সাইনোফোবিয়া...রাসুল সাঃ এর প্রতি এক মিথ্যা অভিযোগ!



লেখক:- আফিফ আলী সাদাফ
____________________________________________________________________________________

অনেকে বিভিন্ন হাদিস দিয়ে প্রমাণ করতে চায় যে, রাসুল সাঃ নাকি সাইনোফোবিয়ায় আক্রান্ত ছিল নাউযুবিল্লাহ। সাইনোফবিয়া হচ্ছে কুকুরভীতি। তাদের দাবী যে, কতটা অজ্ঞতাপূর্ণ তা এই লেখাতেই আমি ইনশাআল্লাহ প্রকাশ করব। সাইনোফোবিয়া সম্পর্কে জানার আগে (ফোবিয়া - Phobia) কি জিনিস তা জানা দরকার। তারও আগে জানা দরকার স্কিটসোফ্রিনিয়া বা স্কিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে কেননা, এরই একটি লক্ষণ হচ্ছে সাইনফোবিয়া বা কুকুরের প্রতি ভীতি। আসুন স্কিটসোফ্রেনিয়া কাকে বলে দেখে নেয়া যাক। 

উইকিপিডিয়ার ডেফিনিশন অনুযায়ী এটি হলঃ

Schizophrenia is a mental illness characterized by abnormal behavior, strange speech, and a decreased ability to understand reality.[১] Other symptoms may include false beliefs, unclear or confused thinking, hearing voices that do not exist, reduced social engagement and emotional expression, and lack of motivation.[২][৩] 

- স্কিজোফ্রেনিয়া হল একটি মানসিক রোগ যেটি শনাক্ত করা হয় অস্বাভাবিক আচরণ, আজব বক্তব্য, এবং বাস্তবতা বুঝতে কষ্ট হওয়া থেকে। অন্যান্য আলামত হল মিথ্যা বিশ্বাস, অস্পষ্ট চিন্তাভাবনা, আওয়াজ শোনা যা আসলেই অস্তিত্ববিহীন, অসামাজিকতা বা সমাজ থেকে নিজেকে আড়াল করা এবং আবেগবিহীন হয়ে যাওয়া, এবং প্রেরণার অভাব। 

উপরের ডেফিনিশনের প্রথম কিছু অংশ যেমনঃ মিথ্যা বিশ্বাস, অস্পষ্ট চিন্তাভাবনা, আওয়াজ শোনা যা আসলেই অস্তিত্ববিহীন এই লাইনটি পড়ে হয়ত কোন নাস্তিক বলবে যে, এইতো মুহাম্মাদ সাঃ এর মাঝে সুস্পষ্ট আলামতগুলো দেখা যাচ্ছে এরমানে উনি স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত নাউযুবিল্লাহ । এছাড়া উনি কুকুরের প্রতি অসম্ভব ভীতিকর ছিলেন যা স্কিজোফ্রেনিয়ার একটি রোগ যাকে সাইনোফোবিয়া/Cynophobia বলে। 

আমরা তাদের সাথে অবশ্যই দ্বীমত পোষন করি। তবে তর্কের খাতিরে উপরের দাবীগুলো মেনে নিচ্ছি কিছুক্ষণের জন্য। তবুও স্কিজোফ্রেনিয়ার সম্পুর্ন ডেফিনিশন কিন্তু রাসুল সাঃ এর সাথে যায়না। রাসুল সাঃ মোটেও Unsocial বা অসামাজিক, আবেগহীন বা প্রেরণার অভাবে ছিলেন না। রাসুল সাঃ সর্বদা হাসিমুখে কথা বলতেন। আরবের কাফেলাগুলোতে অংশগ্রহণ করতেন এমনকি উনি মদিনার রাষ্ট্রপ্রধানও ছিলেন। রাসুল সাঃ এর রাগে চোখ লাল হয়ে যেত আবার তিনি হাসতেনও 

হাদিস - ১

আনাস রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে আছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাকে এ বলে সম্বোধন করেছিলেন:(( হে দুই কান বিশিষ্ট ব্যক্তি)) হাদীসের একজন বর্ণনাকারী আবু উসামা বলেন:অর্থাৎ রাসূল তার সাথে রসিকতা করছিলেন [৪] 

