ইসলামে কোথাও নেই বামহাতি জ্বীন, জাদু, কবিরাজ। এসব আছে নাস্তিকদের গড ফাদারদের এলাকায়। ব্রিটিনে এক সময় এসব ছিল,,,
In Britain in the Middle Ages, lefties were associated with the devil and often accused of the crime of witchcraft, meaning they would get burned at the stake
জার্মান নাস্তিক ইসলামকে দোষ দিল কিন্তু তার বাপদাদার কথা মুখেও নিল না।
আমরা দেখলাম সকল কুসংস্কার, বিভিন্ন অমুসলিম দেশের অমুসলিমদের কনসেপ্টের সকল মতবাদ, সকল দোষ, ইসলামের সাথে যুক্ত করে "ইসলাম ও বামহাতিদের কথা" টাইটেল দিয়ে দিলো।
__
শেষাংশঃ ইসলাম কি বামহাতিদেরকে শয়তান, খরাপ বলে? (সত্যতা)
দাবী: ৪
"ইসলাম ধর্ম বামহাতিদের সম্পর্কে অত্যন্ত অবমাননাকর এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধ্যান ধারণা প্রচার করে। ইসলাম ধর্মের বিধিবিধানের অন্যতম মৌলিক উৎস হাদিসগ্রন্থগুলোর মধ্যে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত আছে, যেখানে বামহাতিদের শয়তানের প্রভাবে প্রভাবিত, অশুভ, অবৈজ্ঞানিক এবং উদ্ভট ধারণা প্রচার করে। এই হাদিসগ্রন্থগুলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল ইসলামি বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পড়ানো হয়, যার কারণে এসব পড়ে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে বামহাতিদের সম্পর্কে ঘৃণা, বিদ্বেষ এবং অস্বাভাবিক ধারণার জন্ম নেয়। আসুন দেখি, ইসলাম বামহাতিদের সম্পর্কে কী বলে।"
খণ্ডনঃ
আমরা ইতিমধ্যেই দেখলাম নাস্তিকদের বাপদাদারা বামহাতিদের নিয়ে ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়িয়েছে। "ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়" নাকি আমেরিকান পাব্লিক স্কুল তা বোধগম্য হয়েছে আশাকরি। আর অন্য ধর্মের কথা তো বললোই না। বাপদাদা বলে কথা! [5]
দাবী: ৫
“সুনানে ইবনে মাজাহ২৩/ আহার ও তার শিষ্টাচারপরিচ্ছেদঃ ২৩/৮. ডান হাত দিয়ে খাদ্য গ্রহণ১/৩২৬৬। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের প্রত্যেকে যেন ডান হাতে আহার করে, ডান হাতে পান করে, ডান হাতে গ্রহণ করে এবং ডান হাতে দান করে। কারণ শয়তান বাম হাতে খায়, বাম হাতে পান করে, বাম হাতে দেয় এবং বাম হাতে গ্রহণ করে।আহমাদ ৮১০৭, ৮৩৮৪, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১১৭, সহীহাহ ১২৩৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)”
খণ্ডনঃ
হাদিসে বলা হয়েছে ডান হাত ব্যবহার করতে আর শয়তান বাম হাত ব্যবহার করে। প্রথমত এই হাদিসটাকে আমরা কিভাবে দেখি! মুসলিম সমাজ কিভাবে দেখে তা আশাকরি সবারই জানা।
হাদিসে কোথাও বামহাতির কথা নেই। বামহাতি এবং বামহাত ব্যবহার করা দুইটার মধ্যে আকাশপাতাল তফাৎ। একজন সাধারণ মুসলিম জানে ডান হাতে পানি পান করতে হবে। এখন আমরা ডানহাতি হয়েও অনেকে বাম হাতে পানি খাই। নিজের ইচ্ছানুযায়ী। ডানহাতি হয়েও যারা বামহাতে পানি খায়, খাবার খায় এটা আমরা সকল মুসলিমরাই জানি। হাদিসে "বামহাতি" দের কথা নেই। বামহাতি হলো এক কথা আর ডানহাতি হয়েও, ডানহাতে সব করাটাই যেখানে তার জন্য স্বাভাবিক তার পরেও দেখা যায় সে দাঁড়িয়ে পান করে, ডান হাতে সিগারেট খায় আর বাম হাতে পানি খায়। এই আরেক বিষয়।
