কুরআন নয় বৈদিক ভ্রণবিদ্যা-ই সত্য!?

মুহাম্মদ আলী সিরিজ - ২৭
✒️Author:- Aminur Rashid
বিষয়:- বৈদিক ভ্রণবিদ্যা - TRUTH
☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳




বৃষ্টির ঝুম ঝুম শব্দ, শব্দের আওয়াজ ভেসে আসছে, আকাশে মেঘের ভিড়, ভিড়ের মেলায় সূর্য যেনো হারিয়ে গেছে, যেমনটা আমি হারিয়ে যাই মাঝে মধ্যে গভির চিন্তায়, ধীরে ধীরে আকাশ তার রঙ বদলাচ্ছে,

ওয়েট কলো রঙ আকাশে তাই অন্ধকার ঠিক আছে! তবে বাসায় কেন অন্ধকার? 

___ ___ ______ __

ওহ, লোডশেডিং! 

স্বাভাবিক, তেমন কিছু না। যাইহোক আবার তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে বৃষ্টি প্রচুর খুবই.. 

আর ভাবছি, এই লোডশেডিং একসময় কতই না ভালোবাসার মধ্যে ছিলো। সন্ধায় পড়া ফাঁকি দেয়ার আরেকটা কারণ ছিলো এই লোডশেডিং। সন্ধায় লুকোচুরিতে মেতে উঠে খেলেধুলা আর হৈ হুল্লোড় এর একটি সময় সীমা ছিলো এটি, মুরব্বী আর পাশের প্রতিবেশিদের কথা বার্তা জমতো বটে........ 

আসলেই তখনকার সময় অন্যরকম-ই ছিলো। শৈশবকাল আসলেই মধুর হয় ||

______ _____ ___

চলে আসলো বিদ্যুত;
তবে এখনও বৃষ্টি, ওহ ভুলেই গেলাম। দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়। 

বৃষ্টি তে দোয়া করতে ভুলে যাবেন না! 

________ _____ ___ _____

হুম ডান.. 

যাইহোক, পুরনো বইয়ের এক চিপায় আমার ছোট এক ডায়েরি। যে ডায়েরিতে আগে অনেক লিখতাম। তবে ইদানিং তেমন লেখা হয় না। 

ভাবলাম একটু ডায়রি টা খুলি, দেখি অতিতের কোন পুরনো কথা মনে আসে নাকি। 

_____ ______

ডায়েরির পাতা ২-৩ পেজ পাল্টাতে-ই,,, 
______ ____ ___________ _____ ___________

[ দৃশ্যপট ১ ]

৬/৯/২০২০

বৈদিক ভ্রুনতত্ব! - হাস্যকর অভিজ্ঞতা

"একটা ছেলের সাথে আজ বড়ই তর্ক হল বটে। তা একটু লেখিয়া রাখি! কারণ কখন তা ভুলিয়া যাই কে জানে। তাই কিছু ঘটনা লেখিয়া রাখি আরকি"

সেদিনকার ঘটনা,,, 

নিলয় নামক এক ছেলের সাথে আমার পরিচয় হয় হঠাৎ করেই। যখন সে জানলো আমি ইসলামিক মাইন্ডের এবং নাস্তিক্যবাদ এর বিরোধী। 

তখনই সে এসে আমার সাথে হঠাৎ নাস্তিকদের মতনই তর্ক শুরু করলো,,, 

নিলয়:- কেমন আছো? 

মুহাম্মদ আলী:- আলহামদুলিল্লাহ। তুমি? 

- এই তো ভালোই

- তা হঠাৎ!? 

- তুমি নাকি নানান জবাব দেও শুনলাম। কিন্তু তুমি কি এইটা জানো যে কুরআন নয় বেদই পরম বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ! 

- ওহ। 

- (মুহাম্মদ আলীর এমন তাচ্ছিল্য দেখে) কি কিছু বলবে না? 

- কি বলবো? আচ্ছা বেদে কি বিজ্ঞান আছে? 

- বেদ বৈজ্ঞানিক অনেক কথায় ভরা। 

- চমৎকার, ওয়েট তার আগে একটা কথা বলতে চাই তুমি কি আর্য অগ্নিপীরের মুরিদ?

- মুরিদ মানে? আমি অগ্নিপীরের ভক্ত। 

- ওহ, আসলে এই অগ্নিপীরেরা যখন কুরআনের অলৌকিকতা দেখলো, তখন তারা নানান ছলচাতুরি ভাবে নিজেদের গ্রন্থ কেও পরম বৈজ্ঞানিক দাবী করতে লাগলো। 
যার কারণে নাস্তিকদের অনেক ফায়দা হয়েছে বটে। ওরা এখন বলে সব ধর্মই তাদের ধর্মগ্রন্থ কে বৈজ্ঞানিক বলে। 

আসলে নাস্তিকরা তা জানে না যে দাবী করলেই সব মিথ্যা হয় না। সত্য আর মিথ্যা যাচাই করতে হয়। তবে তাদের এ বোধগম্য নেই। 

- কেনো? কুরআন নয় বেদই বৈজ্ঞানিক। তুমি মানো আর না মানো? অগ্নিপীরকে বলেছি ওদের বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে বই বানাতে। 

- বিতর্ক করতে চাচ্ছো দেখছি!? 

- হুম। 

- তাহলে তো একটু কষ্ট করে চায়ের দোকানে যেতে হয়। সেখানেই চা খেতে খেতে কথা বলবোনে। 

- আসো, 

[ অতঃপর ]

- হুম, বলো এইবার

- এই যে আমাদের বৈদিক ভ্রুণবিদ্যা। এ সম্পর্কে তুমি যানো?

- কুরআনের ভ্রুণবিদ্যা সম্পর্কে জানো? 

- হা হা হা, কুরআনের ভ্রুণবিদ্যা পুরাই ভোকাস। আমি নিজেই অনেক ব্লগ পড়েছি সবই তোমাদের মিথ্যাচার। 

- ওহো, তাই নাকি? আচ্ছা বলো শুনি তোমার বৈদিক ভ্রুণবিদ্যার কথা। 

নিলয়:- তোমাকে ২টি ছবি দেখাই,





এই দেখ, এই ছবিগুলো আধুনিক নয় বরং অন্তত ১০০০ বছরের প্রাচীন। 

এই খোদাই করা চিত্রগুলি তামিলনাড়ুর ভারমুর্তীশ্বর (Varamurtheeswarar) মন্দির,কালা ভৈরব মন্দির ও গর্ভরক্ষম্বিকা শ্রী মুল্লায়বান নাথার মন্দিরের দেয়াল থেকে প্রাপ্ত। মন্দিরের কিছু সূত্র বলে মন্দিরগুলো ৬০০০ বছরের পুরানো।তবে যুক্তিসঙ্গত সূত্র এই যে ৯৮৫-১০১৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে অর্থাৎ আজ হতে প্রায় ১০০০ বছর আগে রাজা কুঞ্জারা চোলানসহ চোলা রাজারা মন্দিরগুলো র্নির্মাণ করেছিলেন।

এই অভূতপূর্ব ছবিগুলোর খোদাই দেখে বিজ্ঞানমনস্ক মনমাত্রই অবাক হতে বাধ্য।কিভাবে এত বছর আগে প্রাচীন ভারতে ভিজুয়ালাইজেশন,ইমেজিং টেকনোলজি ছাড়াই (মাইক্রোস্কোপ,আল্ট্রাসাউন্ড ইত্যাদি) কিভাবে শুক্রাণুর সাথে ডিম্বাণুর ফিউশন(ফারটিলাইজেশন) এর মত আণুবীক্ষণিক প্রক্রিয়া বা মাতৃজঠরে শিশু কিভাবে থাকে তার অবস্থান সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা ছিল তা আশ্চর্যের বিষয় বটে।

মুহাম্মদ আলী:- তো? কোন এক মন্দিরে কি আছে তার সাথে তোমার ধর্মগ্রন্থ এর কি সম্পর্ক? আর মন্দির মানুষের বানানো সেখানে এসব মানুষ করতেই পারে। আর তার উপরে এদিকে বলছো ৬০০০ আবার পুরা ১০০০ এ নেমে গেলে। আরে এইসব ধারনা টারনা নিয়ে আদৌ তর্ক করা যৌক্তিক? 