হাদিস - ২

কোন এক সফরে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলেন। আয়েশা রা. বলেন : আমি রাসূলের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রবৃত্ব হলাম এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পিছনে ফেলে দিলাম। অত:পর যখন আমার শরীর মোটা হয়ে গেল আবার প্রতিযোগিতা করলাম রাসূল বিজয়ী হলেন। তখন বললেন: এই বিজয় ঐ বিজয়ের পরিবর্তে (শোধ) [৫]

হাদিস - ৩

আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসূল (সা.) যখন বক্তব্য দিতেন- তার চোখ লাল হয়ে যেতো, আওয়াজ উঁচু হতো এবং ক্রোধ বৃদ্ধি পেতো। যেনো তিনি (শত্রু) সেনা সম্পর্কে সতর্ককারী।’[৬]

এছাড়া আরও বহু হাদিস আছে যেখানে রাসুল সাঃ গল্প করেছেন, শিক্ষাদান দিয়েছেন,শিক্ষির্থীদের পড়া শিখিয়েছেন, আবার প্রশ্নও করেছেন। কোন কথা শুনে রাগান্বিত হয়েছেন। আবার হেসেওছেন এভাবেও হেসেছেন যে, উনার মাড়ির দাঁত পর্যন্ত দেখা গিয়েছে। 

এই অবস্থাতে কোন লোককে কিভাবে স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত বলা যায়? নাস্তিকেরা দাবী করে যে, কুরান নাকি রাসুল সাঃ এর রচনা নাউজুবিল্লাহ। অথচ কুরানে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে, 

নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন ।
( সূরা বাকারা ২ : ১৫৩ ) ।

আর তোমরা নিরাশ হয়োনা এবং দুঃখ করোনা । যদি তোমরা মুমিন হও তবে তোমরাই জয়ী হবে ।
( সূরা ইমরান ৩ : ১৩৯ ) ।

যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর নির্ভর করে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ঠ ।
( সূরা তালাক ৬৫ : ৩ ) ।

আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দেবেন ।
( সূরা তালাক ৬৫ : ৭ ) ।

নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে । অবশ্যই কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে ।
( সূরা ইনশিরাহ ৯৪ : ৫-৬ )

অথচ স্কিজোফ্রেনিয়ার ডেফিনিশনে বলা আছে যে, তাদের মাঝে প্রেরণার অভাব দেখা দেয়। যদি এরকম হয়লত তাহলে উক্ত প্রেরণামূলক আয়াতগুলো রাসুল সাঃ কিভাবে নিজের মাঝে আয়ত্ত করলেন? এইছিল একেবারে প্রাথমিক আলোচনা। এবার দেখি স্কিজোফ্রেনিয়ার কিছু লক্ষণ এবং এটির যখন চিকিৎসা না নেয়া হয় তখন এটি কিরকম আকার ধারণ করে, 

Mayo Clinic এর তথ্যমতে স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত লোকের দীর্ঘ চিকিৎসার প্রয়োজন [৭] 

সেখানে আরও বলা আছে যে, 

For example, the person may neglect personal hygiene or appear to lack emotion (doesn't make eye contact, doesn't change facial expressions or speaks in a monotone). Also, the person may have lose interest in everyday activities, socially withdraw [৮]

- উদাহরণস্বরুপ সেইলোক তার ব্যাক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও আবেগ কে উপেক্ষা করবে। কারও সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলবেনা। কথা বলার সময় চেহারার আকার ভংগি বদলাবেনা, এছাড়া ব্যাক্তিটি তার দৈনন্দিন কাজে মনোযগ হারাতে পারে এবং অসামাজিক হয়ে পরবে। 

অথচ রাসুল সাঃ এর সাথে উপরের কোন কথাগুলোর মিল পাওয়া যায়? উপরের কথাগুলোর সাথে রাসুল সাঃ এর আচরণ সম্পুর্ন বিপরীত। যা আমার দেয়া পূর্বের হাদিসগুলো পড়লেই বুঝবেন। 

হযরত আবু মালিক আশআরী রাঃ থেকে বর্ণিত। পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। [৯] 

Mayo Clinic [১০] বেশ কিছু জটিলতা প্রকাশ করে যা স্কিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা না গ্রহণ করার ফলে হয়ে থাকে, 

