শয়তানের বাঁশি ঘন্টা! কুরআন কি শয়তানের বাণী?


মুহাম্মদ আলী সিরিজ - ২৮
বিষয়ঃ শয়তানের বাঁশি ঘন্টা (ওহী কি স্যাটানিক? ) 
🖋Author:- Aminur Rashid

☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳




আজকে কিন্তু আবহাওয়া টা অনেক ভালো। হুম তা সইত্য, আজকে মনটাও ভালো আছে। হ্যা.. 

বলতো কোথায় যাওয়া যায়? কোথায় যাবি? লাইব্রেরীতে নাকি অন্য কোথাও? চল আগে লাইব্রেরিতেই যাই। 

মুহাম্মদ আলীঃ হুমম যাওয়া যায়।

মিনারঃ তাহলে চল যাই। 

- ওই দেখ, একজন মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের এদিকেই আসছে। 

- হুম তাইতো। 

[ বাইক থেকে নেমে বাইকের ছেলেটা বলতে লাগলো ]

হামজাঃ আমার নাম হামজা। আসুন আমার বাইকেই বসুন কোথায় যাবেন আপনাদের পৌছে দিয়ে আসি। 

মুহাম্মদ আলীঃ শুকরিয়া ভাই। লাগবে না, হেঁটেই চলে যাবো। 

হামজাঃ আসেন ভাই। আমি আপনাদের প্রায় সময়ই দেখি। 

মুহাম্মদ আলীঃ ওহো, তাই। ভালোই

হামজাঃ আসুন কোথায় যাবেন? লাইব্রেরীতে? 

মিনারঃ আপনি জানলেন কিভাবে? 

হামজাঃ আপনাদেরকে এ সময়ে লাইব্রেরীতে অনেক দেখেছি। এই জন্য আরকি। 

মিনারঃ আচ্ছা। আসেন। 

মুহাম্মদ আলীঃ হুম যাওয়া যায়। 

[ লাইব্রেরী কয়েক মিনিটের রাস্তা। তিন জন ছুটছে লাইব্রেরির উদ্দেশ্যে। হঠাৎ কাবাবে হাড্ডি এসে হাজির। ]

কবাবে হাড্ডি আর কেউ নয় পুলিশ মামা। 

পুলিশঃ এই লাইসেন্স দেহান তো। 

হামজাঃ আরেহ ভাই। আমি তো চালাইতে পারি লাইন্স তো প্রয়োজন নাই। 

মুহাম্মদ আলীঃ (মনে মনে) এইসব কি ভাই। 

পুলিশঃ কিহ? এইডা কোন কথা হইলো? রাস্তা দিয়া যাইতাছেন হুরহুর কইরা আর লাইচেন্স নাই? আর আপনারা কারা? লাইসেন্স ছাড়া বাইক চালানো ওয়ালার বাইকে চড়তেছেন। 

হামজাঃ উনারা আমার জাতভাই। 

পুলিশঃ কি জাতভাইরা, লাইচেন্স থুক্কু, লাইসেন্স ছাড়া বাইকে চড়েন ৩ জন মিললা। এইবার দেন জরিমানা। 

মিনারঃ (মনে মনে) এ কেমন ঝামেলায় পড়লাম। আর পুলিশ এর কথার ভঙ্গি এমন কেন। 

হামজাঃ আসলে ভাই আমার কাছে তো এক আনাও নাই এখন। আসলে এই বাইক আমার এক বড় ভাইয়ের। 

মুহাম্মদ আলীঃ আচ্ছা আমি দিচ্ছি। আসলে উনি বুঝেন নাই যে উনাকে রাস্তায় আপনারা ধরবেন আরকি। 

[ পুলিশের সাথে মিট মাট হলো। হামজাও মুহাম্মদ আলী আর মিনারকে লাইব্রেরির সামনে রেখে চলে গেলো ]

মিনারঃ এটা কি ছিলো ভাই

মুহাম্মদ আলীঃ কি আর। 

মিনারঃ মজা পাইলাম। যদিও তর টাকা গেছে। 

মুহাম্মদ আলীঃ যাক তেমন কিছু না। বেচারা বিপদে পড়েছে। 

মিনারঃ হুম লাইসেন্স নাই। 

মুহাম্মদ আলীঃ চল লাইব্রেরি তে ঢুকে পরি। 

[ মুহাম্মদ আলী ইতিহাস এর একটি বই আর মিনার সীরাহ গ্রন্থ নিয়ে পড়তে লাগলো ]

প্রায় দেড় ঘন্টা পর। হঠাৎ পিছনে আসিফ। 

আসিফঃ কি খবর তোদের। 

মুহাম্মদ আলীঃ জ্বী ভালোই আলহামদুলিল্লাহ। আপনার? 