তাই এখানে বামকে শয়তানের কথা বলা হয়েছে। ইসলাম ডানকেই উতসাহিত করেছে। এখানে বামহাতি না বরং ডান হাত ব্যবহার করে যারা তারা যাতে বাম না ব্যবহার করে এটাই মূল বিষয়। যেমন আমি নিজেই ডানহাতি, আমি চাইলেই বাম হাতে পানি খেতে পারি। যা ইসলাম অনুসারে ঠিক নয়। বামহাতিদের কথা এখানে উল্লেখ নেই, একটা হলো আমি বামহাতি, ডানহাত ব্যবহার করতে পারিনা। আরেকটা হলো আমি ডানহাতি তারপরেও বামহাতে খাই নিজের খেয়াল খুশির জন্য গাফলতি করে, দুইটা দুই বিষয়।
দাবী: ৬
"সেইসাথে, আরেকটি হাদিসে বর্ণিত আছে, বামহাতি এক ব্যক্তি একবার নবীর সামনে বামহাতে আহার করায় নবী তাতে ক্ষিপ্ত হন, এবং তাকে ডানহাতে খেতে নির্দেশ দেন। সেই বামহাতি ব্যক্তি তাতে অপারগতা প্রকাশ করলে, নবী তাকে অভিশাপ দেন।রিয়াযুস স্বা-লিহীন৩/ পানাহারের আদব-কায়দাপরিচ্ছেদঃ ১০৪: নিজের সামনে এক ধার থেকে আহার করা ও বে-নিয়ম আহারকারীকে উপদেশ ও আদব-কায়দা শিক্ষা দেওয়া প্রসঙ্গে২/৭৪৫। সালামা ইবনে আকওয়া রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে একটি লোক তার বাম হাত দ্বারা আহার করল। (এ দেখে) তিনি বললেন, ‘‘তুমি ডান হাত দ্বারা খাও।’’ সে বলল, ‘আমি পারবো না!’ তিনি বদ-দো‘আ দিয়ে বললেন, ‘‘তুমি যেন না পারো।’’ ওর অহংকারই ওকে (কথা মানতে) বাধা দিয়েছিল। সুতরাং তারপর থেকে সে আর তার হাত মুখে তুলতে পারেনি। (মুসলিম) (1)(1) মুসলিম ২০২১, আহমাদ ১৬০৫৮, ১৬০৬৪, ১৬০৯০, দারেমী ২০৩২হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)৩৭। পানীয় বস্তুপরিচ্ছেদঃ ১৩. পানাহারের নিয়ম ও বিধান৫১৬৩–(১০৭/২০২১) আবূ বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ….. সালামাহ ইবনু আকওয়া (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, এক লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বাম হাতে খাদ্য গ্রহণ করছিল। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার ডান হাতে খাও। সে বলল, আমি পারবো না। তিনি বললেনঃ তুমি যেন না-ই পার। শুধুমাত্র অহমিকাই তাকে বারণ করছে। সালামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, সে আর কখনো তার ডান হাত মুখের নিকট উঠাতে পারেনি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫০৯৬, ইসলামিক সেন্টার ৫১০৭)হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু আক্ওয়া‘ (রাঃ)"
খণ্ডনঃ
এই হলো এদের ছলচাতুরি আর ধোঁকাবাজি। খুব সুন্দর করে হাইলাইট করে দিলেও এখানে পাঠকদের ধোঁকা দিয়েছে।
প্রথমত, হাদিসের লোকটি বামহাতি ছিল না। কিন্তু নাস্তিক তাকে বামহাতি বানিয়ে দিল! হাদিসের লোকটি ছিলো আমাদের মতই যে কিনা ডানহাত ব্যবহার করতে পারা সত্বেও বাম হাত ব্যবহার করেছে অহংকার দেখিয়ে যেমনটা ডানহাতিরা বামহাতে পান করে।
হাদিসের দিকে লক্ষ্য করুন,,
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে একটি লোক তার বাম হাত দ্বারা আহার করল। (এ দেখে) তিনি বললেন, ‘‘তুমি ডান হাত দ্বারা খাও।’’ সে বলল, ‘আমি পারবো না!’"
