যীশু ঈশ্বর সেটা প্রমাণ করতে কুরআন যথেষ্ট? - জবাব


🖋Author:- Aminur Rashid
____________________________________________________________________________

[ বিঃদ্রঃ এই লেখাটি একজন খ্রিষ্টানের দাবীর খন্ডন হিসেবে। খ্রিষ্টান লোকটির নাম ডেভিড খান। এই লেখনীতে ডেভিড খান ও তার মতন যত খ্রিষ্টান রয়েছে তাদের জবাব পেয়ে যাবেন। ইনশাআল্লাহ ]

প্রিয় পাঠক,,, 
সর্বপ্রথম নিচের দুটি আর্টিকেল পড়ে আসুন। অবশ্য পাঠ্য। এবং এই লেখার সাথে সম্পর্কিত।
তাই প্রথমে নিচের দুটি আর্টিকেল পড়ুন তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। ইনশাআল্লাহ

১) যীশু কি ঈশ্বর??
২) যীশুর ঈশ্বরত্ব বাতিল ১৫ টি দাবী খন্ডন!
৩) রূহ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাহলে যীশু কি আল্লাহর পুত্র?

এবার মূল আলোচনা করা যাক,,,,,

জবাব:- আসসালামু আলাইকুম,,,
ডেভিড খান কিছু অভিযোগ করল উনার দাবী গুলি দেখা যাক।
.
📚 ১ম দাবী:- //আমি এই গ্রুপে বহু তথ্য, প্রমাণ ও রেফারেন্স সহ আস্তিক ও নাস্তিক ভাইদের বলেছিলাম যীশু বা ঈসা যে ঈশ্বর তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই কারণ কোরআন অনুযায়ী যীশুই আল্লাহ।//
.
জবাব:- ডেভিড খান আপনি যে প্রথমেই নিজেকে মূর্খের প্রমাণ দিলেন সেটা কি আপনি জানেন??? আমার মনে হয় না। কারণ আপনি দাবী করছে "কুরআন অনুযায়ী যীশুই নাকি আল্লাহ" (নাউজুবিল্লাহ মিন যালিক)
.
পবিত্র কুরআনে কোথাও বলা হয় নাই যীশু হচ্ছেন আল্লাহ আপনাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম।
.
কুরআন অনুযায়ী ঈশ্বর হলেন আল্লাহ আর ঈসা (আ:) হলেন তার নবী ও রাসুল।
.
"ঈসা (আ:) আল্লাহর রাসুল"
[ সূরা নিসা আয়াত ১৭১ ]
.
আর আল্লাহ একজন এবং তার সমতূল্য কেউ নেই না কোন নবী না কোন রাসুল না কোন মানুষ আল্লাহ হচ্ছে আলাদা সত্তা। যার সমতূল্য কেউ নেই।আল্লাহর সমতূল্যই কেউ নাই ঈসা (আ:) তো দূরের কথা।
.
১) আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়।
২) তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন।
৩) তিনি কাউকে জন্ম দেয় নি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয় নি।
৪) তার সমতূল্য কেউ নেই।
.
[ সূরা ইখলাস ১-৪ ]
.
#সুতরাং_আমরা_দেখতে_পাচ্ছি_কুরআন_অনুযায়ী_কোনভাবেই_ঈসা_(আ:)_ঈশ্বর_নন।
.
📚 ২য় দাবী:- //আমি আজ নিম্নে এই গ্রুপের সকল পাঠকের নিকট রেফারেন্স সহ বিস্তারিত তুলে ধরছি - এই গ্রুপের সকল পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলছি যদিও কোরানে সরাসরি ভাবে যীশুকে আল্লাহ দাবী করা হয়নি। কিন্তু কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো ইহুদী, মুসলিম খ্রীষ্টান সকলেই একমত পোষণ করে যে এই বৈশিষ্ট্যগুলো শুধুমাত্র ঈশ্বরের থাকা সম্ভব, কোনো সাধারণ মানুষ বা নবীর নয়। কোরান মতে ঈশ্বরের বৈশিষ্ট্যর সাথে নিজেকে তুলনা করাও শিরকের মধ্যে পড়ে যা ইসলামে সবচেয়ে বড় গুণাহ। কোনো সত্যিকারের নবী কী নিজেকে ঈশ্বরের সাথে তুলনা করবে? কেউ শিরক করলে সে কি নবী হতে পারে,বা তাকে নবী বলা যায়? চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাই-

ক. কে প্রথম এবং শেষ?

