বিষয়:- কোন ধর্ম যীশু খ্রীষ্ট বা ঈসা (আঃ) কে সম্মান দিয়েছে!? ইসলাম নাকি খ্রিষ্টানধর্ম!? পৌলের পরাজয়! ইসলাম ও নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিজয়! সত্য পথের আহ্বান.....
🖋Author:- Aminur Rashid ____________________________________________________________________________
বিষয় তালিকা
- ভূমিকা
- ইসলামের দৃষ্টিতে
- খ্রিষ্টানধর্মের দৃষ্টিতে
- ইসলামেই সম্মান আর খ্রিষ্টানধর্মেই অসম্মান
- পৌলের ভন্ডামি আবারো প্রকাশ
- মজার ব্যাপার
- ফিরে আসার আহ্বান (উপসংহার)
ভূমিকা
ভক্ত! চরম ভক্ত!
খ্রিষ্টানরা যীশু খ্রিষ্টের এতোই ভক্ত এতোই ভক্ত যে তারা তাকে একদম ঈশ্বরের আসনে বসিয়ে ঈশ্বর বানিয়ে ফেলেছে! (নাঊজুবিল্লাহ)
তারা নবীকে অতিরিক্ত ভক্ত করে ঈশ্বরের কাতারে ফেলেছে। যেখানে কিনা কোন মুসলিম যদি নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বা যে কাউকে আল্লাহর সাথে শরিক করবে সে পুরোপুরি ইসলাম থেকে বের হয়ে মুশরিক হয়ে যাবে।
সুতরাং স্রষ্টার সাথে কখনোই কাউকে শরিক করা যাবে না।
কিন্তু খ্রিষ্টানরা তা মানবে না! তারা যীশু খ্রীষ্টকে অতি ভক্ত করে।
আর এমন ভক্তি দেখে একটা প্রবাদের কথা মনে আসে সেটা হলো,,
"অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ"
যাইহোক,, যে যীশুকে খ্রিষ্টানরা এতো ভালোবাসে সেই যীশু বা ঈসা (আঃ) কে ইসলাম না খ্রিষ্টানধর্ম সম্মান দিয়েছে সেটাই আজ দেখবো। ইনশাআল্লাহ
ইসলামের দৃষ্টিতে
আমাদের নবী ঈসা (আঃ) আর বাইবেলের যীশু খ্রীষ্টের চুলের বর্ণনা কেমন সেটাই আগে দেখি।
কোন খ্রিষ্টান কিংবা যেকোন পোপেরা যীশু খ্রিষ্টের ছবি হিসেবে যেটি ব্যবহার করে সেটিতে লম্বা চুল থাকে। (দেখুন)
শুধু ছবিই নয় তারা যীশু খ্রীষ্টের মূর্তি যেটাকে তারা পূজা করে। (নাঊজুবিল্লাহ)
আইমিন চুলটা অনেক লম্বা থাকে ছবি ও মূর্তিতে!
এবার প্রশ্ন হলো খ্রিষ্টানরা যে যীশুর চুলকে লম্বা ভাবে দেয় সেটা ইসলাম ও খ্রিষ্টানধর্মের আলোকে কেমন! তা দেখা জরুরি!