লোকটি বামহাতে আহার করেছে, যখন ডানহাতে আহার করার কথা বলা হলো তখন সে বলেছে, "আমি পারবো না" এই "পারবো না" কথার মানে নাস্তিকরা বানিয়েছে অক্ষমতা। এই "পারবো না" মানে লোকটি করবে না। যেমন আমাকে যদি বলে এক গ্লাস পানি নিয়ে আসো, আমি বললাম "পারবো না" এর মানে কি আমি পানি আনতে অক্ষম? অবশ্যই না।
আমি সক্ষম কিন্তু আমি আনবো না। ঠিক এই হাদিসের লোকটিও ডান হাত ব্যবহার করতে সক্ষম তারপরেও সে বামহাত ব্যবহার করছে। "পারবো না" এখানে অক্ষমতা নয় বরং রাসুল (সাঃ) এর আদেশকে প্রত্যাখ্যান করা। লোকটি না ছিল বামহাতি আর না ছিলো ডান হাত ব্যবহারে অক্ষম।
নাস্তিকরা লোকটিকে বামহাতি বলছে যা পুরাই অপব্যাখ্যা, আর "পারবো না" কে অক্ষমতা বলছে এটাও অপব্যাখ্যা। লোকটি প্রত্যাখ্যান করেছে, অক্ষম ছিলো না। সে অহংকার দেখিয়েছে, জিদ দেখিয়ে, মিথ্যা বলেছে। রাসুল (ﷺ) এর কথার প্রত্যাখ্যান করেছে। তার কথা সে পারবে না সুতরাং যাতে না পারে।
আরেকভাবে বলা যায়, সে রাসুল (ﷺ) কে সেই লোক মিথ্যা বলেছে যে সে ডান হাত ব্যবহার করতে পারবে না। আর রাসুল (ﷺ) বলেছেন যেহেতু সে নিজেই বলছে সে ডান হাত ব্যবহার করতে পারে না সেহেতু না পারুক।
এখন হয়তো অনেকে বলবে, নাস্তিকের কথা নাহয় বাতিল আপনার কথার প্রমাণ কি।
হাদিসে শেষেই উত্তর দেয়া আছে, "ওর অহংকারই ওকে (কথা মানতে) বাধা দিয়েছিল। সুতরাং তারপর থেকে সে আর তার হাত মুখে তুলতে পারেনি।"
নাস্তিকদের জবাব এখানেই হয়ে গেলো, লোকটি বামহাতি ছিলো না। সে ডানহাত ব্যবহার করতে পারা সত্বেও বাম হাত ব্যবহার করেছে এমনকি অহংকার দেখিয়ে রাসুল (সাঃ) এর কথাকে মানে নি।
সে যদি অক্ষম হতো তাহলে "অহংকার না বলে" "অক্ষমতার কারণে পারে নি" এমন বলা হতো। কিন্তু নাস্তিকরা কতটা চতুর প্রজাতির প্রাণি যে প্রত্যাখ্যান কে অক্ষমতা বানিতে ফেলেছে।
পরের হাদিসেও একটি ইঙ্গিত আছে,,,
তুমি যেন না-ই পার। শুধুমাত্র অহমিকাই তাকে বারণ করছে। সালামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, সে আর কখনো তার ডান হাত মুখের নিকট উঠাতে পারোনি।
এখানেও বলা হয়েছে যে সে "শুধুমাত্র অহমিকা করে কথা শুনে নি" "শুধুমাত্র"। সে বামহাতি ছিল না, ডান হাত ব্যবহারে অক্ষম ছিল না। সে রাসুল (সাঃ) এর কথাকে প্রত্যাখ্যান করেছে অহংকার দেখিয়ে।
আর শেষে বলা হয়েছে,, "সে আর কখনো তার ডান হাত মুখের নিকট উঠাতে পারোনি।"
এর মানে সে "ডান হাত মুখের নিকট উঠাতে সক্ষম ছিলো" সে ডান হাত ব্যবহার করতে পারতো ডানহাতিদের মতই। বদদোয়ার ফলে সে ডানহাত আর মুখের নিকট উঠাতে পারে নি। এর মানে এর পূর্বে সে উঠাতে পারতো। যদি নাই পারতো তাহলে এখানে "মুখের নিকট উঠানোর" উল্লেখ আসতো না।
দাবী: ৮
"সেই সাথে, ইসলামের ফতোয়া বিষয়ক বিখ্যাত ওয়েবসাইট ইসলামওয়েব এ বামহাতি বিষয়ক যেই ফতোয়াটি দেয়া আছে সেটিও তুলে ধরা হলো। [Link]
খণ্ডনঃ
এই ফতোয়ায় বুঝানো হয়েছে যে রাসুল (সাঃ) ডান হাত ব্যবহার, করতেন। বাম হাত ব্যবহারে নিষেধ করেছেন। এখন যারা বামহাতি অর্থাৎ বামহাত ব্যবহারে বাধ্য তাদেরকে বলা হয়েছে যে এমন ভুল হলে ক্ষমা আছে তবে চেষ্টা চালাতে হবে। ডান হাত প্রেক্টিস করতে হবে,,
"Moreover, practice makes perfect and looking at an order as an obligation and neglecting it as forbidden makes things much easier to be followed. If the person, however, does a mistake unintentionally, he is excused. But he should give up doing it again and ask Allah to forgive him from what he has done as soon as he remembers it. And Allah knows best."
