🖋Author:- Aminur Rashid
____________________________________________________________________________
.
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ
সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি আমার রব। এবং সালাম ও দুরূদ প্রিয় নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর। ইসলাম বিরোধী নাস্তিক-মুক্তমনাদের বহুল প্রচলিত একটি অভিযোগ সেটা হলো নবী মুহাম্মদ (ﷺ) কেনো আয়েশা (রাঃ) কে ছয় বছরে বিয়ে আর নয় বছর বয়সে সংসার করলেন!?
.
অনেকে এর উত্তরে বলেন আজ থেকে এতো বছর আগে যদি আমাদের কাছে যারা জনপ্রিয় (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শেখ মুজিবুর রহমান) তারা কম বয়সী মেয়ে বিয়ে করেছে তাহলে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে ৬ বছরে বিয়ে কি কোন খারাপ কিছু!? অনেক দেশেও কম বয়সে বিয়ে হয় তাহলে তাও কি খারাপ!?
.
এই যুক্তি দেওয়ার সাথে সাথেই নাস্তিক মুক্তমনা ইসলাম বিরোধীরা বলে যে,,
.
"মুমিনরা একবার বলে নবী মুহাম্মদ (ﷺ) যয়নব (রাঃ) কে সেই সময়ের কুসংস্কার ভাঙার জন্য বিয়ে করেছেন আবার সেই মুমিনরা আয়েশা (রাঃ) এর সময় বলে সেই যুগে যা প্রচলিত ছিল তাই নবী মুহাম্মদ (ﷺ) আয়েশা (রাঃ) কে বিয়ে করেছে এটা কি মুমিনদের ডাবল স্টান্ডার্ড হয়ে গেলো না?"
.
◾এই হলো অবস্থা। তো তা যাই হোক আমি বলব ইসলাম বিরোধীদের এটা যে "নবী মুহাম্মদ (ﷺ) কখনোই সেই সময়েত রীতি অনুযায়ী আয়েশা (রাঃ) কে বিয়ে করেন নাই।
.
◾নবী মুহাম্মদ (ﷺ) সর্বপ্রথম বিয়েটাই করতে পারতেন ছয়-সাত বছরের মেয়েকে বিয়ে। কিন্তু নবী মুহাম্মদ (ﷺ) করেন নি। করেছেন তার থেকে বয়স্ক ও বিধবা মহিলাদের।
.
যেমন খাদিজা (রাঃ) যার বয়স ছিলো ৪০ বছর বয়স। আর সাওদা (রাঃ) যার বয়স ছিলো ৫০ বছর বয়স। [ সীরাত রাসুলুল্লাহ (স:) আসাদুল্লাহ আল গালিব পৃষ্ঠা:- ৭৬৩-৭৭১ ]
.
তাহলে আমরা দেখছি নবী চাইলেই সেই সময়কার রীতি অনুযায়ী ছয়-সাত বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে পারতেন। কিন্তু করেন নি আমি আবারো বলছি "তিনি করেন নি"।
.
◾এখন নবী মুহাম্মদ (ﷺ) চাইলেই আয়েশা (রাঃ) কে ছয় বছর বয়সে বিয়ে করতে পারতেন কিন্তু নবী মুহাম্মদ (ﷺ) নিজ থেকে তা করেন নি।
.
আল্লাহ তায়ালার আদেশে করেছেন,,
আল্লাহ তায়ালার কোন আদেশ ছাড়া যদি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বিয়ে করতেন তাহলে ইসলাম বিরোধীদের লজিক বা বিরোধীতা একটু হলেও খাটতো।
.
ইসলাম বিরোধীরা যেহেতু বিশ্বাস করে ইসলামিক সোর্স অনুযায়ী রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আয়েশা (রাঃ) কে বিয়ে করেছেন তাহলে তাদের এটাও বিশ্বাস করতে হবে যে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আর আয়েশা (রাঃ) এর বিয়েটা ছিলো ওহীর মাধ্যমে আদেশ,,,
.