এই পৃথিবীর সকল মানুষ বিশ্বাস করে যে এই বৈশিষ্ট্য গুলো একমাত্র ঈশ্বরের থাকতে পারে। যেমন সুরা ৫৭:৩ তে বলা আছে আল্লাহই একমাত্র প্রথম এবং সর্বশেষ। 
Al-Hadid 57:3

তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।

Old Testament কী বলে দেখে নেই Isaiah 44:6

প্রভু পরমেশ্বর, যিনি ইসরায়েলের রক্ষক, রাজাধিরাজ, সেই সর্বাধিপতি প্রভু পরমেশ্বর বলেন, আমিই আদি এবং অন্ত, আমিই অদ্বিতীয়, আমি ছাড়া আর নেই কোন ঈশ্বর।

Old Testament ও কোরআন দুটোই agree করে যে একমাত্র ঈশ্বর আদি এবং অন্ত বা প্রথম এবং সর্বশেষ। কোনো সত্যিকারের নবী কী নিজেকে প্রথম এবং শেষ দাবী করতে পারে? যদি করে কোরান অনুযায়ী তা শিরক। চলুন যীশু প্রকাশিত বাক্য। ১:১৭-১৮ পদে এ কী বলেছে দেখে নিই-

তাঁকে দেখামাত্র আমি তাঁর চরণপ্রান্তে মৃতবৎ পতিত হলাম। তিনি দক্ষিণ হস্ত প্রসারিত করে আমাকে স্পর্শ করলেন, বললেন, ভয় করো না, আমিই আদি এবং অন্ত। আমি জীবন্ত, আমি মৃত্যুবরণ করেছিলাম, কিন্তু দেখ এখন আমি যুগ পর্যায়ে যুগে যুগে জীবিত। মৃত্যু ও পাতালের চাবি রয়েছে আমার হাতে।

যীশু নিজেকে আমিই আদি এবং অন্ত দাবী করছে। কোনো নবী কী তা করবে?//

জবাব:- আচ্ছা ডেভিড দাদা আপনি বললেন কুরআন থেকে প্রমাণ করবে যীশু ঈশ্বর কিন্তু আপনি দেখছি বাইবেল থেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। এটা কেমন ঘাঁড়তেরামি বলবেন???? আবার আমায় বলছেন কুরআন নাকি আমি মাতৃভাষায় পড়ি নাই।কুরআন থেকে প্রমাণ না দিয়ে বাইবেল থেকে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বাহ!! কথায় আর কাজের মিল দেখলে হাসি পায়।
.
আপনি যে রেফারেন্স দিলেন যেখানে বলা হয়েছে,,,
.
"প্রভু পরমেশ্বর, যিনি ইসরায়েলের রক্ষক, রাজাধিরাজ, সেই সর্বাধিপতি প্রভু পরমেশ্বর বলেন, আমিই আদি এবং অন্ত, আমিই অদ্বিতীয়, আমি ছাড়া আর নেই কোন ঈশ্বর।"
[ Isaiah 44:6 ]
.
আচ্ছা ডেবিড খান ঈশ্বর যদি যীশু হতো তাহলে পিতা কে??? আর পিতা কেনো সবকিছুর থেকে মহান তার মানে যীশু হলো পিতার থেকে কম মহান??? তাহলে যীশু কিভাবে ঈশ্বর??? আমার জবাব না দিয়ে যেটা দিলেন সেখানেও তো সমস্যা।
.
#আমরা মুসলিমরা মানি আল্লাহ জন্ম নেন নি এবং তিনি মৃত্যুবরণও করবেন না। কিন্তু Isaiah 44:6 আয়াতে বলা যীশু হলেন "আদি"
আচ্ছা যীশু যদি আদি হয়ে থাকেন তাহলে ক্রিসমাসে যে যীশুর জন্মদিন পালন করেন তাহলেতো সেটাও ভুল। আপনারই বলেন ক্রিসমাসে যীশু জন্ম নিয়েছে। তাহলে যীশু আদি থাকে কেমনে???? আর যীশুকে তো আপনারা বলেন ক্রুসবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। তাহলে বুঝা গেলো যীশু জন্ম নিয়েছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন। যীশু যদি আলফা এবং অমেগা হতো তাহলে যীশুর আগে আর নবী আসতো না যীশু যদি আলফা ও অমেগা হতো তাহলে আর যীশু জন্ম নিতেন না মরিয়মের গর্ভে যীশু যদি আলফা এবং অমেগা হতো আপনাদের মত অনুসারে তিনি মৃত্যুবরণ করতেন না ক্রুসবিদ্ধ হয়ে। তাই যীশু আলফা ও অমেগা নয় বরং তিনি জন্ম নিয়েছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন।
.
কিন্তু কুরআন বলে,,,,
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
(সূরাঃ আল ইখলাস, আয়াতঃ ৩)
.
কি মিলল??? বরং পাওয়া গেলো যে যীশু ঈশ্বর নয়। করণ আল্লাহ জন্ম নেন না যীশু নিয়েছে। এখানেই কেস ক্লোজড।
.
📚 ৩য় দাবী:- //খ. কে পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা রাখে? 

