ত্রিপিটক ও আমার জিজ্ঞাসা! - ১ বিষয়:- ইসলাম ও অন্যান্য মতবাদের মধ্যে তূলনামূলক আলোচনা!


🖋Author:- Aminur Rashid
____________________________________________________________________________

আলহামদুলিল্লাহ, সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার। আজ আপনাদের সাথে ত্রিপিটক নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

আর্টিকেলটি শুরু করার আগে বলে রাখি। আমি যতটি আর্টিকেল লিখি সেটা বেদ-বাইবেল-ত্রিপিটক বা ইসলাম বিরোধীদের জবাব হিসেবে প্রত্যেক লেখা লিখতে আমি প্রচুর পড়ালেখা ও গবেষণা করি। এর পর আর্টিকেল লিখি। তো ত্রিপিটক নিয়ে অনেকদিন না লেখার কারণে আজ লিখলাম। এই আর্টিকেল লিখতেও খুব পড়ালেখা করতে হয়েছে। শুধুমাত্র আপনাদের জন্য সত্যটা সকলেরই জানা প্রয়োজন। আশা করি শেয়ার করে আমাদের পাশে থাকবেন।

যাইহোক মূল কথায় আসি,,,

সব সময় একটি বিষয় আপনারা লক্ষ্য করবেন সেটা হলো ইসলামবিরোধী ও অমুসলিমদের কেউ কেউ দাবি করে এবং কিছু জাহেল মুসলিমও এই দাবি করে থাকে যে ইসলাম খুব কঠিন ধর্ম। যদি বলি কেনো? তখন তারা বলবে ইসলামে গান শুনা হারাম। ইসলামে ছবি আঁকা হারাম। ইসলামে বেপর্দায় চলা হারাম.....

এমন কত আপত্তি। হিন্দুদেরো অনেকে এমন দাবি পেশ করে থাকেন। সেইসকল ইসলামবিরোধী হিন্দত্ববাদীদের বলব আপনাদের ধর্মগ্রন্থ বেদ তো ধর্ষণ সম্পর্কে কিছুই বলা না। সুতরাং হিন্দুধর্ম মানেই সব হলাল। আরো কত নিচু মানের কথাবার্তা আছে যা আর নাই বললাম। হিন্দুধর্ম হলো সবচেয়ে সহজ ধর্ম কারণ হিন্দুধর্মে না আছে ধর্ষণের ব্যাপারে না আছে কোন বিধিবিধান। যা ইচ্ছা তাই করা যায়। কোন বিধান নেই বললেই চলে। আর বাইবেল একটু কঠিন বলা যায় ১০% কারণ বাইবেলে রজমের ব্যাপারটা আছে। কিন্তু একই সাথে ধর্ষণের পর বিয়ে করে সংশোধনের মতন নিচু মানের কথাও আছে। আর ইসলামে হালাল নির্দিষ্ট নয় কিন্তু হারাম নির্দিষ্ট। কারণ ইসলাম হলো পরিপূর্ণ জীবনবিধান।

বেদের মতন নয় যে শুধু দেবদেবীর কাহিনী। আর না বাইবেলের মতন নবীদের ধর্ষণের কাহিনী। (নাঊজুবিল্লাহ)

আর না নাস্তিক্যবাদের মতন যার কোন বিধান নেই। নেই কোন স্টান্ডার্ড। নেই নৈতিকতার কোন মানদণ্ড! যা ইচ্ছা তাই করা যায়!

◾ইসলাম এমন এক জীবনব্যাবস্থা যা সকল বিষয়ের বিধান যা মুসলমানদের স্টান্ডার্ড।

এবার প্রশ্ন আসে যে বৌদ্ধ ধর্ম তাহলে কেমন!?

