মুহাম্মদ (ﷺ) ও আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে ইসলাম বিদ্বেষীদের অভিযোগের জবাব!

মূলঃ ব্রাদার রাহুল হোসেন
পরিমার্জন ও সংকলনঃ অমিনুর রশীদ
☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ ☲ ☳☰ ☱ 

প্রথম পর্ব: মুহাম্মদ (ﷺ) ও আয়েশা (রাঃ) এর বিয়ে জবাব ও ২১ টি প্রশ্ন!

এটি শেষ পর্ব। আগের পর্বে আলোচনা ও প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হয়েছে। এই পর্বে ইসলাম বিদ্বেষীদের করা পয়েন্টগুলির জবাব দেয়া হবে। ইংশাআল্লাহ

___

এত অনৈতিক, অনৈতিক বলা নাস্তিকদের বলব এই নৈতিক অনৈতিকার মানদণ্ড কি?

আয়েশা (রাঃ) এর কোন ক্ষতি হয় নি তাহলে অবশ্যই তা নৈতিক আলহামদুলিল্লাহ।

আসুন নাস্তিকদের নৈতিকতার দিকে আলোকপাত করি,,

জার্মান নাস্তিকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে,,

"পতিতা হওয়া বা পর্নস্টার হওয়া আমার মতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সায়েন্টিস্ট হওয়ার মতনই মর্যাদাপূর্ণ"

দেখুন বেশ্যাবৃত্তি নাকি ইঞ্জিনিয়ার - সায়েন্টিস্ট দের মত কাজ। আর এরাই নৈতিকতা শিখায়।

হুমায়ুন আজাদ বলেছে স্বামী স্ত্রী সুখি থাকলে নৈতিক। [আমার অবিশ্বাস, ১৪২ পৃষ্ঠা হুমায়ুন আজাদ]

তাহলে নবী মুহাম্মদ (ﷺ) ও আয়েশা (রাঃ) এর বিয়েও নৈতিক ছিলো।

আজকের আইনের দৃষ্টিতে শিশু বিবাহ

কথা হলো আজকের আইন দিয়েই যেহেতু যাচাই করা হচ্ছে। আজকের আইনের দৃষ্টিতে যদি বিবাহ সঠিক বেঠিক হয়। তাহলে ওই সময়ের আইনে তো সেটা ছিলো তাহলে সেটাও সঠিক হবার কথা। সেই যামানায় সেটা ছিলো সুতরাং মুহাম্মদ (ﷺ) এর বিয়ে নৈতিক ছিলো সেই সময়কার আইনের দৃষ্টিতে।

সমকামীতার বৈধতা

কথায় কথায় যারা আজকের আইন আজকের আইন বলেন তারা নিজেরাই সমকামিতার সাপোর্টার। বেশিরভাগ নাস্তিকরাই সমকামিতাকে বৈধ বলে। অভিজিৎ রায় তো সমকামীতা নামে বইও লিখেছেন। তাদের যুক্তি পশুপাখিদের মধ্যে নাকি সমকামীতা দেখা যায় সুতরাং এটা প্রকৃতিক। সমকামীতা নাকি স্বাভাবিক।

তাহলে প্রশ্ন হলো আজকের যুগে তো বহু দেশে সমকামীতা নিষেধ , সমকামীতা অপরাধ, সমকামীতা অনৈতিক। তাহলে একই যুক্তিতে নাস্তিকরা নিজেরাই আজকের আইন মানে না বরং নিজেরাই অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত।

১৮ বছর বয়স কি ঠিক?

নাস্তিকরা ১৮ বছর বয়সকে মোটামোটি সঠিক ধরে নিয়েছেন। ১৮ বছর বয়স হচ্ছে উপযুক্ত বয়স বিয়ের জন্য।

যদি এটিই মনে করে নাস্তিকসমাজ তাহলে সমস্যা কারণ অন্যান্য দেশের আইন যদি দেখি যেমন,,

চীনে বিয়ের বয়স ২০ বছর

চীনের আইন অনুযায়ী যতজন যতদেশ ১৮ বছরে বিয়ের অনুমোদন দিয়েছে সবাই পেডোফাইল সবাই শিশুকামী???

আজকের আইন অনুযায়ী!!

চীনে ২০ বছর হলো বিয়ের বয়স। তাহলে যারা ১৮ বছরকে সমর্থন করছে তারা সবাই শিশুকামী বলে গণ্য হবে এমনকি নাস্তিকরাও! এবার কি বলবেন?

Age of consent


দেখুন বিভিন্ন দেশে কম বয়সে শারীরিক সম্পর্ক অনুমোদিত। ১২-১৩-১৪-১৫-১৬ বছর বয়সে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারবে।

আপনারা বলছেন ১৮ বছরের আগে বিয়ে করলে সমস্যা শিশুকামীতা। আর ১৮ বছরের আগে শারীরিক সম্পর্ক করলে সমস্যা নেই। তাহলে তো আপনারাই করছেন শিশুসঙ্গম। তাহলে কি আপনাদের বিয়ে নিয়েই সমস্যা? মানে শারিরীক সম্পর্ক করলে কোন সমস্যা নেই?