ইসলামের আলোকে ঈসা (আঃ) এর চুল কাধ বরাবর লম্বা,,,
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَرَانِي اللَّيْلَةَ عِنْدَ الْكَعْبَةِ فَرَأَيْتُ رَجُلًا آدَمَ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ مِنْ أُدْمِ الرِّجَالِ لَهُ لِمَّةٌ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ مِنْ اللِّمَمِ قَدْ رَجَّلَهَا فَهِيَ تَقْطُرُ مَاءً مُتَّكِئًا عَلَى رَجُلَيْنِ أَوْ عَلَى عَوَاتِقِ رَجُلَيْنِ يَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ فَسَأَلْتُ مَنْ هَذَا قِيلَ هَذَا الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ ثُمَّ إِذَا أَنَا بِرَجُلٍ جَعْدٍ قَطَطٍ أَعْوَرِ الْعَيْنِ الْيُمْنَى كَأَنَّهَا عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ فَسَأَلْتُ مَنْ هَذَا فَقِيلَ لِي هَذَا الْمَسِيحُ الدَّجَّالُআবদুল্লাহ ইব্নু উমার (রা) থেকে বর্ণিতঃ:রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি কাবার কাছে রয়েছি এবং সেই অবস্থায় আমি মেটে রঙের একজন লোক দেখলাম যেরূপ মেটে রঙের সুশ্রী লোক হয়ে থাকে। তার কাঁধ পর্যন্ত চুল লম্বা ছিল। তার চুলে তিনি চিরুনী দিয়ে আঁচড়িয়েছেন এবং উহা হতে তখনও পানি ঝরছে। তিনি দুইজন লোকের উপর ভর করে অথবা তিনি বলেছেন দুইজন লোকের কাঁধে ভর করে কা‘বার তাওয়াফ করছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে ? আমাকে উত্তর দেয়া হল, ইনি মসীহ ইব্নু মরিয়াম। [১] অতঃপর আমি অন্য একজন লোককে দেখলাম (যার) চুল খুব কোঁকড়ান। ডান চোখ তার কানা যেন ঐ চক্ষু ফোলা আঙ্গুর। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এই ব্যক্তি কে ? কেউ উত্তর দিল, এ হল মসীহ্ দাজ্জাল। (বুখারী ৫৯০২, মুসলিম ১৬৯)ফুটনোটঃ[১] ঈসা (আ)-এর স্পর্শ দ্বারা রুগ্ন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যেত, এইজন্য তাঁকে মসীহ্ বলা হত। দজ্জালকে মসীহ বলার কারণ এই যে, সে ৪০ দিনের মধ্যে সমস্ত পৃথিবী ঘুরে আসবে। ঈসা (আ) ও দজ্জাল কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে আগমন করবেন। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয়ের চিহ্ন বলে দিয়েছেন যেন মুসলমান তাকে চিনতে পারে এবং ধোঁকায় পতিত না হয়।[ মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৬৫০হাদিসের মান: সহিহ হাদিস (ihadis.com) ]
এ হাদিস থেকে পাওয়া যায় নবী ঈসা (আঃ) এর চুল কাঁধ পর্যন্ত লম্বা! তাহলে খ্রিষ্টানরা কি ইসলামের সোর্স ব্যবহার করে যীশুর চুল লম্বা রেখেছে!?
খ্রিষ্টানধর্মের দৃষ্টিতে
খ্রিষ্টানধর্মের দৃষ্টিতে অর্থাৎ বাইবেল অনুযায়ী লম্বা চুল রাখা অপমানজনক!
বাইবেলে বলা হয়েছে,,
(1 Corinthians) 11:1411:14 স্বাভাবিক বিবেচনাও বলে য়ে পুরুষ মানুষ যদি লম্বা চুল রাখে তবে তার সম্মান থাকে না৷11:14 Doth not even nature itself teach you, that, if a man have long hair, it is a shame unto him?
যেখানে কিনা খ্রিষ্টানরা তাদের যীশুর চুল লম্বা রাখে নানান ছবি ও মূর্তিতে ঠিক তাদের ধর্মগ্রন্থেই লম্বা চুল যে রাখে তার সম্মান থাকে না উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ যীশু খ্রীষ্ট বা ঈসা (আঃ) এর সম্মান নেই। (নাঊজুবিল্লাহ)
সুতরাং, ইসলাম অনুযায়ী ঈসা (আঃ) এর চুল লম্বা। আর খ্রিষ্টানরাও যীশু খ্রিষ্টের চুল লম্বা দেয় কিন্তু বাইবেলে লম্বা চুল যে রাখে তার সম্মান থাকে না।
এর মানে খ্রিষ্টানরা যাকে অতি ভক্ত করে যাকে ঈশ্বর দাবী করে এবং যার মূর্তি তৈরি করে উপাসনা করে সেই যীশুর সম্মান নেই বাইবেল অনুযায়ী!