নিলয়:- ইয়ে মানে।। 

মুহাম্মদ আলী:- আচ্ছা, এই যে মন্দির!? এই মন্দিরে কি ভ্রুণের প্রতিটি স্টেজ এর কথা বলা আছে? উত্তর হচ্ছে না। খালি শুক্রাণু টাইপ তাও বিকৃত। আর ভ্রুণবিদ্যার এসব বেসিক তো আর ১-২ বছর আগে না বরং অনেক আগেই এসেছে। ততক্ষণে সেখানে এই ছোট বিষয় খোদাই করাও তো যায় নিশ্চয়তা কি? 

আর মন্দিরে সব স্টেজের কিছুই নেই। কুরআনে ভ্রুণ এর স্টেজ গুলি বলা আছে। আর মন্দিরে শুধু বাচ্চার ছবি আর ভ্রুণ এর মত বিকৃত কিছু একটা। তাও এসব যে বিজ্ঞানের আগে তারও নিশ্চয়তা নেই। 

এগুলি পরবর্তী তে খোদাই করাও হতে পারে। আর যেটাই হোক না কেন এর সাথে বেদের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ করা পুরোই মূর্খতা। 

আর খোদাই এর ব্যাপারে যেহেতু চলেই এলাম। তাহলে শুনো বৎস এমন অনেক মন্দির আছে যেখানে খোদাই করা অশ্লিল যৌনকর্ম ভাষ্কর্য মূর্তিতে ভরপুর। এরই নিম্নতম এতই নিচুমানের যা বলার বাইরে! 

এটাও তাহলে বেদকে জাস্টিফাই করার কথা। 

নিলয়:- (পুরোই টাসকি খেয়ে) ইয়ে মানে, শুনো

মুহাম্মদ আলী:- কি? 

নিলয়:- উপরেরটা বুঝলাম। তবে আসল কাহিনী তো রয়েই গেছে। 

[ মুহাম্মদ আলী বুঝতে পারলো ছেলেটে হাল ছেড়েও ছাড়তে চাইছে না। ]

মুহাম্মদ আলী:- বলো, 

নিলয়:- বলা হয়ে থাকে ভারতমূর্তীশ্বর মন্দিরের এই খোদাইসমূহ গর্ভ উপনিষদ নামক একটি তুলনামূলক নবীন উপনিষদে বর্ণিত বিজ্ঞানভিত্তিক ভ্রুণবিদ্যার আলোকে করা হয়েছিল।

মুহাম্মদ আলী:- হে? হা হা হা চমৎকার। অতি চমৎকার "বলা হয়ে থাকে" এই সন্দেহ অর্থাৎ মানুষ এর মুখে বলা হয়ে থাকে। সেটা দিয়ে সত্যকে জাস্টিফাই করছো। আসলেই জবাব নেই তোমাদের। 

নিলয়:- ইয়ে মানে।

মুহাম্মদ আলী:- আর তোমাদের গর্ভ উপনিষদ!? 

নিলয়:- গর্ভ উপনিষদ হল এমন একটি উপনিষদ যা প্রধান ১১ টি বৈদিক উপনিষদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং নামে উপনিষদ হলেও এটি মূলত তৎকালীন একটি বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ।এর মূল পাণ্ডুলিপির অধিকাংশ ই এখন আর পাওয়া যায়না।তবে যতটুকু পাওয়া যায় তাতেই খুব চমকপ্রদ বৈজ্ঞানিক তথ্য রয়েছে।এছাড়াও অন্যতন প্রধান বৈদিক উপনিষদ মহর্ষি মহিদাস কর্তৃক লিখিত ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় উপনিষদেও আছে ভ্রুণবিদ্যা সম্বন্ধে অবাক করা কিছু তথ্য যা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।এছাড়াও আমরা দেখব দক্ষিণ ভারতীয় একাদশ শতকের শৈব স্বিদ্ধান্তের একটি গ্রন্থ "থিরুমন্তিরাম" এর কিছু শ্লোকও।আমরা দেখব কিভাবে মানবসৃষ্টির কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করতে গিয়ে উপনিষদসমূহ ও "থিরুমন্তিরাম" অলৌকিক দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছে জড়ায়ুতে একটি ভ্রুণের বিবর্তন প্রক্রিয়া,এর লিঙ্গ
নির্ধারনের নিয়ামকসমূহকে।এরকম কিছু তথ্য আজ আমরা দেখব।

মুহাম্মদ আলী:- হা হা হা। আজ দেখছি তুমি আমাকে হাসিয়ে মারবে। যাইহোক, গর্ভ উপনিষদ যা প্রধান ১১ টি বৈদিক উপনিষদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তার উপরে তার মুল পাণ্ডুলিপির অধিকাংশ ই হারিয়ে গেছে! সেখান থেকে তুমি ভ্রুণবিদ্যা প্রমাণ করতে এসেছো? আসলেই এটি খুবি দুঃখজনক ও লজ্জা জনকও বটে। 

যদিও তোমাদের কাছে হারিয়ে যাওয়া বিকৃত গ্রন্থও সীকৃতি পায়। শুধু এই গর্ভ উপনিষদ ই না তোমাদের বেদেরই অনেক অংশ হারিয়ে গেছে। স্বামী বিবেকানন্দের বই পড়ে থাকলে জানার কথা! 
[স্বামী বিবেকানন্দ রচনাবলী/৮ম খণ্ড/গীতা-প্রসঙ্গ/গীতা-১]

নিলয়:- (নিশ্চুপ) 

মুহাম্মদ আলী:- এসব গর্ভ উপনিষদ এ বিজ্ঞান থাকলেও কি আর না থাকলে ও কি? যা হারিয়ে গেছে তা যে পরবর্তীতে বিকৃত করে বিজ্ঞানের বই বানিয়ে ফেলা হয় নি! তারই বা প্রমাণ কি? 