মানুষ একে অন্যের দোষ ক্ষমা করতে পারে৷ কিন্তু আল্টিমেট পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা একমাত্র গডেরই রয়েছে। আব্রাহামিক রিলিজিয়ন এর সকলেই জানে একমাত্র গডেরই এই ক্ষমতা রয়েছে। 

কোরআন সুরা ৩:১৩৫ বলে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কে পাপ ক্ষমা করবে?
Aal-e-Imran 3:135

তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।

Old Testament এর Psalm 51:4 ও একই কথা বলে - তোমার বিরুদ্ধে, একমাত্র তোমারই বিরুদ্ধে আমি পাপ করেছি, তোমার দৃষ্টিতে যা কিছু মন্দ, তা-ই করেছি আমি। সুতরাং ন্যায্য তোমার দণ্ডাদেশ, নিখুঁত তোমার বিচার।

কিন্তু যিশু কী করেছিলো?

আসুন মার্ক ২:৫-১২ থেকে জেনে নিই যীশু তাদের বিশ্বাস দেখে পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোকটিকে বললেন, বৎস, তোমার পাপ ক্ষমা করা হল। সেখানে কয়েকজন শাস্ত্রী বসেছিলেন। তাঁরা ভাবতে লাগলেন এ লোকটা এমন কথা কেন বলছে? এ তো ঈশ্বর-নিন্দা! একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করতে পারে? সঙ্গে সঙ্গে যীশু তাঁদের মনের কথা জানতে পেরে বললেন, তোমরা এ ধরণের কথা কেন ভাবছ? এই পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে কোন কথাটা বলা সহজ —‘তোমার পাপ ক্ষমা হল’ না, ‘ওঠ, তোমার খাট তুলে নিয়ে চলে যাও'? কিন্তু তোমাদের জানা দরকার, এই পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করার অধিকার মানবপুত্রের আছে। তারপর পক্ষাঘাতগ্রস্ত লোকটিকে যীশু বললেন, তোমায় আমি বলছি, ওঠ, তোমার খাট তুলে নিয়ে বাড়ি যাও। সঙ্গে সঙ্গে সে উঠে খাট তুলে নিয়ে সকলের সামনে দিয়ে চলে গেল। বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে সকলে ঈশ্বরের স্তুতি করতে লাগল, বলতে লাগল, এমনটি আর কখনও দেখিনি।