আসিফঃ আমার আর ভালো। মন মেজাজ ভালো নেই। 

মুহাম্মদ আলীঃ কেন? 

আসিফঃ ওইযে ঘুমাই ছিলাম। গাড়ির হনের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে চার টুকরো হয়ে গেলো। 

মুহাম্মদ আলীঃ হা হা এইটা কোন কথা। 

মিনারঃ এই কথা শুইনা শব্দদূষণ কবিতার কথা মনে পড়লো।

আসিফঃ আমার সাথে রসিকতা হচ্ছে? 

মিনারঃ রসিকতার কি আছে। কবিতা  আর কি। 

আসিফঃ তোমাদের মশকরা কি আর আমি বুঝি না। 

মুহাম্মদ আলীঃ বাদ দেন। তো আসলেন হঠাৎ এই দিকে। 

আসিফঃ এমনেই আসলাম। আজকে বাইরেই নাস্তা করবো। তবে তোদের দুটোকে দেখলাম। তাই আরকি আসলাম ভিতরে। 

মুহাম্মদ আলীঃ ওহ, আমরাও চলে যাবো। 

মিনারঃ হুম। গোসল করে নামাজে যেতে হবে তার পর আবার আরও কিছু কাজ আছে। 

আসিফঃ নামাজ নামাজ করছিস কেনো? এইসব ভুয়া বিশ্বাস পরিত্যাগ কর। 

মিনারঃ আপনি যে বললেন এইসব ভুয়া বিশ্বাস , এই কথা কেনো বিশ্বাস করবো? 

আসিফঃ পেচাল করছিস। 

মিনারঃ নাহ। 

আসিফঃ কুরআন হচ্ছে শয়তানের বাণী। স্যাটানিক বাণী। তোরা তো আর বুঝবি না। 

মিনারঃ থামেন তো ভাই, বস্তা পঁচা সেই অভিযোগ আর করিয়েন না। যেটা সালমান রুশদি করেছিলো। লাত-ওযযা এসব নিয়েও করিয়েন না। এসব নিয়ে যত কথা আছে সবই বাতিল রেওয়াত। অন্য কিছু থাকলে বলেন। 

আসিফঃ শুন বলছি। স্যাটানিক শুরু থেকেই। 

মুহাম্মদ আলীঃ যেমন! 

আসিফঃ এই যে তোদের নবীর হাদিসেই এর প্রমাণ। ওহী নাজিলেই গলদ। 

মিনারঃ কি গলদ? 

[ আসিফ ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে কি একটা ওপেন করে বলতে লাগলো ]

আসিফঃ হাদিসেই আছে। বুখারির ৩২১৫,৪৮৬ হাদিসে বলা হয়েছে ওহী আসে ঘন্টার আওয়াজের মতন আর আবু দাউদের ২৫৫৬ নং হাদিসে বলা হয়েছে ঘন্টার আওয়াজ নাকি শয়তানের বাঁশি। তার মানে যত ওহী আসলো সবই শয়তানের বাঁশি। অর্থাৎ কুরআন শয়তানের বাণী! 

এক হাদিসে আছে "ঘন্টা হচ্ছে শয়তানের বাঁশি"

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হারিস ইবনু হিশাম (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনার প্রতি ওহী কিভাবে আসে? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কোন সময় তা ঘন্টাধ্বনির ন্যায় আমার নিকট আসে। (সহীহ বুখারী ২) 

আরেক হাদিসে এসেছে ওহী নাজিলের সময় ঘন্টাধ্বনির ন্যায় আসতো। 

ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘন্টা শয়তানের বাঁশি। (সহীহ মুসলিম ৫৩৬৬) 

আর জীব্রাইল কে দেখে ভয় পেয়েছে তোদের নবী আসলে সে যে শয়তান তারই প্রমাণ। 

মিনারঃ ওয়েট, জীব্রাইল কে ভয় পাবে না? উনি ফেরেশতা ছিলেন মানুষ নন তো ভয় পাবে না। আর জীব্রাইলকে সবাই ভয় পেয়েছে বাইবেলেও এমন বর্ণনা আছে। 

আর ঘন্টার টা মানে? 

আসিফঃ বুঝতে পারছিস না? 

মিনারঃ নাহ। 

আসিফঃ তারমানে দেখা যাচ্ছে, নবীর কাছে যখন ওহী আসতো, তখন ঘণ্টাধ্বনির শব্দ হতো। আবার ঘণ্টা হচ্ছে শয়তানের বাঁশি, এটাও নবীরই বক্তব্য। এখন তোরাই বল আসল সত্য কী!

