শিশুরাও কি পরীক্ষার সম্মুখীন হবে!? তাদেরো কবরে আযাব হবে!?



🖋Author:- Aminur Rashid
🖇কৃতজ্ঞতা স্বীকার:- আল্লামা ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়াহ (রহঃ) 
[ "কিতাবুর রূহ" ]
____________________________________________________________________________

প্রশ্নঃ অনেকে বলে থাকেন কবরে অবুঝ শিশুরাও পরীক্ষার সম্মুখীন হবে এবং কবরের আযাবো ভোগ করবে এমন কি এর পক্ষে হাদিসও আছে। আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি ধন্যবাদ। 

জবাবঃ

আলহামদুলিল্লাহ, 
সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার এবং সালাম ও দুরূদ প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর। 

শিশুরা কবরে পরীক্ষার সম্মুখীন কিংবা আযাবের সম্মুখীন হবে নাকি হবে না। এই প্রশ্নটি নিয়ে মুসলিম অমুসলিম সবারই একটা কনফিউশন আছে। ইনশাআল্লাহ এ আর্টিকেলের মাধ্যমে তা খণ্ডন হবে! 

মূল কথায় আসা যাক,, 

শিশুরা কি পরীক্ষার সম্মুখীন হবে নাকি হবে না এ ব্যপারে দুই ধরনের মত পাওয়া যায়। আহমেদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) এর অনুসারীদের মধ্যেও উভয় মতাবলম্বীই রয়েছেন। 

মত দুইটি! 

১) হবে। 
২) হবে না। 

"হবে" এর বিশ্লেষণ! 

যারা বলে থাকেন কবরে তাদেরো পরীক্ষা হবে সেটা কিছু হাদিসের আলোকে বলে থাকেন এবং কিছু বিষয়ের আলোকে। 

তাদের প্রমাণগুলি হলো,,, 

১) ইসলামে শিশুদের জানাযার নামাজ পড়া হয় এবং শিশুদের আযাব থেকে মুক্তির দোয়া করা হয়। 

প্রমাণ:-

হাদিস 

و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَبِي هُرَيْرَةَ عَلَى صَبِيٍّ لَمْ يَعْمَلْ خَطِيئَةً قَطُّ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ اَللّٰهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ.

ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ (র) থেকে বর্ণিতঃ:

আমি সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (র)-কে বলতে শুনেছি, আমি আবূ হুরায়রা (রা)-এর পেছনে এমন একটি শিশুর জানাযা আদায় করেছি, যে শিশু কখনও কোন পাপ করেনি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, اَللّٰهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ “হে আল্লাহ্! একে কবর আযাব হতে বাঁচান”। (হাদীসটি ইমাম মালিক (রঃ) এককভাবে বর্ণনা করেন, পূর্বে এর সমর্থনে হাদীস রয়েছে)

[ মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ৫২২ ]

হাদিসটিতে বলা হয়েছে "একে কবরের আযাব থেকে বাঁচান" আর এ থেকে প্রমাণিত হয় শিশুদেরও কবরের আযাব হবে! 

উপরোক্ত মতের প্রবক্তারা বলেন, আল্লাহ তায়ালা কবরে তাদের জ্ঞান পরিপূর্ণ করে দিবেন সে অনুযায়ী সে মুসলিম নাকি অমুসলিম পরিচয়টা উপলব্ধি হবে। আর এর আলোকেই তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে! 

আসলে হাদিসটা বুঝতে আমাদের ত্রুটি হয়েছে,,, 

আপাতদৃষ্টিতে হাদিসটি পড়লে মনে হতেই পারে আসলেই শিশুদের কবরে জাহান্নামের শাস্তি হবে শিশুরাও কবরের সম্মুখীন হবে যা কিনা কখনোই ন্যায়বিচার নয় কারণ শিশুরা যখন দুনিয়াতে ছিলো তখন তাদের ভাল-মন্দের কোন জ্ঞান ছিলো না তারা ছিলো অবুঝ তাই ব্যপারটা অযৌক্তিক। 

বিশ্লেষণ:-

প্রথমত যুক্তির বিচারে বিষয়টা পুরোপুরি অযৌক্তিক। কারণটি হলো শিশুদের ভলো-মন্দের কোন জ্ঞান নেই তাই তাদের আযাব দেওয়া বা পরীক্ষা নেওয়া অর্থহীন। 

আর, হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে সকল শিশু ফিতরাতের উপর জন্ম নেয়। সুতরাং ভালোমন্দ যেহেতু শিশু বুঝতে পারে না সেহেতু তাকে পরীক্ষার সম্মুখীন করা অযৌক্তিক বটে। 