যীশু পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা রাখতেন। যেটা একমাত্র আল্লাহর দ্বারাই সম্ভব। কোরান তাই বলে। মুসলিমরা আপনারা এখনও যীশুকে নবী বলবেন? এগুলো কী আল্লাহর সাথে শিরক নয়? আল্লাহর বৈশিষ্ট্যগুলো যীশুর মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।//
.
জবাব:- যীশু পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা রাখতেন হা হা হা। আচ্ছা তিনি কি আসলেই ক্ষমতাবান??? যদি উনি ক্ষমতাবান হয়েই থাকে তাহলে কেনো তিনি বললেন তিনি নিজ থেকে কিছুই করতে পারেন না?? কেনো???
.
"আমি নিজের থেকে কিছুই করতে পারি না"
[ যোহন ৫:৩০ ]
.
আচ্ছা ডেভিড খান যদি যীশুই ঈশ্বর হন এবং তিনি যদি ক্ষমতাবান হোন তাহলে তিনি কেনো বললেন তিনি নিজ থেকে কিছুই করিতে পারে না। এ কেমন ঈশ্বর যিনি নিজ থেকে কিছুই করতে পারে না। যে নিজ থেকে কিছুই করতে পারে না সে আবার পাপ দূর করবে??? সে আবার মানুষকে সৃষ্টি করেছে??? যে কিনা অক্ষম সে কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করল??? যীশুই যদি ঈশ্বর হতেন কেনো তিনি নিজ থেকে কিছুই করতে পারেন না????
.
#যীশু নিজ থেকে কিছু করতে পারেন না অর্থাৎ তিনি সর্বশক্তিমান নন।
.
কিন্তু কুরআন বলে,,,
.
وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ ثُمَّ يَتَوَفَّاكُمْ ۚ وَمِنْكُمْ مَنْ يُرَدُّ إِلَىٰ أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْ لَا يَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَيْئًا ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ قَدِيرٌ
আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এরপর তোমাদের মৃত্যুদান করেন। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ পৌছে যায় জরাগ্রস্ত অকর্মন্য বয়সে, ফলে যা কিছু তারা জানত সে সম্পর্কে তারা সজ্ঞান থাকবে না। নিশ্চয় আল্লাহ সু-বিজ্ঞ সর্বশক্তিমান।
(সূরাঃ নাহল, আয়াতঃ ৭০)
.
তাহলে কিভাবে যীশুর সাথে আল্লাহর তুলনা করলেন??? কোন অজ্ঞতায় ???
.
📚 ৪র্থ দাবী:- //গ. কে আমাদের শেষ বিচারের বিচারক?
ইহুদী, খ্রীষ্টান, ইসলাম এর সকলেই মানে ঈশ্বর আমাদের শেষ বিচারক।

Old Testament এর যোয়েল ৩:১২ তে বলা হয়েছে ঈশ্বর শেষ বিচারের দিন আমাদের বিচার করবেন।

রণসাজে সজ্জিত হয়ে জাতিবৃন্দ উপস্থিত হোক বিচার ভূমিতে সেখানেই আমি সকলের বিচার নিষ্পন্ন করব।

কোরানের সুরা ২২:৫৬ বলে আল্লাহই শেষ বিচারে কাফের দের বিচার করবেন।
Al-Hajj 22:56

রাজত্ব সেদিন আল্লাহরই; তিনিই তাদের বিচার করবেন। অতএব যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে তারা নেয়ামত পূর্ণ......।

কোনো নবী কি নিজেকে শেষ বিচারের বিচারক দাবী করতে পারে? অবশ্যই না। কিন্তু যীশু করেছেন

মথি ২৫:৩১-৩২ পদে - তিনি তার সিংহাসনে বসবেন সকল মানুষ তার সামনে হাজির হবে তিনি পৃথক করবেন মানুষদের মধ্যে কাউকে জান্নাতে দেবেন কাউকে জাহান্নামে শেষ বিচারের দিন।

When the Son of man shall come in his glory, and all the holy angels with him, then shall he sit upon the throne of his glory: And before him shall be gathered all nations: and he shall separate them one from another, as a shepherd divideth his sheep from the goats:///

