মনুসংহিতা,পুরান,গীতা,রামায়ণ,মহাভারত,বেদ ও আমার জিজ্ঞাসা - ২

বিষয়:- বিজ্ঞান,অশ্লীলতা, নারী দোষ, বিবাহ, সতীদাহ ইত্যাদি!
🖋Author:- Irfan Hossain
____________________________________________________________________________________





"উল্লেখিত গ্রন্থগুলি হিন্দুধর্মের অতি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এসব গ্রন্থে হিন্দুধর্মের ইতিহাস, দেবতাদের ইতিহাস, নানান নিয়ম, বিধান রয়েছে। তবে অগ্নিপীরের ভক্তরা বাদে হিন্দুধর্মের সবাই এসব মেনে চলে অর্থাৎ তাদের ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মানে। ইসলাম বিরোধী কথাবার্তা যেনো তাদের রোজ দিনের স্বভাব। তাই তাদের জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ কিতাব থেকে লেখা এই লেখনী। যারা বলবে এসব মানি না তাদের বলবো, আপনাদের মত না মানা মানুষ অনেক অল্প। এসব গ্রন্থ না মানলে হিন্দুধর্মের ইতিহাস, দেবতাদের ইতিহাস, রাম সীতা কৃষ্ণ রুক্মিণী সবই মিথ্যা প্রতিপন্ন হবে। আর তাহলে বলতে হবে না "জয় শ্রীরাম" "হরে কৃষ্ণ" সুতরাং এসব অস্বীকার করা বোকামি বৈ কিছু নয়।"
— Aminur Rashid

প্রথম পর্ব না পড়ে থাকলে পড়ে আসুন,,,

মনুসংহিতা ও পুরাণ ও আমার জিজ্ঞাসা! - ১

বিষয় তালিকা

  • হিন্দু_ধর্মের_বিজ্ঞান
  • হিন্দু_শাস্ত্রে_নারীকে_কি_দেবীর_সম্মান_দেওয়া_হয়েছে
  • ধর্মীয়_চ,"টি_গল্পঃ
  • দেবরাজ_ইন্দ্রের_পরকিয়া_ও_কু",কর্ম
  • রাক্ষসের_দোষ_কাটার_জন্য_গোবরের_গুণ
  • হিন্দু শাস্ত্রে যুদ্ধ ও স্বর্গে অপ্সরা (হুর) প্রাপ্তি
  • ভগবানের পালিয়ে গিয়ে বিবাহ
  • গোমুত্রের_গন্ধে_সন্তান_জন্ম
  • শাস্ত্রমতে_অপ্সরাদের_যৌ",ন_কর্ম
  • নারী_জাতীর_দোষ_ও_স্বর্গবে",শ্যার কাহিনী
  • স্ত্রী_জাতীর_দোষ_কেমন_হিন্দু_শাস্ত্র
  • গীতাতে_যুদ্ধের_উস্কানী_যু",দ্ধবাজ গ্রন্থ
  • কন্যা_হরণ_করে_বিয়ে_ক্ষত্রিয়দের_শ্রেষ্ঠ
  • ভগবানের_নারী_অ,'পহ*রণ ও বিবাহ
  • শ্রীকৃষ্ণের ১৬০০০ স্ত্রীর কান্না
  • যম - যমী আপন ভাই বোনের যৌন কথোপকথন
  • সতীদাহ

[১]

হিন্দু_ধর্মের_বিজ্ঞান

একজন মানুষ নাকি লাঙ্গলের ফলা থেকে বের হয়

রামায়ণে সীতার বর্ণনা দেওয়া আছে,
 
#মন্ত্রঃ অথ মে কৃষতঃ ক্ষেত্রং লাঙ্গলাদুখিতা ততঃ॥ ক্ষেত্রং শোধয়তা লব্ধা নাম্না সীতেতি বিশ্রুতা। ভূতলাদুখিতা সা তু ব্যবৰ্ধত মমাত্মজা বীর্যশুল্কেতি যে কন্যা স্থাপিতেয়মযোনিজা। (৬৬।১৩-১৫)

#অনুবাদঃ —অনন্তর একদিন ক্ষেত্রকর্ষণ করতে করতে লাঙ্গলের রেখা থেকে একটি কন্যাকে পাই ।
ক্ষেত্রশোধনকালে হলরেখা থেকে উত্থিত এজন্য লোকে তাকে সীতা বলে।
ভূতল থেকে উঠে সে আমার আত্মজা রূপে বড় হয়েছে। আমার এই অযোনিজা কন্যা বীর্যশুল্কা‍ হবে এই স্থির করেছি।

● [রামায়ণ, বালকাণ্ড, সর্গ ৬৬-৬৭, পৃষ্ঠা নং ৫৩, পন্ডিত রাজশেখর বসুর অনুবাদ ] ●

[২]

#হিন্দু_শাস্ত্রে_নারীকে_কি_দেবীর_সম্মান_দেওয়া_হয়েছে?