তাহলে আমরা বুঝলাম,,,
বাইবেল/খ্রিষ্টান/যীশু সবই একদম তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে!
তাই আমি খ্রিষ্টানদের বলব দয়া করে যীশুর চুল লম্বা বলে নিজের বাইবেল অনুযায়ী যীশুকে অসম্মান করবেন না।
খ্রিষ্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেল হলেও তারা নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর বর্ণনাই কে মেনে নিলো আলহামদুলিল্লাহ।
নবী ঈসার চুল লম্বা সেটা ইসলাম এর বর্ণনা আর বাইবেল অনুযায়ী নিষেধ!
আর খ্রিষ্টানরা ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বর্ণনা টাই মানলো।
ইসলামেই সম্মান আর খ্রিষ্টানধর্মেরই অসম্মান
যেখানে বাইবেল বলছে যীশুর চুল রাখার নিয়মটা হলো খারাপ।
সেখানে আমাদের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যীশু বা ঈসা আঃ এর কাঁধ পর্যন্ত চুলের প্রশংসা করেছেন।
হাদিসে বলা হয়েছে,,,
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أُرَانِي اللَّيْلَةَ عِنْدَ الْكَعْبَةِ، فَرَأَيْتُ رَجُلاً آدَمَ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ مِنْ أُدْمِ الرِّجَالِ، لَهُ لِمَّةٌ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ مِنَ اللِّمَمِ، قَدْ رَجَّلَهَا، فَهْىَ تَقْطُرُ مَاءً مُتَّكِئًا عَلَى رَجُلَيْنِ، أَوْ عَلَى عَوَاتِقِ رَجُلَيْنِ، يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَسَأَلْتُ مَنْ هَذَا فَقِيلَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ. وَإِذَا أَنَا بِرَجُلٍ جَعْدٍ، قَطَطٍ، أَعْوَرِ الْعَيْنِ الْيُمْنَى كَأَنَّهَا عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ، فَسَأَلْتُ مَنْ هَذَا فَقِيلَ الْمَسِيحُ الدَّجَّالُ ".আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমি এক রাত্রিতে স্বপ্নে কা’বা ঘরের সন্নিকটে এক গেরুয়া রঙের পুরুষ লোক দেখতে পেলাম। এমন সুন্দর গেরুয়া লোক তুমি কখনও দেখনি। তাঁর মাথার চুল ছিল কাঁধ পর্যন্ত। কাঁধ পর্যন্ত লম্বা এমন সুন্দর চুল তুমি কখনও দেখনি। লোকটি চুল আঁচড়িয়েছে, আর তাথেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছে। সে দু’জন লোকের উপর ভর দিয়ে কিংবা দু’জন লোকের স্কন্ধে ভর করে কা’বা ঘর প্রদিক্ষণ করছে। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এ লোকটি কে? জবাব দেওয়া হলঃ ইনি মারিয়ামের পুত্র (‘ঈসা) মাসীহ্! অন্য আরেকজন লোক দেখলাম, যার চুল ছিল খুবই কোঁকড়ান, ডান চোখ টেরা, ফুলে উঠা আঙ্গুর যেন। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এ লোকটি কে? বলা হলঃ ইনি মাসীহ্ দাজ্জাল।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৬৯)সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৯০২হাদিসের মান: সহিহ হাদিসSource: ihadis.comعَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أُرَانِي اللَّيْلَةَ عِنْدَ الْكَعْبَةِ فَرَأَيْتُ رَجُلاً آدَمَ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ مِنْ أُدْمِ الرِّجَالِ لَهُ لِمَّةٌ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ مِنْ اللِّمَمِ قَدْ رَجَّلَهَا تَقْطُرُ مَاءً مُتَّكِئًا عَلَى رَجُلَيْنِ أَوْ عَلَى عَوَاتِقِ رَجُلَيْنِ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ فَسَأَلْتُ مَنْ هَذَا فَقِيلَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ ثُمَّ إِذَا أَنَا بِرَجُلٍ جَعْدٍ قَطَطٍ أَعْوَرِ الْعَيْنِ الْيُمْنَى كَأَنَّهَا عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ فَسَأَلْتُ مَنْ هَذَا فَقِيلَ الْمَسِيحُ الدَّجَّالُ.আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক রাতে আমাকে কা‘বার নিকট স্বপ্ন দেখানো হল। তখন আমি গৌর বর্ণের সুন্দর এক পুরুষকে দেখলাম। তার মাথাই খুবই সুন্দর লম্বা চুল ছিল, যেগুলো আঁচড়ে রাখা হয়েছে। চুল থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছিল। তিনি দু’জনের ওপর অথবা বলেছেন,দু’জনের কাধেঁর ওপর ভর করে বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করেছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ কে? বলা হল : মাসীহ্ ইবনু মারইয়াম। এরপর আরেক লোকের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ ঘটল। সে ছিল কোঁকড়ানো চুলওয়ালা, ডান চোখ কানা, চোখটি যেন (পানির ওপর) ভাসমান আঙুর। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ কে? বলা হল মাসীহ্ দাজ্জাল। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫২৮)সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৯৯৯হাদিসের মান: সহিহ হাদিসSource: ihadis.com
দেখুন ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ঈসা (আঃ) এর প্রশংসা করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। অন্যদিকে বাইবেল করেছে যীশুকে সম্মানহানি! তাহলে খ্রিষ্টান ভাই-বোনদের বলব যে যীশুকে আপনারা ভক্ত করেন তার সম্মান ইসলাম দিয়েছে খ্রিষ্টানধর্ম নয়! আপনি যদি সত্যিই যীশুকে ভালোবাসেন তাহলে যীশুর সম্মানটা দেখতে বাইবেল নয় বরং ইসলামের দিকেই আসতে হবে। যীশুকে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) দিয়েছেন সম্মান আর বাইবেল দিয়েছে অসম্মান!?
আর আপনারা সেই বিকৃত কিতাবকেই চোখ বুঝে মানছেন!? কেনো?
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ও কখনো কাঁধ বরাবর চুল রাখতেন। অর্থাৎ ইসলামে কাঁধ বরাবর চুল রাখা হারাম নয়!
হাদিস,,,
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَضْرِبُ شَعَرُهُ مَنْكِبَيْهِ.আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর মাথার চুল (কখনও) কাঁধ পর্যন্ত লম্বা হতো। [৫৯০৪; মুসলিম ৪৩/২৬, হাঃ ২৩৩৮, আহমাদ ১৩৫৬৫] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৭০)সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৯০৩হাদিসের মান: সহিহ হাদিসSource: ihadis.com
শুধু তাই নয় ছোট চুলও নবী মুহাম্মদ (সাঃ) পছন্দ করতেন,,,
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَاسِمٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِي جُمَّةٌ، قَالَ ذُبَابٌ: وَظَنَنْتُ أَنَّهُ يَعْنِينِي، فَانْطَلَقْتُ فَأَخَذْتُ مِنْ شَعْرِي، فَقَالَ: «إِنِّي لَمْ أَعْنِكَ وَهَذَا أَحْسَنُ»ওয়ায়ল ইব্ন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, তখন আমার মাথায় ছিল লম্বা চুল। তিনি বললেনঃ কুলক্ষণ। আমি মনে করলাম, তিনি আমাকে বলছেন। আমি গিয়ে চুল ছোট করেছিলাম। তিনি বললেনঃ আমি তো তোমাকে বলিনি, তবে এটা উত্তম।সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫০৬৬হাদিসের মান: সহিহ হাদিসSource: ihadis.com
তাহলে সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে ইসলাম যীশু বা ঈসা (আঃ) এর প্রশংসা করেছে সম্মান দেখিয়েছে আর বাইবেল করেছে শুধু সম্মানহানি!