এর মানেই শয়তানের বাণী ছিলো ওহীর মধ্যে। 

[ মুহাম্মদ আলী আর মিনার একদম হতভম্ব হয়ে গেলো। ]

আসিফঃ কিরে কিছু বলছিস না? 

মুহাম্মদ আলীঃ হতাশ আমি। 

মিনারঃ আমিও। 

আসিফঃ কিরে আবারো মশকরা করছিস। 

মিনারঃ এইসব শুনলে কি আর না হতাশ হয়ে পারা যায়? 

আসিফঃ কিসব? যাহ বলছি সত্যই। 

মুহাম্মদ আলীঃ ভাই যে অভিযোগ করলেন এটা ভাই ক্লাস ওয়ানের ছাত্রও বুঝে। আপনাদের মাথায় আসে না। কি শব্দের মিল রেখে প্রশ্ন করলেন জবাব নেই।

আসিফঃ মানে? 

মুহাম্মদ আলীঃ মানে টা অনেক সহজ। শুধুমাত্র কমন সেন্স থাকলেই বিষয়টা বুঝা যায়। আপনাদের বড়ই কমন সেন্স এর অভাব। 

প্রথম হাদিসের কথাটা বলি,, 

ঘন্টা বা ঘুঙুর শয়তানের বাঁশি বা যন্ত্র এই হাদিসের পূর্বের হাদিসে বলা হয়েছে,, 

ফেরেস্তাগণ সে সফরকারী কাফেলার সাথে অবস্থান করে না। যাতে কোন কুকুর বা ঘন্টা থাকে। 

এই যে ঘন্টা এইটাকে শয়তানের বাঁশি বলার কারণ আগে বুঝতে হবে এটা সবাই বুঝে যাদের কমন সেন্স আছে বা ইসলামের বেসিক জানে। 

আসিফঃ যেমন। 

মুহাম্মদ আলীঃ এসব শয়তানের বাঁশি কারণ এসব হারাম। এমনকি আজকের বাদ্যযন্ত্র, ঢোল তবলা হারমনিয়াম সবই শয়তানের বাঁশি বা বাদ্যযন্ত্র যাই বলুন। 

এই সব যন্ত্র ইসলামে হারাম এটা সবাই জানে এই কারণেই বলা হয়ে এসব শয়তানের যন্ত্রপাতি। 

এইযে ঘন্টা, ঘন্টা অমুসলিমরা তাদের মূর্তি পূজা ক্রুশ পূজার সময় ব্যবহার করে। ইসলাম এর বিপরীত। 

সুতরাং এক কথায়, ঘন্টা, বাদ্যযন্ত্র যা সবই শয়তানের বাঁশি। 

যেমন সূরা বণি ইসরাইলে ২৬-২৭ আয়াতে বলা হয়েছে, 

অপচয়কারী শয়তানের ভাই। এর মানে এই না যে আপনি অপচয় করলেন তার মানে আপনি আর মানুষ না আপনি জ্বীন হয়ে গেছেন ইবলিশ শয়তান জ্বীন। 

আসলে এর মানে হলো ইসলামে যেটা নিষিদ্ধ সেটাই শয়তান কাজ। কারণ শয়তান ইসলামের বিরুদ্ধে। আর আপনি ইসলামের বিরুদ্ধে যে কোন কাজ করুন সেটাও শয়তানেরি কাজ। 

[ আসিফ চুপচাপ শুনছে ]

মুহাম্মদ আলীঃ ঠিক একই ভাবে গান বাজনা বাদ্যযন্ত্র সব ইসলামে নিষিদ্ধ আর এই গান বাজনা শুনা বাদ্যযন্ত্র বাজানো সবই শয়তানের কাজ শয়তানের যন্ত্র 

বা শয়তানের বাঁশি। 

এর পরের হাদিসে যে বলা হয়েছে যে ঘন্টাধ্বনির ন্যায় ওহী এসেছে। আরেহ ভাই মাথায় কি একটু জ্ঞান নেই? আসলে জ্ঞানের তো প্রয়োজন নেই। শুধু কমন সেন্স থাকলেই হয়। 

রাসুলকে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো ওহী কিভাবে আসে তখন তিনি বললেন কোন কোন সময় ঘন্টাধ্বনির মত আসে। 

এইটাও বুঝতে পারেন না? 

ওহী আসার সময় আধ্যাত্মিক আওয়াজ আসে। এখন সেই আধ্যাত্মিক আওয়াজ কেমন সেটা তো তুলনা করেই বুঝাতে হবে তাই না? 

