ক্ষতিকর খাদ্য কেনো গ্রহণ করার আদেশ এবং কেনো তা সৃষ্টি করা হলো? কুরআন/বাইবেল



🖋Author:- Aminur Rashid 
____________________________________________________________________________

বাইবেলে খাদ্য সম্পর্কে অনেকগুলি ভুল বার্তার মধ্যে আরেকটি ভুল বার্তা নিয়ে আজ একটু আলোচনা করবো। 

এমন অনেক ভুল বার্তা নিয়ে আমি আলোচনা করেছি আমার ইবুকে। (ডাউনলোড করুন) 

যাইহোক, 

এবার মূল কথায় আসা যাক। বাইবেলে বলা হয়েছে,,, 

বাইবেল, তিমথি ১ (1 Timothy)

4:3 এরাই মানুষকে বিবাহ করতে নিষেধ করে ও কোন কোন খাদ্য় খেতে নিষেধ করে৷ কিন্তু সেই খাদ্য় সামগ্রী ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন এবং যাঁরা বিশ্বাসী ও যাঁরা সত্যকে জানে তারা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে এই খাবার খেতে পারে৷

4:3 Forbidding to marry, and commanding to abstain from meats, which God hath created to be received with thanksgiving of them which believe and know the truth.

4:4 বাস্তবিক ঈশ্বরের সৃষ্ট সমস্ত বস্তুই ভাল, ধন্যবাদের সঙ্গে গ্রহণ করলে কিছুই অগ্রাহ্য় নয়৷

4:4 For every creature of God is good, and nothing to be refused, if it be received with thanksgiving:

4:5 কারণ ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে ও প্রার্থনা দ্বারা তা শুচিশুদ্ধ হয়৷

দেখুন বলা হয়েছে আমুকরা কোন কোন খাদ্য খেতে নিষেধ করে। কিন্তু সেই খাদ্য সামগ্রী ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন এবং যাঁরা বিশ্বাসী ও যাঁরা সত্যকে জানে তারা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে এই খাবার খেতে পারে৷

সুতরাং বুঝা গেলো ঈশ্বর যেহেতু খাদ্য সৃষ্টি করেছেন সুতরাং সকল খাদ্যই গ্রহণ করা যাবে। এটাই প্রমাণ হয় বাইবেলের উপরের বাক্যগুলি পড়ে। 

কিন্তু আমরা সকলেই জানি বিষাক্ত খাদ্য রয়েছে। এবং অনেক খাদ্য আছে যা অন্য প্রাণির পক্ষে ভালো হলেও মানুষের পক্ষে তা বিপদজনক। 

কিন্তু বাইবেল অনুযায়ী ক্ষতিকর খাদ্যও গ্রহণ করা যাবে সুস্পষ্ট বলা হয়েছে

"ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে এই খাবার খেতে পারে"

সুতরাং খ্রিষ্টানরা কি ক্ষতিকর খাদ্যও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে গ্রহণ করবে!? 

হয়তো অনেকের প্রশ্ন আসতে পারে ঈশ্বর বা আল্লাহ কেনো ক্ষতিকর খাদ্যবস্তু তৈরি করলেন! 

তার জবাবে আমি বলবো,,, 

আল্লাহ কোথাও বলেন নি যে তিনি শুধু ভালো খাদ্যবস্তু বানিয়েছেন। কোন খাদ্যই খারাপ নয় তবে অনেক খাদ্যই মানুষের জন্য ক্ষতিকর। সুতরাং মানুষ তা খেতে পারবে না। আল্লাহ সকল খাবার হালাল করে দেন নি। কিন্তু খারাপ বস্তু আমরা খাদ্য হিসেবে না ব্যাবহার করেও অন্য কোন কাজে ব্যবহার করতে পারি। যেমন ঘাস আমাদের খাদ্য নয়। কিংবা সাপ আমাদের খাদ্য নয় কিন্তু সাপ হলো ঈগল/চিল এসবের খাদ্য। সুতরাং খারাপ ভালো সব দুনিয়াতে আল্লাহ পাঠালেও সব কিছু খাদ্য হিসেবে হালাল সাব্যস্ত করেন নি। অন্যদিকে বাইবেলের ঈশ্বর সকল খাদ্যকেই হালাল সাব্যস্ত করে প্রমাণ করলেন যে তিনি ক্ষতিকর খাদ্য সম্পর্কে জানেন না। 

