পৃথিবীর আকার নিয়ে ইসলাম বিরোধীদের কিছু অভিযোগের জবাব!



🖋Author:- Muhammad Nasir Sheikh
________________________________________________________________________

#অভিযোগ—
১/কোরানে বিছানা দ্বারা যদি বসবাসযোগ্যকে বোঝায়,তাহলে আমার প্রশ্ন ছিলো আমরা কেন উত্তর মেরু,দক্ষিণ মেরু,মরুভূমিতে বসবাস করতে পারি না।এটাকে স্কিপ করা হয়েছে।নাকি আল্লাহ উত্তর মেরুতে, দক্ষিণ মেরুতে বিছানা বিছায় নি।

#জবাব— 
আমরা জানি পৃথিবীর মধ্যভাগ বসবাস ও ফসল উৎপাদনের জন্য উপযোগী নয়। বিছানা হলো আরামদায়ক স্থান। এবং আমরা জানি, পৃথিবীর লেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে উপরে হচ্ছে -ক্রাস্ট। এটিই পাতলা আস্তরণ। এর আয়তন ৩০ কি.মি. এই পাতলা আস্তরণের উপরই আমরা বসবাস করি।পৃথিবীর যত নিচের দিকে যাওয়া যায় তাপমাত্রা তত বাড়তে থাকে যা জীবের বসবাসের উপযোগী নয়।কেবল উপরের স্তরটিই বসবাস উপযোগী।তাই কুরআনে পৃথিবীকে বিছানা বলা হয়েছে। আল্লাহ পৃথিবীকে মানুষের বসবাসে উপযোগী করছেন। এখন আপনাকে দেখাতে হবে যে, না পৃথিবীতে মানুষ বাস করতে পারে না। উত্তর-দক্ষিণ মেরু আলোচ্য বিষয় না। পৃথিবীর অবস্থান এমন একটি কক্ষপথে যার দুরত্ব সূর্য থেকে একটু কম-বেশি হলে অতি গরম  অথবা অতি ঠান্ডা অবস্থার সৃষ্টি হতো। ফলে পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হতো।

পৃথিবী বসবাসের উপযুক্ত। উত্তর-দক্ষিণ মেরু পৃথিবী নয়। পৃথিবীর একটি অংশ মাত্র। তা সত্ত্বেও উত্তর মেরু দক্ষিন মেরুতেও মানুষ থাকে। উত্তর মেরুতে গড়ে +-৫০০০ , দক্ষিণ মেরুতু +-৩০০০ লোক বছরের সবসময়ই থাকে। যা খুবই কম। কম থাকার কারন সেখান কার ভুমি নয় বরং সেখানকার ভৌগিলিক আবহাওয়া । যেমন কোন ঘরের দরজা জানলা না থাকলে আর সেখান দিয়ে বৃস্টির পানি এসে ঘরের বিছানা ভিজিয়ে দিলে তখন বিছানা যতই আরাম দায়ক হোক তা  ঘুমানোর উপযুক্ত থাকে না। 

#অভিযোগ—
২/ ভাই কোন জায়গায় পাইছেন পাহাড় ৩ হাজার কোটি বছর আগে ছিলো।দয়া করে একটু প্রমাণ করুন।যদি আপনার টা সঠিক হয়।আমার মেনে নিতে অসুবিধা কোথায়।সবচেয়ে পুরাতন পর্বত 3.2 billion পুরাতন আর বেশিরভাগ 50-60 million. 

#জবাব—


বিজ্ঞানীরা সম্মত হয়েছেন যে সাউথ আফ্রিকার বারবার্টন গ্রীনস্টোন বেল্ট সবচেয়ে পুরাতন পাহাড় (৩.৬ বিলিয়ন বছর)। এখানে, সমগ্র ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস থেকে অনুমান করে সম্ভাব্যতা প্রকাশ করে বলা হয়েছে। অনুমান ও সম্ভাব্যতা দিয়ে সঠিকতা যাচাই করা অসম্ভব। বিজ্ঞান প্রাকটিকাল অবজারভেশন ব্যতিত সকল সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। কাজেই এই পরিবর্তনশীল জ্ঞান নির্ভরযোগ্য নয়। 

#অভিযোগ—
৩/ কোরান কি পৃথিবীকে গোলাকার বলেছে? উত্তর কখনোই না!