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেন, দু’বার তোমাকে আমায় স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আমি দেখলাম, তুমি একটি রেশমী কাপড়ে আবৃতা এবং আমাকে বলছে ইনি আপনার স্ত্রী, আমি তার ঘোমটা সরিয়ে দেখলাম, সে মহিলা তুমিই। তখন আমি ভাবছিলাম, যদি তা আল্লাহ্র পক্ষ হতে হয়ে থাকে, তবে তিনি তা বাস্তবায়িত করবেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৮৯৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
◾উপরের হাদিস থেকেই সুস্পষ্ট যা কিনা আয়েশা (রাঃ) নিজেই বর্ণনা করেছেন। তাহলে আমরা দেখছি যে নবী মুহাম্মদ (ﷺ) কে আল্লাহ নিজেই আদেশ দিয়েছেন। নবী মুহাম্মদ (ﷺ) নিজ থেকে ছয় বছরের মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেন নি। যেখানে কিনা তিনি চাইলেই করতে পারতেন সেই সময়ের সমাজও কখনো তা করতে বাঁধা দিতো না।
.
তাহলে আমারা বুঝলাম নবী মুহাম্মদ (ﷺ) নিজ থেকে নয় বরং আল্লাহ তায়ালার আদেশে বিবাহ করেছেন।
.
আমরা সকলেই জানি নবীদের স্বপ্ন ওহী। যা ইব্রাহিম (আঃ) ও দেখেছেন। শুধু তাই নয় একজন সত্যিকারের মুমিনের স্বপ্নও নবুয়তের একটি অংশ।
.
◾তাহলে আমরা বুঝলাম যে নবী মুহাম্মদ (ﷺ) নিজ থেকে চাইলেই সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী ছয় বছরের আয়েশাকে বিয়ে করতে পারতেন কিন্তু নবী মুহাম্মদ (ﷺ) তা করেন নি। বরং শুধুমাত্র আল্লাহর আদেশেই করেছেন। আল্লাহর আদেশ অমান্য করলে এমন সাহস কার আছে। নবী মুহাম্মদ (ﷺ) নিজের জীবনকেই আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করেছেন।
.
.
◾আয়েশা (রাঃ) কে বিয়েতে কি লাভ হয়েছে!?
.
আসলে আয়েশা (রাঃ) বিয়ের মধ্যে বড়ই হিকমাহ রয়েছে। সবথেকে বেশি যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি হচ্ছেন আয়েশা (রাঃ)
.
আসুন দেখি নবীদের স্ত্রীদের মধ্যে সব থেকে বেশি হাদিস বর্ণনাকারীর কে এবং কয়টি হাদিস বর্ণনা করেছেন।
.
▫ সাওদা বিনতে যাম'আহ হাদিস বর্ণনা করেছেন ৫ টি।
▫ আয়শা বিনতে আবু বকর হাদিস বর্ণনা করেছেন ২২১০ টি।
▫ হাফসা বিনতে ওমর হাদিস বর্ণনা করেছেন ৬০ টি।
▫ উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবু উমাইয়াহ হাদিস বর্ণনা করেছেন ৩৭৮ টি।
▫ যয়নব বিনতে জাহশ হাদিস বর্ণনা করেছেন ১১ টি।
▫ জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারেছ হাদিস বর্ণনা করেছেন ৭ টি।
▫ উম্মে হাবীবাহ রামলাহ বিনতে আবু সুফিয়ান হাদিস বর্ণনা করেছেন ৬৫ টি।
▫ ছাফিইয়াহ বিনতে হুয়াই বিন আখত্বাব হাদিস বর্ণনা করেছেন ১০ টি।
▫ মায়মূনা বিনতুল হারেছ হাদিস বর্ণনা করেছেন ৭৬ টি।
[ সীরাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু — আসাদুল্লাহ আল গালিব, পৃষ্ঠা:- ৭৬৮ ]
.