এ কেমন কথা?

ক্যালিফোর্নিয়া আইন নাবলকদের প্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ে করতে বাধা দেয় না

তাহলে নাস্তিকরা সবাই ক্যালিফোর্নিয়া কে বলে সবাই শিশুকামী, ধর্ষক!! বলেন!

ইসলামী শরীয়ত কায়েম হলে বাল্যবিবাহ! 

যারা বলেন যে মুহাম্মদ (ﷺ) আদর্শের জন্য বাল্যবিবাহ শরীয়ত হিসেবে হবে যদিও পুরো কথাই মন গড়া। তবুও বলছি যদি এ জন্যেই মুহাম্মদ (ﷺ) হয় তাহলে যেসব দেশে কম বয়সে বিবাহ করা যায়। সঙ্গম অনুমোদন সেসব দেশ নিয়ে কেন নিশ্চুপ??

নানান দেশে শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে



দেখেন আগে এবং আজ নানান দেশে কম বয়সে শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে। তখন কোন সমস্যা নেই। বিয়ে করলেই সমস্যা। তাহলে নাস্তিকরা কি চায় যে শুধু শারিরীক সম্পর্ক টাই হোক। বিয়ের কোন দরকার নেই। বিয়ে টাই বাতিল করতে চাচ্ছে?

যেমন হুমায়ুন আজাদ বলেছে অবিবাহিত যে যেমন সুখে থাকে সেভাবে হলেই হলো!

আগে আগে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে থাকবে পরে বিয়ে এটাই কি নৈতিকতা!?

Sex Consent কমানো! 




নানান জাগায় sex consent কমানো হচ্ছে। তাতে সমস্যা নাই। তার মানে কম বয়সে sex করাই নৈতিকতা বিয়ে করলেই অনৈতিকতা। তারমানে বিয়ে করবে না বাচ্চা নিবে না শুধু ওসব করতে থাকো। এই হলো নৈতিকত দৃষ্টিভঙ্গি।

নানান জায়গায় বিয়ের বয়স বাড়ানো হচ্ছে

নাস্তিকরা বলছে ১৮ বছরের আগে বিয়ে মানে শিশুকামীতা। তাহলে যেসব দেশে বয়স বাড়ানো হচ্ছে যেমন ২১ করা হচ্ছে তাহলে যত ১৮ বছর বয়সের সমর্থক আছে সবাই পেডোফাইল প্রতিয়মান হবে। নাস্তিকরাও তাহলে শিশুকামীতার বাউন্ডারিতে চলে আসবে।

ধরেন কয়েক বছর পর ভারতে বিয়ের বয়স ২১ করা হলো তখন এই দৃষ্টিকোণ থেকে যারা এর কম বয়সে বিয়ে দিবে বা বিয়ে করেছে তারা বাল্যবিবাহ, শিশুকামী সাব্যস্ত হবে।

তখন বলা হয়ে নাস্তিকরা ১৮ বছরকে বিয়ের বয়স বলেছে তাহলে তখন তারা বলবে ২১ বছর বিয়ের বয়স। তোমরা ১৮ বছরে করেছো তার মানে তোমরা বাল্যবিবাহ করেছো। তোমরা শিশুকামী, তোমরা পেডোফাইল রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি।


ফেমিনিস্ট-দের চোখে বিয়ের বয়স! 

ফেমিনিস্ট রা বলছে ১৮ বছর বয়স না বরং বিয়ের উপযুক্ত বয়স হওয়া উচিত ২৫-২৭ বছর বয়স। মেয়েদের বয়স নাকি হবে ২৫ আর ছেলেদের ২৭ বছর বয়স।

তাহলে একবার ভাবুন, ধরুন ১০ বছর পর মেয়েদের বয়স ২৫ হলো তখন কি হবে? তখন যারা ১৮ বছরে বিয়ে করেছেন তারা সবাই আইনের বিরুদ্ধে বিয়ে করেছে। বাল্যবিবাহ বলবে শিশুকামী বলবে। তখন সকল ১৮ বছর সমর্থনকারীরা শিশুকামী হিসেবে গণ্য হবে।

সর্বকালের জন্য আদর্শ মুহাম্মদ (ﷺ)

জ্বী, অবশ্যই সর্বকালের জন্য আদর্শ মুহাম্মদ (ﷺ)..

মুহাম্মদ (ﷺ) বিয়ের কোন বয়স ঠিক করে দেন নি। যদি মুহাম্মদ (ﷺ) ১৮ বছর বয়সকে ঠিক করে দিতেন তাহলে আজ আপনারাই বলতেন, চীনের আইন অনুযায়ী ওরা বলতো ২০ বছর আর নবী বলছেন ১৮ বছর পেডোফাইল। আরেকজন বলবে ২১ বছর বিয়ের বয়স ২৫ বছর বিয়ের বয়স। মুহাম্মদ (ﷺ) বাল্যবিবাহের অনুমোদন দিয়েছেন। অনৈতিক বয়স নির্ধারণ করেছেন।