অনেকে বলে হিন্দু ধর্মে নারীদের দেবীর সম্মান দেওয়া হয়েছে,, মুলত তারা শাস্ত্র না জেনেই এসব আজগুবি কথা বলে,  নিচে শাস্ত্র থেকে রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে তারা রেফারেন্স যেন মিলিয়ে নেয়

মন্ত্রঃ স্বভাব এষ নারীণাং নরাণামিহ দূষণম্। অতোর্থান্ন প্রমাদ্যন্তি প্রমদাসু বিপশ্চিতঃ।। ২১২

#অনুবাদঃ  ইহলোকে (শৃঙ্গার চেষ্টার দ্বারা মোহিত ক’রে) পুরুষদের দূষিত করাই নারীদের স্বভাব; এই কারণে পণ্ডিতেরা স্ত্রীলোকসম্বন্ধে কখনোই অনবধান (unguarded) হন

#রেফারেন্সঃ

● [ মনুসংহিতা, ২য় অধ্যায়, ২১২ নং শ্লোক, পৃষ্টা নং ৬১, পন্ডিত মানবেন্দু,  শ্রীবলরাম প্রকাশনী] ●

[৩]

#ধর্মীয়_চ,"টি_গল্পঃ

চেদির রাজা উপরিচর বসু ঋতুবতী স্ত্রীর জন্য হ",স্থমৈ",থুনে  বী",র্যপাত ঘটিয়ে শ্যেন পাখির কাছে তা পাঠিয়ে দিলেন।

পথে শ্যেন পাখির মুখ থেকে বীর্য পড়ল জলে, আদ্রিচ নামের মাছে বীর্যটুকু খেয়ে নেয়।।

মাছটা গর্ভবতী হলো। জন্ম দিলো এক কন্যা, নাম তার মৎস্যগন্ধা।

খেয়া পাটনী কুমারী মৎস্যগন্ধার রূপে মুগ্ধ হয়ে পড়েন "মুনি পরাশর"।

কুমারী মৎস্যগন্ধাকে দেখে পরাশর মুনি কা",র্তিক মাসের পাগলা কুকুরের ন্যায় কা",মে জরজরিত হয়ে পড়েন।

মৎস্যগন্ধাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ধ",র্ষন করে ল",ম্পট পরাশর মুনি ।

ধ",র্ষন মাত্রই মৎস্যগন্ধা গর্ভবতী ও তৎক্ষনাৎ গর্ভপাত।

মাত্র কয়েক মুহূর্তে জন্ম নিলো আমাদের ধর্মগুরু ব্যাসদেব ওরফে বেদব্যাস।

শুধু তাই নয়,আতুড় মাতৃ পরিচর্যা, লালন পালন আর মায়ের বুকের দুধ ছাড়াই একবারে হেঁটে হেঁটে বনে গমন করল। আর বই পুস্তক কাগজ কলম ছাড়াই বড় পণ্ডিত হয়ে গেলেন।
পরবর্তীতে বেদব্যাস তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের দা",সীকে ধ",র্ষন করে পঞ্চ পাণ্ডবদের বাবা জ্যাঠা কাকার অবৈধ জনক হলেন।

তিনিই আবার নানা গ্রন্থের কাল্পনিক কৃষ্ণের স্রষ্টা। এই কৃষ্ণকেই ব্রাহ্মণ বৈষ্ণবরা ঈশ্বর ভগবান জগদীশ্বর পরমেশ্বর বলে

এখন আপনারাই বলুন--নকল ভগবান কে?

●[মহাভারত, আদিপর্ব ১০, পৃষ্ঠা নং ১৩,  পন্ডিত রাজশেখর বসুর অনুবাদ ]

[৪]

#দেবরাজ_ইন্দ্রের_পরকিয়া_ও_কু",কর্ম

দেব শর্মা নামে এক ঋষি ছিলেন তার পত্নীর নাম রুচি। অতুলনীয় সুন্দরী রুচির উপর ইন্দ্রের লোভ ছিল।

দেবু শর্মা স্ত্রী চরিত্র ও ইন্দ্রের পরস্ত্রী লালসা জানতেন সেজন্য রুচিকে সাবধানে রক্ষা করতেন।

একদিন তিনি তার প্রিয় শিষ্য বিপুলকে  বললেন আমি যজ্ঞ করতে যাচ্ছি তুমি তোমার গুরুপত্নীকে সাবধানে রক্ষা  করবে।

দুষ্টু কুকুর যেমন যজ্ঞর ঘৃত লেহন করে সেইরূপ দেবরাজ যেন রুচিকে উচ্ছিষ্ট না করে।

দেব শর্মা চলে গেলেন মহাতপা বিপুল রুচির নিকটে বসলেন এবং নিজের নেত্ররশ্মি রুচির নেত্রে সংযোজিত করে বায়ু যেমন আকাশে যায় সেইরূপ গুরুপত্নী দেহে প্রবেশ করলেন।

এমনসময় ইন্দ্র #লোভনীয় রূপ ধারণ করে সেখানে এসে দেখলেন আলেখ্য চিত্রিত মূর্তির ন্যায় বিপুল স্তব্ধনেত্রে বসে আছেন তার নিকটে পূর্ণচন্দ্র নিভাননা পদ্ম পলাশাক্ষী রুচিও রয়েছেন ইন্দ্রের রূপ দেখে বিস্মিত হয়ে দাঁড়িয়ে উঠে বলবার চেষ্টা করলেন, তুমি কে?