নিলয়:- (নিশ্চুপ) 

মুহাম্মদ আলী:- আমরা কুরআন থেকে প্রমাণ দেই। আমরা এমন গ্রন্থ থেকে দেই না যার পান্ডুলিপিই নাই। হা হা মজা পেলাম। 

নিলয়:- (নিশ্চুপ) 

মুহাম্মদ আলী:- তুমি নিশ্চই জানো ১১ টি প্রধান উপনিষদ সম্পর্কে। যাইহোক একটা কথা বলি, এইযে  গর্ভ উপনিষদ যেটা নিয়ে তুমি বৈজ্ঞানিক দাবি দাওয়া করছো এই উপনিষদ এর না আছে ঠিক ঠিকানা এমন কি যা বর্তমানে আছে তাতেও সমস্যা আছে। 

নিলয়:- যেমন? 

মুহাম্মদ আলী:- উইকিপিডিয়াতে বলা হয়েছে,, 

❝উপনিষদের শেষ শ্লোকটি পাঠ্যটি ঋষি পিপ্পলদাকে দিয়েছে, কিন্তু পাঠ্যটির কালানুক্রম ও লেখক অস্পষ্ট, এবং বেঁচে থাকা পান্ডুলিপিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত, একে অপরের সাথে অসঙ্গত ও অসম্পূর্ণ।❞

[ Wikipedia / Paul Deussen, Sixty Upanishads of the Veda, Volume 2, Motilal Banarsidass, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১২০৮১৪৬৯১, pages 639-640, 644 ]

দেখো, লেখক পর্যন্ত অস্পষ্ট!! তার উপর যেটুকু পান্ডুলিপি বেঁচে আছে তা ক্ষতিগ্রস্ত এমন কি একে অপরের সাথে অসঙ্গত সাংঘর্ষিক ও অসম্পূর্ণ! 

আর এই গ্রন্থ থেকে তুমি তোমার ধর্মের বৈজ্ঞানিক বিষয় জাহির করতে চাচ্ছো?

আহা খুবি হতাশা জনক ব্যাপার। এমন হলে প্রচুর উপনিষদ আছে এমন বিকৃত সবই মানতে হবে। 

(নিরবতা) 

মুহাম্মদ আলী:- আচ্ছা ব্যপার না। বলো তোমার অগ্নিপীরের সেসব ঘটনা। মানে এই যে গর্ভ উপনিষদ এতে কি বলা আছে শুনি।

নিলয়:- (হতাশ হয়ে) ইয়ে মানে! বলে কি লাভ? যেহেতু প্রথমেই সমস্যা ধরে ফেললে। 

মুহাম্মদ আলী:- প্যারা নাই বলতে থাকো। আমার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় আছে। 

নিলয়:- কিভাবে মানবভ্রুণ সৃষ্টি হয়? অনেক সভ্যতাতেই পুরুষ বীর্যকেই মানবভ্রুণ বা শিশু সৃষ্টির উৎস ধরা হত। কিন্তু উপনিষদ বলছে-

শুক্রশোণিতসংয়োগাদাবর্ততে গর্ভো
(শ্লোক ২,গর্ভোপনিষদ)
"শুক্র(পুরুষ বীর্য তথা শুক্রাণু) ও শোনিতের(স্ত্রী হতে আসা ডিম্বাণু) মিলনেই গর্ভের সৃষ্টি হয়।


মুহাম্মদ আলী:- অসাধারণ, জানি না এই অনুবাদ কোথা থেকে আমদানি করেছো। শুনো এখানে না আছে শুক্রাণু আর না আছে ডিম্বাণু, বরং একদম অবৈজ্ঞানিক বিষয়টাই বলা হয়েছে, 

নিলয়:- কি? 

মুহাম্মদ আলী:- এটার অনুবাদটা এমন হবে যে, 

পুরুষ শুক্ল (বীর্য) ও শোনিতা (রক্ত, ঋতুস্রাব) এর মিলন থেকে মানব ভ্রূণের বিকাশ ঘটে! (Wiki) 

তোমাদের অগ্নিপীর ভালোই মনগড়া অনুবাদ করে।
এখানে বলা হয়েছে পুরুষের বীর্য আর শোনিতা!

শোনিতা অর্থ কোন ডিম্বাণু না বরং রক্ত, blood

এর মানে বুঝতে পেরেছে? 

নিলয়:- কি? 

মুহাম্মদ আলী:- তার মানে এই উপনিষদের লেখক মনে করতেন যে বাচ্চা জন্ম নেয় পুরুষের বীর্য আর নারীর ঋতুস্রাব এর রক্তের মাধ্যেমে। শোণিত অর্থ কোথাও ডিম্বাণু বা এর কাছাকাছি কিছুই পাবেনা বরং রক্ত blood পাবে। 

অবৈজ্ঞানিক বিষয়টাকে বিজ্ঞান বানিয়ে দিলো চমৎকার। 

এটাই হিন্দুধর্মের বিশ্বাস। পুরুষের বীর্য আর নারীর ঋতুস্রাব এর রক্ত দ্বারা মানব জন্ম। এমনকি বহু পুরাণ শাস্ত্রে এমন কথাই আছে। 

…এই যে ভাস্কর পূর্ব্বদিকে সমুদিত এবং পশ্চিম দিকে অস্তগত হইতেছেন; এই যে শোণিত ও শুক্র জীবদেহে বিদ্যমান থাকিয়া গর্ভকোষে গমন পূর্ব্বক প্রাণিরূপে পরিণত হইতেছে; এই যে জীব গর্ভবাসে গমন পূর্ব্বক দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করিয়! যেমন ভূমিষ্ঠ হইতেছে, অমনি সমস্ত বিস্মৃত হইতেছে ; এই যে জীব স্ব স্ব কর্ম আশ্রর করিয়া একেবারে চৈতন্য রহিত ও স্পৃহাশূন্য হইয়া ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ করি তেছে ; এই যে শুক্র ও শোণিতের সংযোগে জীবের অঙ্গগুলি চরণ, হস্ত, মস্তক, কটী, পৃষ্ঠ, বক্ষঃস্থল, দন্ত, ওষ্ঠপুট, নাসিকা, কর্ণ, নেত্র, কপাল, ললাট ও জিহ্বা প্রভৃতি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সকল সমুদ্ভুত হইতেছে… [বরাহপুরাণ ১২৫/১৪]

স্পষ্ট বৈজ্ঞানিক ভুল এটি। তুমি মানতে বাধ্য! এটাই মূল টেক্সট অনুযায়ী ভুল। শোণিত যার মূল অর্থই রক্ত, ঋতুস্রাব এর রক্ত। স্পষ্ট সবই... 

[ নিলয় পুরোই টাসকি খেলো। এমন কেচালে পড়বে তা সে ভাবে নি ]

নিলয়:- (নিরবতা) 

মুহাম্মদ আলী:- আর মজার ফেক্ট কি জানো? 

নিলয়:- (মুখ ফ্যাকাশে করে) কি? 

মুহাম্মদ আলী:- এরিস্টটল ভ্রণবিদ্যা সম্পর্কে একটা বিষয় বলেছিলেন। তিনি ভাবতেন পুরুষের বীর্য আর নারীর ঋতুস্রাব এর রক্তের মাধ্যমে ভ্রুণ তৈরি হয়।

❝The essence of this theory is that the male sperm, with a haematogenous origin, causes the development of an embryo from menstrual blood present in the female uterus.❞

[ The haematogenous reproduction theory of Aristotle ]

আর তোমাদের বৈদিক ভ্রুণবিদ্যা ওরফে গর্ভ উপনিষদ ঠিক সেইম কথাটাই বলছে, হুবহু সেইম। আর এই গ্রন্থ দিয়ে নিজের ধর্মকে বৈজ্ঞানিক দাবী করছো? আফসোস! 

