মর্যাদার দিক থেকে, যিশু খ্রিস্ট শ্রেষ্ঠ ? নাকি মুহাম্মাদ সাঃ শ্রেষ্ঠ?


মর্যাদার দিক থেকে, যিশু খ্রিস্ট শ্রেষ্ঠ ? নাকি মুহাম্মাদ সাঃ শ্রেষ্ঠ?
🖋Author:- Ishak Shikder Farabi
____________________________________________________________________________

সব সময় একটি দাবী খ্রিষ্টানরা করে থাকে সেটা হলো মুহাম্মদ সাঃ এর থেকেও নাকি বাইবেলের যীশু মহান ও মর্যাদাবান। আসুন সত্য জেনে নেই।
.
জবাব,,,

ভূমিকাঃ-
সকল প্রশংসা, সেই মহিমান্বিত এক, অদ্বিতীয় আল্লার জন্য , যিনি মানব জাতিকে ,জান্নাতের পথ, প্রদর্শনের জন্য, অসংখ্য নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন।
দরুদ ও সালাম বর্ষিত হউক সেই সকল নবী ও রাসূলদের উপর।বিশেষ করে, সেই
মহামানব ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূলের উপর, যিনি মানব জাতিকে অন্ধার থেকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। এবং যাকে মানার মধ্যে রয়েছে ইহকালিন শান্তি ও পরকালিন মুক্তি। সায়্যিদুল মুরসালিন, খাতামুন নাবিয়্যিন, ইমামুল আম্বিয়া, আফতাবে নবুয়্যত, শাফিউল মাজনাবিন, ইমামুছ ছাক্বলাইন
মুহাম্মাদ সাঃ।

জবাব দেওয়ার পূর্বে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে।

আমরা, মুসলিম হিসাবে, সকল নবী ও রাসূলদের বিশ্বাস করি এবং তাদের আল্লাহ কর্তৃক দেওয়া গ্রন্থের স্বীকৃতি প্রদান করি , যেমন: তাওরাত , হযরত মূসা আঃ এর উপর অবতীর্ণ, ইনজিল, হযরত ঈসা আঃ এর উপর অবতীর্ণ, যাবুর, হযরত দাউদ আঃ এর উপর অবতীর্ণ ইত্যাদি ১০৪ খানা গ্রন্থের প্রত্যেকটির প্রতি বিশ্বাস রাখি , আর এগুলোর প্রতি বিশ্বাস রাখো ,আমাদের ঈমানের দাবী ও জরুরী, এগুলো বিশ্বাস না করলে ঈমাম থাকবে না।
.
আরো স্বীকৃতি প্রদান করি যে, তারা ছিলেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানব। [১০]

আমরা তাদের মাঝে ব্যবধান তৈরী করি না।
অর্থাৎ কাউকে নবী ও রাসূল বিশ্বাস করি, আবার কাউকে মানি না ,এমনটা করি না। যেমন: ইহুদীগন হযরত মূসা আঃ কে রাসূল মানলেও হযরত ঈসা আঃ ও মুহাম্মাদ সাঃ কে রাসূল হিসাবে বিশ্বাস করেন না । এমনকি ইহুদী পন্ডিতগন যীশুকে যারজ সন্তান বলে আখ্যায়িত করতে পিচ পা হয়না (নাউযু বিল্লাহ)।
 তেমনি ভাবে খৃষ্টানরা হযরত ঈসা আঃ কে মানলেও, মুহাম্মাদ সাঃ কে রাসূল হিসাবে বিশ্বাস করেন না ।
অথচ আমাদের মুসলিমদের একটা ঈমানের অংশ হল সকল নবী ও রাসূলকে বিশ্বাস করা। (আলহামদুলিল্লাহ!)
এবার আসি মূল জবাবে,,,,

খ্রিষ্টানরা দাবী করছে যে, মুহাম্মাদ সাঃ থেকে যীশু খ্রিস্ট শ্রেষ্ঠ।
নিচের কয়েকটি পয়েন্ট প্রণিধানযোগ্য:

(ক).অবশ্যই মনে রাখবেন আপনার দাবী যুক্তি ও প্রমাণের আলোকে ভ্রান্ত প্রমাণ হয়। তবে উল্লেখ্য: আমি যীশু খ্রিস্ট বা ঈসা আঃ কে রাসূল হিসাবে মানি তবে শ্রেষ্ঠ রাসূল হিসাবে অবশ্যই মুহাম্মাদ সাঃ কে মানি ও মানতে হবে।
আর এই দাবীর স্বপক্ষে যুক্তি ও প্রমাণ নিচে উপস্থাপন করা হল 

(খ).দুই ব্যক্তির মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে ,কোন একজন কে অবশ্যই তার প্রতিপক্ষ থেকে সর্ব থেকে শ্রেষ্ঠ না হলেও অবশ্যই মেজরিটি শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হতে হবে।

(গ). মানব জাতি, নবী বা রাসূলের রেখে যাওয়া আদর্শের অনুসরণ করে, দেহ কে নয়। তাই কোন নবী বা রাসূল শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে এটা বিবেচনায় আসবে যে, কোন রাসূল সব চেয়ে বেশী আদর্শ রেখে গেছেন।

আসুন তাহলে এবার আমরা পয়েন্ট আকারে দেখি।

.
১.🔷... রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে আদর্শ ।💠

 🅰 মুহাম্মাদ (সাঃ):-
 মুহাম্মাদ সাঃ মক্কা, মদিনা সহ পুরো আরব বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।
 একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য যে, যে কোন আদর্শ বাস্তবায়নের বড় একটি মাধ্যম হল
 রাষ্ট্র ক্ষমতা, কেননা এর মাধ্যমে যে কোন কাজ বাস্তবায়ন করা সহজ হয়। যেমন:
 দুর্নীতি, জুলুম, অত্যাচার, থেকে মানুষকে বাচানো ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।
 মুহাম্মাদ সাঃ রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন, তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন কিভাবে ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হয়।
আসুন,,
মহা নবীর একজন সাহাবীর মূখ থেকে যেনে নেই যে, তিনি কিভাবে একটি, অসভ্য, বর্বর জাতিকে সোনার মানুষে পরিনত করেছেন।

এই ভাষণটি ছিল,
আবু তালিবপুত্র, আলীর ভ্রাতা জাফর কর্তৃক, আবিসিয়ার বাদশা নাজ্জাশি, যাকে হিরাকেল বলা হয় তার সামনে প্রদানকৃত। যারা মক্কার মুশরিক কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে আবিসিনিয়ায় (ইথিওপিয়া) হিজরত করে ছিলেন । তিনি বল্লেন:

‘হে রাজন!

আমরা মুর্খতা ও বর্বরতার মধ্যে নিমগ্ন ছিলাম, আমরা মূর্ত্তিপূজা করতাম, ব্যভিচারে লিপ্ত ছিলাম, আমরা মৃত প্রাণীর মাংস খেতাম, আমরা অশ্লীল বাক্য উচ্চারণ করতাম; আমরা মনুষ্যত্বের প্রত্যেকটি অনুভূতি, অতিথি ও প্রতিবেশীদের প্রতি দায়িত্ব একেবারে জলাঞ্জলি দিয়েছিলাম, আমরা ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির বাইরে কোন আইন জানতাম না।

--এসময়ে আমাদের মধ্যে আল্লাহ এমন একজন মানুষ পাঠালেন যার জন্ম, সত্যবাদিতা, সততা ও বিশুদ্ধতা সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম; যিনি আল্লাহর একত্বের দিকে আমাদের আহবান জানালেন এবং তাঁর সঙ্গে কোন বস্তুর শরিক স্থাপন না করতে শিক্ষা দিলেন; সত্যকথা বলতে, বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে, দয়ালু হতে এবং প্রতিবেশীর অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে নির্দেশ দিলেন; নারী জাতির বিরুদ্ধে দুর্ণাম না রটাতে, এতিমের ধন আত্মসাৎ না করতে তিনি আদেশ দিলেন; তিনি পাপসমূহ ও অনিষ্ট থেকে দূরে থাকবার জন্যে নামাজ কায়েম করতে, জাকাত দিতে ও রোজা রাখতে আমাদের আদেশ দিয়েছেন।