পৌলের ভন্ডামি আবারো প্রকাশ
উপরে আলোচনা থকে আমরা এতোটা বুঝতে পারলাম যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ঈসা (আঃ) এর দৈহিক বর্ণনাকে প্রশংসা করেছে সম্মান দিয়েছে আর বাইবেল দিয়েছে অসম্মান!
তবে একটা বিষয় আমাদের সবার মাথায় গড়াগড়ি করবে সেটা হলো যীশুকে পেতে যে বাইবেল অনুসরণ করে খ্রিষ্টানরা সেটাই কেনো যীশুর বিরুদ্ধে কথা বলবে!?
কারণটা খুবই সহজ এবং মজারও বটে!
আর এই কারণটা হলো বাইবেলের যে গ্রন্থে "লম্বা চুল পুরুষরা রাখলে সম্মান থাকে না" সেটা বলা হয়েছে সেই গ্রন্থ রচনা আর কেউ নয় বরং পৌল করেছে।
(1 Corinthians - 2 Corinthians)
সুতরাং পৌলই নবী ঈসা (আঃ) বা যীশুকে অসম্মান করেছে।
তাহলে ভাবুন পৌল কতটা ভন্ড!
মজার ব্যাপার
আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো পৌল যে লম্বা চুলের বা (যীশু যেভাবে রাখতেন) তার বিরোধিতা করেছেন তার উপরে একটা গোপন রহস্য রয়েছে রহস্যটা খুবি মজাদার!
আর সেটা হলো পৌলের জীবনে কোন এক সময় চুল পড়ে টাক হয়ে গেছে কিংবা টাক রোগ ছিলো। যার কারণে পৌলের চিত্র খ্রিষ্টানরা যখন অঙ্কন করে তখন দেখা যায় পৌল টাক মাথার অধিকারী! (পৌলের টাক মাথার চিত্র)
হা হা হা না হেসে পারলাম না! পৌল টাক ছিলো বলে কি তাহলে লম্বা চুলের বিরোধীতা করেছে!? আইমিন নিজের তো চুল নেই তাই অন্যকেও চুল রাখার সুযোগ দিলো না আরকি। মানে হিংসা!
সেফুদার ভাষায়,,
"হিংসে হিংসে তোমাদের হিংসে"
তার মানে পৌল নিজের সুবিধামত বাইবেল রচনা করেছেন। Very Sad
আসলে একজন ধর্মান্তরিত ব্যাক্তির হাতে বাইবেল লেখার কাজটা না দেওয়াটাই উচিত ছিলো। নাহলে কি নিজে টাকলা বলে নবী ঈসা (আঃ) বা যীশুর বিরোধীতা করতো!? কখনোই নয়!
টাক মাথা হওয়ার কারণে বেচারার খুব দুঃখ ছিলো তাই লম্বা চুলের বিরোধীতা করলো শেষপর্যন্ত!
ফিরে আসার আহ্বান (উপসংহার)
সবচয়ে দুঃখজনক হ্যাঁ,,,
সবচেয়ে দুঃখজনক এটাই! সেটা হলো যীশুকে যেখানে পৌল অসম্মান করলো সেখানে খ্রিষ্টানরা এখনো পৌলের অনুসরণ করছে পৌলের উপদেশ মানছে! আবার কয়েকজন লেবাসধারীরা তো ইসলামের মধ্যেও পৌলকে আনার চেষ্টা করছে।
বড়ই আফসোস খ্রিষ্টানদের জন্য! যারা পৌলকে অনুসরণ করতে গিয়ে নিজেদের নবীকেই অসম্মান করলো! (নাঊজুবিল্লাহ)
এবার ফিরা আসার আহ্বান জানাচ্ছি,,
আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই যীশুকে ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন, সম্মান করেন তাহলে আপনি কিভাবে পৌলের তৈরি বিকৃত বাইবেল মানছেন? যেখানে পৌল নিজ সুবিধার জন্য যীশুকে বানিয়েছে ঈশ্বর! আবার নিজ সুবিধার জন্য যীশুকে করেছে অসম্মান! আবার যীশুর বিপরীত বক্তব্য দিয়েছে!!
