যীশুখ্রিস্ট কি আদৌ ঈশ্বর? (সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষন)




আজকে খ্রিস্টানদের একটি বিশ্বাস খন্ডন করবো ইনশাআল্লাহ.... 

✒️Iftekhar Bhuiyan Opu


খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে যীশুখ্রিষ্ট মানুষ রুপি ঈশ্বর ছিলেন।যীশুখ্রিষ্ট কি আদৌ ঈশ্বর ছিলেন‼️তা ই খন্ডন করবো ইনশাআল্লাহ....

(নোটঃএই বিষয় শুধু বাইবেল দ্বারাই খন্ডন করা হবে‼️)


খ্রিস্টানদের বাইবেল দুই ভাগে বিভক্ত।

 তথাঃ(১)পুরাতন নিয়ম।(২)নতুন নিয়ম।


আমি আজ পুরাতন নিয়মের শুধু ২ টা ভার্স দিয়েই খ্রিস্টানদের প্রধান এই বিশ্বাস খন্ডন করবো ইনশাআল্লাহ। 


প্রথম ভার্সটি হলোঃ

“প্রভু হচ্ছেন ইস্রায়েলের ঈশ্বর| তিনি অমর| তিনি মিথ্যা বলেন না, মত বদলান না| তিনি মানুষের মতো নন| মানুষই ঘন ঘন মত বদলায়|”

📖সামুয়েল ১-অধ্যায়১৫ অনুচ্ছেদ ২৯


দ্বিতীয় ভার্সটি হলোঃ

“ঈশ্বর মানুষ নন; তিনি মিথ্যা বলবেন না| ঈশ্বর মানুষ নন; তাঁর সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হবে না| যদি প্রভু বলেন যে তিনি কোনো কাজ করবেন, তখন তিনি অবশ্যই সে কাজ করবেন| যদি প্রভু যদি কোনো প্রতিজ্ঞা করেন তাহলে তিনি প্রতিজ্ঞা মতো কাজটি করবেন|”

গণনা পুস্তক-অধ্যায় ২৩ অনুচ্ছেদ ১৯


প্রথমত,প্রথম ভার্সটা নিয়ে আলোচনা করা যাক...

প্রথম ভার্সকে আমরা ৩ ভাগে ভাগ করবো।

১)প্রভু হচ্ছেন ইস্রায়েলের ঈশ্বর| তিনি অমর|

২)তিনি মিথ্যা বলেন না।মত বদলান না।

৩)তিনি মানুষের মতো নন।মানুষই ঘন ঘন মত বদলায়|


বিশ্লেষণ -১:

এখানে ঈশ্বর বলছেন, তিনি অমর।অর্থাৎ তার জম্ম নেই মৃত্যু ও নেই।কিন্তু আমরা দেখতে পাই যিশু খ্রিষ্ট জম্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন(খ্রিস্টানদের বিশ্বাস মতে)।তাহলে বাইবেল অনুযায়ী যিশু কি করে ঈশ্বর হয়⁉️


বিশ্লেষণ-২:

এখনে ঈশ্বর বলছেন,“তিনি মিথ্যা বলেন না।মত বদলান না।”এই থেকে বোঝা যায় ঈশ্বর কখনো মিথ্যা বলেন না, এমনকি তিনি তার মত ও বদলান না, তিনি যা বলবেন তাই চূড়ান্ত। 


বিশ্লেষণ-৩:

এখানে ঈশ্বর বলছেন,“তিনি মানুষের মতো নন।মানুষই ঘন ঘন মত বদলায়|” এই থেকে বোঝা যায় তিনি মানুষ নয়,এছাড়া তিনি আরো বলেছেন, মানুষ তার মত পরিবর্তন করে।

উপরোক্ত তিনটি বিশ্লেষণ থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারছি যে,ঈশ্বর মানুষ হতে পারেন না‼️এটি এই ভার্স দ্বারা স্পষ্ট। কারণ ঈশ্বর সরাসরি বলছেন তিনি মানুষ নন‼️এখন কিছু খ্রিস্টান বলতে পারে,“ঈশ্বর মানুষ না, সেটা তো আমরা জানি, কিন্তু ঈশ্বর তো মানুষের রুপ নিয়ে পৃথিবীতে আসতে পারেন”।কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় তাদের এই কথা খুবই দুর্বল‼️