আলহামদুলিল্লাহ!
এ জন্য কোন বয়স নির্দিষ্ট করে বলা হয় নি বরং কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। যেসব শর্ত যে বয়সে সম্পন্ন হবে সে বিয়ের উপযুক্ত হিসেবে গণ্য হবে।

মুহাম্মদ (ﷺ) কিয়ামত পর্যন্ত নবী তাই তিনি কোন বয়স দেন নি বরং কন্ডিশন বলেছেন। নির্দিষ্ট বয়স বেঁধে দেন নি।

যেমন,,

১) মাসিক হতে হবে
২) সঙ্গমের জন্য উপযুক্ত হতে হবে
৩) মেয়ের অনুমতি
৪) পিতামাতার অনুমতি

আর এই বয়স নির্দিষ্ট না। মুহাম্মদ (ﷺ) যদি ১৮ বয়স দিতেন তাহলে তিনি কোনদিনও সর্বকালের আদর্শ হতে পারতেন না। কারণ একেক দেশে একেক আইন। এ জন্য নবী মুহাম্মদ (ﷺ) কন্ডিশন বলেছেন।

কিয়ামত পর্যন্ত যদি আপনারা law রচনা করেন। কিয়ামত পর্যন্ত পারফেক্ট হবে। আল্লাহর রাসুল আমাদের এটাই দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ

অল্প বয়সে বাচ্চা সন্তানের জন্ম


আন্তর্জাতিক নিউজ দেখরন ৫ বছরের মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছে। ৫ বছরের মেয়ে! মরে গিয়েছে?

অন্যদিকে দেখেন ১৮ বছর বয়সে বাসর করতে গিয়ে মেয়েটা মারা গিয়েছে।

তাহলে দেখেন ১৮ বছর বয়সেও মেয়ে মারা গেছে। তাহলে কি ১৮ বছর বয়সকেও বাতিল করে দিবেন? অনেকের ৪-৫ মাস পর্যন্তও ব্যাথা নানান শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে কি ১৮ বছর বয়সও বাতিল হবে?

সামর্থ্য না রাখে, এই নারীর সাথে সহবাস হারাম

"কোন নারীর সাথে সহবাস হারাম হবে যদি সে এর ব্যাপারে সামর্থ্য না রাখে, এই কাজের জন্য অল্পবয়স্ক হয়, অসুস্থ থাকে, রোগা-পাতলা হয় অর্থাৎ অনুরুপ কোন কারণে যাতে তার ক্ষতি হয়।" [ মুগনি আল মুহতাজ ৪/৩৭৩ ]

দেখুন মেয়ে যদি শারীরিক সম্পর্কের জন্য উপযুক্ত না হয় তাহলে নিষেধাজ্ঞা করা হচ্ছে।

বিয়ের প্রস্তাবে বিব্রত আবু বকর (রাঃ)

তিনি কোন বিব্রত হোন নি।

"যখন বিয়ের পয়গাম এলো তখন আবু বকর (রাঃ) বলেছেন আমি আপনার ভাই।....দ্বীনের এবং কিতাবের ভাই" (সহীহ বুখারী, হা/৫০৮১)

আবু বকর (রাঃ) যদি বিব্রত হতেন তাহলে তিনি বলতে পারতেন দেখো আমার মেয়ে ছোট। বা সে বিবাহ উপযুক্ত নয়। আবু বকর (রাঃ) নিজেই বিয়ে দিয়েছেন জায়েজ।

তিনি বলেন নি যে তার বয়স কম বিয়ে কেন দিব। কারণ আবু বকর (রাঃ) নিজেও জানে যে তার মেয়ে বিবাহ উপযুক্ত।

১) আবু বকর (রাঃ) বলেন নি আয়েশা (রাঃ) এর বয়স কম।
২) তার অর্থ আয়েশা (রাঃ) সাবালিকা ছিলো।
৩) এখানে কোন বিব্রত হোন নি আবু বকর (রাঃ)
৪) বিব্রত হলে পাল্টা প্রশ্ন করতেন
৫) এখানে সমস্যা প্রতিবেশী ভাইয়ের মেয়ের সাথে বিবাহ বৈধ কি?

মুহাম্মদ (ﷺ) ৯ বছর বয়সে বাসর করেছিলেন! 

বলা হয়েছে,,

"যখন বাসর করে তখন তার বয়স ছিলো নয় বছর" [ সহীহ বুখারী হাদিস ৫১৫৮ ]

যারা বলে নয় বছরে sex করেছে এটি মিথ্যা কথা। কোথায় আছে? বাসর করা কি শারিরীক সম্পর্ক কে বুঝায়? physical relationship ছাড়া কি বাসর হয় না? বাসর রাত হয় না? নাস্তিকদের কি sex ছাড়া কিছু নেই?

বাসর মানেই যে sex কে বলেছে? বাসরে রুমে প্রবেশ হয় কথা হয়। sex যে হতেই হবে এটা কি আবশ্যক? Physical relationship ছাড়া কি বাসর হয় না?