কিন্তু পারলেন না,  ইন্দ্র মধুর বাক্যে বললেন,  #সুন্দরী আমি ইন্দ্র #কামার্ত হয়ে তোমার কাছে এসেছি, আমার অভিলাষ পূর্ণ করো

রুচিকে নিশ্চেষ্ট ও  র্নির্বিকার দেখে ইন্দ্র আবার তাকে আহ্বান করলেন।

●( মহাভারত, অনুশাসন পর্ব 9,  535 পৃষ্ঠা, পন্ডিত রাজশেখর বসু )●

আমার কথা হলো, যিনি দেবতাদের রাজা তার চরিত্র যদি এমন হয়,  তাহলে সেই ধর্মটা কেমন ধর্ম?

[৫]

#রাক্ষসের_দোষ_কাটার_জন্য_গোবরের_গুণ

পুতনা নামে এক রাক্ষসী যশোদার বাড়ীতে এসেছিলো শ্রীকৃষ্ণকে হ,"ত্যা করতে

পুতনা কৃষ্ণের মুখে স্তন দিতেই কৃষ্ণ এমন জোরে চুষিলেন যে সেই টানেই তাহার প্রাণ যায় যায় হইল।

তাহার মর্মস্থানে যাতনা উপস্থিত হওয়াতে রাক্ষসী ছাড় ছাড়, আর নয়, ওরে দুষ্ট ছেলে ছাড়িয়া দে' বলিয়া চিৎকার করিতে লাগিল।

তাহার সর্বাঙ্গ ঘর্মাক্ত ও নয়ন যুগল বিস্ফারিত হইয়া পড়িল। অতি যাতনায় সে বারবার হাত-পা ছুঁড়িয়া গোঁ গোঁ শব্দ করিতে লাগিল।

তাহার সেই বিকট শব্দ দিকে দিকে প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল এবং লোকে বজ্রপাত হইল মনে করিয়া মূর্ছিত হইতে আরম্ভ করিল।

রাক্ষসী আর নিজেকে গোপন রাখিতে না পারিয়া নিজরূপ ধারণ করিল এবং হাত-পা ছড়াইয়া দেশ জুড়িয়া পড়িল।

তখন তাহার বিকট আকার দেখিয়া সকলে ভীত হইল। বালক কৃষ্ণ কিন্তু নির্ভয়ে তাহার বুকের উপর শুইয়া হাত-পা নাড়িয়া খেলা

করিতেছিলেন। যশোদা তাড়াতাড়ি কৃষ্ণকে ষাট ষাট বলিয়া কোলে তুলিয়া লইলেন, এবং দোষ

কাটাইবার জন্য যশোদা কৃষ্ণের গায়ে গরুর লেজ বুলাইয়া দিলেন

এবং নন্দ মন্ত্র পড়িয়া #গোবরের গুঁড়া কৃষ্ণের মাথায় দিলেন।

●[ বিষ্ণুপুরাণ, বৃন্দাবনলীলা ৬৮ পৃষ্ঠা, পন্ডিত চারুচন্দ্র বন্ধ্যোপাধ্যয় ]●

[৬]

হিন্দু শাস্ত্রে যুদ্ধ ও স্বর্গে অপ্সরা (হুর) প্রাপ্তি

হিন্দু ধর্মের অনেকে আছে যারা নিজেদের শাস্ত্র না পড়ে ইসলাম ধর্মের

জিহাদ ও জান্নাতে হুর পাওয়া নিয়ে ঠাট্টা করে তাদের জবাবে এই রেফারেন্স!

শোকার্ত সুগ্রীবের কথা শুনে রাম বিমনা হয়ে সজলনয়নে তারার দিকে চাইলেন।

রামকে দেখে তারা বললেন, তুমি জিতেন্দ্রিয় ধর্মাত্মা কীর্তিমান, যে বাণে আমার স্বামীকে মেরেছ সেই বাণে আমাকেও মার, আমি তার কাছে যাব। বালী অন্য রমণীকে চান না।

বিচিত্রবেশা অপ্সরারা তাকে ভজনা করবে, কিন্তু আমাকে না দেখলে তার দুঃখ দূর হবে না ।
বৈদেহীর বিরহে তুমি যেমন দুঃখার্ত, আমার বিরহে বালীও সেইরূপ হবেন।

জেনাে আমাকে বধ করলে তােমার স্ত্রীহত্যার পাপ হবে না, কারণ আমি বালীরই আত্মা।

| তারাকে প্রবােধ দিয়ে রাম বললেন, বীরপত্নী, ভ্রান্ত মতি ত্যাগ কর, বিধাতা সকল প্রাণীকেই সুখদুঃখাধীন করেছেন। বিধির বিধানে আবার তুমি সুখী হবে, তােমার পুত্র রাজ্য পাবে।

তার পর রাম সুগ্রীব তারা ও অঙ্গদকে বললেন, শােকে আর পরিতাপে মৃত ব্যক্তিরমঙ্গল হয় না।

বালী যুদ্ধে প্রাণত্যাগ করে স্বর্গলােক লাভ করেছেন, তােমরা এখনকার যা কর্তব্য তা সম্পাদন কর।

●( রামায়ন, কিষ্কিন্ধ্যাকান্ড ৮, সর্গ ১৯ - ২৫, পৃষ্ঠা নং ১৬৫ , পণ্ডিত রাজশেখর বসু)●