#জবাব—
প্রথমত পৃথিবীর আকার কেমন তা জানানোর জন্য কোরআন নাজিল করা হয়নি। তারপরেও কিছু আয়াত আছে এমন যা দিয়ে পৃথিবীকে গোলাকার বোঝায়। সুরা যুমার আয়াত পাঁচে আল্লাহ বলেন—

خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ ۚ یُکَوِّرُ الَّیۡلَ عَلَی النَّہَارِ وَ یُکَوِّرُ النَّہَارَ عَلَی الَّیۡلِ وَ سَخَّرَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ یَّجۡرِیۡ لِاَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ اَلَا ہُوَ  الۡعَزِیۡزُ  الۡغَفَّارُ ﴿۵﴾ 
English - Sahih International
He created the heavens and earth in truth. He wraps the night over the day and wraps the day over the night and has subjected the sun and the moon, each running [its course] for a specified term. Unquestionably, He is the Exalted in Might, the Perpetual Forgiver.

Bengali - Bayaan Foundation
তিনি যথাযথভাবে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাতকে দিনের উপর এবং দিনকে রাতের উপর জড়িয়ে দিয়েছেন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন সূর্য ও চাঁদকে। প্রত্যেকে এক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলছে। জেনে রাখ, তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল।

یُکَوِّرُ 
এর অর্থ wraps বা জড়ানো, পেঁচানো প্রভৃতি। কোন কিছু কেবল গোল হলেই তার উপর কোন কিছু পেঁচানো সম্ভব। সমতল হলে রাতকে দিনের উপর পেঁচানো সম্ভব হতো কি?

এছাড়া সুরা আর রহমান আয়াত ১৭ তে আল্লাহ বলেন—
رَبُّ الۡمَشۡرِقَیۡنِ وَ رَبُّ الۡمَغۡرِبَیۡنِ ﴿ۚ۱۷﴾ 
English - Sahih International
[He is] Lord of the two sunrises and Lord of the two sunsets.
তিনিই দু’টি উদয় স্থান ও দু’টি অস্তাচলের নিয়ন্ত্রক,

আমাদের দেশ যখন সূর্য যখন সকালে দেখতে পাই পূর্বের দেশগুলো ডুবতে দেখে। আবার আমরা যখন সূর্যকে ডুবতে দেখি আমাদের থেকে পশ্চিমে অবস্থান করা দেশগুলো উঠতে দেখে। অর্থাৎ একই সাথে অস্তাচল ও উদয় ঘটে। এবং তা দুইবার ঘটে যেকোন যায়গাতে। এটি কেবলমাত্র গোলাকার হলেই সম্ভব। সমতল হলে একবার উদয় ও অস্ত যাওয়ার কথা বলা হতো। অর্থাৎ যা ঘটবে তা একবারই ঘটবে। সূর্যের উদয় হলে তা একবারই ডুবলে তা একবারই ঘটবে। অনেকে এইখানে এসে বলবেন সূর্য ওঠেও না ডোবেও না। কথাটি সত্য। তবে পৃথিবীতে আমাদের সাপেক্ষে যা ঘটে বা পৃথিবী থেকে যা দেখতে পাই তাইই বলেছি মাত্র। এবং বিশ্বজুড়ে তাই sunset ও sunrise শব্দ বিলুপ্ত হয়নি।