আর আমরাও জানি যে বামহাতি থেকে অভ্যাস পরিবর্তন করেও ডানহাতি হওয়া সম্ভব।
Dr. Norman Doidge এর বই The Brain That Changes Itself থেকেও জানা যায় যে মস্তিষ্কের ফাংশন পরিবর্তন, বামহাতি থেকে ডানহাতি হওয়া সম্ভব। এ নিয়ে অনেক গবেষণাও আছে।
এখন আপনি হয়তো বলবেন , না ভাই অনেকের ক্ষেত্রে অসম্ভব। তাহলে আমি কয়েকটা পয়েন্ট বলি।
পয়েন্ট ১: যদি অসম্ভব হয় তাহলে মনে রাখতে হবে, আল্লাহ কখনোই বান্দার উপর তার সাধ্যের উপর কিছু চাপিয়ে দেন না,,,
[২:২৮৬] আল বাকারাلا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفسًا إِلّا وُسعَها لَها ما كَسَبَت وَعَلَيها مَا اكتَسَبَت رَبَّنا لا تُؤاخِذنا إِن نَسينا أَو أَخطَأنا رَبَّنا وَلا تَحمِل عَلَينا إِصرًا كَما حَمَلتَهُ عَلَى الَّذينَ مِن قَبلِنا رَبَّنا وَلا تُحَمِّلنا ما لا طاقَةَ لَنا بِهِ وَاعفُ عَنّا وَاغفِر لَنا وَارحَمنا أَنتَ مَولانا فَانصُرنا عَلَى القَومِ الكافِرينَআল্লাহ কোন ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে তা তার জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার উপরই বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।
যেমন, কেউ যদি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে অক্ষম হয়, সে বসে পড়বে, যে বসে অক্ষম সে শুয়ে পড়বে, যে এতেও অক্ষম সে ইশারায় পড়বে। দ্বীন মানতে শিথিলতা আছে।
পয়েন্ট ২: বামহাতিদের জন্য শিথিলতা! এই টপিকে অনেকেই শিথিলতা দেখাবে না যেমনটা ফতোয়া থেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর কয়েকটা যৌক্তিকতা রয়েছে।
একজন ডানহাতি ব্যাক্তি চাইলেই বামহাতে পানি পান, আহার, করতে পারে। উভয় হাতেও পারে।
একজন বামহাতি ব্যাক্তিও অবশ্যই তা পারবে। হয়তো একটু uneasy লগাবে তবে সে পারবে। আর অভ্যাস করলে তো পারবেই। সাধারণ কয়েকটা বিষয় যেমন: আহার করা, পানি পান করা।
এই সাধারণ কাজগুলি বামহাতিরা চাইলেই করতে পারবে। অনেকের জন্য হয়তো একটু কষ্টসাধ্য হতে পারে আর এর কারণে সে পাবে আরও বেশি নেকি উত্তম পুরুষ্কার।
কারণ তার অপরাগতা থাকা সত্ত্বেও সে চেষ্টা করেছে। তাই চেষ্টা করতে হবে। বামহাতি হলেই যে খাওয়া, পান করা কিছুই ডানহাতে সম্ভব না তা নয়। আমরা অনেকেই ডান-বাম দিয়ে রেস্টুরেন্টে খাই, এক দিকে থাকে knife আরেক দিকে fork তাই চেষ্টা করলে ডানহাতিও পারে বামহাতে পান করতে আবার বামহাতিও পারে।
যদি অক্ষম হয় তবে অবশ্যই আল্লাহ মাফ করবে, আর তার এই কসরতের জন্য সে অবশ্যই পুরুস্কার প্রাপ্ত হবে। এটাও তার জন্য একটা পরীক্ষা হিসেবে কাজ করবে।
পয়েন্ট ৩: বামহাত ব্যবহার করলে কেউ যে জাহান্নামে চলে যাবে তা নয়। এটা সুন্নাহ আর আমাদের অবশ্যই এটা মেনে চলা উচিত। ডানহাতি হোন বা বামহাতি, ডান ব্যবহার করুন। যতটুক পারাযায়, সাধারণ বিষয়গুলি সবাই করতে পারে।
এবার আসি শয়তান নিয়ে, কুরআনে অপচয়কারীকে শয়তানের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এখন কারও যদি হাত থেকে খাবার পরে যায় তাহলে কি সে অপচয়কারীর কাতারে পড়বে? উত্তর হলো না। তাই কেউ ইচ্ছাকৃত অপচয় করছে আর কারও অনিচ্ছাকৃত পড়ে গিয়েছে।
তাই কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে বাম হাত ব্যবহার করলে সেটা অপছন্দনীয়। যা আমরা ডানহাতিরা করে থাকি। ডানহাত ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া সত্বেও বাম ব্যবহার করা শয়তানের কাজ বলা যায়। কিন্তু অপরাগতা হলো অন্য বিষয়।
আর যারা বামহাতি তার অপরাগতার লেভেল অনুযায়ী তা হবে।
যেমন,,
Level 1 বামহাতি অভ্যাস পরিবর্তন করে দেখবে, যদি সে অভ্যাস পরিবর্তন করে সফল হয় তাহলে সে অবশ্যই আখিরাতে সম্মানিত হবে কারণ সে রাসুল (ﷺ) এর আদেশ মানতে নিজেকে পরিবর্তন করেছে।
Level 2 সে যদি মোটেও না পারে তাহলে চেষ্টা করতে হবে যতটুক পারা যায়। যেমন ডান হাতে খাওয়া, পান করা ইত্যাদি।
Level 3 তার জন্য যদি অসম্ভব হয়! কিন্তু বাস্তবতায় এটি কখনোই পুরোপুরি অসম্ভব না। অনেক কাজ ডান দিয়েও করতে পারবে। অনেক কাজে ঝামেলা লাগবে, বিশেষ করে ক্রিটিক্যাল কাজগুলোতে।
আরেকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, যে ইসলাম অনুসারে কারও উপরই তার সাধ্যের বাহিরে কিছু চাপানো হয় না। অনেক ব্যক্তির দুই হাত প্যারালাইসিস বা দুই হাত নেই। সে হয়তো তার পা দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে। তাহলে কি হবে???