--আমরা তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেছি, তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছি এবং এক আল্লাহর এবাদত ও কোন কিছুর সঙ্গে তাঁর শরিক স্থাপন না করার নির্দেশ মেনে নিয়েছি। এ কারণে আমাদের লোকেরা আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, আমাদের উপর জুলুম করেছে যেন আমরা এক আল্লাহর এবাদত পরিত্যাগ করে কাষ্ঠ, প্রস্তর ও অন্যান্য দ্রব্যের পূজায় পুনঃরায় ফিরে যাই। [১] (বিস্তারিত লিংক)

এই পয়েন্টি
ব্রিটিশ মিউজিয়ামে লিখিত বাক্য দিয়ে শেষ করতে চাই।
 " As a learner,as a leader,as a teacher, as a father,as a Prophet,as a law maker Mohammad (sm) is the superhuman in the world's"!
 অর্থ্যাৎ, "একজন শিক্ষার্থী হিসেবে,একজন নেতা হিসেবে,একজন শিক্ষক হিসেবে,পিতা হিসেবে,নবী হিসেবে,একজন আইন প্রণেতা হিসেবে মুহাম্মাদ (সঃ) পৃথিবীর এক অতিমানব"!

🅱 যীশু:-
যীশু, আমরা প্রচলিত বাইবেল থেকে জানতে পারি, তিনি কোন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান
ছিলেন না। তাহলে তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের আদর্শ রেখে যেতে পারেননি।

.
২.🔷.... বৈবাহিক বন্ধন:-💠

🅰 মুহাম্মাদ (সাঃ):-
মুহাম্মাদ সাঃ বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। তাই তিনি মানব জাতির একজন আদর্শবান স্বামীর আদর্শ রেখে গেছেন ।
যেমন:-
(ক). মুহাম্মাদ সাঃ স্ত্রীকে ভালোবাসতেন।[২]
(খ). ঋতুস্রাব চলাকালীন স্ত্রীদের ঘৃণা করতেন না।[৩]
(গ). বিনোদনের উদ্দেশ্যে স্ত্রীর সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করেন। [৪]
ইত্যাদি।

🅱 যীশু:-

আমরা বাইবেল থেকে জানি ,যীশু বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হননি। বরং তিনি বিবাহ করতে নিরুৎসাহিত করেছেন।[৫]
অতএব তিনি একজন আদর্শবান স্বামীর আদর্শ রেখে যেতে পারেননি। যদিও এটা তার কোন পাপ ছিল না।

.
৩.🔷.... আদর্শবান পিতা।💠

🅰 মুহাম্মাদ (সাঃ):-

মুহাম্মাদ পিতা ছিলেন।[৬]
তাই তিনি পিতা হিসাবে পৃথিবীর সমস্ত পিতাদের জন্য আদর্শ রেখে গেছেন।
যেমন:
(ক). হে ফাতেমা তুমি নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও।[৭]
(খ). সন্তানকে ভালোবাসা। [৮]
(গ) . শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া। [৯]

🅱 যীশু:-
যেহেতু যীশু বিবাহ করেননি?
সেহেতু পিতার প্রশ্নই আসেনা।
আদর্শ তো দূরের কথা।
অতএব যীশু পিতার আদর্শ রেখে যাননি।

.
৪.🔷...অর্থনীতির আদর্শ 💠

🅰 মুহাম্মাদ (সাঃ):-
মুহাম্মাদ সাঃ সুদ মুক্ত মানব কল্যাণকর অর্থনীতি মানব জাতিকে উপর দিয়েছে।[১১]

🅱 যীশু:-
যীশুর রেখে যাওয়া ইনজিলে, কোন অর্থনীতির আলোচনা নেই।

.
৫.🔷.... মানব সমাজ💠

🅰 মুহাম্মাদ (সাঃ):-
মুহাম্মাদ সাঃ পবিত্র বন্ধন বিবাহের মাধ্যমে
মানব সভ্যতা ও সমাজ বিকাশের উপদেশ দিয়েছেন।[১২]

🅱 যীশু:-
যীশু বিবাহ বন্ধনে জড়াতে নিরুৎসাহিত
করার মাধ্যমে, মানব সমাজ ও সভ্যতা ধ্বংসের শিক্ষা দিয়েছেন। [১৩]
.