(আদ-দুখুলু আলা) এর সঠিক অনুবাদ

সহীহ বুখারী, হা/৫১৩৩

আদ-দুখুলু আলা অর্থ: দেখতে যাওয়া, সাক্ষাত করা, পরিদর্শন করা।

সহীহ মুসলিম, হা/১৪২২
আল-মুজামূল ওয়াফী' ৫৩৬,
অর্থ লিখেছেন: কনেকে বরের কাছে পাঠানো, কন্যা সম্প্রদান করা, বউ নিয়ে আসা।

বাংলা অভিধানে বাসর মানে: বরকন্যার বিবাহরজনী যাপনের কক্ষ।

যে কক্ষে স্বামী স্ত্রী মিলিত হয়। Physical relationship এর জন্য না এমনিতে মিলিত হয়। physical relationship এর উদ্দেশ্যে না। তাহলে বাসর মানেই sex বলাটা অযৌক্তিক।

মাসিক হলেই উপযুক্ত হয় না! 

কোথায় বলা হলো শুধুমাত্র মাসিক হলেই physical relationship এর জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হয়?

আসুন জানি
আয়েশা (রাঃ) ৯ বছরেই যে যে শর্ত পূরণ করেছেন,,,

১) মাসিক [সূরা নিসা ৪:৬]
২) সঙ্গমের উপযুক্ত [মিশকাতুল হা/৩০৮০]
৩) মেয়ের অনুমতি [বুখারী হা/৫১৩৬]
[ মেয়ের অনুমতি/ বাবার অনুমতি ]

কে বলেছে শুধু মাসিক হলে যথেষ্ট!? বয়স ডিফরেন্ট হতে পারে। আমাদের দেখতে হবে কন্ডিশন। ৯ বছরেও কেউ সঙ্গমের উপযুক্ত হতে পারে আবার ১৮ বছরেও সঙ্গমে মারা যেতে পারে। ৫ বছর বয়সে বাচ্চা জন্ম দিতে পারবে। বয়সটা ডিফরেন্ট ডিফরেন্ট যা ইতিপূর্বে প্রমাণ করা হয়েছে। আয়েশা (রাঃ) তিনি পারফেক্ট ছিলেন বিয়ের জন্য। বাচ্চা বলবেন না বাচ্চা বলা বন্ধ করুন।

নাস্তিকরা যারা বলেন অমুক সমস্যা তমুক সমস্যা হয় বাল্য বিবাহ করলে। তাদের বলছি এসব সমস্যার একটাও আয়েশা (রাঃ) এর হয় নি। তার মানে আলহামদুলিল্লাহ। তিনি উপযুক্ত ছিলেন এবং বাচ্চাও ছিলেন না।

মেয়েদের Menarche হবার আগেই ৮০-৯০% Growth Complete করে ফেলে।


Physical Change

মাসিক হবার পর প্রায় ২ বছর পর লম্বা হওয়া বন্ধ হয়ে যায়

বয়ঃসন্ধিকাল ৮ থেকে ১৩ বছর কয়েক বছর ধরেই স্থায়ী হয়। মাসিকের পর পারফেক্ট হতে কেউ বলেছে ২ বছর কেউ বলেছে ৩ বছর লাগে।

মুহাম্মদ (ﷺ) বৃদ্ধ ছিলেন


কোথায় বলা আছে মুহাম্মদ (ﷺ) সেই রকম বৃদ্ধ ছিলেন।

তিনি সেই পর্যায়ে পৌছায় নি,,

"রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কি খিযাব (কালো) ব্যাবহার করতেন? তিনি বললেন, তিনি ঐ পর্যন্ত পৌছেন নি" [সহীহ মুসলিম, হা/৬২১৯]

যারা নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর ব্যাঙ্গ চিত্র বানায় বা যেসব ছবি দেখায় সেসব এর সাথে বাস্তবতার মিল নেই। তারা যতটা বয়স্ক দেখায় ততটা বয়স্ক নবী  মুহাম্মদ (ﷺ) ছিলেন না। যখন প্রশ্ন করা হলো আল্লাহর রাসুল কালো লাগাতেন নাকি তখন বলা হলো তিনি সে পর্যায়ে পৌছান নি। মুহাম্মদ (ﷺ) এর দাড়ি পাকে নি। যারা ছবি তে বৃদ্ধ দেখায় তারা ভুল ছবি তৈরি করেছে।

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর মৃত্যুর সময় মাথা ও দাড়িতে মাত্র ১৪ টা সাদা চুল ছিলো।

"তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর মাথা ও দাড়িতে মাত্র ১৪ টা সাদা চুল গণনা করেছি।" [মুসনাদে আহমদ, হা/১২৭১৩]

আয়েশা (রাঃ) নিজেই বলেছেন তিনি সবচাইতে শ্রেষ্ঠ মানুষ ছিলো। যার বিয়ে তার খবর নেই পারা পড়শীর ঘুম নেই।

শিশু বিবাহ সুন্নাত?

আল্লাহর নবী কোন কাজ করলে সেটা সুন্নত কে বলেছে?

সাওমে বিশাল মুহাম্মদ (ﷺ) যা করেছেন উম্মতের জন্য জায়েজ নয়

জবাব-১, মুহাম্মদ (ﷺ) ১১ টি বিয়ে করেছেন। ১১ টি বিয়ে করা কি সুন্নত?