দেখুন আয়েশা (রাঃ) ২২১০ টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। সকল স্ত্রীদের থেকে বেশি। তাহলে বুঝুন আয়েশা (রাঃ) আর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর বিয়ের মধ্যে কত বড় হিকমাহ রয়েছে। ইসলামের মূল বিষয়ের উপর যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটাই হচ্ছে কুরআন - হাদিস আর সেই হাদিস শাস্ত্রে আয়েশা (রাঃ) যে অবদান রেখেছেন তা অতুলনীয় যা আমাদের মুসলিমদের দিয়েছে পথের দিশা। (আলহামদুলিল্লাহ)
শুধু যে হাদীসের কারণেই তা নয়। আয়েশা (রাঃ) এর বিয়ের মাধ্যমে বড় একটি সম্পর্ক হয়েছে।
.
ইসলামী বন্ধন দৃঢ়করণ (تقوية صلة الإسلام) :
আয়েশা ও হাফছাকে বিবাহ করার মাধ্যমে হযরত আবুবকর ও ওমরের সঙ্গে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব দৃঢ়তর ভিত্তি লাভ করে। ওছমান ও আলীকে জামাতা করার পিছনেও রাসূল (ছাঃ)-এর অনুরূপ উদ্দেশ্য থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এর ফলে ইসলাম জগত চারজন মহান খলীফা লাভে ধন্য হয়। [৬]
.
সুতরাং নবী মুহাম্মদ (ﷺ) চাইলেই সেই সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী আয়েশাকে বিয়ে করতে পারতেন তবে করেন নি। আল্লাহর আদেশের কারণেই করেছেন যার মধ্যে রয়েছে অনেক হিকমতের ব্যাপার।
.
.
◾এতো কম বয়সে আয়েশা (রাঃ) এর কি (সংসার জীবনের জন্য) শারিরীক ডেভলাপ হয়েছে!?
.
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالاَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا " . وَهَذَا لَفْظُ الْقَعْنَبِيِّ .
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
◾উপরের হাদিস থেকেই সুস্পষ্ট যা কিনা আয়েশা (রাঃ) নিজেই বর্ণনা করেছেন। তাহলে আমরা দেখছি যে নবী মুহাম্মদ (ﷺ) কে আল্লাহ নিজেই আদেশ দিয়েছেন। নবী মুহাম্মদ (ﷺ) নিজ থেকে ছয় বছরের মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেন নি। যেখানে কিনা তিনি চাইলেই করতে পারতেন সেই সময়ের সমাজও কখনো তা করতে বাঁধা দিতো না।
.
তাহলে আমারা বুঝলাম নবী মুহাম্মদ (ﷺ) নিজ থেকে নয় বরং আল্লাহ তায়ালার আদেশে বিবাহ করেছেন।
.
আমরা সকলেই জানি নবীদের স্বপ্ন ওহী। যা ইব্রাহিম (আঃ) ও দেখেছেন। শুধু তাই নয় একজন সত্যিকারের মুমিনের স্বপ্নও নবুয়তের একটি অংশ।
.
◾তাহলে আমরা বুঝলাম যে নবী মুহাম্মদ (ﷺ) নিজ থেকে চাইলেই সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী ছয় বছরের আয়েশাকে বিয়ে করতে পারতেন কিন্তু নবী মুহাম্মদ (ﷺ) তা করেন নি। বরং শুধুমাত্র আল্লাহর আদেশেই করেছেন। আল্লাহর আদেশ অমান্য করলে এমন সাহস কার আছে। নবী মুহাম্মদ (ﷺ) নিজের জীবনকেই আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করেছেন।
.
.
◾আয়েশা (রাঃ) কে বিয়েতে কি লাভ হয়েছে!?
.
আসলে আয়েশা (রাঃ) বিয়ের মধ্যে বড়ই হিকমাহ রয়েছে। সবথেকে বেশি যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি হচ্ছেন আয়েশা (রাঃ)
.
আসুন দেখি নবীদের স্ত্রীদের মধ্যে সব থেকে বেশি হাদিস বর্ণনাকারীর কে এবং কয়টি হাদিস বর্ণনা করেছেন।
.