৬.🔷...বিশ্ব নবী ও আঞ্চলিক নবী 💠

🅰 মুহাম্মাদ (সাঃ):-
মুহাম্মাদ সাঃ ছিলেন বিশ্ব নবী।[১৪]

🅱 যীশু:-
যীশু,আঞ্চলিক নবী ছিল [১৫]তবে এর বিপরীত মতও আছে, যা পরস্পর বিরোধী প্রমাণ করে।

৭.🔷অবিকৃ তআসমানী গ্রন্থ 💠

🅰 মুহাম্মাদ (সাঃ):-
মুহাম্মাদ সাঃ কে দেওয়া গ্রন্থ আল কুরআন
অবিকৃত এবং কিয়ামত অবব্দি অবিকৃত থাকবে। [১৬],

🅱 যীশু:-
তথাকথিত যীশুর বাইবেল বিকৃত বরং পৃথিবীর একেক অঞ্চলে, একেক রুপ।[১৭]

৮.🔷মহামানবীয় কার্য সম্পাদন অর্থাৎ যে সকল মানুষ মহান কাজ করে মহামানবের খেতাব পেয়েছেন, সেই সকল কাজ সম্পাদন করা💠

🅰 মুহাম্মাদ (সাঃ):-

মুহাম্মাদ সাঃ এমন অসংখ্য কাজ করেছেন যা দ্বারা মহা মানবের সকল গুন অর্জন হয়।
যেমন:

ক). দক্ষিন আফ্রিকার প্রসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলায়? জগৎবিখ্যাত হয়ে আছেন এবং মহা-মানব হিসাবে গণ্য করা হয় ৷
আর ঠিক একই কথা অর্থাৎ বর্ণবাদ প্রথার বিরুদ্ধে ঘোষণা দেন হয়রত মুহাম্মদ সাঃ ৷ [১৮]

(খ). ভারতের ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যা সাগর ৷
বিধবাদের পুনর্বাসন, দায়িত্বান ভার গ্রহন সহ বিবাহের প্রচলন করে? বিশ্ব বিখ্যাত ও মহা-মানব হয়ে আছে ৷

◾ ঠিকই একই ভাবে হযরত মুহাম্মদ সাঃ বিধবা নারী নিজে বিবাহ করে প্রমাণ করেছেন যে,বিধবা কোন সমস্যা তো নাই? বরং বিধবাদের দায়িত্বভার গ্রহন করা অত্যান্ত সওয়াবের কাজ ৷ [১৯]

(গ) কালমার্কস ও লেলিন গরিবদের ভালবাসা ও তাদের পক্ষে কথা বলায়,
বিশ্ব-বিখ্যাত হয়ে আছে ৷

◾ঠিকই একই কথা বলে ও বাস্তবতা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো হযরত মুহাম্মদ সাঃ। [২০]

(ঘ) মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধীজী অহিংসা ও নিরহংকার বানী প্রচার করে, বিখ্যাত ও মহা-মানব হলেন ৷

◾ঠিক একই কথা প্রচার করলেন, হযরত মুহাম্মদ সাঃ । [২১]

(ঙ) মাদার তেরেসা, অসহায়দের শ্রায় গ্রহণের কারণে জগৎ বিখ্যাত হয়ে আছে
এবং মহা-মানব হিসাবে আখ্যায়িত হন ৷

◾অথচ মুহাম্মদ সাঃ ও তেমন কর্ম সম্পাদন করেছেন এবং উম্মত কে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ যেমন নিম্নে উল্লেখিত হাজির।