জাবাব-২, মুহাম্মদ (ﷺ) দাঁড়িয়ে প্রসাব করেছেন (বুখারী হা/২২৪)

জবাব-৩, নবী নামাজ পড়ার আগে, স্ত্রীকে চুম্বন করেছেন।

জবাব-৪, মুহাম্মদ (ﷺ) নামাজ পড়ার সময় হাসান হুসাইন কে পিঠে রেখে দিয়েছেন।

জবাব-৫, নবী তাহাজ্জুদ ফরজ উম্মতের জন্য নফল।

জবাব-৬, মুহাম্মদ (ﷺ) মিরাজ করেছেন, মিরাজ করা কি সুন্নাহ?

মুহাম্মদ (ﷺ) অনেক কাজ করেছেন যা উম্মতের জন্য নয়। নবী করেছেন বলেই উম্মতের করতে হবে কে বলেছে?

ফাতিমা (রাঃ) এর বিয়ে কেন কম বয়সে দিলেন না? 


"ফাতিমার ব্যাপারে আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) তার সাথে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়ার পূর্বেই তিনি আলী (রাঃ) কে এ বিষয়ে ওয়াদা করেছিলেন।" [কিতাবুল তাবাকাতুল কুবরা ১০/২০]

আলী (রাঃ) যেহেতু আগে প্রস্তাব দিয়েছেন এ জন্য আল্লাহর রাসুল (ﷺ) আলীর (রাঃ) এর সাথে ফাতেমা (রাঃ) এর বিয়ে দিয়েছেন।

আর যদি এমন হতো তাহলে,

রুকাইয়া (রাঃ) এর ৮ বছরে হয়েছিল।
যয়নব (রাঃ) এর বিয়ে ১১ বছরে হয়েছিল।

কেন? 

[ বিঃদ্রঃ একটি হাদিস থেকে প্রমাণ দেয়া হয় পরবর্তীতে আলী (রাঃ) প্রস্তাব দিয়েছেন। তো এমনও হতে পারে যে আগে একবার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন। তার পর সবার প্রস্তাবের পর পুনরায় প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করেছেন।] (লাইভ অংশ)

আলী (রাঃ) আগেই বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফাতিমাকে

মুহাম্মদ আল-সোয়ানী (রহ) তাঁর সহিহ হাদিস ভিত্তিক নবীজীর জীবনীগ্রন্থ "কিতাবুস সীরাতিন নবওয়াতি কামা জাআত ফী আল-হাদিস আস-সহিহাহ"তে উল্লেখ করেছেন, একিই ঘটনা ভিন্ন সনদ ও মতনে তবাকাতুল কুবরাতে ১০/২০ মুরসাল হাসান সনদে এসেছে।

তবে সেই সনদ যঈফ নয় বরং বিভিন্ন মুতাবায়াত এবং সাওহেদ এর কারণে হাদীসটি হাসান লী গায়রীহি। আর এই ঘটনার একদম সহীহ্ সনদ হলো। কিতাবুস সীরাতিন নবওয়াতি ২/১৬৮-১৭০ ) সংক্ষিপ্ত তাহকিক উপস্থাপন করা হলো বিস্তারিত তাহকিক পরে নিয়ে আসবো।)  যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

আবু বকর (রাঃ) নবীর (ﷺ) কাছে এলেন ফাতিমার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: “আবু বকর এবং ওমর (রা…) ফাতিমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব করলেন, এবং আল্লাহর রসূল (ﷺ) বললেন: সে তো অল্পবয়ষ্ক।”– এটা একটা বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা। তিনি (ﷺ) মিথ্যা বলেননি যখন তিনি বলেছিলেন: “সে তো অল্পবয়স্ক।” ফাতিমা সত্যিই অল্পবয়সী, কিন্তু বিয়ে না করতে পারার মতো নয়.. আয়েশা বিনতে আবি বকর আল-সিদ্দিক (রাঃ) তার থেকে কয়েক বছরের ছোট এবং তিনি এখন আল্লাহর রসূলের স্ত্রী – .. এবং আল্লাহর রাসূল (ﷺ) – আবু বকর এবং ওমরের চেয়েও বয়স্ক এবং বড়। সুতরাং ব্যাপারটা তার থেকে ভিন্ন..

তাহলে আবু বকর ও উমর জাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ.. এবং তারা উসমানের চেয়েও উত্তম। তবুও, তিনি তাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন এবং উসমান তাঁর দুই কন্যাকে বিয়ে করলেন: রুকাইয়া এবং উম্মে কুলসুম কে। প্রকৃতপক্ষে, তার জ্যেষ্ঠ কন্যা জয়নাব এখন পর্যন্ত একজন মুশরিক লোকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ আছেন যিনি হলেন আবু আল-আস বিন আল-রাবী.. সুতরাং বিষয়টি আগে এবং পরে আল্লাহর। আবু বকর চলে গেলেন এবং উমর চলে গেলেন, এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (ﷺ) যাতে খুশি হয়েছিলেন, তারা তাতে সন্তুষ্ট থেকেছিলেন..