আমি বলব যে সকল নাস্তিকরা ইসলামবিরোধীরা বলে ইসলামের বিধান অযৌক্তিক-সেকেলে তাদের আমি বলব ইসলামে এমন কোন বিধান নেই যা মেনে শান্তিতে জীবনযাপন করা যাবে না বরং ইসলাম এমন বিধান যা আপনাকে সব খারাপ থেকে রক্ষা করে।

তারপরেও যাদের সমস্যা যেসকল অমুসলিমদের এবং নাস্তিক ও ঈশ্বরে অবিশ্বাসী বৌদ্ধদের এখন আমি চমক দিবো।

আসুন দেখি ত্রিপিটক কতটা সহজ। আসুন পড়ি এবং উপলব্ধি করে। আর সাথে রইবে আমার করা জিজ্ঞাসা। ইনশাআল্লাহ,,,,,

*:..。o START o。..:*

কিছু কথা,,,

ত্রিপিটক নিয়ে আমরা অনেকেই কম জানি। সুতরাং প্রথমে পাঠকদের কাছে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা খুব প্রয়োজন। ইসলামে যেমন হারাম-হালাল-মকরূহ ইত্যাদি আছে ঠিক এমনি বৌদ্ধধর্মে কিছু আছে। যা পাঠকরা নাও জানতে পারেন।

ত্রিপিটকের কিছু অপরাধের মধ্যে একটি অপরাধ হচ্ছে "দুক্কট" অপরাধ। এর অর্থ আমি করব না বরং ত্রিপিটকের অনুবাদকের টীকা থেকেই দিচ্ছি,,,

◾দুক্কট অপরাধ অর্থ:- দুষ্টুকৃত, বিরূপকৃত, স্খলিত, বুদ্ধকর্তৃক ঘৃণিত কর্ম।

আপাতত আমরা একটি অপরাধ সম্পর্কে জানলাম যা আর্টিকেলটি বুঝতে আমাদের সাহায্য করবে।

এবার শুরু করা যাক,,,,

[১] ত্রিপিটকে বলা হয়েছে,,,

"একাকী গ্রামান্তরে গমনকারিণীর তিনটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. গমন শুরু করলে দুক্কট আপত্তি; ২. প্রথম পদক্ষেপ অতিক্রম করলে থুল্লচ্চয় আপত্তি; ৩. দ্বিতীয় পদক্ষেপ অতিক্রম করলে সংঘাদিশেষ আপত্তি হয়।"

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে পরিবার/২. কয়টি আপত্তি বার/২. সংঘাদিশেষ খণ্ড/ অনুচ্ছেদ ২২৯ এর (৩) { বাংলা পাবলিশিং সোসাইটি } ]

আমার জিজ্ঞাসা:- একাকী গ্রামে গমন করলে দুক্কট আপত্তি হয় অর্থাৎ দুষ্টুকৃত, বিরূপকৃত, স্খলিত, বুদ্ধকর্তৃক ঘৃণিত কর্ম। এবার নাস্তিক ইসলামবিরোধীরা কি বলবে!? ওয়েট ওয়েট, এটা তো মাত্র শুরু আসল গুলি তো একটু পরেই দিবো।

[২] ত্রিপিটকে বলা হয়েছে,,,

"(১) রসুন খাওয়াতে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. খাবো এই চেতনায় প্রতিগ্রহণে দুক্কটাপত্তি; ২. প্রতি গলাধঃকরণে পাচিত্তিয় আপত্তি হয়।"

আমার জিজ্ঞাসা:- রসুন খেলে বা খাওয়ালে যদি দুক্কট অপরাধ বা দুক্কটাপত্তি (দুষ্টুকৃত, বিরূপকৃত, স্খলিত, বুদ্ধকর্তৃক ঘৃণিত কর্ম) হয় তাহলে কি কখনোই বলা যায় ত্রিপিটক কঠিন নয়!? যারা রসুন খান এখনি বন্ধ করুন।