জবাব:- যে যীশু জন্ম নিয়েছেন যেখানে আল্লাহ জন্ম নেন না। যে যীশু সর্বশক্তিমান নন। সেই যীশুকে ঈশ্বর বলা তো একদম বোকামি তাহলে তিনি বাইবেল অনুযায়ী বিচারক হলেও তিনি ঈশ্বর নন। কোন অক্ষম কেউ ঈশ্বর হতে পারেন না। যীশু পাপ করেছে কারণ তিনি বলেছেন,,,
.
"না, প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের পাপের জন্যই মারা যাবে"
[ যেরেমিয়া ৩১:৩০ ]
.
আচ্ছা ডেভিড খান যীশুও তো মারা গেছে তার মানে তিনিও পাপ করেছেন??? আর ঈশ্বর কি কখনো পাপ করতে পারে ঈশ্বর কি কখনো মন্দ কাজ করতে পারে??? যে ঈশ্বর নিজেই পাপ করেছে সে কিভাবে অন্যাকে কে পাপ থেকে মুক্ত করবে?? তাহলে কি বিচার দিনে নিজেই নিজের পাপের শাস্তি দিবে???
.
আল্লাহ বলেন,,,,
.
بَلَىٰ مَنْ كَسَبَ سَيِّئَةً وَأَحَاطَتْ بِهِ خَطِيئَتُهُ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
হাঁ, যে ব্যক্তি পাপ অর্জন করেছে এবং সে পাপ তাকে পরিবেষ্টিত করে নিয়েছে, তারাই দোযখের অধিবাসী। তারা সেখানেই চিরকাল থাকবে।
(সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ৮১)
.
মিলল??? মিলল না বরং আর হাস্যকর প্রমাণ হলো। বেচারা ডেভিড খান।
.
📚 ৫ম দাবী:- //ঘ. কে পরম সত্য? 

ইহুদি, খ্রীষ্টান, ইসলাম এর সকলেই মানে একমাত্র ঈশ্বর পরম সত্য।

Old Testament এর Psalm ৩১:৫ এ বলা হয়েছে গড সত্যময়।

তোমারই হাতে আমি সঁপেছি আমার প্রাণ, সত্যময় তুমি হে প্রভু ঈশ্বর, তুমিই আমায় করেছ উদ্ধার।

কোরআন সুরা ২২:৬ তেও বলা আছে আল্লাহ সত্য।
Al-Hajj 22:6

এগুলো এ কারণে যে, আল্লাহ সত্য এবং তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

কোনো নবী নিজেকে আমিই সত্য বলে দাবী করবে? কখনই নয়। কিন্তু যীশু করেছে৷ যোহন ১৪:৬ পদে এ বলেছে সে'ই পথ, সে'ই সত্য। 
যীশু বললেন, আমিই পথ, আমিই সত্য এবং আমিই জীবন। আমার মাধ্যমে না গেলে কেউ পিতার কাছে যেতে পারে না।//
.
জবাব:- যীশু যদি সত্য হয় বাইবেল অনুযায়ী তাহলেই কি প্রমাণ হয় তিনি ঈশ্বর??? প্রত্যেক নবীই তো সত্যের বানী প্রচার করেছে। অন্য দিকে বাইবেল অনুযায়ী যীশু হচ্ছে পাপী। পাপী কিভাবে সত্যের পথ???
.
নবী মুহাম্মদ ও সকল নবীই ছিলেন সত্যের বার্তাবাহক,,,
.
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا ۖ وَلَا تُسْأَلُ عَنْ أَصْحَابِ الْجَحِيمِ
নিশ্চয় আমি আপনাকে সত্যধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারীরূপে পাঠিয়েছি। আপনি দোযখবাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না।
(সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ১১৯)
.
তাই সত্যের পথে ডাকলেই সে ঈশ্বর হয় না। যত্যসব Logical Fallacy ডেভিড খান।
.
📚 ৬ষ্ট দাবী:- //ঙ. কে মৃতদের পুনর্জীবিত/ পুনরুত্থিত করার ক্ষমতা রাখে?