সে কি গুনাহগার হবে? নাহ কারণ সে অক্ষম। অপরদিকে বামহাতি হওয়াটা এতটাই চরম অক্ষমতা নয়। চরম অক্ষমতা হলে অবশ্যই আল্লাহ মাফ করবেন আর এটা জাহান্নামের কারণও না এটা সুন্নাহ। আর এটি চরম অক্ষমতা না আমরা চাইলেই অনেক কাজ যেমন বামহাতে পারি ডানহাতি হয়ে। ঠিক এভাবেই ডানহাতে পারবো বামহাতি হয়ে।
আমাদের অপরাগতা অবশ্যই আল্লাহ বুঝেন। আর এটা বড়গুনাহের কাতারেও পড়ে না।
আর, আল্লাহই ভালো জানেন।
দাবী: ৯
"মরুভূমিতে বসবাসকারী একজন মানুষের পক্ষে সাড়ে ১৪ শত বছর আগে আসলে জানা সম্ভব ছিল না যে, বামহাতে কাজ করা কোন অশুভ বা খারাপ কাজ নয়। এরকম অবৈজ্ঞানিক এবং ভুল ধ্যান ধারণা এমনকি এই সময়েও আমাদের সমাজের মধ্যে কিছু মানুষের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। কিছু মানুষের কাজের ক্ষেত্রে যেমন ডান হাত অগ্রাধিকার পায়, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে আবার বাম হাত অগ্রাধিকার পায়। দুটোই খুবই স্বাভাবিক বিষয়। সমস্যা হচ্ছে, ইসলাম ধর্মের বিধান অনুসারে, নবী যা বুঝেছেন, নবী যা বলেছেন, যা নির্দেশ দিয়েছে, সেগুলো অপরিবর্তনীয়। আধুনিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সাথে তা না মিললে সেগুলো বদলে ফেলার কোন উপায় নে। সেটিকেই কেয়ামত পর্যন্ত নৈতিকতা এবং জীবন পরিচালনার একমাত্র উৎস হিসেবে গ্রহণ করতে ইসলাম বাধ্য করে। যার ফলে বহু শিশু সেই ছোটবেলা থেকেই বঞ্চনার শিকার হয়, তাদেরকে বাধ্য হতে হয় উল্টো হাতে কাজ করতে। এর প্রভাব পড়ে তার ব্যক্তিত্ত্বে, তার মেধায়, তার কাজে। ভেতরে ভেতরে সে ঠিকই বুঝতে পারে, সে কেমন।আসুন, আমরা পৌরানিক রূপকথা, সেই সাড়ে ১৪ শত বছর আগের মূর্খ কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষদের তৈরি কুসংস্কারের শেকল ভেঙ্গে নতুন ভাবে, যুক্তি তথ্য প্রমাণ দিয়ে, বৈজ্ঞানিক গবেষণা দিয়ে আমাদের শিশুদের বড় করে তুলি। যেখানে ডানহাতি আর বামহাতি, সকল শিশুই সমানভাবে আদর ভালবাসা এবং সম্মান নিয়ে বড় হয়ে উঠতে পারবে।"
খণ্ডনঃ
১) বামহাতি নিয়ে নেতিবাচক কথা ইসলামে না বরং এসব নাস্তিকদের গড কান্ট্রি থেকে অনান্য মতবাদেও আছে। শুধু ১৪০০ বছর আগে-আগে বলে লাভ নাই।
২) এবার আসুন একটু ভিন্ন ভাবে দেখি, নাস্তিকরা বলছে রাসুল (ﷺ) এর এসব কথায় নাকি আজ জোরজবরদস্তি করে ডানহাত ব্যবহার করতে বলা হয়। এ কথা যে মিথ্যা তা ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি।
এবার গোলটেবিল একটু ঘুরিয়ে দেই,,
লাস্ট পয়েন্ট: রাসুল (ﷺ) যে ডানহাত ব্যবহারে উৎসাহ দিয়েছেন এবং বামহাত ব্যবহারকে নিষেধ করেছেন, এর মধ্যেই আছে কল্যাণ।
এজন্যে আসুন আমরা প্রথমে ভুলে যাই রাসুল (ﷺ) যে আমাদেরকে ডান হাত ব্যবহার করতে বলছেন আর বাম হাত ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