হাদিসে বলা হয়েছে,,, 

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ، فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ، كَمَثَلِ الْبَهِيمَةِ تُنْتَجُ الْبَهِيمَةَ، هَلْ تَرَى فِيهَا جَدْعَاءَ ‏"‏‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন: প্রত্যেক নবজাতক ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে। অত:পর তার মাতাপিতা তাকে ইয়াহুদী বা নাসারা অথবা অগ্নি উপাসক করে, যেমন চতুষ্পদ জন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ বাচ্চা জন্ম দেয়। তোমরা কি তাকে (জন্মগত) কানকাটা দেখেছ?

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৮৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : مَا مِنْ مَوْلُودٍ اِلَّا يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِه وَيُنَصِّرَانِه أَوْ يُمَجِّسَانِه كَمَا تُنْتَجُ الْبَهِيمَةُ بَهِيمَةً جَمْعَاءَ هَلْ تُحِسُّونَ فِيهَا مِنْ جَدْعَاءَ ثُمَّ يَقُولُ : (فِطْرَةَ اللهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللهِ ذلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ). مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক সন্তানই ইসলামী ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে থাকে। অতঃপর তার মাতা-পিতা তাকে ইয়াহূদী, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক বানিয়ে ফেলে। যেরূপে চতুষ্পদ জন্তু পূর্ণাঙ্গ জন্তুই জন্ম দিয়ে থাকে, এতে তোমরা কোন বাচ্চার কানকাটা দেখতে পাও কি? এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ (আরবী)
“আল্লাহ্‌র ফিতরাত, যার উপর তিনি মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ্‌ তা‘আলার সৃষ্টি রহস্যে কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল প্রতিষ্ঠিত দীন।” (সূরা আর রূম ৩০ : ৩০)।
[১]


ফুটনোটঃ
[১] সহীহ : বুখারী ১৩৫৮, মুসলিম ২৬৫৮, আহমাদ ৭১৮১, ইরওয়া ১২২০, সহীহ আল জামি‘ ৫৭৮৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ১২৯। 

মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ৯০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com

আমরা দেখতে পাচ্ছি সব শিশুরাই তাওহীদের উপর জন্মলাভ করে তারপরে তার পিতা-মাতা তাকে অমুসলিম বানায়। 

যেহেতু শিশু অবস্থায় তাদের ভাল-মন্দ বুঝার জ্ঞান ছিলো না সেহেতু তাদের পরীক্ষার সম্মুখীন করা ভুল! 

তাই সত্য এটাই যে শিশুদের পরীক্ষার সম্মুখীন করা বা আযাব দেওয়া হবে না। 

মনে রাখতে হবে আল্লাহ বিনা অপরাধে কাউকে শাস্তি দেন না। কারো প্রতি জুলুম করেন না। 

কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,,, 

[৬:১৬০] আল আনআম

مَن جاءَ بِالحَسَنَةِ فَلَهُ عَشرُ أَمثالِها وَمَن جاءَ بِالسَّيِّئَةِ فَلا يُجزى إِلّا مِثلَها وَهُم لا يُظلَمونَ

যে একটি সৎকর্ম করবে, সে তার দশগুণ পাবে এবং যে, একটি মন্দ কাজ করবে, সে তার সমান শাস্তিই পাবে। বস্তুতঃ তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
[১০:৪৪] ইউনুস

إِنَّ اللَّهَ لا يَظلِمُ النّاسَ شَيئًا وَلكِنَّ النّاسَ أَنفُسَهُم يَظلِمونَ

আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে।

হাদিসে বলা হয়েছে,,, 

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ الْأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَتَكَلَّمُ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَؤُلَاءِ بَنُو ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعٍ الَّذِينَ أَصَابُوا فُلَانًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لَا يَعْنِي -: «لَا تَجْنِي نَفْسٌ عَلَى نَفْسٍ»

বনী সালাবা ইব্‌ন য়ারবু-এর এক ব্যক্তি থেকে বর্ণিতঃ:

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হই যখন তিনি কথা বলছিলেন। এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এরা সালাবা ইব্‌ন য়ারবু গোত্রের লোক, যারা অমুককে হত্যা করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কোন লোক অন্যের অপরাধে অপরাধী হবে না।

সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৮৩৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com

আমরা কুরআন ও হাদিস থেকে দেখতে পাই আল্লাহ কারো উপর জুলুম করেন না এবং কোন ব্যাক্তি অন্যের অপরাধে অপরাধী হবে না। শিশুরাও কখনো তাদের অমুসলিম পিতার কারণে অপরাধী হবে না। কারণ শিশুদের ভালো মন্দ বুঝার ক্ষমতা নেই সুতরাং বিনা অপরাধে তাদের উপর জুলুম করা হবে না। এটাই স্পষ্ট! 