তাদের খবর একজন মহিলার [আলী রাঃ এর দাসী] কানে পৌঁছে গেল, এবং যা শুনে সে চিন্তিত হয়ে পড়ে, তাই সে দ্রুত তার মনিবের কাছে ছুটে গেল এবং তাকে বিশ্বের নারীদের নেত্রীকে (ফাতিমা) বিয়ে করতে উৎসাহিত করে.. এই মনিব কী করেছিলেন এবং খবরটি শুনে তিনি কী বলেছিলেন? সে সম্পর্কে আলী রাঃ নিজেই বর্ণনা করেছেন…

আমার একজন মহিলা দাসী আমাকে বলল: “আপনি কি জানেন যে রাসূলের (ﷺ) কাছে ফাতিমার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো” আমি বললাম: “না।” সে বলল: “আপনিও তো ফাতিমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন! তাহলে আপনি কেন বিবাহ করছেন না, আপনার কোন জিনিস আপনাকে বিবাহ করতে বাঁধা দিচ্ছে? আবু বকর ও উমরকে তো রাসূল (ﷺ) ফিরিয়ে দিয়েছেন। হতে পারে এখন আপনি প্রস্তাব দিলে রাসূল (ﷺ) আপনার সাথে ফাতিমার বিয়ে দিয়ে দিবেন।” আমি বললাম, “আমার কাছে তো তেমন সম্পদ নেই, যার মাধ্যমে (মোহরানা) আমি বিয়ে করতে পারবো।” তখন ঐ দাসী বললো, “আপনি যদি রাসূলের (ﷺ) কাছে যান, তাহলেই হবে।” এবং সে আমাকে বারবার বলতেই থাকলো, যতক্ষণ না আমি রাসূলের কাছে যাই। এবং আমিও তখন আশা করতাম যে আমি রাসূলের (ﷺ) কাছে যাবো।কিন্তু কেন ফাতিমার বিবাহের ব্যাপারে আলীর মনে এতো দ্বিধা ছিলো… সম্ভবত, তিনি নিঃস্ব এবং সে বিশুদ্ধ গোলাপকে মাহর দেওয়ার মতো কিছুই নেই।…
كتاب السيرة النبوية كما جاءت في الأحاديث الصحيحة (খণ্ড ২/১৬৮-১৭০, পৃ )

১|•
অল্পবয়ষ্ক বলা মানে এখানে বিবাহোনুপোয্যা নয়। কারণ ১৫ বছর বয়সী ফাতিমা (রাঃ) মোটেই বিবাহ অনুপোযোগ্য-অল্পবয়সী ছিলেন না। বরং তা বিনয়ীভাবে না বলার একটা অজুহাত হিসেবে বলা যেতে পারে। অর্থাৎ আবু বকর-উমর (রাঃ) কে বিয়ে না দেওয়ার জন্য বিনয়ীভাবে বলা শুধু। [বিবাহের প্রস্তাব এবং বিবাহ সমসাময়িক ধরলে এটা বলা যেতে পারে।]

২|•
আলী (রাঃ) আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফাতিমাকে বিয়ের জন্য এটা প্রমাণিত হয়।  আলী (রাঃ) কে আগে পছন্দ করে রেখেছিলেন, সেজন্য বাকিদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন নি। এবং পরবর্তীতে নিঃস্ব আলী (রাঃ) এর সাথেই বিয়ে দেন।

আলী (রাঃ) কে আগেই কথা দিয়েছিলেন। বর্ণনাটি এসেছে তাবাকাত ইবনে সা’দে,(১০/২০)

أخبرنا الفضل بن دكين، حدثنا موسى بن قيس الحضرمي قال:

سمعت حجر بن عنبس قال: وقد كان أكل الدم في الجاهلية وشهد مع علي الجمل وصفين: قال: خطب أبو بكر وعمر فاطمة إلى رسول الله، -صلى الله عليه وسلم-، وفقال النبي، -صلى الله عليه وسلم-، هى لك يا علي، لست بدجال، يعني لست بكذاب. وذلك أنه قد كان وعد عليا بها قبل أن يخطب إليه أبو بكر وعمر.

ফাদল ইবনে দাকিন আমাদের বলেছেন, মুসা ইবনে কায়েস আল-হাদ্রামি আমাদের বলেছেন: “আমি হাজার ইবনে আনবিসকে বলতে শুনেছি: তিনি প্রাক-ইসলামী যুগে রক্ত খেতেন এবং তিনি আলী আল-জামালের সাথে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এবং দুটি বর্ণনা করেছিলেন: তিনি বলেছিলেন: আবু বকর এবং উমর, ফাতিমার ব্যাপারে আল্লাহর রাসূলের কাছে বিবাহ প্রস্তাব করেছিলেন এবং রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন, “হে আলী, আমি মিথ্যাবাদী নই, আমি ওয়াদা-ভঙ্গকারী নই। এর কারণ হচ্ছে, আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) তার সাথে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়ার পূর্বেই তিনি আলী (রাঃ)-কে এ বিষয়ে ওয়াদা করেছিলেন।”

হাদিসটি মুরসাল এবং সনদ হাসান।(كتاب فاطمة بنت النبي – صلى الله عليه وسلم – سيرتها، فضائلها، مسندها – رضي الله عنها – 2/

আলবানী হাদিসটিকে মুরসাল সনদ হাসান বলেছেন। (সিলসিলা যঈফা ১৩/৮৮৩, হাদিস নং ৬৩৯২)

আয়েশা (রাঃ) এর কি সম্মতি ছিলো না?