১. আত্মহত্যার চেষ্টা করা,আত্মহত্যা করে ফেলা, বা চিন্তা করা

২. নিজের ক্ষতি করা 

৩. হতাশায় ভোগা 

৪. নেশাগ্রস্ত হয়ে পরা মদপান করা 

৫. কাজকর্মে অক্ষম হয়ে পরা

৬. অসামাজিক এবং সমাজ থেকে দূরে সরে যাওয়া নিজেকে আড়াল করা

৭.উগ্র আচরণ করা।

যেহেতু স্কিজোফ্রেনিয়ার একটি রোগ হচ্ছে সাইনোফোবিয়া/cynophobia বা কুকুর ভীতি তাই এই রোগের লক্ষণগুলো [১১] হলঃ

বুক ধরফর করা, আত্মহত্যার চেষ্টা করা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুকে ব্যাথা হওয়া, শরীর ঝাকুনি বা কাপুনি দেয়া, জ্ঞান হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি 

এইসমস্ত আলামতগুলোকে একত্রে মিশিয়ে নাস্তিকেরা একধরনের খিচুড়ি আমাদের সামনে উপস্থিত করে এবং প্রমাণ করতে চায় যে, রাসুল সাঃ সাইনোফোবিক ছিলেন নাউযুবিল্লাহ। তাদের কিছু দাবী দেখে নেয়া যাক। 

মুহাম্মাদ সাঃ থাকতে থাকতে অজ্ঞান হয়ে যেতেন। 

জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন কা’বা গৃহ পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছিল তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ‘আববাস (রাঃ) পাথর বয়ে আনছিলেন। ‘আববাস (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, তোমার লুঙ্গিটি কাঁধের উপর রাখ, পাথরের ঘর্ষণ হতে তোমাকে রক্ষা করবে। (লুঙ্গি খুলতেই) তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন। তাঁর চোখ দু’টি আকাশের দিকে নিবিষ্ট ছিল। তাঁর চেতনা ফিরে এল, তখন তিনি বলতে লাগলেন, আমার লুঙ্গি, আমার লুঙ্গি। তৎক্ষণাৎ তাঁর লুঙ্গি পরিয়ে দেয়া হল [১২]

মুহাম্মাদ সাঃ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন

এরপর কিছু দিনের মধ্যেই ওরাকার মৃত্যু হয়। আর কিছু দিনের জন্য ওয়াহীও বন্ধ থাকে। এমনকি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থার কারণে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন। এমনকি আমরা এ সম্পর্কে তার থেকে জানতে পেরেছি যে, তিনি পর্বতের চূড়া থেকে নিচে পড়ে যাবার জন্য একাধিকবার দ্রুত সেখানে চলে গেছেন। যখনই নিজেকে ফেলে দেয়ার জন্য পর্বতের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরীল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে বলতেন, হে মুহাম্মাদ! নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর রাসূল। এতে তাঁর অস্থিরতা দূর হত এবং নিজ মনে শান্তিবোধ করতেন [১৩]

কাবা গৃহ পুননির্মানের সময় রাসুল সাঃ এর উপর ওহী নাযিল শুরু হয়নি উনাত বয়স তখন আনুমানিক ৩৫ [১৪]। পক্ষান্তরে সেই আত্মহত্যার চেষ্টার হাদিসটি হল ওয়াহী আসার পর অর্থাৎ উনার বয়স যখন ৪০। যদিও উক্ত হাদিসটির সম্পর্কে মুহাদ্দিসদের কিছু অভিমত আছে যা আমি পরবর্তীতে উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ। অর্থাৎ উক্ত ঘটনাগুলো কিন্তু রাসুল সাঃ এর জীবনের ধারাবাহিক কোন ঘটনা নয়। বরং মুহাম্মাদ সাঃ এর দীর্ঘ জীবনের বিচ্ছিন্ন ঘটনাসমূহের এক সংকলন যার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করে উনি নাকি সাইনোফোবিয়ায় আক্রান্ত নাউযুবিল্লাহ। এভাবে যে কাউকেই চোর, ডাকাত বা পাগল প্রমাণ করা সম্ভব। আমরা রাসুল সাঃ এর যে হাদিসটি দেখতে পাই যেখানে উনি অজ্ঞান হয়ে গেছিলেন। সেটি তখনকার হাদিস যখন তিনি নবুওয়াত প্রাপ্ত হননি। 

অথচ সাইনোফোবিয়া কখন সাব্যস্ত হয়?সাইনোফোবিয়া সম্পর্কে জানার আগে (ফোবিয়া - Phobia) কি জিনিস তা জানা দরকার। ২. A phobia is a type of anxiety disorder, defined by a persistent and excessive fear of an object or situation [১৫]

সহজভাবে বলতে গেলে একটি উদ্বেগপূর্ণ মানসিক সমস্যা যার ফলে মানুষ কোন জিনিস বা পরিস্থিতির উপর ব্যপক ভয় পোষন করে। 

এছাড়া কখন আমরা কোন মানুষকে ফোবিয়ায় আক্রান্ত বলে সাব্যস্ত করতে পারবো? 