সুরা ইনশিকাকের তিন নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন—

وَ  اِذَا  الۡاَرۡضُ مُدَّتۡ ۙ﴿۳﴾ 

এবং যমীনকে যখন প্রসারিত করা হবে,

[১] مُدّت এর অর্থ টেনে লম্বা করা, ছড়িয়ে দেয়া। [ইবন কাসীর] পৃথিবীকে ছড়িয়ে দেবার মানে হচ্ছে, সাগর নদী ও সমস্ত জলাশয় ভরে দেয়া হবে। পাহাড়গুলো চুৰ্ণবিচূর্ণ করে চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়া হবে। পৃথিবীর সমস্ত উঁচু নীচু জায়গা সমান করে সমগ্ৰ পৃথিবীটাকে একটি সমতল প্রান্তরে পরিণত করা হবে। কুরআনের অন্যত্র এই অবস্থাটিকে নিমোক্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, মহান আল্লাহ্ “তাকে একটা সমতল প্রান্তরে পরিণত করে দেবেন। সেখানে তোমরা কোন উঁচু জায়গা ও ভাঁজ দেখতে পাবে না।” [সূরা ত্ব-হা: ১০৬-১০৭] হাদীসে এসেছে, ‘কেয়ামতের দিন পৃথিবীকে চামড়ার ন্যায় টেনে সম্প্রসারিত করা হবে। তারপর মানুষের জন্য সেখানে কেবলমাত্র পা রাখার জায়গাই থাকবে।” [মুস্তাদরাকে হাকিম: ৪/৫৭১] একথাটি ভালোভাবে বুঝে নেয়ার জন্য এ বিষয়টিও সামনে রাখতে হবে যে, সেদিন সৃষ্টির প্রথম দিন থেকে নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষের জন্ম হয়েছে ও হবে সবাইকে একই সংগে জীবিত করে আল্লাহ্র আদালতে পেশ করা হবে। এ বিরাট জনগোষ্ঠীকে এক জায়গায় দাঁড় করাবার জন্য সমস্ত সাগর, নদী, জলাশয়, পাহাড়, পর্বত, উপত্যকা, মালভূমি, তথা উঁচু-নীচু সব জায়গা ভেঙ্গে-চুরে ভরাট করে সারা দুনিয়াটাকে একটি বিস্তীর্ণ প্রান্তরে পরিণত করা হবে। [দেখুন, ফাতহুল কাদীর; সা‘দী]

কিয়ামত দিবসে আল্লাহ পৃথিবীকে সমতল করে দিবেন। সুরা ত্বা-হা ১০৬ নাম্বার আয়াতে বলেন,
فَیَذَرُہَا  قَاعًا صَفۡصَفًا ﴿۱۰۶﴾ۙ 
"তারপর তিনি তাকে পরিণত করবেন মসৃণ সমতল ময়দানে,"
পৃথিবী সমতল হলে আল্লাহ আবার কেন সমতল করে দিবেন? কোরআনে কোথাও পৃথিবীকে সমতল বলেননি। কেউ দেখাতে পারবে না। তাই আমরা বলতে পারি কোরআনে সরাসরি পৃথিবীকে গোলাকার বলা না হলেও গোলাকার ধরেই উপরের আয়াতগুলো এসছে।

#অভিযোগ—
৪/ ভাই পৃথিবীর উটপাখির ডিমের মত না।পৃথিবী গোল।দুই সাইডে কিছুটা চ্যাপ্টা দেখায় তার কারণ oblate spheroid. দয়া করে এ সম্পর্কে জেনে আসেন।

#জবাব— 
আপনার নিজের বক্তব্যের মাঝে নিজেকেই ভুল ধরেছেন। উটপাখির ডিমের মতো না বলে পৃথিবীকে গোল বলেছেন। আবার চ্যাপ্টাও বলেছেন কমলার মতো! গোল হলে চ্যাপ্টা কেন? যেভাবে কোরআনের ভুল ধরার চেষ্টা করেন সেভাবে কমলার সাথে গোলাকার মিলানোর সময় অন্ধ হয়ে যান কেন? কমলার বোঁটাযুক্ত মেরু একরকম অপর পাশ আরেকরকম। একপাশ গর্ত ও অপরপাশ উঁচু৷ পৃথিবীর কোন মেরু এমন?

#অভিযোগ—
৫/ সূর্য গতিশীল নাকি স্থিতিশীল এটা ত আমার প্রশ্নইইই ছিলো না.সূর্যাস্তের সময়  জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো সূর্য কোথায় যায়।উত্তর আল্লাহর আরশের নিচে।আবার এক সময় অনুমতি চাইবে উদিত হওয়ার জন্য,উত্তরে বলা হবে যেদিক দিয়ে এসেছিলে সেদিক দিয়ে যাও।ভাই সূর্য কোনদিক দিয়ে আসে???? একটু বলবেন?????????????????
হাস্যকর ব্যাপার এইযে পোস্ট দাতা সেখানে পৃথিবীকে উল্টো দিকে ঘুড়ানোর কথা বলে গেলেন!