কেনো সেই পৌলের অনুসরণ করছেন!?
কেনো?
করলে তো তারই অনুসরণ করুন যে আপনার যীশুকে সঠিক সম্মানে সম্মানিত করেছেন,,
আর তিনিই হলেন "নবী মুহাম্মদ (সাঃ)"!
কেনো সেই পৌলকে অনুসরণ করছেন যে কিনা যীশুর ব্যপারে একবার এক কথা বলছে!?
আর কেনোই বা অনুসরণ করছেন সেই কিতাব বাইবেলকে যেটা পৌল বিকৃত করেছে!?
আর পৌলের মতন পোপেরাও বিকৃত করেছে!? (পোপদের বিকৃত করার প্রমাণ)
পৌল আর পোপদের সেই বাইবেলকে মানবেন যে যীশুকে নানান অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে!?
✝ যীশুর অহেতুক নিরহ গাছকে অভিশাপ দিয়ে মেরে ফেলামথি (২১:১৮-২১)-মার্ক (১১:১৩-১৪)✝ “যীশু মানুষদেরকে গালিগালাজ করতেন”মথি (১৬:২৩)✝ যীশু অহেতুক কিছু অবুঝ প্রাণীকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মারেন।মার্ক (৫:১০-১৩)✝ যীশু পূর্ববর্তী নবী-রাসূলদের চোর-ডাকাত বলতেন ৷(যোহন ১০/৭-৮)✝ যীশু নিরপরাধ মানুষকে অভিশাপ দিতেন ৷(মথি ২৩/৩৫-৩৬)✝ যীশু মিথ্যা ওয়াদা ও মিথ্যা ভবিষৎবাণী করতেন ৷(মথি ১৬/২৭-২৮, ১৯/২৮), (মার্ক ২/২৫-২৬,১১/২৩,১৬/১৭-১৮), লূক (১৮/২৯-৩০), (যোহন ৩/১৩)✝ যীশু মদ পান করে মাতাল হতেনলূক (৭/৩৪-৩৫)✝ যীশু বেশ্যা মেয়েদের তাঁকে স্পর্শ করতে এবং চুম্বন করতে দিতেন ৷(লূক ৭/৩৪-৫০) (যোহন ১০/৭-৮)✝ যীশু ছিলেন পৃথিবীর অশান্তি(মথি ১০/৩৪-৩৫)✝ যীশু তার মাকে সাক্ষাৎ কালেঅস্বীকার করতেন ৷ (মথি ১২/ ৪৪-৫০), (মার্ক ৩/৩১-৩৫)
নাকি ইসলাম মানবেন যেটি যীশু বা ঈসা (আঃ) কে অপরাধী দোষী সাব্যস্ত করে নি?
তাহলে এবার ভাবতে থাকুন!
কোনটি মানবেন!?
পৌলের বিকৃত করা বাইবেল যা যীশু বা ঈসা (আঃ) এর সম্মানহানি করেছে
নাকি
পবিত্র কুরআন আর হাদিস যা যীশু বা ঈসা (আঃ) এর সঠিক সম্মান দিয়েছে!?
কোনটি!?
প্রশ্ন রইলো.......
1 Comments
আপনার ব্লগ আমার ভালো লাগে। এগিয়ে যান👍👍👍👍👍👍
ReplyDelete