নিলয়:- ইয়ে মানে!

মুহাম্মদ আলী:- যদিও প্রভুপাদ ভগবত পুরাণে শোণিতাকে ডিম্বাণু অনুবাদ করেছে। উনার অনুবাদই এমন তালকে তিল বানিয়ে ফেলা। 

পৌরণিক সাপোর্টার রা প্রভুপাদকে অন্ধভাবে মানে মনে হয় তারা কোন অবতার দেবতা। 

বেদে সাপোর্ট পুরান বিরোধী আর্যরা দয়ানন্দ স্বরস্বতীকে অন্ধভাবে তার সব গিলে নেয়। 

এমন মনে হয় যে এরা মানুষ না একেকজন হিন্দুধর্মের অবতার দেবতা দেবতার বংশধর। 

এরাও অনুবাদ ওদের বিকৃত গুলাই মানে। বাকি সকল অনুবাদ অস্বীকার করে। মূল টেক্সটের বিরুদ্ধে গেলেও অস্বীকার করে। এতো অন্ধভক্তি এদের। কোন অবতার দেবতা বা প্রবর্তক হলেও মানতাম কিন্তু সামন্য মানুষ যার বিকৃত অনুবাদ অন্ধভাবে মানে তাও মূল টেক্সট এর বিরুদ্ধে গেলেও মানে। 

যেমন এই প্রভাপাদের অনুবাদে বলা হয়েছে,, 

Srimad Bhagavatam 3.31.2-5 “On the first night, the sperm and ovum mix

যেখানে মূল টেক্সট অনুযায়ী এটি ঋতুস্রাবের রক্ত। 
[ "Shonita, Soṇita, Śoṇita, Sonita: 23 definitions" https://www.wisdomlib.org/definition/shonita ]

কিন্তু এই প্রভুপাদ এর বিকৃত অনুবাদ চোখবুঝে মানছে এরা। সবাই blood বললেও ইনি নাকি ডিম্বাণু পেয়েছে। এই লোক ইচ্ছে করেই করছে এই অনুবাদ বৈজ্ঞানিক প্রমাণের জন্য লোকটার জন্মই তো  ১৮৯৬ সালে। 

এখন মূল টেক্সট কে অস্বীকার করে যদি কোন ব্যাক্তির নিজেস্ব অনুবাদ কেউ মানে সেটা প্রভুপাদ হোক বা দয়ানন্দ স্বরস্বতী তা তো হয় না। 

এই প্রভুপাদ তো ভগবতের অনুবাদে চাঁদেও অগ্নিশিখা আছে এমন দাবী করেছে,, 

“…we can make an educated guess about the nature of the flames on the moon.
Like the sun, the moon must also be full of flames because without flames there cannot be illumination.
The flames on the moon, however, unlike those on the sun, must be mild and pleasing. This is our conviction. The modern theory that the moon is full of dust is not accepted in the verses of Śrīmad-Bhāgavatam…”
[Purport on Srimad Bhagavatam 5:20:13 by A.C Bhakti Vedanta Swami Prabhupada] source – https://vanisource.org/wiki/SB_5.20.13

তাহলে অবৈজ্ঞানিক Again... 
তাহলে এটাও মেনে নেওয়া উচিত এদের। চাঁদ নিয়ে অন্য কোন দিন বিস্তারিত বলবো নে। যাইহোক, 
প্রভুপাদ ডিম্বাণু সম্পর্কে জানতেন বলেই এই অনুবাদ বসিয়েছেন। 

কথা হইতেছে মুল টেক্সট এ যেটা নাই সেইটা কি বললেই হবে? আজ যদি কোন ব্যাক্তি বেদের এমন অনুবাদ করলো যেটার সাথে মূল সংস্কৃতির কোন মিল নাই তাহলে তুমি তা মানবে? তাহলে আমি অনুবাদ করবো যা মনে ইচ্ছা হয় তা। তুমি মানবে? 

কখনোই না। সুতরাং এমন ভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে এদেরকে অবতার বলে চালালেই হয়। 

সুতরাং মূল টেক্সট অনুযায়ী কখনোই শোনিতা দিয়ে ডিম্বাণু বোঝায় না। প্রভুপাদের অনুবাদ আবার অগ্নিপীর আর্য রাও মানে নাকি হা হা। যাগ্গে शोणित তথা শোণিতা অর্থ কখনোই ডিম্বাণু নয়। আর ডিম্বাণু শব্দ এত বছর আগে ব্যাবহৃতও হতো না মেবি। কুরআনে দেখছো না নুতফাতিন আমসাজ বলা হয়েছে। যাইহোক কুরআনের দিকে যাচ্ছি না এত আলোচনা একসাথে নয় অন্যদিন। হুম এবার সামনে আগানো যাক। 

(নিরবতা) 

মুহাম্মাদ আলী:- আমার হাতে কিছু টাইম আছে। তার পরে জামাত, তাই বলতে থাকো। 

নিলয়:- একটা সময় নারীরা অত্যাচারিত হত পুত্রসন্তান না হবার দোষে। এখনো গ্রামেগঞ্জে নারীদেরকে অত্যাচার করা হয় ছেলেসন্তান জন্ম না দেবার অপরাধে। কারণ আমরা মনে করতাম সন্তান ছেলে বা মেয়ে হলে তার দায় মায়ের।কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান বলছে সন্তান পুত্র হবে না কন্যা তা নির্ভর করবে পিতার শুক্রাণুতে X Chromosome এর উপস্থিতির উপর।এখানে মায়ের কোন ভূ্মিকা নেই।উপনিষদ বলছে-

"পুরুষে হ বা অয়মাদিতো গর্ভো ভবাতি।"
(ঐতরেয় উপনিষদ অধ্যায় ২,শ্লোক ১)
অর্থাত্ নিশ্চয়ই এই শিশু(প্রকৃতি) প্রথমেই পুরুষ
বীর্যে ভবাতি বা স্থাপিত হয়।

মুহাম্মদ আলী:- ওয়েট, শ্লোকে বলা হয়েছে 

নিশ্চয়ই এই শিশু প্রথমেই পুরুষ বীর্যে স্থাপিত হয়। 

এখন এই শিশু শব্দের ব্রেকেটে প্রকৃতি শব্দ জুড়ে কোন ফায়দা নেই। আজকে বিজ্ঞান কখনোই বলেনা যে বীর্যের ভিতরে শিশু থাকে। এইটাও ভুল! 

তুমি "Preformationism" তত্ত্ব সম্পর্কে জানো? 

নিলয়:- ইয়ে.. মনে পড়ছে, যেটা অনুযায়ী বীর্যে ছোট শিশু থাকতো।

মুহাম্মদ আলী:- জ্বী,

❝preformationism, which held that, depending on who you asked, either the sperm or the egg contained a little person that would begin to grow once conception occurred.❞


এটাই তাদের বিশ্বাস ছিলো। এই তত্ত্ব প্রথমদিকে অনেক জোড়ালো মনে হলেও পরবর্তীকালে এই যে একটা ভুল তা প্রকাশ পেয়েছিলো। 1800s এর দিকে এটি পুরোই নাকচ হয়েছে। সুতরাং দেখ এমন বড় বড় ভুলগুলি এখানে বলা। আর সেই ভুলকে উনারা নিজেস্ব অনুবাদ ঢুকিয়ে বৈজ্ঞানিক দাবী করছে। যেখানে কি প্রতিটা বিষয় অবৈজ্ঞানিক। 

এই ভুলগুলো আরও পাওয়া যায় ভগবত পুরানে! 