খাদিজা রাঃ এর মূখ থেকেই শুনা যাক ৷
"খাদীজাহ (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, কখনই নয়। আল্লাহ্ আপনাকে কখনও লাঞ্ছিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সদাচরণ করেন, অসহায় দুস্থদের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সহযোগিতা করেন, মেহমানের আপ্যায়ন করেন এবং হক পথের দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন" (বুখারী শরীফ)

🅱 যীশু:-
যীশুর মহামানবীয় কার্য সম্পাদন খুবই কম, কারণ তিনি অনেক অল্প সময় বেচে ছিলেন।

৯.🔷... নেতা, সর্দার, ইমাম, সভাপতি 💠

🅰 মুহাম্মাদ (সাঃ):-
মহাম্মাদ সাঃ সকল নবীদের নেতা, সভাপতি
[২২]

🅱 যীশু:-
যীশুর এমন কোন বাস্তবিক প্রমাণ নেই।

১০. 🔷...তথাকথিত বাইবেল অনুসারে, যীশু একজন পাপী ও অপরাধী💠

✝️ যীশুর অহেতুক নিরহ গাছকে অভিশাপ দিয়ে মেরে ফেলা
মথি (২১:১৮-২১)-
মার্ক (১১:১৩-১৪)
✝️ “যীশু মানুষদেরকে গালিগালাজ করতেন”
মথি (১৬:২৩)
✝️ যীশু অহেতুক কিছু অবুঝ প্রাণীকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মারেন।
মার্ক (৫:১০-১৩)
✝️ যীশু পূর্ববর্তী নবী-রাসূলদের চোর-ডাকাত বলতেন ৷
(যোহন ১০/৭-৮)
✝️ যীশু নিরপরাধ মানুষকে অভিশাপ দিতেন ৷
(মথি ২৩/৩৫-৩৬)
✝️ যীশু মিথ্যা ওয়াদা ও মিথ্যা ভবিষৎবাণী করতেন ৷
(মথি ১৬/২৭-২৮, ১৯/২৮), (মার্ক ২/২৫-২৬,১১/২৩,১৬/১৭-১৮), লূক (১৮/২৯-৩০), (যোহন ৩/১৩)
✝️যীশু মদ পান করে মাতাল হতেন
লূক (৭/৩৪-৩৫)
✝️ যীশু বেশ্যা মেয়েদের তাঁকে স্পর্শ করতে এবং চুম্বন করতে দিতেন ৷
(লূক ৭/৩৪-৫০) (যোহন ১০/৭-৮)
✝️ যীশু ছিলেন পৃথিবীর অশান্তি
(মথি ১০/৩৪-৩৫)
✝️ যীশু তার মাকে সাক্ষাৎ কালে
অস্বীকার করতেন ৷ (মথি ১২/ ৪৪-৫০), (মার্ক ৩/৩১-৩৫)