ডঃ তিমোথী [১৬] যা তথ্য প্রকাশ করে সেটি অনুযায়ী তারা তাদের আরটিকেলে একটি পয়েন্টে ফোবিয়া রোগ নির্ণয় বা Diagnosis নামক একটি পয়েন্টে বলেন, 

To be formally diagnosed with a specific phobia like cynophobia, you must have experienced your symptoms for six months or longer. If you’ve noticed your fear of dogs has started to impact your daily life, you may want to keep a personal journal to share with your doctor.

- আপনার রোগের আলামত বা Symptoms গুলো অন্তত ছয়মাস বা তার থেকে অধিক সময় অনুভব করতে হবে আপনার রোগ নির্ণয়ের জন্য। যদি আপনি লক্ষ করেন যে আপনার কুকুরের প্রতি ভয় আপনার স্বাভাবিক জীববের উপর প্রভাব ফেলছে তাহলে আপনার উচিত হবে কোন চিকিৎসক এর পরামর্শ নেয়ার (ভাবানুবাদ)। 

স্কিজোফ্রেনিয়া বা সাইনোফোবিয়ার লক্ষণগুলো নাস্তিকেরা যেগুলো দাবী করে সেগুলো কিন্তু রাসুল সাঃ এর জীবনের ধারাবাহিক কোন ঘটনা নয় 
এবং এই রোগের যদি চিকিৎসা না নেয়া হয় সেক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয় যা আমি উপরেই আলোচনা করেছি যেখানে বেশ কিছু পয়েন্ট রয়েছে যার মাঝে (আত্মহত্যার) ব্যাপারটি ছাড়া অন্য কোথাও কোন মিল পাওয়া যায়না রাসুল সাঃ এর সাথে। আত্মহত্যার সেই হাদিসটি নিয়েও আমি আলোচনায় আসবো ইনশাআল্লাহ। 

মেডিকেল সাইন্স [১৭] স্কিজোফ্রেনিয়াকে ৩ ভাগে বা ৩ টি আলাদা স্টেজে ভাগ করেছেন 

১. Prodromal Stage

২. Acute Stage

৩. Residual Stage

Prodromal Stage এ রোগীর স্কিজোফ্রেনিয়ার প্রথম ধাপ এই ধাপে রোগী নিজেকে সমাজ থেকে সরিয়ে ফেলে, নিজেকে একা ঘড়ে বন্দী রাখে, দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায়, বন্ধু আর পরিবারদের দেখতে চায়না, তারা তাদের প্রেরণা হারিয়ে ফেলে, তবে এই স্টেজ দিয়েই ডাক্তার রা স্কিজোফ্রেনিয়া শনাক্ত করতে পারেনা। বরং তারা এর পরবর্তী স্টেজ Acute Stage এর উপর নির্ভরশীল থাকে। 

Acute Stage 

এই স্টেজে রোগীর নানা রকম হ্যালুসিনেশন, ডিলিউশন হয়ে থাকে তারা উদ্ভট আচরণ করে এই স্টেজেই স্কিজোফ্রেনিয়া রোগটি শুরু হয়ে যায়। এখানে যদি পর্যাপ্ত চিকিৎসা না নেয়া হয় সেক্ষেত্রে এটি স্থায়ী থাকে কিছু সপ্তাহ, বা মাস অথবা অনির্দীষ্টকাকের জন্যও থাকতে পারে। এরপর হচ্ছে 

Residual Stage

এই স্টেজ হচ্ছে লাস্ট স্টেজ বা চুড়ান্ত স্টেজ এখানে রোগীর উদ্যমতার অভাব থাকে, কোন কিছুর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, প্রেরণার অভাব হয়ে থাকে। ইত্যাদি। 