এবার মহাভারত এর পর্ব থেকে দেখব,,

* অর্জুন কৃষ্ণকে বললেন, মাধব, ধর্মপুত্র শােকার্ণবে মগ্ন হয়েছেন, তুমি একে আশ্বাস দাও।

যুধিষ্ঠিরের চন্দনচর্চিত পাষাণতুল্য বাহু ধারণ করে কৃষ্ণ বললেন, পুরুষশ্রেষ্ট শােক সংবরণ করুন, যারা যুদ্ধে মরেছেন তাদের আর ফিরে পাবেন না। সেই বীরগণঅস্ত্রপ্রহারে পবিত্র হয়ে স্বর্গে গেছেন, তাদের জন্য শােক করা উচিত নয়।

ব্যাস বললেন, যুধিষ্ঠির, তুমি ক্ষত্রিয়ধর্ম অনুসারেই ক্ষত্রিয়দের বিনষ্ট করেছ।

●(মহাভারত, শান্তিপর্ব ২, পৃষ্ঠা নং ৪৯০, রাজশেখর বসু)●

[৭]

ভগবানের পালিয়ে গিয়ে বিবাহ,

অনেক হিন্দুরা কৃষ্ণকে ভগবান মানে, কেউ আবার ঈশ্বর মানে,
সেই কৃষ্ণ রুকমিনীকে মন্দির থেকে পলায়ে নিয়ে দারকায় এসে বিবাহ করে

শিশুপালের সঙ্গে রুকমিনীর বিবাহের অনুষ্ঠানের দিন, অম্বিকা মন্দিরে রুকমিনী  প্রার্থনা করতেছিলেন, কৃষ্ণ মান্দিরের দ্বারে অপেক্ষা করতেছিলেন,
রুকমিনী যেই মন্দির থেকে বের হলেন, কৃষ্ণ তাহাকে টপ করিয়া রথে তুলে দারকার দিকে পলায়ন করলেন
দরকায় নিয়ে এসে কৃষ্ণ রুকমিনীকে বিবাহ করে 
<< বিষ্ণু পুরাণ, ১৮ অধ্যায়  দারকালীলা,
৮৫ পৃ: পন্ডিত চারুচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়>>>

[৮]

#গোমুত্রের_গন্ধে_সন্তান_জন্ম

সহদেব বিরাট রাজার কাছে এসে বললেন, আমি দশযোজনব্যাপী গরুর দলও গণনা করতে এবং তাদের ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান বলতে পারি,

যে উপায়ে গোবংশের বৃদ্ধি হয় এবং রোগ না হয় তাও জানি। আমি সুলক্ষণ বৃষ চিনতে পারি যাদের মূত্র আঘ্রাণ করলে বন্ধ্যাও প্রসব করে।

●(মহাভারত, বিরাটপর্ব ৩, পৃষ্ঠা নং ২৫৭, পন্ডিত রাজশেখর বসুর অনুবাদ)●

[৯]

#শাস্ত্রমতে_অপ্সরাদের_যৌ",ন_কর্ম

অনেক হিন্দুরা বেহেশতে হুর নিয়ে খুব কড়া সমালোচনা করে থাকে,, কিন্তু আজকে আমি মহাভারত থেকে দেখাবো স্বর্গে অপ্সরাদের কাজ কি?

অর্জুন অপ্সরার সাথে সহবাসে রাজি না হওয়ায়  উর্বশী বললেন, দেবরাজপুত্র, আমাকে গুরুস্থানীয় মনে করা অনুচিত, অপ্সরারা নিয়মাধীন নয়।
পুরুবংশের পুত্র বা পৌত্র যে কেউ স্বর্গে এলে আমাদের সঙ্গে সহবাস করেন।

●(মহাভারত, বনপর্ব ১৭৬ পৃষ্ঠা,  পন্ডিত রাজশেখর বসুর অনুবাদ)●

[১০]

#নারী_জাতীর_দোষ_ও_স্বর্গবে",শ্যার কাহিনী

যুধিষ্ঠির বললেন, পিতামহ, শোনা যায় স্ত্রীজাতি লঘুচিত্ত এবং সকল দোষের মূল।

আপনি তাদের স্বভাব সম্বন্ধে বলুন।

ভীষ্ম বললেন, আমি তোমাকে নারদ ও পুংশ্চলী (বেশ্যা) পঞ্চচূড়ার কথা বলছি শোন।

- একদিন নারদ বিচরণ করতে করতে ব্রহ্মলোকবাসিনী অপ্সরা পঞ্চচূড়াকে দেখতে পেলেন।
নারদ বললেন, সুন্দরী, স্ত্রীজাতির স্বভাব কি প্রকার তা আমি তোমার কাছে শুনতে ইচ্ছা করি।

পঞ্চচূড়া বললেন, আমি স্ত্রী হয়ে স্ত্রীজাতির নিন্দা করতে পারব না, এমন অনুরোধ করা আপনার উচিত নয়।