[৩] ত্রিপিটকে বলা হয়েছে,,,

"(৬) ভিক্ষুর ভোজনকালে পানীয় বা পাখা হাতে উপস্থিত থাকায় দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. হাতের পাশে দাঁড়ালে পাচিত্তিয়াপত্তি; ২. হস্তপাশের বাইরে দাঁড়ালে দুক্কটাপত্তি।"

আমার জিজ্ঞাসা:- হায় হায় এটা কেমন কথা বাতাশ করার জন্য পাখা হাতে নিয়ে বা পানি খাওয়ানোর জন্য পানি নিয়ে উপস্থিত থাকলে তো খুশি হওয়ার কথা কিন্তু এর মাধ্যমে দুক্কট অপরাধ কেনো হবে? এটা কিভাবে বুদ্ধকর্তৃক ঘৃণিত কর্ম হতে পারে!?

[৪] ত্রিপিটকে বলা হয়েছে,,,

"(৭) কাঁচা ধান বা চাল চেয়ে নিয়ে পরিভোগে দুটি আপত্তি হয়; যথা : ১. ভোজন করব এই চেতনায় প্রতিগ্রহণে দুক্কটাপত্তি। ২. গ্রাসে গ্রাসে পাচিত্তিয়াপত্তি হয়।"

আমার জিজ্ঞাসা:- অনেক গরিবই অন্যের থেকে ধান-চাল নেয় পরে আবার ফিরিয়ে দেয়। সেটাও কি তাহলে সম্ভব নয়? এটাতেও সমস্যা!?

[৫] ত্রিপিটকে বলা হয়েছে,,,

"(১০) নাচ-গীত বা বাদ্য দর্শনার্থে গমনে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. গমন শুরুতে দুক্কটাপত্তি; ২. যথায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় বা শুনা যায় তথায় উপস্থিত হলে পাচিত্তিয়াপত্তি হয়।"

আমার জিজ্ঞাসা:- ফাটাফাটি খুবিই ফাটাফাটি। যেসকল নাস্তিকরা বৌদ্ধ ধর্মের গুনগান গায় তাদের জন্য তা পুরো জুতো পিটা। ইসলামবিরোধীরা সব সময় বলে ইসলামে গানবাজনা হারাম সুতরাং ইসলাম সেকেলের ধর্ম। আরে ইসলামে সেইসব গান হালাল যেসব মানুষকে ভালো কিছু শিখায় এবং বাদ্যযন্ত্র বিহীন। আর এতেই সকলেই যদি গা জ্বালা হয়। তাহলে ত্রিপিটক দেখুন ত্রিপিটক অনুযায়ী নাচ-গীত তো দূরে থাক বাদ্যযন্ত্র দর্শন করতে গেলেও দুক্কট আপত্তি হবে। অর্থাৎ বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী হারাম। এবার পালাবে কোথায়!?

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে পরিবার ৪. পাচিত্তিয় খণ্ড/১. রসুন বর্গ/ অনুচ্ছেদ
২৩১ এর (১), (৬), (৭), (১০) (সমস্ত রেফারেন্স) ]

[৬] ত্রিপিটক বলে,,,

"(১) রাতের অন্ধকারে অপ্রদীপে পুরুষের সাথে একাকী দাঁড়ানোয় দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. হস্তপাশে স্থিত হলে পাচিত্তিয়াপত্তি; ২. হস্তপাশের বাইরে দাঁড়ালে দুক্কটাপত্তি হয়।"

আমার জিজ্ঞাসা:- যেখানে পুরুষের সাথে দাঁড়ানো নিষেধ সেহেতু প্রেম করাও নিষিদ্ধ। নাস্তিকরা কি বলবে এবার!? ইসলাম বললে যদি তা সেকেলে হয় এখন!?

[৬] ত্রিপিটক বলে,,,

"(২) খোলা আকাশতলে, কিন্তু আচ্ছাদিত স্থানে পুরুষের সাথে একাকী দাঁড়ালে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. হস্তপাশে দাঁড়ালে পাচিত্তিয় আপত্তি; ২. হস্তপাশের বাইরে দাঁড়ালে দুক্কটাপত্তি হয়।"

আমার জিজ্ঞাসা:- নাস্তিকরা আর নারীবাদীরা এবার কি বলবে!?