এভাবে ব্যাপারটি চলমান থাকলে রোগীর কোন চিকিৎসা না নেয়া হলে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যা আমি আগেও আলোচনা করেছি এখন আবার করছি 

কেউ কেউ আত্মহত্যা করে, চেষ্টা করে কিংবা চিন্তা করে করার অথচ রাসুল সাঃ বলেন, 

যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোনো বস্তু দিয়ে নিজেকে হত্যা করবে, কিয়ামতের দিন তাকে সে বস্তু দিয়েই শাস্তি প্রদান করা হবে।’ [বুখারী : ৫৭০০; মুসলিম : ১১০]

কুরানে বলা হয়েছে 

আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। এবং যে কেউ জুলুম করে, অন্যায়ভাবে তা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্যই আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করবো, আল্লাহর পক্ষে তা সহজসাধ্য।’ [সূরা আন-নিসা, আয়াত : ২৯-৩০]

নিজের ক্ষতি করে অথচ কুরানে বলা হয়েছে,

আর তোমরা নিজ হাতে নিজদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ [সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৯৫]

হতাশায় ভোগা এবং অসামাজিকতা সংক্রান্ত হাদিস আগেই পর্যালোচনা করেছি আশা করি এখন না করলেও চলবে। 

অনেকে নেশাগ্রস্থ হয়ে পরে অথচ কুরানে বলা হয়েছে, 

“সমস্ত নেশাকারী বস্তু মদ আর প্রত্যেক নেশাকারী বস্তু হারাম।” (মুসলিম হা/৩৭৩৩)

যে সমস্ত পানীয় নেশাকারী তা হারাম।” (বুখারী হা/২৩৫, মুসলিম হা/৩৭২৭) 

যার অধিক সেবন নেশা নিয়ে আসে তার অল্পও হারাম।” (আবু দাউদ হা/৩১৯৬ তিরমিযী হা/ ১৭৮৮ ইবনু মাজাহ্ হা/ ৩৩৮৪)

অনেকে উগ্র আচরণ করে অথচ রাসুল সাঃ বলেন, 

ইমাম বুখারী (৬০৩৫) ও ইমাম মুসলিম (২৩২১) আব্দুল্লাহ্‌ বিন আমর (রাঃ) থেকে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: “তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যার চরিত্র সর্বোত্তম”।

এই সময়ে অনেকে সমাজ থেকে নিজেকে আড়াল করে নেয়। এই দাবীর সাথে রাসুল সাঃ কে মেলানো নিতান্তই হাস্যকর আমি পূর্বেই আলোচনা করেছি যে উনি এরকম ছিলেন না। 

এছাড়া স্কিজোফ্রেনিয়ার যে তিনটি স্টেজ আছে সেই তিনটি স্টেজের মাঝে প্রথম এবং শেষ স্টেজের সাথে রাসুল সাঃ এর জীবনের কোন মিলই পাওয়া যায়না। অথচ মেডিকেল সাইন্স অনুযায়ী হ্যালুসিনেশন স্কিজোফ্রেনিয়াত দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয় প্রথম ধাপ থেকেই কেউ অজ্ঞান হওয়া বা আত্মহত্যা কিংবা হ্যালুসিনেশন এর শিকার হয়না। অথচ কিভাবে প্রথম ও শেষ স্টেজ বাদ দিয়ে দ্বিতীয় স্টেজ নিয়ে মাতামাতি করা যায় 

এছাড়া আমি যে অংশে স্কিজোফ্রেনিয়ার স্টেজ সম্পর্কে আলোচনা এবং এর চিকিৎসা না নেয়ার ফলে যে যে Side Effect হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং স্কিজফ্রেনিয়ার প্রথম স্টেজে কেউ অজ্ঞান বা হ্যালুসিনেশন এর স্বীকার হয়না বা আত্ম হত্যার চেষ্টা করেনা। সেটি করে যখন রোগটি Extreme লেভেলে চলে যায়। 