▫ সাওদা বিনতে যাম'আহ হাদিস বর্ণনা করেছেন ৫ টি।
▫ আয়শা বিনতে আবু বকর হাদিস বর্ণনা করেছেন ২২১০ টি।
▫ হাফসা বিনতে ওমর হাদিস বর্ণনা করেছেন ৬০ টি।
▫ উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবু উমাইয়াহ হাদিস বর্ণনা করেছেন ৩৭৮ টি।
▫ যয়নব বিনতে জাহশ হাদিস বর্ণনা করেছেন ১১ টি।
▫ জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারেছ হাদিস বর্ণনা করেছেন ৭ টি।
▫ উম্মে হাবীবাহ রামলাহ বিনতে আবু সুফিয়ান হাদিস বর্ণনা করেছেন ৬৫ টি।
▫ ছাফিইয়াহ বিনতে হুয়াই বিন আখত্বাব হাদিস বর্ণনা করেছেন ১০ টি।
▫ মায়মূনা বিনতুল হারেছ হাদিস বর্ণনা করেছেন ৭৬ টি।
[ সীরাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু — আসাদুল্লাহ আল গালিব, পৃষ্ঠা:- ৭৬৮ ]
.
দেখুন আয়েশা (রাঃ) ২২১০ টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। সকল স্ত্রীদের থেকে বেশি। তাহলে বুঝুন আয়েশা (রাঃ) আর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর বিয়ের মধ্যে কত বড় হিকমাহ রয়েছে। ইসলামের মূল বিষয়ের উপর যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটাই হচ্ছে কুরআন - হাদিস আর সেই হাদিস শাস্ত্রে আয়েশা (রাঃ) যে অবদান রেখেছেন তা অতুলনীয় যা আমাদের মুসলিমদের দিয়েছে পথের দিশা। (আলহামদুলিল্লাহ)
শুধু যে হাদীসের কারণেই তা নয়। আয়েশা (রাঃ) এর বিয়ের মাধ্যমে বড় একটি সম্পর্ক হয়েছে।
.
ইসলামী বন্ধন দৃঢ়করণ (تقوية صلة الإسلام) :
আয়েশা ও হাফছাকে বিবাহ করার মাধ্যমে হযরত আবুবকর ও ওমরের সঙ্গে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব দৃঢ়তর ভিত্তি লাভ করে। ওছমান ও আলীকে জামাতা করার পিছনেও রাসূল (ছাঃ)-এর অনুরূপ উদ্দেশ্য থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এর ফলে ইসলাম জগত চারজন মহান খলীফা লাভে ধন্য হয়। [৬]
.
সুতরাং নবী মুহাম্মদ (ﷺ) চাইলেই সেই সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী আয়েশাকে বিয়ে করতে পারতেন তবে করেন নি। আল্লাহর আদেশের কারণেই করেছেন যার মধ্যে রয়েছে অনেক হিকমতের ব্যাপার।
.
.
◾এতো কম বয়সে আয়েশা (রাঃ) এর কি (সংসার জীবনের জন্য) শারিরীক ডেভলাপ হয়েছে!?
.
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالاَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا " . وَهَذَا لَفْظُ الْقَعْنَبِيِّ .
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বিধবা মহিলা (বিয়ের ব্যাপারে) তার অভিভাবকের চেয়ে নিজেই অধিক হকদার এবং কুমারীর বিয়ের ব্যাপারে তার সম্মতি নিতে হবে, তার নীরব থাকা সম্মতি গণ্য হবে। হাদীসের মূল পাঠ আল-কা‘নাবীর।
.
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২০৯৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
আমরা বুঝলাম যদি কন্যার সম্মতি না থাকে তাহলে বিবাহ বাতিল। সেটা সয়ং নবী মুহাম্মদ (ﷺ) বলেছেন বিবাহের জন্য সম্মতি লাগবে সুতরাং আয়েশা (রাঃ) এর যদি সম্মতি না থাকতো তাহলে বিবাহ হতো। জুবায়ের ইবনে মুতিমের সাথে বিবাহ হওয়ার কথা ছিলো তা বাতিল হয়ে গেছে।
.