[৭] ত্রিপিটক বলে,,,

"(৩) উন্মুক্ত স্থানে পুরুষের সাথে একাকী দাঁড়ালে দুটি আপত্তি হয়। যথা : ১. হস্তপাশে দাঁড়ালে পাচিত্তিয়াপত্তি এবং ২. হস্তপাশের বাইরে দাঁড়ালে দুক্কটাপত্তি হয়।"

আমার জিজ্ঞাসা:- নাস্তিকরা আর নারীবাদীরা এবার কি বলবে? ইসলামবিরোধীরা কি শুধু ইসলাম বিদ্বেষীই করতে পারে!? আসিফের ব্লগে তো এসব কখনো দেখিলাম না।

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে পরিবার/ ২. কয়টি আপত্তি বার/ ৪. পাচিত্তিয় খণ্ড /২. রাত্রির অন্ধকার বর্গ/ অনুচ্ছেদ ২৩২ এর (১,২,৩) ]

[৮] ত্রিপিটক বলে,,,

"(১) রাজপ্রাসাদ, চিত্রশালা, আরাম উদ্যান বা পুকুর দর্শনার্থে গমনে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. গমন শুরু করলে দুক্কটাপত্তি; ২. যেখানে স্থিত হলে দেখা যায় সেখানে উপস্থিত হলে পাচিত্তিয়াপত্তি।"

আমার জিজ্ঞাসা:- রাজপ্রাসাদ, চিত্রশালা, আরাম উদ্যান বা পুকুর দর্শন করা কেনো নিষেধ!? আচ্ছা কমপক্ষে পুকুরও বা কেনো দর্শন করলে পাপ হবে!?

[৯] ত্রিপিটক বলে,,,

"(২) আসন্দি (লম্বা ইজিচেয়ার) বা পালঙ্ক ব্যবহারে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. ব্যবহারের উদ্যোগে দুক্কটাপত্তি; ২. ব্যবহার শুরুতে পাচিত্তিয়াপত্তি।"

আমার জিজ্ঞাসা:- হায় হায় পালঙ্ক ব্যাবহার করা পাপ হবে কেনো? এর যৌক্তিকতা কি?

[১০] ত্রিপিটক বলে,,,

"(৩) সুতো কাটায় দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. সুতো কাটার উদ্যোগে দুক্কটাপত্তি এবং ২. কাটা শুরু করলে পাচিত্তিয়াপত্তি।"

আমার জিজ্ঞাসা:- যদি সুতো কাটা পাপ হয় তাহলে পোষাক বানাবে কিভাবে? কিংবা দর্জিরা কি উপার্জন করবে? সুতো কাটা ছাড়া পোষাকেরো তো প্রবলেম। এ কমন বিধান পুরপুরি অযৌক্তিক।

[১১] ত্রিপিটক বলে,,,

"(৪) গৃহীর সেবাকর্মে (বেয্যাবচ্চং) নিয়োজিত হলে দুটি আপত্তি হয়; যথা : ১. সেবা করার উদ্যোগ গ্রহণে দুক্কটাপত্তি এবং ২. সেবা শুরু করলে পাচিত্তিয়াপত্তি।"

আমার জিজ্ঞাসা:- গৃহীর সেবাকর্মে নিয়োজিত হলে পাপ হবে কেনো? বরং উত্তম হওয়াই জরুরি ছিলো!?