নাস্তিকেরা দাবী করে যে, মুহাম্মাদ সাঃ আত্ম হত্যার চেষ্টা করেছেন তারমানে সেইসময়ে বা নবুওয়াতের শুরুর দিকে উনার ৪০ বছর বয়সে উনার এই রোগ মাত্রাতিরিক্ত পর্যায় ছিল? (তাদের লজিক অনুযায়ী) সেক্ষেত্রে উনি হয়ত ট্রিটমেন্ট ও নেননি স্বাভাবিকভাবেই তখন এই রোগ সম্পর্কে কেউ জানতো না। তাহলে কিভাবে বাকি ২৩ বছরের জীবনে উনার একটিমাত্র স্কিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা না নেয়ার ফলে হয়ে থাকা সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হতে হয়নি? বরং ঘটেছে তার বিপরীত। যা আমি উপরেই আলোচনা করেছি। আর যেহেতু নআস্তিকদের দাবী অনুযায়ী উনার রোগটি ৪০ বছর বয়সেই মত্রাতিরিক্ত অবস্থায় ছিল সেক্ষেত্রে সাইনোফোবিয়া বা কুকুর হত্যার হাদিসগুলো নবুওয়াত প্রাপ্তির বহু বছর পর আসে। কিন্তু মেডিকেল সাইন্স অনুযায়ী মানুষ যদি মাত্রাতিরিক্তভাবে সাইনফোবিয়ায় আক্রান্ত থাকে তাহলে তারা ছোট কুকুরছানাকেও ভয় পাবে [১৮]। কিন্তু রাসুল সাঃ কোথাও এরকম করেন নি উনি শুধুমাত্র কালো কুকুর হত্যা করতে বলেছেন কালো কুকুরকে হত্যার আদেশ দিয়েছেন অন্য কোন কুকুরকে হত্যা করতে বলেন নি। এমনকি ইসলামের প্রসিদ্ধ দুই মাযহাব হানাফি এবং শাফেঈ মাযহাব মতে ওজর বা কারণ ছাড়া কালো কুকুরও মারা যাবেনা [১৯] ; [২০]৷ নিচে দেখুন। এবং সেটা রহিতও হয়ে গেছে (অকারণে কালো কুকুর হত্যা) কেউ কেউ বলেন একদম কালো কিন্তু চোখ সাদাবিশিষ্ট কুকুর হত্যা করা যাবে। কিন্তু সাইনোফোবিকরা মোটেও এরকম থাকেনা।

এছাড়া রাসুল সাঃ এর সেই হাদিসটি যেখানে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সেই হাদিসটির ব্যাপারে মুহাদ্দিসিন ইকরামের অভিমত তুলে ধরা হলঃ

মূলত যে হাদিসটি দেখতে পাওয়া যায় যেখানে রাসুল সাঃ আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন সেই হাদুসে এই কথাটি আইশা রাঃ বলেন নি বরং এটি আলাদাভাবে উল্লেখ করেছে আয যুহরি যিনি ছিলেন একজন তাবেঈ। এবং এটি রাবী পারপম্পরার সাথে রাবী পরম্পরার সাথে সম্পৃক্ত নয়৷ এবং এই কথা তিনি কোন সাহাবা থেকেও শোনেন নি। 

ইবন হাজার বলেন, 

উক্ত বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি রাসুল সাঃ এর সম্পর্কে সেটি একটি কাহিনী। যা যুহরি রহিমাহুল্লাহ শুনেছিলেন এবং এটি মাওসুল রেওয়ায়েত নয় (রাবী পরম্পরার সাথে যুক্ত নয়)। এবং এটি রাসুল সাঃ পর্যন্ত পৌছায়নি [২১]। 

এককথায় সেই হাদিসটিতে মুহাম্মাদ সাঃ এর আত্মহত্যার বিষয়টি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, এই বর্ণননাটি সাহাবা পর্যন্ত পৌছায়নি। এবং কোন সাহাবা সহীহ সনদে এটি বর্ণনা করেন নি। এই ব্যাপারে শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ এর ফতোয়া আছে

 The reports which suggest that the Prophet (blessings and peace of Allah be upon him) contemplated suicide are flawed in both their chains of narration or their texts

নামের যেখানে বিস্তারিতভাবে বলা আছে। আমি সেগুলো এখানে নিয়ে আসছিনা কেননা, এতে লেখাটি অনেক বড় আকার ধারণ করবে। এরজন্য সূত্র [২২] দেখুন৷ 