এই বর্তমান পৃথিবীর দিকে তাকাই, পৃথিবীর প্রায় সবাই হলো ডানহাতি। হাতেগোনা কিছুসংখ্যক মানুষ বামহাতি। ইসলামের কথা বাদ দিয়েই একটু দেখুন।
পৃথিবীতে ডানহাতি হওয়াটাই সবচেয়ে কমন বিষয়। আর এজন্য বর্তমান পৃথিবীর সকল যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে আধুনিক আসবাবপত্র সবই ডানহাতিদের উপযোগী করে তৈরি করা। অর্থাৎ সকল জিনিসের যে ডিজাইন সেই ডিজাইন ডানহাতিদের জন্যই ব্যবহার উপযোগী। বামহাতিরা সহজে এসব ব্যবহার করতে পারবে না।
এই বর্তমান পৃথিবীতে সকল কিছুই ডানহাতি দের আদলে এমনকি গাড়ি চালাতেও ডানহাতিরা সুবিধা পায়। কিন্তু যারা বামহাতি তারা গাড়ি চালাতেও সুবিধা পায় না।
এবার একটা টুইস্ট দেখেন,, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে কিন্তু বর্তমানের মত গাড়ি ছিলো না। কিন্তু আজ আছে আর এসব সবই ডানহাতিদের জন্যই বেশি উপযোগী হিসেবে তৈরি।
এইযে ডানহাতিদের জন্য উপযোগী করে তৈরি হয়েছে সবকিছু এসব কি "রাসুল (ﷺ)" এর হাদিসের কারণে করেছে? উত্তর হলো না!
এবার যদি দেখেন বামহাতিরা কতটা ঝুঁকিতে,,,
One of the most widely quoted statistics about left-handed people is that they die, on average, nine years earlier than their right handed peers, a “discovery” published in two reputable science journals in the late 1980s and early 1990s by American psychologists Diane Halpern and Stanley Coren.3The scientists, seeking to answer the question of whether lefties die earlier, reviewed roughly 1,000 deaths in Southern California and asked family members whether the deceased was right- or left-handed. They found left handers had died at an average age of 66, while righties died at an average of 75.They also found that left-handers were more than five times as likely to die in industrial and auto accidents—perhaps, they offered, because it is harder for them survive in a right-handed world. [৩ নং]
অর্থাৎ গবেষণায় দেখা গেছে বামহাতিরা গড়ে ৬৬ বছর বাঁচে আর ডানহাতিরা ৭৫ বছরে। আর বামহাতিরা মারা যায় শিল্পকারখানা, গাড়ি এক্সিডেন্ট এর কারণে। কারণ এসব ডিজাইন করা হয়েছে ডানহাতিদের উপযোগী হিসেবে।
নাস্তিকদের উচিত পুরো বিশ্বকে এবার দোষ দেয়া এবং বামহাতি উপযোগী শিল্প/গাড়ি বানানো।
এসব না বানিয়ে ইসলামের কটুক্তি করছে, বামহাতিদের উপকার তো করছে না উল্টো ইসলাম নিয়ে ফালতু বকছে!
এখন কি বলবে নাস্তিকরা পৃথিবীর সকল শিল্প, গাড়ি রাসুল (ﷺ) এর হাদিসের জন্য হয়েছে???