নারদ বললেন, তোমার কথা যথার্থ, কিন্তু মিথ্যা বললেই দোষ হয়, সত্য কথায় দোষ নেই।

তখন চারুহাসিনী পঞ্চচূড়া বললেন, দেবর্ষি, নারীদের এই দোষ যে তারা সবংশীয়া রূপবতী ও সধবা হলেও সদাচার লঙ্ঘন করে।

তাদের চেয়ে পাপিষ্ঠ কেউ নেই, তারা সকল দোষের মূ",ল।

ধনবান রূপবান ও বশীভূত পতির জন্যও তারা প্রতীক্ষা করতে পারে না, যে পুরুষ কাছে গিয়ে কিঞ্চিৎ চাটুবাক্য ব'লে তাকেই কামনা করে।

উপযাচক পুরুষের অভাবে এবং পরিজনদের ভয়েই নারীরা পতির বশে থাকে।

তাদের অগম্য কেউ নেই, পুরুষের বয়স বা রূপ তারা বিচার ক'রে না।

রূপযৌবনবতী সুবেশা স্বৈরিণীকে দেখলে কুলস্ত্রীরাও সেইরূপ হ'তে ইচ্ছা করে। পুরুষ না পেলে তারা পরস্পরের সাহায্যে কামনা পূরণ করে।

●[মহাভারত,  অনুশাসনপর্ব ৯, পৃষ্ঠা নং ৫৩৪, রাজশেখর বসুর অনুবাদ,  নিউ এজ প্রকাশনী]●

[১১]

#স্ত্রী_জাতীর_দোষ_কেমন_হিন্দু_শাস্ত্রে

হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে নারী জাতী #নির্দয়, #ধর্মজ্ঞানশুন্য এবং আত্নীয়ের মধ্যে দ্বন্দ করে থাকে
মন্ত্র ও অনুবাদ দেখুন,,

উত্তরং নোৎসহে বন্ধুং দৈবতং ভবতী মম। বাক্যমপ্রতিরূপং তু ন চিত্রং স্ত্রীষু মৈথিলি ।

স্বভাবস্তেষ নারীণামেষু লোকেষু দৃশ্যতে॥ বিমুক্তধর্মাশ্চ পলাত্তীক্ষা ভেদকরাঃ স্ত্রিয়ঃ।

ন সহে হীদৃশং বাক্যং বৈদেহি জনকাত্মজে॥ শ্রোত্রয়োরুভয়োর্মধ্যে তপ্তনারাচসন্নিভম্।

উপশৃণ্বন্তু যে সর্বে সাক্ষিণো হি বনেচরাঃ॥ ন্যায়বাদী যথা বাক্যমুক্তোহহং পরুষং ত্বয়া ।

ধিক্ ত্বামদ্য বিনশ্যন্তীং যমামের বিশঙ্কসে৷ স্ত্রীত্বাদ্দুষ্টস্বভাবেন গুরুবাক্যে ব্যবস্থিতম্।

গচ্ছামি যত্র কাকুৎস্থঃ স্বস্তি তেহস্তু বরাননে (৪৫। ২৮-৩৩) —
আপনি আমার দেবতার তুল্য,

আপনার কথার উত্তর দিতে আমার প্রবৃত্তি হচ্ছে না।
মৈথিলী, অযোগ্য কথা বলা স্ত্রীলোকের পক্ষে বিচিত্র নয়, তাদের স্বভাবই এইপ্রকার দেখা যায়।
স্ত্রীজাতি ধর্ম-জ্ঞানশূন্য, চপল, #নির্দয়, তারা আত্মীয়ের মধ্যে ভেদ সৃষ্টি করে।

●[রামায়ণ, অরণ্যকান্ড ৪৫, সর্গ ২৮-৩৩, পৃষ্ঠা নং ১৩৫, রাজশেখর বসুর অনুবাদ]●

[১২]

#গীতাতে_যুদ্ধের_উস্কানী_যু",দ্ধবাজ গ্রন্থ?

মহাভারত থেকে কাটছাট করে নেওয়া ৭০০ শ্লোক সংগ্রহ করে নাম দিয়েছে গীতা!

এই গীতার বাণী হলো কৃষ্ণ অর্জুনকে বারবার যুদ্ধ করার জন্য উস্কানী দিচ্ছে,,

গীতা পড়লে শুধু যুদ্ধ আর যুদ্ধ অর্জুন যুদ্ধ করবে না, কিন্তু কৃষ্ণ ছাড়বে না,, শেষে যুদ্ধে নিজের গুরুকেও হ,'ত্যা করেন

#নিচে_রেফারেন্সগুলো_চেক_করুন

শ্লোকঃ ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ পার্থ! নৈতৎ ত্বয্যুপপদ্যতে। ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌর্বল্যং তত্ত্বোত্তিষ্ঠ পরন্তপ!!
গীতা ১/৩

#অনুবাদঃ হে পার্থ! মোহবশত কাপুরুষতাকে আশ্রয় করো। না— এই কাতরতা তোমার শোভা পায় না। হৃদয়ের ক্ষুদ্র দুর্বলতা ত্যাগ করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও।

শ্লোক : তস্মাৎ ত্বমুত্তিষ্ঠ যশো লভস্ব জিত্বা শত্রুন্ ভু রাজ্যং সমৃদ্ধম্। ময়ৈবৈতে নিহতাঃ পূর্বমেব নিমিত্তমাত্রং ভব সব্যসাচিন্।। গীতা ১১/৩৩