1. The Personality of Godhead said: Under the supervision of the Supreme Lord and according to the result of his work, the living entity, the soul, is made to enter into the womb of a woman through the particle of male semen to assume a particular type of body.

3. In one night, the mixture of the (man’s) semen and (the woman’s) blood takes place. In five nights, a circular bubble-like mass is formed. In ten days, it becomes (somewhat) hard like the fruit of the jujube tree (karkandhu). Thereafter, it becomes a ball of flesh or an egg.

[The Bhagavata Purana Chapter 31 - Sufferings of the Jīva—The Rājasī Gati]

কি দেখলে "semen to assume a particular type of body" এমন বিশ্বাসই ছিলো আইমিন Preformationism তত্ত্ব। 

তারপরে বলা হয়েছে "the (man’s) semen and (the woman’s) blood" পুরুষের বীর্য আর নারীর ঋতুস্রাব। 

একই কনসেপ্ট উপনিষদে। যা কিনা বিজ্ঞান বলে চালিয়ে যাচ্ছেন অগ্নিপীরেরা!

তারপরে বলা হয়েছে "In one month, the head is formed" অর্থাৎ ভগবত পুরান অনুযায়ী ১ মাসে মাথা তৈরি হয়। কিন্তু বিজ্ঞান অনুযায়ী কখনোই এক মাসে মাথা তৈরি হয় না। 

আর এর বিপরীতে গর্ভ উপনিষদ বলছে "In two months, it develops the head" অর্থাৎ দুইমাসেে মাথা তৈরি দুইমাসে। বৈপরীত্য বটে, তবে তা মানলেও হয় না কারণ মাথা পুরোপুরি তৈরি হতে ৫ মাসের মত হয়। সুতরাং ভুল, ভগবত পুরান মানো কিংবা গর্ভ উপনিষদ! 

[ মুহাম্মদ আলী চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলতে লাগলো ]

তারপর গর্ভ উপনিষদে বলা যে 

তারপরে গর্ভ উপনিষদে বলা হয়েছে, "In the seventh month, [the embryo] comes to have the jīva (conscious self)" অর্থাৎ ৭ম মাসে প্রাণ বা জীব আত্মা স্থাপন করা হয় ভ্রুণে। কিন্তু আমরা জানি এরচেয়ে কম বয়সেও জীবিত ভ্রুণের শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। 

তারপরে গর্ভ উপনিষদে আরও বলা হয়েছে, "the eighth month, it becomes complete in every sense" অর্থাৎ ৮ মাসে সব কিছু সম্পূর্ণ হয়। যেখানে কিনা বিজ্ঞান অনুযায়ী lungs সম্পূর্ণ ভাবে develop হয় ৯ম মাসে। 

❝By 36 weeks, your baby's lungs are fully formed and ready to take their first breath after the birth.

The digestive system is fully developed and your baby will be able to feed if they're born now.❞


তাহলে দেখা যাচ্ছে যেখানে বলা হয়েছে ৮ মাসে সম্পূর্ণ সেখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি ভিন্ন বিষয়। 

যা কিনা বিজ্ঞান বলে চালিয়ে যাচ্ছেন অগ্নিপীরেরা!

আরও বলা হয়েছে, "If [at the time of impregnation] the parents are agitated, the child will be blind, crippled, hunch-backed or stunted." পুরুষ আর নারী সে সময় যদি উত্তেজিত হয় তাহলে নাকি বাচ্চা অন্ধ, পঙ্গু ইত্যাদি হয়। কতটা অযৌক্তিক আর অবৈজ্ঞানিক! 

আরও বলা হয়েছে, "If the vital air moves around, the seed enters in two parts, resulting in twins." অর্থাৎ যদি বাতাসের জন্য বীর্য দুই অংশে বিভক্ত হয় তাহলে যমজ শিশু জন্ম নেয়। এর সাথে অগ্নিপীর এর ব্যাখ্যা নগদ মিথ্যা এটাই বৈজ্ঞানিক ভুল। বিজ্ঞান কখনোই এটা সমর্থন করে না। 
 

চলো, ভগবত পুরান আর গর্ভ উপনিষদের বৈপরীত্য গুলি দেখি এবার,,
________________

ভগবত পুরান:- এক মাসে, মাথা গঠিত হয়।

গর্ভ উপনিষদ:: দুই মাসে, মাথা গঠিত হয়।
_________________
ভগবত পুরান:- দুই মাসে, শরীরে বাহু, পা এবং অন্যান্য অঙ্গের বিকাশ ঘটে।

গর্ভ উপনিষদ:- তিন মাসে, শরীরের বাহু, পা এবং অন্যান্য অঙ্গের বিকাশ
____________________
গর্ভ উপনিষদ:- (রস) উদ্ভূত হয়। খাদ্যের স্বাদ থেকে রক্ত, তা থেকে মাংস, তারপর মেদ, হাড়, মজ্জা, বীর্য তৈরি হয়।

বায়ু পুরান:- মাংসের চর্বি থেকে উৎপন্ন হয় এবং চর্বি থেকে হাড় তৈরি হয়। পিথ এবং মজ্জা হাড় থেকে বিকশিত হয়। [বায়ু পুরাণ ১১/৩৫/৪৫-৪৬]
_____________________

আর বলতে চাচ্ছি না। এসব একই সাথে অযৈক্তিক এবং অবৈজ্ঞানিক। 


[ এই বলে লম্বা শ্বাস ছাড়লো মুহাম্মদ আলী ]
————
[ নিলয় এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। সে আসলে এসব একসেপ্ট করবে বলে ভাবে নি। রিতীমত অবাক সে ]

নিলয়:- (নিরব) 

মুহাম্মদ আলী:- হুম তার পর বলতে থাকো। অগ্নিপীরের বিষয়গুলি! 

নিলয়:- গর্ভ উপনিষদ বলছে, 
"পিতু রেতোঃনিরিন্কাত পুরুষো ভবতি"
অর্থাৎ পিতার রেত বা শুক্রাণুর বৈশিষ্ট্যের কারণেই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

অর্থাৎ শ্লোকটি স্পষ্টত ব্যখ্যা করছে শুক্রাণুর
মাধ্যমেই সন্তানের প্রকৃতি অর্থাৎ তা ছেলে
হবে না মেয়ে হবে তা নির্ধারিত হয়।

মুহাম্মদ আলী:- এখানে বলা হচ্ছে পিতার রেত অর্থাৎ বীর্যের কারণেই পূত্র সন্তানের জন্ম হয়। 

তুমি দাবী করছো ছেলে হবে না মেয়ে হবে এইটার দায় পুরুষের। তবে এখানে ঠিক উল্টোটাই বলা! এবং সত্যটাকে লুকানো হয়েছে! 

নিলয়:- কিভাবে? 