হাদিসের যৌক্তিকতা
আমরা দেখলাম এই পৃথিবীতে বামহাতিরা ঝুঁকিতে আছে। সকল জিনিসপত্র যন্ত্রপাতি, শিল্প থেকে গাড়ি সবই ডানহাতিদের জন্য। এমনকি বামহাতিরা দূর্ঘটনায় মারা যায় কারণ এই ডানহাতি প্রযুক্তির দুনিয়ার জন্য।
এবার ভাবুন, রাসুল (ﷺ) এর কথাটি কতটা ইফেক্টিভ আলহামদুলিল্লাহ।
বামহাতি থেকে ডানহাতি হলে আপনার মেধায় তারতম্য হবে না। যদি কিছুটা হয়েও থাকে (যদিও হয় না) তার পরেও আপনি ঝূঁকি থেকে বেঁচে যাচ্ছেন।
আর অভ্যাসের মাধ্যমে ডানহাতি হওয়া সম্ভব। আর সম্ভব না হলেও কমপক্ষে যদি আপনি রাসুল (ﷺ) এর হাদিস অনুসরণ করে ডান ব্যবহার শুরু করেন তাহলে আপনি হবেন ঝুঁকিমুক্ত।
আপনি যখন ডানহাতি হওয়ার চেষ্টা করবেন তখন ডানহাতিদের উপযোগী প্রযুক্তি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ আগের তুলনায় অনেকটা সুবিধা হবে প্রযুক্তি ব্যবহারে। এতে আপনি বিভিন্ন কাজও করতে পারবেন আবার গাড়িও চালাতে পারবেন ভালোভাবে। এই ডানহাতি বিশ্বের ডানহাতি প্রযুক্তি ব্যবহার করা সহজ হবে যদি আপনি ডানহাতি হওয়ার চেষ্টা করেন।
আলহামদুলিল্লাহ, ১৪০০ বছর আগে রাসুল (ﷺ) যে আমাদেরকে ডানহাত ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছেন এবং বামহাত ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন এটি আজও ইফেক্টিভ, উপকারী।
আপনি যদি হাদিস অনুসরণ করে ডানহাত ব্যবহার করা শুরু করেন তাহলে পাবেন অনেক বেনিফিট,,
১) অভ্যাসের মাধ্যমে ডানহাতি হতে পারবেন, অথবা অনেক কাজকেই আপনি ডানহাতে করতে পারবেন। অনেকেই শুধু ডানহাতে লেখা প্রেক্টিস করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
২) ডানহাতি হওয়ার চেষ্টা করলে বিভিন্ন মানসিক সমস্যাও দূর। নিজেকে আর অন্যদের থেকে আলদা কেউ এমন মনে হবে না।
৩) ডানহাতে অনেক কাজ করতে পারলে আপনি বেঁচে যাবেন অনেক ঝুঁকি থেকে। পৃথিবীর প্রযুক্তির সবই ডানহাতিদের জন্য উপযোগী। আপনি যদি ডানহাত ব্যবহার করেন তাহলে ডানহাতি প্রযুক্তি ব্যবহার হবে অনেকটাই সহজ যার ফলস্বরূপ আপনি মৃত্যুর ঝুঁকি থেকেও অনেক হারে বেঁচে যাবেন। তাই ডানচর্চা অবশ্যই বর্তমান বিশ্বেও উপকারী হবে।
সুতরাং বর্তমান বিশ্বেও আপনাকে ডানহাত চর্চা করতে হবে এবং এতেই কল্যাণ নিহিত আছে। অবশেষে এটা বুঝা সহজ হয়ে গেলো যে রাসুল (ﷺ) এর আদেশ এই যুগেও উপকারী। ডানহাত চর্চা করা আপনার অপকার আনবে না। মেধার সাথে বামহাতি থেকে ডানহাতি হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই। কিছুটা সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে ডানহাত ব্যবহার সহজ হবে আর এতে উপকার মিলবে, বর্তমান প্রযুক্তির দুনিয়ার ব্যবহার সহজ হবে। মৃত্যু ঝুঁকি থেকেও বাঁচবেন।
তাই আসুন ডানহাত চর্চা করি। যারা করতে পারেন। যাদের জন্য পুরাই অসম্ভব তাদের আর কি করার, চেষ্টা চালিয়ে যান।
বামহাত ব্যবহার ও আলেমদের মতামত
প্রথমত বামহাত ব্যবহার করা কখনোই অনেক বড় খারাপ কাজ না। ইসলামে খাওয়া এবং পান করার ক্ষেত্রে ডানহাতের কথা বলেছে আর বলেছে বামহাতে শয়তানরা খায়। একজন বামহাতি ব্যাক্তি চাইলেই ডানহাতে পানি পান, খাওয়া দাওয়া করতে পারবে।
আর অনেক ইসলামিক স্কলারদের মতে শুধু পান ও খাওয়ার ক্ষেত্রে ডানহাত ব্যবহার করতে হবে। তবে অন্যান্য সকল কাজ এমনকি “কুরবানী” পর্যন্ত বামহাতে করা যাবে।
হাদিসে শুধু পানাহার আর খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বেশি আর শয়তানের উল্লেখ এসেছে।
ইসলামিক স্কলারদের কিছু অভিমত ও ফতোয়া,,,
১) Islam qa এর ফতোয়া,,,
“This applies if one is able to eat with the right hand. But if one is unable to do so, there is no sin in that. Al-Nawawi said in Sharh Muslim (13/191): The objection to eating and drinking with the left hand applies so long as there is no excuse. If there is an excuse which prevents one from eating and drinking with the right hand because of sickness, injury etc, then it is not makrooh. End quote.”