#অনুবাদ : অতএব তুমি যুদ্ধের জন্য উদ্যোগী হও। যশ লাভ কর এবং শত্রুদের পরাজিত করে নিষ্কন্টক রাজ্য ভোগ কর। আমার দ্বারা এরা পূর্বেই নিহত হয়েছে। হে অর্জুন, তুমি | নিমিত্তমাত্র।।

শ্লোকঃ  তস্মাৎ সর্বেষু কালের মামনুস্মगा মহাপিত মনোবুদ্ধিমামেবৈব্যস্যসংশয়ম্ ।।
গীতা ৮/৭

#অনুবাদঃ অতএব আমাকে স্মরণ কর এবং (ক্ষত্রিয়ধর্ম পালনের জন্য) যুদ্ধ কর। আমাতে মন ও বুদ্ধি অর্পণ করলে আমাকে লাভ করবে—এতে কোন সন্দেহ নেই।

শ্লোকঃ  যদৃচ্ছয়া চোপপ্ননং উপপন্নং  স্বর্গদ্বারমপাবৃতম সুখিনঃ ক্ষত্রিয়াঃ পার্থ লভন্তে যুদ্ধমীদৃশম।। গীতা ২/৩২

#অনুবাদ : অপ্রার্থিতভাবে এই ধর্মযুদ্ধ তোমার কাছে এসেছে । এই যুদ্ধ যেন উন্মুক্ত স্বর্গদ্বার তুল্য । এরূপ যুদ্ধের সুযোগ ভাগ্যবান ক্ষত্রিয়রাই লাভ করে থাকেন।

শ্লোকঃ ৩৩ অথ চেৎ তুমিমং ধর্ম্যং সংগ্রামং ন করিষ্যসি । ততঃ স্বধর্মং কীর্তিঞ্চ হিত্বা পাপমবাপ্স্যসি ।। গীতা ২/৩৩

#অনুবাদঃ তুমি যদি এই ধর্মযুদ্ধ না কর তা হলে ধর্ম ও কীর্তি ত্যাগ করে পাপের ভাগী হবে।

শ্লোক : হতো বা প্রাপ্স্যসি স্বর্গং জিতা বা ভোক্ষ্যসে মহীম। তস্মাদুত্তিষ্ঠ কৌন্তেয় যুদ্ধায় কৃতনিশ্চয়ঃ।। গীতা ২/৩৭

#অনুবাদ : হে কৌন্তেয়! যদি এই যুদ্ধে নিহত হও, তবে স্বর্গলাভ করবে; আর যদি জয়ী হও, রাজ্য ভোগ করবে। সুতরাং ওঠো, যুদ্ধের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হও।।

শ্লোক : সুখদুঃখে সমে কৃত্বা লাভালাভৌ জয়াজয়ৌ । ততো যুদ্ধায় যুজ্যস্ব নৈবং পাপমবাপ্স্যসি।" গীতা ২/৩৮

#অনুবাদ : তুমি সুখ-দুঃখ, লাভ-ক্ষতি, জয়-পরাজয়,, সমান দৃষ্টিতে দেখে (ধর্ম) যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। এ ভাবে যুদ্ধ করলে গুরুজনাদির বধজনিত কোন পাপ তোমাকে স্পর্শ (তুমি লাভ) করবে

শ্লোকঃ ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ পার্থ! নৈতৎ ত্বয্যুপপদ্যতে। ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌর্বল্যং তত্ত্বোত্তিষ্ঠ পরন্তপ।। গীতা ২/৩

#অনুবাদঃ হে পার্থ! মোহবশত কাপুরুষতাকে আশ্রয় করো। না—এই কাতরতা তোমার শোভা পায় না। হৃদয়ের ক্ষুদ্র দুর্বলতা ত্যাগ করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও।

শ্লোকঃ   যস্য নাহঙ্কৃতো ভাবো বুদ্ধিৰ্যস্য ন লিপ্যতে । হতাপি স ইমাল্লোকান্ ন হন্তি ন নিবধ্যতে।। গীতা ১৮/১৭

#অনুবাদ : 'আমি কর্তা', এই ভাব যার নেই, যার বুদ্ধি কর্মের ফলাফলে আসক্ত হয় না, তিনি জগতের সমস্ত প্রাণী হনন  করলেও কিছুই হনন করেন না এবং তার ফলে আবদ্ধ হন না।

ভগবানের এই উস্কানীর ফলে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে

প্রায় ৩৬০০০০০ লক্ষের বেশি সৈন্যর প্রাণ যায়



এতো লোক মারা যাওয়ার পরেও  এই ধর্মের অনুসারীরাই
আবার ১৪০০ বছর আগের ইসলামের যুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তোলে

[১৩]

#কন্যা_হরণ_করে_বিয়ে_ক্ষত্রিয়দের_শ্রেষ্ঠ

ভীষ্ম ক্রুদ্ধ হয়ে তিনটি কন্যাকে নিজের রথে তুলে নিলেন এবং জলদগম্ভীরস্বরে বললেন, রাজগণ,
বহুপ্রকার বিবাহ প্রচলিত আছে, কিন্তু ধর্মবাদিগণ বলেন যে,
স্বয়ংবরসভায় বিপক্ষদের পরাভূত ক'রে কন্যা হ",রণ করাই #ক্ষত্রিয়ের পক্ষে শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি।