মুহাম্মদ আলী:- এখানে বলা হচ্ছে পুরুষের রেত বা বীর্য দ্বারা পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এর মানে পুরুষের বীর্য দ্বারা পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। 

তার মানে পূত্র আর কন্যার জন্য পুরুষের বীর্য দায়ী নয় বরং পুরুষের বীর্য পুত্র সন্তান জন্ম দেয়! 

তার মানে পুরুষের বীর্য থেকে পুত্র সন্তান। নারীর ঋতুস্রাব এর রক্ত থেকে কন্যা সন্তান! 

এ জন্যই বোধহয় মেয়ে হলে নারীকে দোষারোপ করা হতো কারণ! নারীর ঋতুস্রাব রক্তের প্রভাবেই মেয়ে সন্তান জন্ম নেয় এটাই এই উপনিষদের কথা। 

আর পুরুষের বীর্য দ্বারা পুত্র সন্তান।

আমার বানানো কথা নয়.. 

গর্ভ উপনিষদে স্পষ্ট বলা হয়েছে,, 

❝পিতার বীজ অধিক শক্তিশালী পূত্র হয়, আর মাতার বীজ অধিক শক্তিশালী হলে কন্যা হয়। আর যদি বীজ সমান সমান হয় তাহলে নপুংসক, হিজড়া ইত্যাদি জন্ম নেয়❞

এর মানে, পুরুষের বীর্য অধিক শক্তিশালী হলে পূত্র আর মাতার ঋতুস্রাবের রক্ত অধিক শক্তিশালী হলে কন্যা। আর দুজনের টা সমান হলে নপুংসক। 

কত বড় বৈজ্ঞানিক ত্রুটি বুঝতেই পারছো। তার মানে পুত্র সন্তান না হলে নারী দায়ী। কারণ নারীর ঋতুস্রাবের রক্তের জন্যই কন্যা জন্ম নিয়েছে! আর এটাই হিন্দুধর্ম অনুযায়ী!!

বুঝতে পারলি? কত ভ্রান্ত কথা! 

সুতরাং বিষয়টা এমন দাঁড়ালো যে,,, 

১) পুরুষের বীর্য ও নারীর শোনিতা অর্থাৎ রক্ত দ্বারা সম্তান হয়। (এরিস্টটল এর ভুল সেইম টু সেইম) 

২) শিশু পুরুষের বীর্যে প্রথমেই থাকে। (Preformationism তত্ত্বের ভুল সেইম টু সেইম) 

৩) পুত্র সন্তান হয় পুরুষের বীর্যের কারণে। কন্যা সন্তান ঋতুস্রাব এর জন্য। 

নিলয়:- ইয়ে মানে এই টপিক বাদ। এবার ভ্রুণ গঠন নিয়ে বলি। 

গর্ভ উপনিষদ বলছে-
"ঋতুকালে সংপ্রয়োগাদেকরাত্রোষিতং কলিলং ভবতি"
শুক্রাণু ডিম্বাণুর মিলনের পর প্রথম দিন ভ্রুণ অর্ধতরল(Zygote) অবস্থায় থাকে।"

এরপর বলছে-
আআ ঘ্রানসম্পর্কিত ইন্দ্রিয় এর
উৎপন্ন হয়।এরইমধ্যে মুখের মধ্যে
পেলেট,টাঙ(জিহ্বা),ভোকাল কর্ড(স্বরতন্ত্রী) তৈরী হয়।

আধুনিক ভ্রুণবিদ্যা অনুসারে এই সময়ে ১২মি.মি.
দীর্ঘ ভ্রুণে মুখ,নাসারন্ধ্র দেখা গেলেও
কোন চোখের উৎপত্তি হয়না।ভ্রুণ বৃদ্ধি
পেয়ে ১৪ মি.মি. হলে তখন তাতে চোখ দেখা যায়
তবে কান এর উৎপত্তি হয় আরো পরে।
এইসব ই হয় দ্বিতীয় মাসের মধ্যে।

৮-৯ম সপ্তাহে Integumentary system অর্থাৎ ত্বকীয়
তন্ত্রের এপিডার্মিস এর উৎপত্তি শুরু হয়।

আবার ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে ইংল্যন্ডের
গ্লাসগোতে অবস্থিত কুইনস মাদার হসপিটালের
ডা.রবিনসন "ডায়াসোনার এপারেটাস" এর সাহায্যে
প্রমান করেন যে উপরোক্ত বর্ণনাসমূহের
অব্যবহিত পরেই দ্বিতীয় মাসের শেষে
জড়ায়ুস্থ সন্তানের হৃদপিন্ডের সঞ্চালন শুরু হয়।এজন্যেই চিকিৎসকরা মায়ের গর্ভবতী হবার সাথে সাথে আল্ট্রাসাউন্ড না করে দুইমাস পরে করতে বলেন যাতে শিশুর হৃদযন্ত্রের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।

তাহলে আধুনিক বিজ্ঞানের বর্ণনা অনুযায়ী অঙ্গ সৃষ্টির ক্রমটা দাড়াচ্ছে নিম্নরূপ-
মুখ>ভোকাল কর্ড>নাক>চোখ>কান>
ত্বক>হৃদপিন্ড।

ঐতরেয় উপনিষদ এর প্রথম অধ্যয়ের প্রথম
খন্ডের চার নং মন্ত্রে বলা হয়েছে-

"....যথান্ডম মুখাদ্বাগ(মুখাত্ বাক) বাচোহগ্নির্নাসি
কে নিরভিদ্যেতাং নাসিকাভ্যাং প্রাণঃ প্রানাদ্বায়ুরক্
ষিনী নিরভিদ্যেতামক্ষিভ্যাং চক্ষুশ্চ্ক্ষুষ আদিত্যঃ
কর্ণৌ নিরভিদ্যেতাং কর্ণাভ্যাং শ্রোত্রং নিরভিদ্যত
ত্বচো....হৃদয়ং নিরভিদ্যত হৃদয়া..."

অর্থাৎ,প্রথম মুখ বেরিয়ে এল,মুখ থেকে বাক্
(Vocal cord) এর উৎপত্তি।এরপর নাসিকার দুটি ছিদ্র
হল(নাসারন্ধ্র,অলফ্যাক্টরি এপারেটাস),পরে চক্ষুর দুটি ছিদ্র প্রকট হল।
তারপর কর্ণের দুটি ছিদ্র বেরিয়ে এল এবং
এরপরেই চর্ম প্রকটিত হল।তার হৃদয়(হৃদপিন্ড)
প্রকট হয়।
তাহলে মন্ত্রটি অনুযায়ী আমরা পেলাম,
মুখ>বাক(Vocal cord)>নাকে>চক্ষু>কান>ত্বক>হৃদপিন্ড!

এরচেয়ে অদ্ভুত অলৌকিক মিল আর কি হতে পারে!

আমরা জানি সম্পূর্ণ গর্ভাবস্থায় শিশু একটি তরলময় থলিতে আবৃত থাকে যে তরল তাকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে।একে বলা হয় Amniotic Fluid,এটি কমে গেলে আমরা প্রচলিত ভাষায় "বাচ্চার পানি কমে গেছে" বলি।তামিল থিরুমন্তিরাম গ্রন্থের ২য় অধ্যায়ের ৪৬৩ নং শ্লোক এ বলা হয়েছে "প্রভু পানির থলেতে আবৃত করে শিশুকে রক্ষা করে থাকেন"!