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে পরিবার/ ৫. চিত্রশালা বর্গ/ অনুচ্ছেদ ২৩৫ এর (১,২,৩,৪) ]

[১২] ত্রিপিটক বলে,,,

"(১০) পাছা ভাগে ফোঁড়া বা জমাট রক্ত, গণকে না জানিয়ে একাকী পুরুষ দ্বারা ভেদন করালে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. ভেদনের উদ্যোগে দুক্কটাপত্তি; ২. ভেদিত হলে পাচিত্তিয়াপত্তি হয়।"

আমার জিজ্ঞাসা:- পাছার খবরো সকলকে দিতে হবে দেখছি। ছোট ফোঁড়াও নিজে ভেদন করতে পারবে না। হাস্যকর নয়?

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে পরিবার/ ৬. আরাম (ভিক্ষুনিবাস) বর্গ/ অনুচ্ছেদ ২৩৬ এর (১০) ]

[১৩] ত্রিপিটক বলে,,,

"(১) ছাতা ও জুতা ব্যবহারে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. ধারণের উদ্যোগে দুক্কটাপত্তি; ২. ধারিত হলে পাচিত্তিয়াপত্তি হয়।"

আমার জিজ্ঞাসা:- এটা কেমন বিধান!? ছাতা ব্যাবহার যদি পাপ হয় তাহলে বৃষ্টির সময় কি আমরা ভিজে ভিজে চলাচল করবো? এ কেমন অযৌক্তিক বিধান? আবার জুতা ব্যাবহার কেনো পাপ হবে এমন হলে তো রাস্তাঘাটেও চলাচল করতে সমস্যা হবে। এসবের যৌক্তিকতা কি??

[১৪] ত্রিপিটক বলে,,,,

"(২) যান-বাহনে যাতায়াতে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণে দুক্কটাপত্তি; ২. গমনের শুরুতে পাচিত্তিযাপত্তি।"

আমার জিজ্ঞাসা:- হায় হায় তাহলে তো আমাদের কারোরই চাকরি থাকবে না। এমন কি কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে এম্বুলেন্সও ডাকা যাবে না। যানবাহন যাতায়াত কিভাবে পাপ? কিভাবে নিষিদ্ধ? যানবাহন ব্যাতীত চলা তো অসম্ভব। নৌকা/ঘোড়া/গাড়ি/হেলিকাপ্টার আরো কতো যানবাহন আছে আর এই যানবাহন ছাড়া কিভাবে কি? আর যানবাহন হারাম হওয়ার যৌক্তিকতাও বা কি? কিয়েক্টা অবস্থা!

[১৫] ত্রিপিটক বলে,,,

"(৩) রুমালজাতীয় বস্ত্রখণ্ড (সঙ্ঘানিং) ব্যবহারে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. ধারণের উদ্যোগে দুক্কটাপত্তি; ২. ধারণ করলে পাচিত্তিয়াপত্তি।"

আমার জিজ্ঞাসা:- রুমাল ব্যাবহারও পাপ? আর কিছুই বলার নাই!

[১৬] ত্রিপিটক বলে,,, 

(৪) স্ত্রী-অলংকার ধারণে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. অলংকার গ্রহণের উদ্যোগে দুক্কটাপত্তি; ২. পরিধান করলে পাচিত্তিয়াপত্তি।

আমার জিজ্ঞাসা:- স্ত্রীর জন্যই অলংকার। গহনা-অলংকার স্ত্রীর সম্পদ এটাও যদি পাপ হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। এসব অযৌক্তিক এবং অজ্ঞতা পরিপূর্ণ বিধান নয় কি!?

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে পরিবার/ ৯. ছত্র-জুতা বর্গ/ অনুচ্ছেদ ২৩৯ এর (১,২,৩,৪) ]

[১৮] ত্রিপিটক বলে,,,

"(১) দুই ভিক্ষুণী একই মঞ্চে শয়নে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. শয়নের উদ্যোগে দুক্কটাপত্তি; ২. শয়ন দ্বারা পাচিত্তিয়াপত্তি।"