আমরা এর আগের আর্টিকেলই দেখিয়েছি আয়েশা (রাঃ) এর সম্মতি ছিলো কি ছিলো না।

আয়েশা (রাঃ) ২২১০ টা হাদিস বর্ণনা করেছেন কোথাও বলেন নি আমি রাজি ছিলাম না, জোর করা হয়েছে, আমি উপযুক্ত ছিলাম না। একদিনো বলেন  নি। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর মৃত্যুর পর ৪১ বছর আয়েশা (রাঃ) জীবিত ছিলেন। কই কোথাও কোনদিন তো কোন অভিযোগ করেন নি। বরং আয়েশা (রাঃ) নবী মুহাম্মদ (ﷺ) কে নিয়ে গর্ব করতেন অহংকার করতেন।

একটা প্রমাণ দিন যেখানে আয়েশা (রাঃ) এর সম্মতি ছিলো না।

বিয়ে নিয়ে,,

আয়েশা (রাঃ)- অভিযোগ করেনি, বাবা অভিযোগ করেনি, মা অভিযোগ করেনি, মুহাম্মদ (ﷺ) এর শত্রুরা অভিযোগ করেনি, মুহাম্মদ (ﷺ) এর সমাজ অভিযোগ করেনি।

আবু লাহাব, আবু জাহেল রাও অভিযোগ করেনি। আজ থেকে ৩০০ বছর আগের ১০০০ বছরেও কেউ এই অভিযোগ করে নি। আর আজকালকার নাস্তিকরা শুরু করেছে কি না বুঝে।

নিজেদের গালগল্প আর কতদিন বানাবে নাস্তিকরা?

আয়েশা (রাঃ) পুতুল নিয়ে খেলতেন অতএব তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন!


পুতুল খেললেই কি মেয়েরা ছোট হয়ে যায়!?
তিনি ১৫-১৭ বছরেও পুতুল খেলতেন।

"খায়বারের/তাবুকের যুদ্ধের সময়কালে, খেলার পুতুলগুলি দৃশ্যমান হয়ে পড়ে।" [সুনানে আবু দাউদ (৪৯৩২, ইফাবা ৪৮৫০)

তখন ছিলো ১৬/১৭ বছর বয়স। এটা কি বিবাহযোগ্য বয়স না? আধুনিক যুগের মানুষরাই বলবে। তাহলে কি বুঝা গেলো? তিনি ১৬-১৭ বছর বয়সেও পুতুল দিয়ে খেলতেন।

তাহলে ১৬ বছরেও কি তাকে বাচ্চা বলবেন?

আয়েশা (রাঃ) এর জন্ম ৬১৩ খ্রিস্টাব্দে

খয়বারের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে
তাবুকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে

যখন আয়েশা (রাঃ) এর বয়স হবে ১৬-১৭

তখনও তিনি পুতুল খেলতেন। তাহলে পুতুল খেলার কথা বলে আয়েশা (রাঃ) কে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলা পুরোপুরি বাতিল।

[ ইবনে খাত্তাবের কথা সম্পর্কে ইবনু হাজার বলেছেন হতে পারে তখন আয়েশার বয়স ১৪, maybe হতে পারে। তাই উল্টোপাল্টা কথা বললে কাজ হবে না। ]

১৩ বছর বয়সে পুতুল খেলা

৩৫% ব্রিটিশ নারীরা তাদের বিছানায় টেডি বিয়ার নিয়ে যায় বর্তমানে

প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা পুতুল নিয়ে খেলে। তাদের কি ছোট বলবেন?

৪৮ বছরের এক মহিলাও পুতুল রাখা ছাড়তে পারেন নি। তার সাথে ঘুরতে, শপিং এ জান

তাহলে ৪৮ বছর বয়সী মহিলাকে শিশু বাচ্চা বলবেন? ১৪০০ বছর আগে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ছিলো না। কি করবে? তাদের খেলার বস্তু ছিল পুতুল। আরাম বলতে গেলে দোলনা।

তাই দোলনা, পুতুল দেখলেই ছোট বানিয়ে দেয়া এটি কোন আইনের কথা?

আয়েশা (রাঃ) দোল খেলতেন! 

তাহলে বলুন এরা কি ছোট খোকা?

আয়েশা (রাঃ) দোল খেলেছে তাই ছোট হয়ে গেছে। দেখেন কারা দোল খেলে। বড়রা বেশি দোল খেলে, ১৪০০ বছর আগে কি করবে কি করবে? না টিভি ছিলো না মোবাইল না রেডিও তাহলে দোলনা খেললে বাচ্চা?

ধরুন, একজনের স্ত্রী দোলনায় বসে পাবজি গেম খেলছে তাহলে কি নাস্তিকরা বলবে এ তো দোল খেলছে, গেম খেলছে তার মানে সে বালিকা, বাচ্চা, শিশু!?