আমরা জানি মা যে খাদ্যপুষ্টি গ্রহণ করেন তা মা হতে Umbilical Cord এর ধমনীর মাধ্যমে শিশুর শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে।গর্ভ উপনিষদ বলছে-

অথোঃমাত্রাশিতপীতনাড়িসূত্রগতেন প্রাণ আপ্তায়তে।
(শ্লোক ৩)
মা যা খায়,যা পান করে তা হতে নাড়ির মাধ্যমে শিশু পুষ্টি প্রাপ্ত হয়।

এছাড়াও গর্ভোপনিষদ কিভাবে মায়ের দুশ্চিন্তা ও অন্যান্য রোগ,আঘাত এর কারণে শিশুর জন্মগত শারীরিক ত্রুটি হয় তা নিয়েও আলোচনা করেছে।এছাড়া আলোচনা করেছে কিভাবে দুইটি আলাদা শুক্রাণু দুইটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করলে জমজ শিশুর জন্ম হয়,চিকিৎসা বিজ্ঞানে যাকে আমরা বলি Dizygotic Twin!

এরপর নবম মাসে-

অথ নবমে মাসি সর্বলক্ষণসম্পূর্ণো ভবতি
(গর্ভোপনিষদ শ্লোক ৩)
শিশুটি জন্ম নেবার জন্য শারীরিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়।চিকিৎসা বিজ্ঞানেও আমরা জানি ২৭০(+-)৭ দিন বা ৯ মাসের সময় একটি বাচ্চার সকল গঠন পরিপূর্ণ হয় এবং তা জন্ম নেবার জন্য প্রস্তুত হয়।

মুহাম্মদ আলী:- পুরোই মনগড়া ফালতু কথাবার্তা। 
এই নিয়ে বলার কিছুই নেই। ওই উপনিষদের প্রায় সবই ভুল। ভ্রুণগঠন নিয়ে যেসব স্টেজ এর কথা বলা হয়েছে তা মূলত,, 

- বুদ্বুদ
- পিণ্ডো

এসব পুরোপুরি আষাঢ়ে গল্প। কোন কিছুই স্পষ্ট না। এসব কথা কোন ভাবে ভ্রুণগঠন সম্পর্কে ধারণা দেয় না। বুদ্বুদ, পিণ্ডো!?? মানে কি? পুরোই অযৌক্তিক এবং অস্পষ্ট অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা। বাকি সবই মনগড়া। 

আর বলা হয়েছে মা যা পান করে তা সন্তানের সন্তুষ্টি তেমন বড় কিছু বলে নি। 
এমনকি তুমি যে রেফারেন্স দিলে, যেখানে উপনিষদ অনুযায়ী ৯ মাস হলে শিশু উপযুক্ত হয় জন্ম নেয়ার জন্য। এবং পরিপূর্ণ গঠন হয়। 

বাস্তবে আমরা দেখবো এর চেয়ে কম সময়ে বাচ্চা প্রসবও ঘটেছে। সেহেতু এটাও একটা বড়সড় ভুল। কারণ সেই কালের মানুষের ধারনার সাথেই তাল মিলিয়ে বলা হচ্ছে ৯ মাসে পরিপূর্ণ হয় বাচ্চার গঠন। কিন্তু আমরা জানি এর আগেও পরিপূর্ণ বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। তাহলে দেখ বিষয়টা ঐতরেয় উপনিষদ বলো কিংবা গর্ভ উপনিষদ দুটোতেই প্রচলিত ভুলগুলি হুবহু কপি করেছে। যা একদম স্পষ্ট!

নিলয়:- ইয়ে মানে! 

মুহাম্মদ আলী:- তার পরে পূণর্জন্ম এর কথা স্বরণ করে দেয়ানো হয় গর্ভের বাচ্চাটিকে! মানে তুমি যতই পাপ করো না কেন পূণর্জন্ম হবে তাই ধর্ম না মানলেও সমস্যা নেই। 

সে কথায় যাচ্ছি না যদিও, 
তারপর সেই উপনিষদে আরও কিছু কথা আছে। যেমন 

❝[The human body] consists of 107 marmas (weak or sensitive spots), 180 sutures or junction points, 109 snāyu (sinews), 700 channels, 500 majjā (muscle), 360 bones, and forty five million hairs. The heart weighs 8 palas and the tongue weights 12 palas. It has one prastha of pitta (bile), one ā©haka of kapha, one ku©ava of śukra, and two prasthas of fat. The measure of the urinary or solid excretions is dependent on the intake. [1 pala = 45.5 grammes; 1 prastham = 728 grammes; 1 āhakam = 2,912 grammes; 1 kuavam = 182 grammes]❞

এই যে কি সব অযৌক্তিক কথা বলা। আমরা জানি মানবদেহে হাড় সংখ্যা ২০৬ টি। আর গর্ভ উপনিষদে বলা হয়েছে ৩৬০ টি। তার পর ৪৫ মিলিয়ন চুল!!! এইসব কেমন উদ্ভট কথা একবার ভেবে দেখো। 
তার পর আরও উদ্ভট বিষয় 

❝The heart weighs 8 palas and the tongue weights 12 palas❞

আর কি বলবো কিছুই বলার নেই। এসবকে আবার কেউ জ্যোতির্বিদ্যার কথা বলেও উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করে! যাইহোক মিথ্যা ও সত্য স্পষ্ট। 

আর ওই যে একটা মনগড়া ব্যাখ্যা,, 

|||অর্থাৎ,প্রথম মুখ বেরিয়ে এল,মুখ থেকে বাক্
(Vocal cord) এর উৎপত্তি।এরপর নাসিকার দুটি ছিদ্র
হল(নাসারন্ধ্র,অলফ্যাক্টরি এপারেটাস),পরে চক্ষুর দুটি ছিদ্র প্রকট হল।
তারপর কর্ণের দুটি ছিদ্র বেরিয়ে এল এবং
এরপরেই চর্ম প্রকটিত হল।তার হৃদয়(হৃদপিন্ড)
প্রকট হয়।
তাহলে মন্ত্রটি অনুযায়ী আমরা পেলাম,
মুখ>বাক(Vocal cord)>নাকে>চক্ষু>কান>ত্বক>হৃদপিন্ড!|||

এইটার আসল জিনিসটাই লুকানো হয়েছে। ঐতরেয় উপনিষদ এমন কিছুই বলা হয় নি,, 

ঐতরেয় উপনিষদ প্রথম অধ্যায় ৪ নং মন্ত্রর বলা হয়েছে,, 

❝4. He meditated upon him. From him who was thus meditated upon the mouth was separated, like (a chick coming out of) an egg. From the mouth came speech, from speech fire. The nostrils were separated. From the nostrils, breath, from breath air. The eyes were separated. From the eyes sight, from sight the sun. The ears were separated. From the ears hearing, from hearing the (eight) directions of space. The skin was separated. From the skin, the hairs, from the hair plants and trees. The heart was separated. From the heart the mind, from the mind the moon. The navel was separated. From the navel, the out breath, from the out breath came death. The reproductive organs were separated. From it retas (male fluid), from retas water.❞

এইটা কেমন ভ্রুণবিদ্যা? 