কারণ এই ভার্সটা যদি ভালো করে পড়েন তবে দেখবেন ঈশ্বর ই এর উত্তর দিয়েছেন ‼️ঈশ্বর বলেছেন তিনি অমর(বিশ্লেষণ- ১দেখুন),তিনি মিথ্যা বলেন না,এছাড়া আরো বলছেন, তিনি তার মত ও পরিবর্তন করেন না,তার পরের অংশেই তিনি স্পষ্ট“ করেই বলছেন তিনি মানুষ নন”।এখন মজার ব্যাপার হলো ঈশ্বর যদি মানুষের রুপ নিয়ে পৃথিবীতে আসেন, তবে তিনি হলেন মিথ্যুক‼️কারণ ঈশ্বর নিজেই বলছেন তিনি মিথ্যা বলেন না...এর পরের অংশেই বলছেন তিনি মানুষ নন...তো তিনি যদি মানুষ হন,  তাহলে সিম্পলি বলা যায় তিনি মিথ্যুক। 


দ্বিতীয় ভার্সটা নিয়ে আলোচনা করা যাক...


দ্বিতীয়  ভার্সকে আমরা ২ ভাগে ভাগ করবো।

১)“ঈশ্বর মানুষ নন; তিনি মিথ্যা বলবেন না| 

২)ঈশ্বর মানুষ নন; তাঁর সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হবে না|


বিশ্লেষণ -১:

এই ভার্স দ্বারা আরো স্পষ্ট হওয়া যায়, ঈশ্বর কখনোই মানুষের হয়ে  পৃথিবীতে আসতে পারেন না।ঈশ্বর এখানে স্পষ্ট বলছেন তিনি মানুষ না, এর পরপরই বলছেন তিনি মিথ্যা বলেন না,এই থেকে স্পষ্ট তিনি মানুষ হবেন না।


বিশ্লেষণ -২:

এই অংশ থেকে আরো বেশি ক্লিয়ার হওয়া যায় যে, ঈশ্বর মানুষ হবেন না, কারণ তিনি তার মত এর উপর দৃঢ়,তিনি যে মত দিবেন সেটাই চূড়ান্ত তিনি তার মত পরিবর্তন করবেন না।যেহেতু, তিনি বলছেন তিনি মানুষ না, তাহলে তিনি মানুষ হবেন ও না....


উপরোক্ত ২ টি ভার্স থেকে আমরা সম্পূর্ণ ক্লিয়ার যে,ঈশ্বর কখনো মানুষ হতে পারে না

 

এই থেকে বোঝা যায়,যীশুখ্রীষ্ট মানুষ, ঈশ্বর নন‼️


উপসংহার:

উপরোক্ত সকল তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে,খ্রিস্টানরা তাদের ঈশ্বরকে অপমান করেছে‼️তারা তাদের ঈশ্বরকে মিথ্যুক বানিয়েছে‼️এতে তারা ঈশ্বরের সম্মান নষ্ট করেছে।মানুষকে কুকুরের সাথে সমুতল্য করা জঘন্য অপরাধ, ঠিক ঈশ্বরকে ও মানুষের সাথে তুলনা সেইরূপ অপরাধ। 


পরিশেষে আল্লাহ তায়ালার একটি আয়াত দিয়ে শেষ করবো।আল্লাহ তায়ালা  সূরা বানী ইসরাঈল এর ৮১ নাম্বার আয়াতে এরশাদ করেন:


وَ قُلۡ جَآءَ الۡحَقُّ وَ زَہَقَ الۡبَاطِلُ ؕ اِنَّ الۡبَاطِلَ  کَانَ  زَہُوۡقًا ﴿۸۱﴾ 

Bengali - Bayaan Foundation

আর বল, “সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।”

Post a Comment

0 Comments