Old Testament ও কোরআন দুটোই সহমত যে একমাত্র ঈশ্বরই মৃতকে পুনর্জীবিত করতে পারে।
১ সামুয়েল ২:৬ এ বলা হয়েছে
প্রভুই সংহারকর্তা, প্রভুই জীবনদাতা পাতালে নামান তিনিই, তিনিই ঊর্ধ্বে উঠান।

এছাড়াও কোরআন সুরা ২২:৭ তে বলা আছে আল্লাহ মৃতদের কবর থেকে পুনর্জীবিত/ পুনরুত্থিত করবেন।
Al-Hajj 22:7

এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন।

যদি এই ক্ষমতা ঈশ্বরের থাকে আমরা কী প্রত্যাশা করতে পারি কোনো সাধারণ নবী এই কাজটি করতে পারবে? কোনো নবী আমাদের পুনরুত্থিত করবে? যোহন ৫:২৫-২৯ পদে এ যীশু বলেছে -

সত্যিই আমি তোমাদের বলছি, সেই সময় আসছে, প্রকৃতপক্ষে এসে গেছে, যখন মৃতেরাও ঈশ্বরের পুত্রের বাণী শুনবে, যারা শুনবে তারা সকলেই জীবনলাভ করবে। কারণ পিতা স্বয়ং যেমন জীবনের উৎস, তেমনি পুত্রকেও তিনি জীবনের উৎসস্বরূপ করেছেন। মানবপুত্ররূপে বিচারের অধিকারও তিনি তাঁকে দিয়েছেন। এতে আশ্চর্য হয়ো না কারণ সেই সময় আসছে যখন সমাধিশয্যায় শায়িত সকলে তাঁর কন্ঠস্বর শুনে বেরিয়ে আসবে বাইরে। যারা সৎকর্ম করেছে তাদের পুনরুত্থান হবে জীবনে উত্তরণের জন্য। আর যারা দুষ্কর্ম করেছে যারা পুনরুত্থিত হবে দণ্ডাজ্ঞার জন্য।

এছাড়াও যোহন ১১:২৫ পদে এ যীশু বলেছে ---
যীশু বললেন আমিই পুনরুত্থান এবং আমিই জীবন। আমার উপরে যদি কারও বিশ্বাস থাকে তার মৃত্যু হলেও সে জীবন লাভ করবে।

কোরান বলে আল্লাহ পুনরুত্থান ঘটাবেন এখানে দেখা যাচ্ছে যীশুরও পুনরুত্থান ঘটানোর ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমতার দিক দিয়ে আল্লাহ= যীশু নয় কী? কোনো সত্যিকারের নবী কী আল্লাহর সমকক্ষ হতে পারে?

যোহন ৫:২১-২৬ পদে এ বলা হয়েছে যীশু আর তার পিতা সমকক্ষ।

পিতা যেমন মৃতকে জীবন দান করেন, পুত্রও তেমনি যাকে ইচ্ছা তাকে জীবন দান করবেন। আরও বলি, পিতা কারও বিচার করেন না, বিচারের ভার সম্পূর্ণরূপে তিনি পুত্রকেই দান করেছেন। তাঁর ইচ্ছা এই যে, সকলে যেন পিতার মত পুত্রকেও সম্মান করে। পুত্রকে যে মান্য করবে না সে তাঁর প্রেরণ কর্তা পিতাকেও অমান্য করবে। একান্ত সত্য কথাই আমি বলছি যে, আমার কথা যে শুনবে, যিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন তাঁর উপরে যে বিশ্বাস অর্পণ করবে সে লাভ করবে শাশ্বত জীবন। বিচারের সম্মুখীন সে হবে না। মৃত্যু থেকে সে উত্তীর্ণ হয়েছে জীবনে। সত্যিই আমি তোমাদের বলছি, সেই সময় আসছে, প্রকৃতপক্ষে এসে গেছে, যখন মৃতেরাও ঈশতনয়ের বাণী শুনবে, যারা শুনবে তারা সকলেই জীবনলাভ করবে। কারণ পিতা স্বয়ং যেমন জীবনের উৎস, তেমনি পুত্রকেও তিনি জীবনের উৎসস্বরূপ করেছেন।

কোনো নবী কী ঈশ্বরের সমকক্ষ হতে পারে? যদি না পারে তবে কীভাবে বলেন যীশু হচ্ছে শুধুমাত্রই একজন নবী?