তার উপর তার পরের অধ্যায়ে বলা হয়েছে,,, 

ঐতরেয় উপনিষদ দ্বিতীয় অধ্যায় ৪ নং মন্ত্রর বলা হয়েছে,,

❝4. Fire becoming speech entered the mouth. Air becoming breath entered the nostrils. The sun becoming sight entered the eyes. The directions of space, becoming hearing entered the ears. Plants and trees becoming hair, entered the skin. The moon becoming mind, entered the heart. Death becoming the outgoing breath, entered the navel. Water becoming male fluid entered the reproductive organs.❞

এইসব কোন ধরনের সাইন্স আর কোন ধরনের ভ্রুণবিদ্যা!? পুরোই আজগুবি ব্যাপার-স্যাপার! মনগড়া নয় বরং পিওর মিথ্যাচার। 

নিলয়:- আসলেই... 

মুহাম্মদ আলী:- এমন মিথ্যাচার করা আসলেই ঠিক না। কুরআন অলৌকিক এবং এতে বৈজ্ঞানিক মিরাকল আছে বলে সকল গ্রন্থ টেনে হেচড়ে বৈজ্ঞানিক মিরাকল বানানো টা একদম ভন্ডামি। 

তার উপর শুরুতেই ভন্ডামি। যেখানে কিনা বলা হয়েছে পুরুষের বীর্য আর নারীর শোণিতে অর্থাৎ ঋতুস্রাব রক্ত!! 

সেটাকে বানানো হয়েছে ডিম্বাণু!! মূল সংস্কৃত, মূল টেক্সট এর বিরোধি কথাবার্তা! 

সুতরাং আমরা দেখলাম,,, 

১) মন্দিরের ছবি কখনোই বেদের বৈজ্ঞানিক মিরাকল প্রমাণ করে না।

২) মন্দিরে এসব পরবর্তীতে খোদাই করাও হতে পারে এটা নিয়া মতবিরোধ আছে। কোন স্টেজ ই স্পষ্ট নয়। 

৩) গর্ভ উপনিষদের প্রায় সবই হারিয়ে গেছে যা আছে তাতেও সমস্যা। 

৪) পুরুষের বীর্য ও নারীর শোনিতা অর্থাৎ রক্ত দ্বারা সম্তান হয়। (এরিস্টটল এর ভুল সেইম টু সেইম) 

৫) শিশু পুরুষের বীর্যে প্রথমেই থাকে। (Preformationism তত্ত্বের ভুল সেইম টু সেইম) 

৬) পুরুষের বীর্য শক্তিশালী হলে হয় পুত্রসন্তান, নারীর ঋতুস্রাব এর রক্ত শক্তিশালী হলে হয় কন্যা সন্তান! মানে নারীর ঋতুস্রাব এর কারণেই কন্যা সন্তান হয়!! নারী দায়ী!! 

৭) পুরুষের বীর্য আর নারীর ঋতুস্রাব এর রক্ত সমান সমান হলে হিজড়া, নাপুংস সন্তান হয়। 

৮) বুদ্বুদ, পিণ্ডো, মস্তিষ্কের সময়ে ভুল, এসব ভ্রুণ গঠনের হিসবে গ্রহণযোগ্যতাই পায় না। 

৯) মা পান করে তা সন্তানের সন্তুষ্ট! বড় ব্যাপার না এবং অস্পষ্ট। 

১০) ৯ মাসে শিশু পরিপূর্ণ হয়। এবং সব কিছু পরিপূর্ণ হয়। কিন্তু এর থেকে কম বয়সে শিশু জন্মের ইতিহাস আছে। তাহলে গঠন পরিপূর্ণ ছাড়াই কি এদের জন্ম? 

১১) মানুষের দেহের হাড় সংখ্যা ৩৬০, চুল সংখ্যা ৪৫ মিলিয়ন, ৫০০ মাজা (পেশি যাই বলেন) heart weighs 8 palas and the tongue weights 12 palaspalas || এখানে শিশুর হাড়কে বলা হয় নি আর হলেও বাকি গুলি অযৌক্তিক! 

১২) মাথা তৈরি হয়, 
ভগবত পুরান অনুযায়ী ১ মাসে, গর্ভ উপনিষদ অনুযায়ী ২ মাসে কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ৫ মাস লাগে পুরোপুরি মাথা পরিপূর্ণভাবে তৈরি হতে। 

১৩) প্রাণ জীব আত্মা,
৭ম মাসে ভ্রুণে প্রাণ জীব আত্মা স্থাপনক করা আমরা জানি এরচেয়ে কম বয়সেও বাচ্চা জন্ম হয়েছে। 

১৪) ভ্রুণ সম্পূর্ণ ভাবে হয় ৮ মাসে কিন্তু বিজ্ঞান অনুযায়ী 9 month, baby's lungs are fully formed. 

১৫) পুরুষ - নারী physical relation এর সময় উত্তেজিত হলে অন্ধ, পঙ্গু জন্ম নেয় যা ভুল। (স্বাভাবিক ভাবেই অনকেই উত্তেজিত হতেই পারে) 

১৬) বাতাসে বীর্য ২ অংশ হলে যমজ সন্তান জন্ম নেয়। এটি পুরো ভিত্তিহীন কথা। 

১৭) ভগবত পুরান আর গর্ভ উপনিষদের মধ্যে অনেক বৈপরীত্য লক্ষ করা যায় এই টপিকে

১৮) ভগবত পুরান আর গর্ভ উপনিষদ পুরোই সেইম কনসেপ্ট প্রভাইড করছে। 

১৯) Fire becoming speech entered the mouth. Air becoming breath entered the nostrils. The sun becoming sight entered the eyes. The directions of space, becoming hearing entered the ears. Plants and trees becoming hair, entered the skin. The moon becoming mind, entered the heart. Death becoming the outgoing breath, entered the navel. Water becoming male fluid entered the reproductive organs. দেহে পাঁচটি উপাদান রয়েছে (যেমন), পৃথিবী , আপস , অগ্নি , বায়ু এবং আকাশ! আজগুবি কথাবার্তা! 

২০) বৈদিক ভ্রণবিদ্যা, পুরাণ, গর্ভ উপনিষদ, ঐতরেয় উপনিষদ প্রতিটা ভ্রুণবিদ্যা সম্পর্কে বিশাল বিশাল বৈজ্ঞানিক ভুল বলা হয়েছে। এমনকি মূল Text অনুযায়ী-ই ভুল।

ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি!! 

আশা করি বুঝতে পেরেছো। 

নিলয়:- আসলেই অনেক কিছুই বুঝলাম। মানুষ কতই না মিথ্যাচার করে। 

মুহাম্মদ আলী:- তাই অগ্নি পীর বলো আর অমুক পীর তমুক পীর! তাদের ভক্ত হয়ে সব না যাচাই করে বিশ্বাস করো না। 

শেষে এককথা

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে।
বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো।
অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায়
অনায়াসে সম্মতি দিও না।
কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়,
তারা আর কিছুই করে না,
তারা আত্মবিনাশের পথ
পরিষ্কার করে। — নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

[ সকলের প্রস্থান ]

[ || আমি পড়ে এসব মার্ক করে রেখেছি। তার কিছু অংশ নিম্নরূপ, ওদের দেওয়া কিতাব। ❝Garbhopanishada Translation Subhash Kak❞ || ]












Post a Comment

0 Comments