অর্থাৎ অপরাগতা, ওজর থাকলে বামহাত ব্যবহার মাকরুহ হবে না। [6]
২) ইমাম নববী (রহঃ),,
Some people may have a real problem that prevents them from using their right hand, such as being paralyzed and so on. In this case they are excused and there is no blame on them. An-Nawawi (may Allah have mercy on him) said: If he has an excuse for not eating and drinking with his right hand, such as sickness or an injury, then this is not disliked. [7]
২) শায়েখ মতিউর রহমান মাদানী,,
অনান্য কাজ বামহাতে করা যাবে। কুরবানীও করা যাবে তবে খাবার খাওয়া, আহার করার সময় ডানহাত ব্যবহার না করলে গুনাহ হবে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই খাওয়া দাওয়া ছাড়া বাম হাত ব্যবহার করা জায়েজ।
কুরবানী করা যা এ নিয়ে আরেকটি ফতোয়া। [8]
৩) শায়েখ আহমাদুল্লাহ,,
বামহাতী হওয়ায় বাম হাতে আগে চলে গেলে গুনাহ হবে না কারণ এটা তাদের অপরাগতা। যেখানে সুযোগ পাবে সেখানে ডানহাত ব্যবহারে চেষ্টা করবে এতে সে সওয়াব পাবে। যেহেতু তিনি ওযর না থাকলে ডানহাত ব্যবহার করতো, এই নিয়তের জন্যেও সে সওয়াব পাবে। তাই গুনাহ হবে না কারণ এটা অপরাগতা, সীমাবদ্ধতা। আর এটা গুনাহ হওয়ার মত বিষয় না, উল্টো সওয়াব হবে তার ইচ্ছা ও চেষ্টার জন্য। এটা উত্তম অনুত্তম এর ব্যপার। আর অপরাগতার কারণে সেটাও মাফ।
৪) Shaykh Ibn ‘Uthaymeen (may Allah have mercy on him),,,
He replied: Whatever the case, this depends on the intention of the one who says it. If he says: “ Your left hand is like your right,” meaning that it is used instead of the right hand when he is not able to use it, in that case there is nothing wrong with it and I do not think that anyone intends to liken any created being to the Creator in this regard. As for the saying “The left hand does not hate you,” I do not know what it means. [9]
৫) মুফতি তারিক মাসুদ,,
ডান হাত ব্যবহার করুন, অপরাগতা হলে ভিন্ন বিষয়।
৬) মুফতি মুহাম্মদ আকমাল,,,
সকল কাজেই ডানহাত ব্যবহার উত্তম, তবে হাদিস অনুসারে বিশেষ করে খাওয়া-পান করার ক্ষেত্রে ডান হাত ব্যবহার করার তাগাদা বেশি দেয়া হয়েছে। তাই অন্য কাজ না পারলেও সমস্যা নেই বামহাত দিয়ে করলেও হবে তবে খাওয়া পান করার ক্ষেত্রে ডানহাত ব্যবহার করার তাগাদা বেশি। তবে অপরাগতা হলে ভিন্ন বিষয়, এমন যদি হয় একদম সম্ভব ই বা ডানহাতে খাওয়া তাহলে এটি অপরাগতা কোন সমস্যা হবে না।
ভিডিওটি দেখুন,,
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
(الله أعلم)
Footnote
[1] Hendedness
[2] Why are some people left-handed? An evolutionary perspective
[3] Lefties: Fact vs. fiction https://blog.massmutual.com/about-massmutual/left-handers-day
[4] Left-Handers Day: Amazing facts about lefties
Christianity is strongly based towards the right hand. It is the right had that gives the blessing and make the sign of the cross.
On one count, the bible contains over 100 favourable reference to the right-hand and 25 unfavourable references to the left-hand. E.g.: The right hand of the lord doeth valiantly, the right hand of the lord is exalted (Psalm 118 vv15,16)
The left hand does worst in the parable of the sheep and goats. The sheep are set on Christ’s right hand and the goats on the left. Those on the right inherit the kingdom of god while those on the left depart into everlasting fire (to quote Matthew 25: verse 41: Then he will say unto those on the left hand, ‘Depart from me, you cursed, into the eternal fire prepared for the devil and his angels.â€)
The situation is much the same in Judaism and Islam. In Islam, the left hand and everything associated with it is seen as unclean. This stems from the Middle Eastern custom of using the left-hand and water instead of toilet paper and, more recently, of using the left handed to hold toilet paper for the same function. This is the origin of the term “cack-handed“
[6] Islamqa answer
[7] An-Nawawi (may Allah have mercy on him) said
[8] Shaykh Ibn ‘Uthaymeen
[9] islamqa
0 Comments