এছাড়া ইসলামে কুকুর সম্পর্কে অনেক পজিটিভ আয়াত বা হাদিস পাওয়া যায়। 

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (একবার) একটি পতিতা মহিলাকে মাফ করে দেয়া হলো। (কারণ) মহিলাটি একবার একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাবার সময় দেখল সে পিপাসায় কাতর হয়ে একটি কূপের পাশে দাঁড়িয়ে জিহবা বের করে হাঁপাচ্ছে। পিপাসায় সে মরার উপক্রম। মহিলাটি (এ করুণ অবস্থা দেখে) নিজের মোজা খুলে ওড়নার সাথে বেঁধে (কূপ হতে) পানি উঠিয়ে কুকুরটিকে পান করাল। এ কাজের জন্য তাকে মাফ করে দেয়া হলো। (এ কথা শুনে) সাহাবীগণ আরয করলেন, পশু-পাখির সাথে ভাল ব্যবহার করার মধ্যেও কি আমাদের জন্য সাওয়াব আছে? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। প্রত্যেকটা প্রাণীর সাথে ভাল ব্যবহার করার মধ্যেও সাওয়াব আছে [২৩]

এছাড়া আমরা জেনেছি যে, স্কিজোফ্রেনিয়া হুট করে কারও জীবনে আসেনা। বরং এটি নানা ধাপে ধাপে বিস্তার লাভ করে। মেডিকেল সাইন্স একে তিন ভাগে ভাগ করেছে। এবং দ্বিতীয় ভাগে মানুষের হ্যালুসিনেশন হয়ে থাকে আর তৃতীয় স্টেজ আর প্রথম স্টেজ অনেকটা একই। অথচ আমরা যদি জিবরাঈল আঃ কে রাসুল সাঃ এর হ্যালুসিনেশন ধরি সেক্ষেত্রে এটি স্কিজোফ্রেনিয়ার দ্বিতীয় স্টেজ হবে কিন্তু বাকি দীর্ঘ জীবনে উনি কিন্তু তৃতীয় স্টেজে পা দেননি আবার উনি এর কোন চিকিৎসাও নেননি। স্বাভাবিকভাবে উনার রোগ বৃদ্ধি পাবার কথা এবং চিকিৎসা না নেবার ফলে যা যা হয়ে থাকে সেগুলোও উনার সাথে ঘটার কথা। অথচ আমি উপরে এই নিয়ে আলোচনা করেছি যে, চিকিৎসা না নেয়ার ফলে যেসকল সমস্যার সম্মুখীন একজন স্কিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর হতে হয় রাসুল সাঃ এর সাথে তার একটাও ঘটেনি আবারো বলছি একটাও ঘটেনি ধারাবাহিকভাবে কিংবা অধারাবাহিকভাবে । সেক্ষেত্রে নাস্তিক লজিক এখানেই 404 Error ***%!? হয়ে যায়। সুতরাং আসুন আমরা নিচে কিছু সমীকরণ মিলিয়ে নেই 

সমীকরণঃ

১. হ্যালুসিনেশন মানুষের স্কিজোফ্রেনিয়ার দ্বিতীয় ধাপ হয় তার আগে প্রথম ধাপ এবং পরে শেষ ধাপ হয় যা অনেকটাই এক। প্রথম ধাপের ভিত্তিতে ডাক্তার রা শনাক্ত করেনা আসলেই তার স্কিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক রোগ আছে। বরঞ্চ এটি এক্টিভেটেড হয়ে গিয়েছে তখনই বোঝা যাবে যখন হ্যালুসিনেশন হবে। অতঃপর তৃতীয় ধাপ শুরু হবে। সে একা একা থাকবে, আবেগহীন হয়ে যাবে, আত্মহত্যার চেষ্টা করবে বা করবে, প্রেরণা / Motivation এর অভাব থাকবে অথচ জীব্রাঈল আঃ কে আয়েশা রাঃ ও দেখেছেন এবং উম্মে জামিল ও দেখেছে সূরা দুহার শানে নুযুলে তা উল্লেখ আছে এছাড়া তৃতীয় ধাপে যেসকল Symptoms হয়ে থাকে তার একটিও রাসুল সাঃ এর সাথে ঘটেনি। 

২. এই রোগে আক্রান্ত মানুষ এর দীর্ঘ চিকিৎসার প্রয়োজন চিকিৎসা না নিলে যেসকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তার একটিও রাসুল সাঃ সাথে তো হয়ইনি বরঞ্চ তার বিপরীত ঘটেছে