কুরআন আমাদের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে,,, 

[২:২৮৬] আল বাকারা

لا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفسًا إِلّا وُسعَها لَها ما كَسَبَت وَعَلَيها مَا اكتَسَبَت رَبَّنا لا تُؤاخِذنا إِن نَسينا أَو أَخطَأنا رَبَّنا وَلا تَحمِل عَلَينا إِصرًا كَما حَمَلتَهُ عَلَى الَّذينَ مِن قَبلِنا رَبَّنا وَلا تُحَمِّلنا ما لا طاقَةَ لَنا بِهِ وَاعفُ عَنّا وَاغفِر لَنا وَارحَمنا أَنتَ مَولانا فَانصُرنا عَلَى القَومِ الكافِرينَ

আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে তা তার জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার উপরই বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।

সুতরাং, শিশুদের কবরে আযাব হবে না এটাই কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামিক স্কলারদের মত। 

এবার আবু হুরায়রা থেকে যে হাদিসটি পাওয়া যায় যে "শিশুদের জানাযার নামাজে কবরের আযাব থেকে মুক্তির দোয়া" সেই বিষয়ে একটু আলোচনা করা প্রয়োজন। 

আবু হুরায়রার দোয়া নিয়ে হাদিসটি আমাদের বুঝতে হবে। হাদিসে মৃত শিশুর জন্য কবরের আযাব থেকে মুক্তির দোয়া করা হয়েছে। আযাব শব্দটি ব্যাপক! সব ধরনের কষ্টকেই আযাব বলা হয়। অর্থাৎ সব ধরনের কষ্টই আযাবের অন্তর্ভুক্ত সেটি ছোট কিংবা বড় হোক। 

এক হাদিসে এসেছে,,, 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِيْ بَكْرٍ عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ السَّفَرُ قِطْعَةٌ مِنْ الْعَذَابِ يَمْنَعُ أَحَدَكُمْ نَوْمَهُ وَطَعَامَهُ وَشَرَابَهُ فَإِذَا قَضَى أَحَدُكُمْ نَهْمَتَهُ فَلْيُعَجِّلْ إِلَى أَهْلِهِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সফর আযাবের একটি অংশ। যা তোমাদেরকে নিদ্রা, আহার ও পান থেকে বিরত রাখে। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকেই যেন নিজের কাজ সেরে তাঁর পরিজনের নিকট দ্রুত চলে আসে।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩০০১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com

দেখুন এই হাদিসে বলা হয়েছে "সফর হলো আযাবের এক অংশ" এর মানে কখনোই এই নয় সফর জান্নামের আযাব। এখন এই যে "আযাব" শব্দটি এর অর্থ কিন্তু ব্যাপক! তা ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং "উকূবত" বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়! সুতরাং যারা আযাব শব্দ দিয়ে জাহান্নামের শাস্তি ভাবেন তা পুরোপুরি ভুল ধারণা। আযাব দিয়ে সব ধরনের কষ্টকে বুঝায়। সফরে মানুষের যেমন কষ্ট, ক্লান্তিভাব ইত্যাদি হয় সেই জন্যই সফরকে আযাবের এক অংশ বলা হয়েছে। সুতরাং আযাব শব্দ শুনলেই সেটা জাহান্নামের তা নয়! 

আর কবরে শিশুদের আযাব থেকে মুক্তি মানে এই নয় যদি শিশুদের জাহান্নাম বা কবরের আযাব দেওয়া হবে। যেহেতু শিশুরা অবুঝ সেহেতু তা হবে না। কিন্তু শিশুদের গুনাহের জন্য শাস্তি না হলেও কবর বিষয়টা তাদের জন্য বেমানান মনে হবে মানে কবর এমন ভয়াবহ জায়গা যে তার নির্জনতা, পেরেশানী ইত্যাদির কারণে শিশুরাও প্রভাবান্বিত হয় এবং এ কারণে তারাও কষ্ট পায়। 

তাই তাদের জানাযার নামাজে আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দো'আ করা সুন্নত করা হয়েছে, যেন নিষ্পাপ শিশুরা সকল কষ্ট থেকে নিরাপদে থাকতে পারে। 

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।


Post a Comment

0 Comments