বলবে?

আজকে আপনি মোবাইল গেম খেলছেন এখন মোবাইল এর যুগ। তখন একটা ছিলো তখন তারা দোল খেলেছে বলে যে বাচ্চা হয়ে যাবে এটা কোথায় পেলেন?

তারপর আয়েশা (রাঃ) এর জ্বর হয়েছিল তখন তার চুল পড়েছিলো।

আধুনিক বিজ্ঞান বলছে বয়ঃসন্ধিকালে চুল পড়ে। 


বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক চেঞ্জ যা স্বাভাবিক। চুল উঠার পর সংসার করতে গিয়েছেন।

First sexual intercourse at 12 years old


১২ বছরে করছে! কই তাদের তো কোন ক্ষতি হচ্ছে না?

অনেকে বলবে বাচ্চা নিতে পারবে না।

১০০ বছরে মানুষের শারীরিক পরিবর্তন ঘটেছে,,


তার মানে বুঝা যাচ্ছে আজকের মেয়েরা আর ১৪০০ বছর আগের আয়েশা (রাঃ) দুটো সমান নয়। বিজ্ঞান দিয়েই তার প্রমাণ দিলাম।

মুহাম্মদ (ﷺ) যখন আয়েশা (রাঃ) কে বলেছিলেন যে পিতা মাতার পরামর্শ নিতে। তখন আয়েশা (রাঃ) নিজেই বলেছেন যে পিতা মাতার সাথে আমি কি পরামর্শ করবো। আমি আল্লাহ ও তার রাসুলকে গ্রহণ করলাম। (বুখারী হা/৪৭৮৬)

স্পষ্ট প্রমাণ। অনুমতি ছিলো না এমন প্রমাণ কোথায়?

আয়েশা (রাঃ) এর যদি সম্মতি নাই থাকতো। তাহলে ৯-১০ বছরের সংসারে কেন মুহাম্মদ (ﷺ) এর কাছ থেকে তালাক চাননি?

যেখানে তালাকের ইখতিয়ার আছে।

৫২ বছরের হয়ে ৯ বছরের মেয়ের সাথে Physical relationship কেন?

আরে! ১৮ বছরের কোন মেয়ে যদি ৭০ বছর বয়সের পুরুষকে বিয়ে করতে চায় তাহলে কি কেউ বাঁধা দিতে পারবে? পারবে না। এটাকে অনৈতিক বলার কে আপনারা? 

এখন ৯ বছরের প্রাপ্তবয়স্ক উপযুক্ত আয়েশা (রাঃ) যদি ৫৩ বছরের পুরুষকে বিয়ে করে সম্মতিতে তাহলে এটাকে অনৈতিক বলা কে আপনারা?

দুজনি যখন এডাল্ট। বয়সের তারতম্যে কোন আইন নাই। কোন আইনে নাই যে ১৮ বছরের মেয়ে ৩০ বছরের ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে না। এটা তাদের নিজেস্ব ইচ্ছা। শুধু গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।

সুতরাং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে হয়েছে। এখানে বয়সের তারতম্যে দেখানো পুরোপুরি অযৌক্তিক। এটা প্রাপ্তবয়স্ক বিবাহ উপযুক্তদের নিজস্ব ইচ্ছা। এখানে আইনও হস্তক্ষেপ করে না।

বর্তমানেই দেখবেন ১৮-২০-২৫ বছরের মেয়েরা ৩০-৪০-৫০ বছরের ছেলেকে বিয়ে করছে। এখানে আইন হস্তক্ষেপ করছে না। আইন হলো প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর বয়েসর তারতম্যে তে কিছু যায় আসে না। মেয়ে ২৫ ছেলে ২৫ করতে পারে আবার মেয়ের ২৫ ছেলের ৪৫ ও করা যাবে। এটা তাদের নিজেস্ব ইচ্ছা স্বাধীনতার ব্যাপার স্যাপার।

কোনভাবে অনৈতিক বলা যাবে না। সম্মতিতে প্রাপ্তবয়স্ক উপযুক্ত হলেই হলো। বাকিটা তাদের ব্যাপার।

তূলনামূলক আলোচনা

শ্রীরাম, কৃষ্ণ, শিব এর কথা পূর্বে দিয়েছি। এবার এটি দেখুন,,

বিবাহের সময় মেরীর বয়স ১২ আর যোসেফ এর বয়স ৯০ বছর বয়স ছিল! (ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া, ৮/৫০৫)

এসব নিয়ে নাস্তিক সমাজ কিছু বলে নি।

আয়েশার (রাঃ) চুল আঁচড়িয়ে দিতেন

কেন? প্রাপ্তবয়স্কদের চুল কি মায়েরা আঁচড়িয়ে দেয় না?

___




——————

আশা করি, আয়েশা (রাঃ) এর বিরুদ্ধে করা অভিযোগসমূহের জবাব পেয়েছেন।

প্রথম পর্ব: মুহাম্মদ (ﷺ) ও আয়েশা (রাঃ) এর বিয়ে জবাব ও ২১ টি প্রশ্ন


Post a Comment

0 Comments