তাই সুস্পষ্ট বুঝাই যাচ্ছে যে আয়েশা (রাঃ) উপযুক্ত ছিলো বিধায় তিনি বিয়ে করতে সম্মতি দিয়েছেন।
.
সা’দ ইব্ন হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
.
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২০৯৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
আমরা বুঝলাম যদি কন্যার সম্মতি না থাকে তাহলে বিবাহ বাতিল। সেটা সয়ং নবী মুহাম্মদ (ﷺ) বলেছেন বিবাহের জন্য সম্মতি লাগবে সুতরাং আয়েশা (রাঃ) এর যদি সম্মতি না থাকতো তাহলে বিবাহ হতো। জুবায়ের ইবনে মুতিমের সাথে বিবাহ হওয়ার কথা ছিলো তা বাতিল হয়ে গেছে।
.
তাই সুস্পষ্ট বুঝাই যাচ্ছে যে আয়েশা (রাঃ) উপযুক্ত ছিলো বিধায় তিনি বিয়ে করতে সম্মতি দিয়েছেন।
.
সা’দ ইব্ন হিশাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বিত্র সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে বিশ্ববাসীর মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিত্র সালাত সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত ব্যক্তির সংবাদ দিব না? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বললেন, তিনি হলেন আয়েশা (রাঃ)। তুমি তাঁর খেদমতে উপস্থিত হয়ে তাঁকেই জিজ্ঞাসা করে দেখ এবং পরে আমার কাছে এসে তোমাকে দেয়া উত্তর সম্বন্ধে আমাকে অবহিত করে যাবে। আমি হাকীম ইব্ন আফলাহের কাছে এসে আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে যাওয়ার জন্য তাঁকে সাথী বানাতে চাইলে তিনি বললেন, আমি তার ঘনিষ্টজন নই, আমি তাঁকে উষ্ট্র যুদ্ধ ও সিফফীন ইত্যকার যুদ্ধসমূহে অংশগ্রহনকারী উভয় পক্ষ সম্পর্কে তাঁকে কিছু বলতে নিষেধ করলেও তিনি তা মানেন নি বরং তাতে সম্পৃক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। আমি হাকীম ইব্ন আফলাহকে আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে যাওয়ার জন্য শপথ দিলে তিনি আমার সাথে আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে গেলেন। আয়েশা (রাঃ) হাকীমকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সাথে এ কে? আমি বললাম, “সা‘দ ইবন হিশাম” (রাঃ)। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, হিশাম কে? আমি বললাম আমেরের ছেলে। তিনি তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে বললেন, আমের বড় ভাল মানুষ ছিল। সা‘দ ইব্ন হিশাম (রাঃ) বললেন, হে উম্মুল মুমিনীন! আপনি আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, তুমি কুরআন পাঠ কর না? সা‘দ (রহঃ) বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই পাঠ করি। আয়েশা (রাঃ) বললেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্বভাব-চরিত্র ছিল কুরআন। আমি যখন দাঁড়াতে মনস্থ করলাম তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দাঁড়ানোর (রাত্রে নফল সালাত আদায়ের) আমার মনে এসে গেল। তিনি বললেন, হে উম্মুল মুমিনীন! আপনি আমাকে নবীয়্যুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রাত্রে নফল সালাত আদায় সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, তুমি “ইয়া আয়্যুহাল মুয্যামমিল” এই সূরাটি পাঠ কর না? আমি বললাম হ্যাঁ, নিশ্চয়ই পাঠ করি। তিনি বললেন, আল্লাহ তা‘আলা তাহাজ্জুদকে এই সূরার প্রথমাংশে ফরয করেছিলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর সাহাবীগণ এক বৎসর পর্যন্ত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলেন, যাতে তাঁদের পা ফুলে গেল। আল্লাহ তা‘আলা উক্ত সূরার শেষাংশের নাযিল করা বার মাস পর্যন্ত স্থগিত রেখেছিলেন। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা উক্ত সূরার শেষাংশে সহজীকৃত বিধান অবতীর্ণ করলেন। অতএব তাহাজ্জুদের সালাত ফরয হিসাবে অবতীর্ণ হওয়ার পর নফল হিসাবে অবশিষ্ট রয়ে গেল। আমি পুনরায় যথন দাঁড়াতে মনস্থ করলাম তখন আমার রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিত্রের কথা স্মরনে এসে গেল। আমি আয়েশা (রাঃ)-কে বললাম, হে উম্মুল মুমিনীন! আপনি আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিত্র সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, আমরা তাঁর জন্য মিসওয়াক এবং উযুর পানি প্রস্তুত করে রাখতাম। রাত্রে যখন আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে জাগানোর ইচ্ছা হত তাঁকে জাগ্রত করে দিতেন। তিনি উঠে মিসওয়াক এবং উযু করতেন এবং আট রাকআত সালাত আদায় করতেন। তাতে সালাম ফিরানোর জন্য শুধু অষ্টম রাকআতেই বসতেন। বসে আল্লাহ তা‘আলার যিকর এবং দোয়া করতেন। অতঃপর আমরা শুনতে পারি এমনভাবে তিনি সালাম ফিরাতেন। এরপর দু‘রাকআত সালাত আদায় করতেন এবং দু‘রাকআতের পর সালাম ফিরিয়ে বসে থাকতেন। আবার এক রাকআত সালাত আদায় করতেন। তাহলে হে প্রিয় বৎস! সর্বমোট এগার রাকআত সালাত আদায় করা হত। যখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বয়স বেড়ে গেল এবং শরীরে ওজন বৃদ্ধি পেয়ে গেল তিনি সাত রাকআত বিত্রের সালাত আদায় করতেন। আর সালামের পর বসে থেকে দু’রাকআত সালাত আদায় করতেন। তাহলে হে প্রিয় বৎস! সর্বমোট ন’রাকআত সালাত আদায় করা হত। আর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কোন সালাত আদায় করতেন, তা নিয়মিত আদায় করতে ভালবাসতেন। আর যদি তাঁকে নিদ্রা অথবা কোন অসুখ বা ব্যথা-বেদনা তাহাজ্জুদ থেকে বিরত রাখত তাহলে তিনি দিনে বার রাকআত সালাত আদায় করে নিতেন। আমি এ ব্যাপারে পুরোপুরি অবগত নই যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাত্রে সম্পূর্ণ কুরআন মজীদ পাঠ করেছেন। আর তিনি সকাল পর্যন্ত পুরা রাত্র তাহাজ্জুদের সালাতও আদায় করতেন না এবং রমযান ব্যতীত পুরা মাস রোযাও রাখতেন না। আমি ইব্ন আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে এসে আয়েশা (রাঃ)-এর হাদীস তাঁকে বর্ণনা করলে তিনি বললেন, আয়েশা (রাঃ) সত্যই বলেছেন। আমি যদি তাঁর কাছে কখনো যেতাম তাহলে এ হাদীসটা তাঁর মুখ থেকে সরাসরি শুনতে পেতাম। আবূ আব্দুর রহমান (নাসাঈ) বলেন, আমার কাছে এরকমই রয়েছে কিন্তু আমি জানি না যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিত্রের ব্যাপারে ভুল বর্ণনা কার থেকে হয়েছে।
.
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৬০১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
.
দেখুন আয়েশা (রাঃ) উপযুক্ত না থাকতেন তাহলে কখনোই বলতেন না "আয়েশা (রাঃ) বললেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্বভাব-চরিত্র ছিল কুরআন "
.
আয়েশা (রাঃ) উপযুক্ত তুলে এটাও তার প্রমাণ।
.
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَوَّالٍ، وَأُدْخِلْتُ عَلَيْهِ فِي شَوَّالٍ، فَأَيُّ نِسَائِهِ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّي؟»
.
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৬০১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
.
দেখুন আয়েশা (রাঃ) উপযুক্ত না থাকতেন তাহলে কখনোই বলতেন না "আয়েশা (রাঃ) বললেন, আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর স্বভাব-চরিত্র ছিল কুরআন "
.