যে আমি আকাশ থেকে একটা আওয়াজ পেয়েছি। 
আওয়াজটা কেমন? 
আমি জানি না! তবে ঘন্টার আওয়াজের মত। 

আধ্যাত্মিক আওয়াজ টা ঘন্টার আওয়াজ না বরং আল্লাহর নবী বলেছেন। আওয়াজটা ঘন্টার আওয়াজের মত আরকি।

এখানে এটা বুঝায় নি যে ওহীর সময় এক হাতে ঘন্টা নিয়ে টং টং করে বাজিয়ে বাজিয়ে ওহী আনা হয়েছে। 

বরং বলা হইছে যে এমন আওয়াজ যেটাকে ঘন্টাধ্বনির আওয়াজের সাথে তুলনা করা যায়। মানে ঘন্টাধ্বনির মত। 

এই সামান্য বিষয় আপনাদের বুঝে আসে না? 

[ আসিফ নিশ্চুপ ]

মুহাম্মদ আলীঃ আর ঘন্টা শয়তানের বাঁশি বলতে দুনিয়াবী ঘন্টাকে বলা হয়েছে। জিব্রাইল (আঃ) এর আধ্যাত্মিক শব্দ যা ঘণ্টার মত হয়তো বাট দুনিয়ার ঘন্টা না। আওয়াজের মত আর বস্তু এক নয়। কমলালেবুর মত পৃথিবীর আকার, কিন্তু পৃথিবী কমলালেবু নয়। 

সুতরাং এসব সবই কমসেন্স ও ইসলামিক নূন্যতম জ্ঞানের অভাব। 

এমন অনেক কথাই বলা যায়। 

و " المعازف " هي خمر النفوس تفعل بالنفوس أعظم مما تفعل حميا الكؤوس فإذا سكروا بالأصوات حل فيهم الشرك ومالوا إلى الفواحش وإلى الظلم فيشركون ويقتلون النفس التي حرم الله ويزنون.

আর সঙ্গীত গানবাজনা হল অন্তরের মদ যা গরম মদের পাত্রের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। আর যদি তারা গানের শব্দে মদ্যপান করে, তাহলে শিরক তাদের মধ্যে ডুবে যাবে এবং তারা জঘণ্য কাজ ও অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়বে, তাই তারা সেই আত্মাকে হত্যা করবে যে কাজ আল্লাহ হারাম করেছেন এবং ব্যভিচার করবে। [ ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহঃ) / মাজ'মুউল ফাতাওয়া 10/417 ]

তাইমিয়্যাহর এই কথা নিয়ে যদি এবার বলা হয় সঙ্গীত = বস্তুবাদী জীবনের মদ তাহলে কেমন দেখায়? 

ইবনুল কাইয়্যুম (রহঃ) বলেছেন, 

বাঁশি হলো শয়তানের মুয়াজ্জিন, গান হলো তার কুরআন, নাচ-হাততালি হলো তার সালাত……।

 

এর মানে কি?? এখন কি বলা হবে??? যে শয়তানের কুরআন আছে? মুয়াজ্জিন আছে? সে সালাত পড়ে? 

এসব অভিযোগ করা হয় কিভাবে আমি আসলেই বুঝতে পারি না। ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অভিযোগর মূল ডাল এমনই ঠুনকো! 

[ নিরবতা ]

মুহাম্মদ আলীঃ ওহী আসার সময় ঘন্টার তো কোন অস্তিত্বই ছিলো না। 

যে আওয়াজ এসেছিলো সেটা ঘন্টার আওয়াজের মত ছিলো। তবে ওহী টা সেই কুরআনই। 

আর শয়তান কি ঘন্টা বাজায় নাকি? যে ঘন্টা বাজিয়ে বাজিয়ে তার নিজের বাণী আনবে? বাজায়??? 

আসিফঃ ইয়ে মানে না। 

মুহাম্মদ আলীঃ ওহীর হাদিসে ঘন্টার কোন অস্তিত্বই নেই। শুধু বলা হয়েছে ওহীর সময় আওয়াজ আছে সেই আওয়াজ তো আর ব্যাখ্যা করা যায় না তাই বলেছেন যে ঘন্টার আওয়াজ এর মতন। 

ধরেন আমি বললাম একটা আওয়াজ পেয়েছি। কিসের আওয়াজ সেটা আমি বুঝতে পারি নি। তখন আমি বললাম আওয়াজটা কোন প্রাণির আওয়াজের মত। 

ওহীর আধ্যাত্মিক আওয়াজ কেমন তা তো আর বুঝানো যায় না। তাই ঘন্টার আওয়াজের মত লেগেছে এটাই বলা হয়েছে। এর মানে এই না যে শয়তানের বাণী। 

ঘন্টা শয়তানের বাঁশি একমাত্র এই জন্য বুঝানো হয়েছে যে ইসলামে এটা নিষিদ্ধ তাই। 

আর কিসের সাথে কি মিলালেন। মনে হচ্ছে হাদিসে বলা হয়েছে শয়তান ঘন্টার মাধ্যমে বাণী দেয়। হাস্যকর.. 