আমি এই কন্যাদের নিয়ে যাচ্ছি, তোমাদের শক্তি থাকে তো যুদ্ধ কর।

●[মহাভারত, আদিপর্ব১৭, পৃষ্ঠা নং ৬৮, পন্ডিত রাজশেখর বসু, নবযুগ প্রকাশনী ]●

[১৪]

#ভগবানের_নারী_অ,'পহ*রণ ও বিবাহ:

হিন্দুরা যাকে ভগবান বলে মানে ,সেই শ্রীকৃষ্ণ সমন্ত‍্যক মনি পাওয়ার জন্য জাম্ববান নামের

#এক ব্যাক্তির সাথে যুদ্ধ করে, ২১ দিন যুদ্ধ চলল,
তারপর কৃষ্ণ জাম্ববানকে পরাজিত করে হত্যা করেন, জাম্ববানের এক কন্যা ছিল জাম্ববতী,, কৃষ্ণ #জাম্ববতীকে বিবাহ করে

●[ বিষ্ণুপুরান- অধ্যায় ১৪, পৃ: নং ৫৯ পণ্ডিত চারুচন্দ্র বন্ধ্যোপাধ্যায়, কলকাতা- ৭oo o১৩, ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ]●

[১৫]

#শ্রীকৃষ্ণের ১৬০০০ স্ত্রীর কান্না

অনেক হিন্দুরা কৃষ্ণকে ভগবান আবার কেউ ঈশ্বর বলে মানেন, সেই কৃষ্ণ মারা যাওয়ার ফলে কি হয় তা আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব

যদুকুল ধংস হয়েছে এই আশংকায় অর্জুন তার মাতুল বসুদেবকে দেখবার জন্য তখনই যাত্রা করলেন।

#দ্বারকায় এসে তিনি দেখলেন সেই নগরী পতিহীনা রমণীর ন্যায় শ্রীহীন হয়েছে। কৃষ্ণসখা অর্জুনকে দেখে কৃষ্ণের ষোল হাজার স্ত্রী উচ্চকণ্ঠে #রোদন করতে লাগলেন

●( মহাভারত, মৌষলপর্ব, ৪,  অর্জুনের দারকা গমন ও প্রত্যাবর্তন, পৃষ্ঠা নং ৫৮৬, পন্ডিত রাজশেখর বসুর অনুবাদ)●

[১৬]

বেদে যম - যমী আপন ভাই বোনের যৌন কথোপকথন, যমীর অবৈধ যৌ,"নতা। এবং এ ঘটনা স্মরনে রাখতে কি হিন্দুদের ভাই ফোটা উৎসব পালন?
ঋগ্বেদ ১০ মণ্ডলের দশম সুক্তে যম ও যমী দুই
ভাইবোনের মধ্যে অজাচারমূলক কথোপকথন
দেখা যায়। এখানে ভগিনী যমী বারংবার যমকে
যৌ",নমিলনের জন্য আহ্বান করতে থাকেন।

হিন্দুরা হয়ত বলতে পারে, যমের অপরাগতা, কিন্ত পবিত্র পবিত্র কেন এসব চাওয়া পাওয়া বর্ণনা থাকে? আর যমিকে ঘৃনা না করে " ভাই ফোটা কেন পালন করা হয়?