#জবাব—
আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য অস্ত যাবার সময় আবূ যার (রাঃ)-কে বললেন, তুমি কি জান, সূর্য কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, তা যেতে যেতে আরশের নীচে গিয়ে সিজদা পড়ে যায়। অতঃপর সে আবার উদিত হবার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয়। আর শীঘ্রই এমন সময় আসবে যে, সিজ্‌দা করবে কিন্তু তা কবূল করা হবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে, যে পথ দিয়ে আসলে ঐ পথেই ফিরে যাও। তখন সে পশ্চিম দিক হতে উদিত হয়-- এটাই মর্ম হল মহান আল্লাহর বাণীরঃ “আর সূর্য নিজ গন্তব্যে (অথবা) কক্ষ পথে চলতে থাকে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।” (ইয়াসীন ৩৮)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩১৯৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

পৃথিবীতে অবস্থান করায় আমাদের ও পৃথিবী মধ্যকার অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয় না। একে অপরের সাপেক্ষে স্থির। অর্থাৎ আমাদের সাপেক্ষে পৃথিবী স্থির। এমন অবস্থায় পৃথিবীর গতির কারণে সূর্যকে গতিশীল মনে হয়। যদিও সূর্যও নির্দিষ্ট কক্ষে ঘুরছে। মনে হয় সূর্য পূর্ব দিক দিয়ে এসে পশ্চিমে অস্ত যায়। ঘূর্ণনের ব্যাপারে সমুদয় তথ্য জানার পরেও সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত শব্দ ব্যবহার করি। এটি ভুল নয়; পৃথিবী থেকে সূর্যের দৃশ্যমান অবস্থা প্রকাশ করে। আমরা সূর্যকে যেভাবে পূর্বদিকে উদয় হতে দেখি এক সময় সেভাবে অনুমতি দেয়া হবে না পূর্বের পথে ফিরে যেতে বা হবে। ফলে পশ্চিম দিক দিয়ে সূর্যোদয় হবে।

উদাহরণ— আমরা ট্রেনে চড়ার সময় ট্রেন ও আমাদের গতিবেগ একই থাকে। ফলে ট্রেনের সাপেক্ষে আমরা স্থির অথবা আমাদের সাপেক্ষে ট্রেন স্থির। যদিও উওভয়েই গতিশীল। এখন জানালা দিয়ে তাকালে দেখতে পাবো পাশের গাছগুলো পেছনের দিকে চলে যাচ্ছে। এখন গাছগুলো যদি সামনের দিকে গতিশীল করতে চাই তাহলে ট্রেনকে পেছনের দিকে যেতে হবে।

কোরআনে পৃথিবীকে সরাসরি স্ফেরিক্যাল ও ঘূর্ণায়মান উল্লেখ না করে পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত দেয়ার পেছনে যৌক্তিক একটি কারণ যেটা হতে পারে সেটা হচ্ছে, বিষয় দুটি সেই সময়ের মানুষের কাছে সম্পূর্ণ অবিশ্বাস্য মনে হতো এবং যার ফলে তারা হয়তো কোরআনকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করতো। এমনকি নিকট অতীতেই গ্যালিলিও ও ব্রুনোর কাহিনী কে না জানে! কারণ একদিকে যেমন সেই সময়ের মানুষের কাছে ‘প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাস’ বলতে পৃথিবীটা সমতল ও অনড় ছিল, অন্যদিকে আবার পৃথিবীটা যে সত্যি সত্যি স্ফেরিক্যাল ও ঘূর্ণায়মান সেটা তাদেরকে পরীক্ষা করে দেখানোও সম্ভব হতো না। ফলে বিষয় দুটি সত্য হলেও তাদের কাছে কোন তথ্যই বহন করতো না। অতএব কোরআনের মূখ্য উদ্দেশ্য “পার্থিব ও অপার্থিব গাইডেন্স” ব্যর্থ হতে পারতো। কোরআনে তেমন কোন উক্তি নেই যেটা সেই সময়ের মানুষের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাসের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং সম্পূর্ণ অবিশ্বাস্যও মনে হতে পারে।

#অভিযোগ—
৬/ ভাই যেখানে কয়েকবার বিস্তৃত বলা হয়েছে,সেখানে আপনারা বারবার আরেক শব্দ সেই শব্দ কেন আনেন? কই যেখানে বলা হয়েছে আল্লাহ বড়,আল্লাহ শক্তিশালী সেখানে ত অন্য শব্দ বা সমার্থক শব্দ আনছেন না

#জবাব—
বিস্তৃত শব্দের অর্থ সমতল পৃথিবীর কোন ডিকশনারীতে খুঁজে পাবেন না। সুরা ত্বা-হা ১০৬ নাম্বার আয়াতে সমতল قَاعًا শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যা কিয়ামতের দিনে করা (পৃথিবীকে সমতল) হবে। বর্তমানের পৃথিবীকে এভাবে সরাসরি এই শব্দ দিয়ে সমতল কোথাও বলা হয়নি।

ধন্যবাদ! 

Post a Comment

0 Comments