আশাকরি এই কয়েকটি পয়েন্টেই মুহাম্মাদ সাঃ এর শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।
...............................................................................
তথ্যসূত্রঃ
[১]. https://pytheya.blogspot.com › blog...Hijrat: মুসলমানদের আবিসিনিয়ায় হিজরত। - PYTHEYA
[২]. ইবনে মাজাহ শরীফ ।
[৩].নাসায়ি শরীফ।
[৪].বুখারী শরীফ।
[৫]. মথি ১৯/১২ শ্লোক।
[৬].https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6&ved=2ahUKEwjZm7bbnKHoAhXSzDgGHVIACDMQFjAAegQIBBAC&usg=AOvVaw1jIdgDFrlfFWtMladKQe2R&cshid=1584438405737
[৭].সহীহুল বুখারী ২৭৫৩, ৩৫২৭, ৪৭৭১, মুসলিম ২০৪, ২০৬, তিরমিযী ৩০৯৪, নাসায়ী ৩৬৪৪, ৩৬৪৬, ৩৬৪৭, আহমাদ ৮১৯৭, ৮৩৯৫, ৮৫০৯, ৮৯২৬, ৯৫০১, দারেমী ২৭৩২।
[৮]. আল-হাদিস ।
[৯]. আল-হাদিস।
[১০] .২নং সূরার ২৭৫ নং আয়াত ,২ নং সূরার ২৮৫ নং আয়াত।
[১১] . ২ নং সূরার ২৮২ নং আয়াত, ২ নং সূরার ২৮৬ নং আয়াত, সহীহ : বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩
[১২]. সুরা : মা’আরেজ, আয়াত : ২৯-৩০,বুখারি শরিফ, হাদিস : ৬৪৭৪,মুসতাদরাক হাকেম : ২/১৬১,
সুরা আরাফ, আয়াত : ১৮৯,নাসাঈ : হাদিস : ৭০
[১৩].মথি ১৯/১২ শ্লোক।
[১৪].আলে ইমরান ৩/৮১,আম্বিয়া ২১/২৯,৭ নং সুরার ১৫৮ নং আয়াত।
[১৫].মথি ১০/৫-৮,মথি ১৫/২৩-২৫,
[১৬].২ নং সুরার ২ নং আয়াত।
[১৭]•https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://www.alkawsar.com/bn/article/2079/&ved=2ahUKEwj5_bu2hKLoAhVUwTgGHVvOCs0QFjAFegQICRAB&usg=AOvVaw3dYhE_aNlDtqJrFfX6S66G

https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=http://response-to-anti-islam.com/show/%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%2587%25E0%25A6%25AC%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0-Satanic-Verse-%25E0%25A6%258F%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%2582-%25E0%25A6%258F%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25A3-%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25A3%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A1-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B9-%25E0%25A6%258F%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25AA%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A5%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A4%25E0%25A6%25BF-%25E0%25A6%25B8%25E0%25A7%2583%25E0%25A6%25B7%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%25BF-%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%2593%25E0%25A7%259F%25E0%25A6%25BE-/164&ved=2ahUKEwj5_bu2hKLoAhVUwTgGHVvOCs0QFjAHegQIBBAB&usg=AOvVaw1taWHjE5uGy0Yqm4B4NG74&cshid=1584466351710

[১৮]•https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC_%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%259C%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%259C%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B0_%25E0%25A6%25AD%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B7%25E0%25A6%25A3&ved=2ahUKEwig0NChjqLoAhX3yDgGHZhSAQ4QFjACegQIAxAB&usg=AOvVaw22nze34TOGYypko-kdbUEn
[১৯]•https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://ahlehaqmedia.com/6027-2/&ved=2ahUKEwjW8qDDkKLoAhVtyzgGHb4JCuw4ChAWMAJ6BAgBEAE&usg=AOvVaw1Z3yBkPCutUIP7ip64ceJz
[২০]• বুখারী শরীফ ৬১০৩ ,https://www.google.com/url?sa=t&source=web&rct=j&url=https://www.bd-pratidin.com/amp/editorial/2014/04/25/1663&ved=2ahUKEwiAzNGCkqLoAhVcyzgGHQxaAU4QFjAJegQIAhAJ&usg=AOvVaw3WHNzzPCwzRJAmIlQXnd4P&ampcf=1
,
[২১]• মুসলিম, হাদিস নং ১৬৭
[২২]• আলে ইমরান ৩/৮১,14]. তাফসীরে ইবনে কাছীর, আলে ইমরান ৮১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ।
 তাফসীরে ইবনে কাছীর, আলে ইমরান ৮১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ।
  আহমাদ, মিশকাত হা/১৭৭, ইরওয়াউল গালীল হা/১৫৮৯।
  বুখারী হা/৬৯৩০, মুসলিম হা/১০৬৬।
   আহমাদ হা/২১২৮৩; ইবনে মাজাহ হা/৪৩১৪, মিশকাত হা/৫৭৬৮।
    মুসলিম, মিশকাত হা/৫৭৪১।
    তিরমিযী হা/৩৬১৫, মিশকাত হা/৫৭৬১।
     বুখারী হা/৩৫৫৭, মিশকাত হা/৫৭৩৯।

Post a Comment

0 Comments