৩. রাসুল সাঃ পাহাড়ের চূড়ায় আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাটি নবুওয়াতের একেবারে শুরুর ঘটনা যদি উনি সাইনোফোবিক বা স্কিজফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত থাকতেন এবং সেই সময় এর চিকিৎসাও ছিলনা সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই উনার রোগ বৃদ্ধি পেত। আর কুকুর হত্যার হাদিসগুলো নবুওয়াতের বহু বছর পর। আমরা জানি সাইনোফোবিয়া এক্সট্রিম লেভেলে পৌছে গেলে রোগী কুকুরছানাকেও ভয় পায় অথচ রাসুল সাঃ কিন্তু সকল কুকুরকে মারতে বলেননি বরং হাদিস থেকে জানা যায় কুকুরের সাথে ভালো আচরণ করলে নাকি সওয়াব আছে এছাড়া প্রসিদ্ধ দুই মাযহাব হানাফি এবং শাফেই মাযহাব মতে অকারণে কালো কুকুরও মারা যাবেনা। কালো কুকুর অকারণে হত্যার বিষয়টি রহিত। 

৪. স্কিজোফ্রেনিয়ার প্রথম দিকে কারও খিচুনী অথবা কেউ অজ্ঞান হয়ে যায়না। রাসুল সাঃ যেখানে অজ্ঞান হয়েছেন সেটি তার জীবনের একটি ঘটনা মাত্র উনি থাকতে থাকতে অজ্ঞান হয়ে যেতেন উক্ত হাদিসটি দ্বারা প্রমাণ করা অসম্ভব। 

৫. আত্মহত্যার বিষয়ক হাদিসটি গ্রহণযোগ্য হলেও রাসুল সাঃ আদৌ আত্মহত্যা করতে যেতেন এর কোন গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নেই। 

সুতরাং কোন মতেই রাসুল সাঃ কে স্কিজোফ্রেনিয়া বা সাইনোফোবিয়ায় আক্রান্ত বলা যায়না। 

সত্য এসেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলুপ্ত হবারই ছিল - (সূরা আল ইসরা) 

তথ্যসূত্রঃ

১. "Schizophrenia Fact sheet N°397". WHO. September 2015.Archived from the original on 18 October 2016. Retrieved 3 February2016 - [ http://www.who.int/mediacentre/factsheets/fs397/en/]

২. সূত্র [১]

৩. "Schizophrenia". National Institute of Mental Health. January 2016. Archived from the original on 25 November 2016. Retrieved 3 February 2016 - [https://web.archive.org/web/20161125145206/https://www.nimh.nih.gov/health/topics/schizophrenia/index.shtml] 

৪.তিরমিজি ৩৫

৫. আবু দাউদঃ২২১৪

৬. সহিহ মুসলিম : ৪৩

৭. Schizophrenia - Symptoms and causes - Mayo Clinic - [ https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/schizophrenia/symptoms-causes/syc-20354443]

৮. সূত্র [৭] 

৯. হযরত আবু মালিক আশআরী রাঃ থেকে বর্ণিত। পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৫৬, মুসনাদে আহমাদ,হাদীস

১০. Schizophrenia - Symptoms and causes - Mayo Clinic - [ https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/schizophrenia/symptoms-causes/syc-20354443 ]

১১. What You Should Know About Cynophobia - [ https://www.healthline.com/health/cynophobia#diagnosis ]

১২. সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস নম্বরঃ [3829]

১৩. সহীহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস নম্বরঃ [6982]

১৪. আর রাহিকুল মাখতুম। 

১৫. Phobia - [ https://en.m.wikipedia.org/wiki/Phobia ]

১৬. সূত্র [১১]

১৭. What are the three phases of schizophrenia? - [ https://www.mymed.com/diseases-conditions/schizophrenia/what-are-the-three-phases-of-schizophrenia ]

১৮. https://roar.media/bangla/main/plants-animals/when-phobias-consume-us/

১৯. নিহায়াতুল মাত্বলাব ৫/৪৯৪

২০. রাদ্দুল মুহিতার ২/৫৭০

২১. Fath al-Baari (12/359).

২২. The reports which suggest that the Prophet (blessings and peace of Allah be upon him) contemplated suicide are flawed in both their chains of narration or their texts By Shaykh Saleeh Al Munajjid - [ https://www.google.com/amp/s/islamqa.info/amp/en/answers/152611 ]

২৩. মিশকাত হাদিস নম্বরঃ [1902]

Post a Comment

0 Comments