বাইবেলে আরো বলা,, 

"বাস্তবিক ঈশ্বরের সৃষ্ট সমস্ত বস্তুই ভাল, ধন্যবাদের সঙ্গে গ্রহণ করলে কিছুই অগ্রাহ্য় নয়৷" 

তাহলে সাপের বিষ তো ঈশ্বরের সৃষ্ট সুতরাং সাপের বিষও কি ধন্যবাদের সঙ্গে গ্রহণ করলে কিছুই অগ্রাহ্য হবে না!? 

এই ভার্সগুলো কি মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়!?

ক্ষতিকর খাদ্যগুলকে ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন বলে হালাল করেছে বাইবেল! যা ভুল! 

তাহলে এ থেকে বুঝা যায় বাইবেলের ঈশ্বর ক্ষতিকর এসব খাদ্য সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। 

ক্ষতিকর খাদ্যের (উদ্ভিদ/ফল) বড় লিস্ট দেওয়া যায় তারপরেও আমি কয়েকটা দিচ্ছি,,, 

নামবৈজ্ঞানিক নামবিষাক্ত অংশবিষক্রিয়ার ধরনছবি
বিছুটিTragia involucrataপাতা, রস, পাতার গুড়োচুলকানি হয়,ফুলে যায়, রস হয়। 
কুঁচAbrus precatoriusবীজ, শিকড়গর্ভপাতক, বমনকারক, রেচক ও পশুবিষ। 
শিয়ালকাঁটাArgemone Mexicanaবীজ, গাছের কষবীজ মারাত্মক শোথ, বমন ও উদারাময় সৃজক এবং এর কষ উপদাহক। 
হিজলBarringtonia acutangulaফলফল মারাত্মক বমনকারক 
আকন্দCalotropis gigantea, C. proceraপাতা, গাছের কষকষ ভীষণ রেচক, গর্ভপাতক, শিশু হন্তারক, পাতা মানুষ হন্তারক বিষ। 
স্বর্ণলতাCuscuta Reflexaপুরো উদ্ভিদপ্রজনন ক্ষমতারোধি, বমন সৃজক, গর্ভপাতক। 
ছিটাPlumbago zeylanicaপুরো উদ্ভিদএর রস পঙ্গুত্ব সৃষ্টি করে।
রক্তকরবীNerium indicumসকল অঙ্গখেলে মৃত্যুর কারণ হয়, স্থানিক প্রয়োগে গর্ভপাত ঘটে। 
টগরTabernaemontana divaricataফল, বীজফল মারাত্মক বিষাক্ত, বীজ মাদক ও প্রলাপসৃজক 
কলকে ফুল বা হলদে করবীThevetia peruvianaবাকল, বীজ, কষফল মারাত্মক অবসাদক, পঙ্গুত্ব আরোপক ও ঘাতক। 
ধুতুুরাDutura metelসমস্ত উদ্ভিদচেতনানাশক, প্রলাপসৃজক।DaturaMetel-plant.jpg
আপেলMalus domesticaবীজ মৃদু বিষাক্ত যাতে সামান্য পরিমাণ এমাগডালিন, সায়ানাইড এবং গ্লাইকোসাইড থাকেবীজের এসব রাসায়নিক মানুষের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর নয় তবে অধিক মাত্রায় বীজ খেলে ক্ষতির কারণ হতে পারে।Apple seeds - variety Prinzenapfel (aka).jpg


এসব থেকে একটা বিষয় প্রমাণ হয় বাইবেলের ঈশ্বর এসব সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। এটাই প্রমাণ হয় বাইবেলের এসব ভার্সসমূহ থেকে! 

Post a Comment

0 Comments