আয়েশা (রাঃ) উপযুক্ত তুলে এটাও তার প্রমাণ।
.
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَوَّالٍ، وَأُدْخِلْتُ عَلَيْهِ فِي شَوَّالٍ، فَأَيُّ نِسَائِهِ كَانَ أَحْظَى عِنْدَهُ مِنِّي؟»
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিবাহ করেন শাওয়াল মাসে, আর আমাকে তাঁর কাছে পাঠানো হয় শাওয়াল মাসেই। তাঁর কোন স্ত্রী আমার চেয়ে অধিক ভাগ্যবতী?
.
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৩৭৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
.
নাস্তিকদের দেখি মার থেকে মাসির দরদ বেশি। যে বিয়ে করলো তার প্রবলেম হয় নি কিন্তু সমকামে অভ্যস্ত নাস্তিকদের আপত্তি দেখা যায়।
.
নাস্তিকদের এমন অভিযোগের কারণ হলো তারা চায় বিবাহ ছাড়া যার তার সাথে দৈহিক মিলনের বৈধতা দিতে। যে কথা হুমায়ুন আজাদ সুস্পষ্ট বলেছেন,,,
.
"যদি কোন পুরুষ একাধিক নারীর সাথে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবন যাপন করতে চায়, তাতে সবাই যদি তাতে সুখী হয়, তাতে কারো আপত্তি থাকা উচিত নয় এবং কোন নারী যদি একাধিক পুরুষের সাথে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবন যাপন করতে চায়, তাতেও সবাই যদি তাতে সুখী হয়, তাতে কারো আপত্তি থাকা উচিত নয়। তাদের ওই জীবন যাপন অন্য কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। সুখী করে তাদের তা তাই অনৈতিক নয়।"
.
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩৩৭৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
.
নাস্তিকদের দেখি মার থেকে মাসির দরদ বেশি। যে বিয়ে করলো তার প্রবলেম হয় নি কিন্তু সমকামে অভ্যস্ত নাস্তিকদের আপত্তি দেখা যায়।
.
নাস্তিকদের এমন অভিযোগের কারণ হলো তারা চায় বিবাহ ছাড়া যার তার সাথে দৈহিক মিলনের বৈধতা দিতে। যে কথা হুমায়ুন আজাদ সুস্পষ্ট বলেছেন,,,
.
"যদি কোন পুরুষ একাধিক নারীর সাথে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবন যাপন করতে চায়, তাতে সবাই যদি তাতে সুখী হয়, তাতে কারো আপত্তি থাকা উচিত নয় এবং কোন নারী যদি একাধিক পুরুষের সাথে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবন যাপন করতে চায়, তাতেও সবাই যদি তাতে সুখী হয়, তাতে কারো আপত্তি থাকা উচিত নয়। তাদের ওই জীবন যাপন অন্য কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। সুখী করে তাদের তা তাই অনৈতিক নয়।"
[ আমার অবিশ্বাস — হুমায়ুন আজাদ, পৃষ্ঠা:- ১৪২ ]
.
এই হলো এদের মূল উদ্দেশ্য। তারা চায় যার তার সাথে যত খুশি বিবাহ ছাড়া দৈহিক মিলন করতে। এটা হলো নাস্তিকদের ইজমা।
.
.
◾উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম,,,
.
১) নবী মুহাম্মদ (ﷺ) চাইলেই আয়েশা (রাঃ) কে বিয়ে করতে পারতেন। কারণ সেই সমাজ ব্যবস্থা এমন ছিলো। কিন্তু নবী মুহাম্মদ (ﷺ) তা করে নি।
.
২) নবী মুহাম্মদ (ﷺ) শুধুমাত্র আল্লাহর আদেশেই বিয়ে করেছে আয়েশা (রাঃ) কে।
.
৩) নবী মুহাম্মদ (ﷺ) ও আয়েশা (রাঃ) এর বিয়েতে রয়েছে বড় বড় হিকমত। যা বিয়ের মাধ্যমেই গড়ে উঠে।
.