আসিফঃ আমি যাই তোরা থাক। আমার আবার তাড়া আছে। 

মুহাম্মদ আলীঃ তো হাদিস থেকে যা বুঝলাম,,, 

১) ঘন্টা, বাদ্যযন্ত্র, সেটা হোক হারমনিয়াম হোক তবলা ঢোল, এইসব শয়তানের বাঁশি বা যন্ত্র

২) ওহীর সময় যে আধ্যাত্মিক আওয়াজ এসেছে সেটা ঘন্টার আওয়াজের মতন। কোন ঘন্টা বাজিয়ে বাজিয়ে আনা হয় নি। 

৩) শয়তানের কোন শাস্ত্রে নেই যে শয়তান তার বাণী ঘন্টার আওয়াজের সাথে প্রচার করে। 

৪) কুকুর আর ঘন্টা থাকলে সেই সফরে ফেরেস্তারা অবস্থান করে না। অপরদিকে ওহীর সময় ওহীটা আনতোই এক ফেরেস্তা যার নাম জিব্রাইল (আঃ)। 

৫) শয়তান একটা গুণবাচক নাম। ইবলিশ ছিলো একটা জ্বীন সে ইসলামের নিয়মকে আল্লাহর কথাকে অমান্য করেছে অর্থাৎ সে শয়তানী করেছে। তাই ইবলিশকে শয়তান নামে বুঝানো হয়। ঠিক একই ভাবে গান বাজনা হারাম এটা আপনি করলে শয়তানী করছেন। ঠিক একই ভাবে ঘন্টা নুপুর তবলা ঢোল ইত্যাদি হারাম এই জন্য এসব শয়তান অর্থাৎ খারাপ দের কর্ম। বা খারাপ দের যন্ত্র বাঁশি। 

৬) অপচয় করলে যেমন বলা হয়েছে শয়তানের ভাই। অর্থাৎ সেই খারাপ গুণের অধিকারী ইবলিশের ভাই। তবে হ্যা, এখানে ভাই বলতে বুঝানো হয়েছে যে তুমি ইসলামের বিধান অমান্য করছো অর্থাৎ শয়তানের পথ অনুসরণ করছো শয়তানের ভাই এর মতন কাজ করছো। এর মানে এটা বুঝায় না যে কেউ অপচয় করলে সে ইবলিশের মত জ্বীন হয়ে যায়। 

৭) নাচ শয়তানের সলাত এর মানে যেমন এ নয় যে শয়তান সালাত পাঁচ ওয়াক্ত নেচে নেচে পরে ঠিক সবই সেইম। লেইম অভিযোগ শুধুই। 

ঠিক একই ভাবে ঘন্টা শয়তানের যন্ত্র। এটা দিয়ে এটা বুঝায় না যে ঘন্টা ইবলিশের পার্সোনাল কোন অস্ত্র বা শয়তান ঘন্টা বাজায়। বরং বুঝানো হয়ে যন্ত্র টা খারাপ , হারাম তাই এইটাকে শয়তানের যন্ত্র বা বাঁশি বলে হয়েছে। 

কমন সেন্স থাকলে এমন অভিযোগ করতেন না। 

মিনারঃ হুম ভাই। 

[ আসিফ চলে গেলো ]

মিনারঃ জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব কিন্তু জ্ঞানের অভাব। - সুদীপ্ত সরকার 

মুহাম্মদ আলীঃ হা হা। চল চলে যাই,,, 
হুম চল যে পথ দিয়ে হেটে আসলাম সে পথেই যাই। 

মিনারঃ হেঁটে আসলাম কই বাইকে আসলাম ভুলে গেলি। 

মুহাম্মদ আলীঃ হুম। 

মিনারঃ জানিস আসলে সবারই অভাব। 

মুহাম্মদ আলীঃ হঠাৎ অভাবের কথা বললি? কারণ কি?

মিনারঃ এই যে অভাব। কারও "লাই...সেন্স" এর অভাব কারো আবার "কমন...সেন্স" এর অভাব। 


এ বলে হাসলো দুজন। হাঁটতে লাগলো পথে যে যার গন্তব্যের দিকে.......... 



Post a Comment

0 Comments