পুরো কথোপকথন নিচে উদ্ধৃত করা হল-
ও চিৎসখায়ং সখ্যা ববৃত্যাং তিরঃ পুরূ চিদর্ণবং জগন্বান্ ।
পিতুর্নপাতমা দধীত বেধা অধি ক্ষমি প্রতরং দীধ্যানঃ।।
১।
নতে সখা সখ্যং বষ্ট্যেতৎসলক্ষ্মা যদ্বিষুরূপা ভবাতি।
মহস্পুত্রাসো অসুরস্য বীরা দিবো ধর্তার উর্বিয়া পরি
খ্যন্ ।। ২।
উশন্তি ঘা তে অমৃতাস এতদেকস্য চিত্ত্যজসং মর্তস্য।
নি তে মনো মনসি ধায্যস্মে জন্যুঃ পিতস্তন্ব মা
বিবিশ্যাঃ।। ৩।
ন যৎপুরা চকৃমা বদ্ধ নূনমৃতা বদন্তো অনৃতং রপেম।
গন্ধর্বো অপ্স্বপ্যা চ যোষা সা নো নাভিঃ পরমং জামি
তন্নৌ।। ৪।
গর্ভে নু নৌ জনিতা দম্পতী কর্দেবস্ত্বষ্টা সবিতা
বিশ্বরূপঃ।
নকিরস্য প্র মিনন্তি ব্রতানি বেদ নাবস্য পৃথিবী উত দ্যৌঃ।।
৫।
কোন অস্য বেদ প্রথমস্যাহ্নঃ ক ঈং দদর্শ ক ইহ প্র
বোচৎ।
বৃহন্মিত্রস্য বরুণস্য ধাম কদ্ ব্রব আহনো বীচ্যা নৃন্
।। ৬।
যমস্য মা যম্যং কাম আগন্ত্সমানে যোন্নৌ সহশেয্যায়।
জায়েব পত্যে তন্বং রিরিচ্যাং বি চিদ্বৃহেব রথ্যেব
চক্রা।। ৭।
ন তিষ্ঠন্তি ন নি মিষন্ত্যেতে দেবানাং স্পশ ইহ যে
চরন্তি।
অন্যেন মদাহনো যাহি তূয়ং তে বি বৃহ রথ্যেব চক্রা।।
৮।
রাত্রীভিরস্মা অহভির্দশস্যেৎ সূর্যস্য
চক্ষুর্মুহুন্মিমীয়াৎ।
দিবা পৃথিব্যা মিথুনা সবন্ধূ যমীর্যমস্য বিতৃয়াদজামি।। ৯।
আ ঘা তা গচ্ছানুত্তরা যুগানি যত্র জাময়ঃ কৃণবন্নজামি।
উপ বর্বৃহি বৃষভায় বাহুমন্যমিচ্ছস্ব সুভগে পতিং মৎ।। ১০।
কিং ভ্রাতাসদ্যদনাথং ভবাতি কিমু স্বসা যন্নির্ঋৃতির্নিগচ্ছাৎ।
কামমূতা বহ্বে তদ্রপামি তন্বা মে তন্বং সং পিপৃগ্ধি।। ১১।
ন বা উ তে তন্বা তন্বং সং পপৃচ্যাং পাপামহুর্যঃ স্বসারং
নিগচ্ছাৎ।
অন্যেন মৎপ্রমুদঃ কল্পয়স্ব ন তে ভ্রাতা সুভগে
বষ্ট্যেতৎ।। ১২।
বতো বতাসি যম নৈব তে মনো হৃদয়ং চাবিদাম।
অন্যা কিল ত্বাং কক্ষ্যেব যুক্তং পরি ষ্বজাতে লিবুজেব
বৃক্ষম্ ।। ১৩।
অন্যমূ ষু ত্বং যম্যন্য উ ত্বাং পরি ষ্বজাতে লিবুজেব
বৃক্ষম্ ।
তস্য বা ত্বং মন ইচ্ছা স বা তবাধা কৃণুষ্ব সংবিদং সুভদ্রাম্ ।।
১৪।

অর্থাৎ :
[যমী ও যম যমজ ভ্রাতৃভগিনী, তন্মধ্যে যমী
যমকে বলছেন]– বিস্তীর্ণ সমুদ্রমধ্যবর্তী এ
দ্বীপে এসে এ নির্জন প্রদেশে তোমার
সহবাসের জন্য আমি অভিলাষিণী, কারণ গর্ভাবস্থা অবধি

তুমি আমার সহচর। বিধাতা মনে মনে চিন্তা করে
রেখেছেন, যে তোমার ঔরসে আমার গ,"র্ভে
আমাদের পিতার এক সুন্দরনপ্তা (নাতি) জন্মিবে।
১।।
[যমের উত্তর]– তোমার গর্ভসহচর তোমার সাথে
এ প্রকার সম্পর্ক কামনা করেন না। যেহেতু তুমি
সহোদরা ভগিনী অগম্যা। আর এস্থান নির্জন নহে,
যেহেতু সে মহান অসুরের স্বর্গধারণকারী
বীরপুত্রগণ পৃথিবীর সর্বভাগ দেখছেন। ২।।

[১৭]

#হিন্দু_শাস্ত্রে_সতীদাহ_প্রথা

হিন্দু শাস্ত্রগুলোতে সতীদাহ নিয়ে অনেক কথাই লিখা আছে,, আজকে আমার মহাভারত ও বিষ্ণুপুরাণ থেকে আলোচনা করবোঃ

শ্রীকৃষ্ণর মৃত্যুর খবর পেয়ে তার পিতা  বসুদেব যোগস্থ হয়ে স্বর্গলাভ করলেন, আর তার স্ত্রীরা নিজ স্বামীর চিতায় আরোহণ করে তার সহগামিনী হলেন

●[মহাভারত,  মৌষলপর্ব ৪, পৃষ্ঠা নং ৫৮৬, পন্ডিত রাজশেখর বসুর অনুবাদ ]●

এবার দেখবো বিষ্ণুপুরাণ থেকে,

শ্রীকৃষ্ণর মৃত্যুর খবর পেয়ে রুক্মিণী, সত্যভামা, জাম্ববতী,  প্রভৃতি কৃষ্ণের পত্নীগণ স্বামীর চিতায় সহমরণে (সতীদাহ) গেলেন, রেবতী বলরামের চিতায় প্রবেশ করলেন। উগ্রসেন বসুদেব প্রভৃতি যদুবৃদ্ধগণও চিতা রচনা করিয়া প্রাণ ত্যাগ করিলেন

●[বিষ্ণুপুরাণ, দারকালীলা, ৯৪ পৃষ্ঠা পন্ডিত  চারুচন্দ্র বন্ধ্যোপাধ্যায়,  ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউজ]●


[ বি:দ্র: লেখাটিতে কোন ভুল থাকলে লেখক তা সংশোধন বা তার ব্যাখ্যা কাউন্টার দিতে বাধ্য থাকিবেন। ]

Post a Comment

0 Comments