৪) নবী মুহাম্মদ (ﷺ) আর আয়েশা (রাঃ) এর আগে জুবায়ের ইবনে মুতিমের সাথে বিয়ের কথা ছিলো যা বাতিল করা হয়েছে। মানে আয়েশা (রাঃ) সেই বয়সে উপযুক্ত ছিলো।
.
৫) আয়েশা (রাঃ) এর সম্মতি না থাকলে বিয়ে হতো না। এটা নবী মুহাম্মদ (ﷺ)ই বলেছেন। তাই আয়েশা (রাঃ) যে শারীরিক ও মানসিক ভাবে উপযুক্ত ছিলো তা প্রমাণিত। ছিলো সুখি এবং নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর মুগ্ধ।
.
৬) নাস্তিক্যবাদে যার তার সাথে দৈহিক মিলন করা যায়েজ। আর এটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই এরা এতো বিদ্বেষী ছড়ায়।
.
.
◾আশা করি সকলেই বুঝতে পেরেছেন।
.
নাস্তিক্যবাদ বলে,,,
.
এই হলো এদের মূল উদ্দেশ্য। তারা চায় যার তার সাথে যত খুশি বিবাহ ছাড়া দৈহিক মিলন করতে। এটা হলো নাস্তিকদের ইজমা।
.
.
◾উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম,,,
.
১) নবী মুহাম্মদ (ﷺ) চাইলেই আয়েশা (রাঃ) কে বিয়ে করতে পারতেন। কারণ সেই সমাজ ব্যবস্থা এমন ছিলো। কিন্তু নবী মুহাম্মদ (ﷺ) তা করে নি।
.
২) নবী মুহাম্মদ (ﷺ) শুধুমাত্র আল্লাহর আদেশেই বিয়ে করেছে আয়েশা (রাঃ) কে।
.
৩) নবী মুহাম্মদ (ﷺ) ও আয়েশা (রাঃ) এর বিয়েতে রয়েছে বড় বড় হিকমত। যা বিয়ের মাধ্যমেই গড়ে উঠে।
.
৪) নবী মুহাম্মদ (ﷺ) আর আয়েশা (রাঃ) এর আগে জুবায়ের ইবনে মুতিমের সাথে বিয়ের কথা ছিলো যা বাতিল করা হয়েছে। মানে আয়েশা (রাঃ) সেই বয়সে উপযুক্ত ছিলো।
.
৫) আয়েশা (রাঃ) এর সম্মতি না থাকলে বিয়ে হতো না। এটা নবী মুহাম্মদ (ﷺ)ই বলেছেন। তাই আয়েশা (রাঃ) যে শারীরিক ও মানসিক ভাবে উপযুক্ত ছিলো তা প্রমাণিত। ছিলো সুখি এবং নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর মুগ্ধ।
.
৬) নাস্তিক্যবাদে যার তার সাথে দৈহিক মিলন করা যায়েজ। আর এটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই এরা এতো বিদ্বেষী ছড়ায়।
.
.
◾আশা করি সকলেই বুঝতে পেরেছেন।
.
নাস্তিক্যবাদ বলে,,,
"কয়েক বছর আগে সারা সন্ধ্যা চুষতে চিবুতে ইচ্ছে হয়েছিলো চুয়িং গামের মতো এক তরুনীকে।"
[ আমার অবিশ্বাস — হুমায়ুন আজাদ, পৃষ্ঠা:- ১৫ ]
[ আমার অবিশ্বাস — হুমায়ুন আজাদ, পৃষ্ঠা:- ১৫ ]
"কোনো কোনো নারী দেখলে ছুঁতে ইচ্ছা করে।"
[ আমার অবিশ্বাস — হুমায়ুন আজাদ, পৃষ্ঠা:-১৬ ]
[ আমার অবিশ্বাস — হুমায়ুন আজাদ, পৃষ্ঠা:-১৬ ]
নাঊজুবিল্লাহ মিন যালিক....
0 Comments