কোরান ও Old Testament এ একজন ঈশ্বর হওয়ার জন্য যে সকল বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত। সবই যীশুর কাছে রয়েছে বাইবেল অনুযায়ী।

সুতরাং কোরান ও বাইবেল এটাই প্রমাণ করে যে কোরান অনুযায়ী যীশুই ঈশ্বর ।

কারণ আল্লাহ = যীশু।
#বিঃদ্রঃ আমি জানি মুসলিমরা কত দিন যীশুর ঈশ্বরত্ব অস্বীকার করবে, তবে শেষ বিচারে হায় হায় করবে এটি শতভাগ গ্যারান্টি।
//
.
▪ জবাব:- পিতা আর যীশু কখনোই সমকক্ষ নন। কারণ যীশু বলেছেন সবকিছুর থেকে মহান হলো পিতা। পিতা সব কিছু থেকে মহান যীশু নন। যীশুই যদি হতেন তাহলে """ সবকিছু থেকে মহান """ বলা হতো না।
.
বাইবেল অনুযায়ী যীশু ঈশ্বরের থেকে পাওয়া শক্তি দ্বারা যেমন নবী মুহাম্মদ পেরেছেন চালু দ্বিখন্ডিত করতে ঠিক তদরূপ বাইবেল অনুযায়ী যীশু মৃতকে জীবন দান করতে পারতো। কিন্তু এতে প্রমাণ হয় না যীশুই ঈশ্বর কারণ যীশু যা করেন তা নিজ থেকে নয় বরং পিতার সাহায্যে। যিশু বলেই দিয়েছেন আমি নিজ থেকে কিছুই করিতে পারি না।
.
.
.
◾◾◾সমস্যা ◾◾◾
.
#তারপরেও যদি আমরা মানি যীশু ঈশ্বর। ডেভিডের যুক্তি অনুযায়ী। তাহলে আমাদের মানতে হবে,,,,
.
১) ঈশ্বর জন্ম নেন।
২) ঈশ্বর পাপী।
৩) ঈশ্বর মারা যান।
৪) ঈশ্বর নিজ থেকে কিছুই করতে পারে না।
৫) ঈশ্বরের থেকেও মহান অন্যকেউ।
৬) ঈশ্বর সাহায্য ছাড়া কিছুই করতে পারেন না।
৭) ঈশ্বর সর্বশক্তিমান নন।
৮) ঈশ্বরকে মানুষ মারতে পারে।
৯) ঈশ্বর অন্যের হুকুমে চলে।
১০) ঈশ্বর আলফা এবং অমেগা নন অর্থাৎ বাইবেল হলো ভুল।
১১) ঈশ্বর আর পিতা এক হলে পিতা সবথেকে মহান হয় কিভাবে??অর্থাৎ বাইবেলে বৈপরীত্য রয়েছে।
.
এই ১১টা বিষয় কি কখনোই আল্লাহর সাথে মিলে???
উত্তর হচ্ছে না। এই ১১ টা বৈশিষ্ট্য যার আছে সে কি কখনো ঈশ্বর হতে পারে????
.
Logic/Quran/Science
.
কোন কিছু দিয়েই প্রমাণ করা যায় না যে এই ১১ বৈশিষ্ট্যের কেউ হতে পারে """ ঈশ্বর """
.
#অতএব যীশু ঈশ্বর নন। আর যদি যীশু ঈশ্বর হয়ে থাকে তাহলে বাইবেল ঈশ্বরের গ্রন্থ নয় বরং ভুল গ্রন্থ। আর ভুল গ্রন্থ কখনো "ঈশ্বরের বানী" হতে পারে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
.
.
◾আমরা কখনো হায় হায় করব না বরং যীশু নিজের পাপের জন্যই হায় হায় করবেন বাইবেল অনুযায়ী।

Post a Comment

0 Comments