আমার জিজ্ঞাসা:- মানে? ও বুঝেছি সমকামীতার ভয়ে!? শেষপর্যন্ত ভিক্ষুণীদের মধ্যেও সমকামী আছে। আচ্ছা ভিক্ষুণীরা তো মহিলা তাদের জন্য এমন নিয়ম হলে ভিক্ষুদের জন্য আছে এ নিয়ম? পুরুষ সমকামীতো বেশি নারীর তূলনায়।

"(২) দুই ভিক্ষুণী একই কম্বলের ভেতরে শয়নে দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১. শয়নের উদ্যোগে দুক্কটাপত্তি; ২. শয়নে পাচিত্তিয়াপত্তি।"

আমার জিজ্ঞাসা:- আমি জানি যে সমকামীতার জন্যই এই বিধান আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু একটি ডাবল স্টান্ডার্ড আছে সেটা হলো ত্রিপিটকে সমকামীতার জন্য ভিক্ষুণীদের অর্থাৎ নারীদের এ নিয়ম দিলেও পুরুষদের এ নিয়ম নেই। তাহলে কি এটা ডাবল স্টান্ডার্ড নয়? দুমুখঃ নয়? অন্যদিকে ইসলামে নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই সমকামীতা হারাম করা হয়েছে। কিন্তু ত্রিপিটকে এ কেমন দুমুখঃ কথাবার্তা!? এই কথা শুধু আমিই নই বরং ত্রিপিটকের বাংলা অনুবাদকারীও স্বীকার করেছেন।

[ স্বীকারোক্তি:- বিনয়পিটকে পরিবার পাঠ/ ভূমিকা (পৃষ্ঠা:- ১৭) ভদন্ত প্রজ্ঞাবংশ মহাথেরো এবং রেফারেন্স:- ৪. তুবট্ট (অংশভাগ) বর্গ/ অনুচ্ছেদ ২৩৪ এর (১,২) ]

[১৯] ত্রিপিটক বলে,,,

"৯০. “বিকালে খাদ্য বা ভোজ্যদ্রব্য ভোজনকারীর পাচিত্তিয় অপরাধ হয়।” এই শিক্ষাপদ কোথায় প্রজ্ঞাপিত হয়েছিল? রাজগৃহে প্রজ্ঞাপিত হয়েছিল।
কাকে ভিত্তি করে? সতেরো বর্গীয় ভিক্ষুগণকে উপলক্ষ করে। কোন ঘটনাকে ভিত্তি করে? সতেরো বর্গীয় ভিক্ষুগণ বিকালে ভোজন করেছিলেন। সেই ঘটনাকে ভিত্তি করে।"

আমার জিজ্ঞাসা:- বিকেলে খাদ্য খেলে কি এমন সমস্যা? যে পাপ হবে?! আজব তো!

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে পরিবার/ ৪. ভোজন বর্গ/ অনুচ্ছেদ (৯০) ]

[২০] ত্রিপিটক বলে,,,

"৯) টাকা-পয়সাদির নানা প্রকার ব্যবহার বা বাণিজ্যে নিয়োজিত হওয়া দ্বারা দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১) ব্যবহারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণে দুক্কট আপত্তি; ২) ব্যবহার করা হয়ে গেলে নিস্সগ্গিয় পাচিত্তিয় হয়।"

আমার জিজ্ঞাসা:- তার মানে ব্যাবসায় বাণিজ্য সব বন্ধ। টাকা পয়সা ব্যাবহারেও?

[২১] ত্রিপিটক বলে,,,

"(১০) নানা প্রকার ক্রয়-বিক্রয়কর্ম দ্বারা দুটি আপত্তি প্রাপ্ত হয়; যথা : ১) ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করলে দুক্কট আপত্তি হয়; ২) ক্রয়-বিক্রয় সমাপ্তিতে নিস্সগ্গিয় পাচিত্তিয় হয়।"

আমার জিজ্ঞাসা:- আর কি বলব আমি? বাণিজ্য করা যাবে না ক্রয় বিক্রয় করা যাবে না! কিছুই বলার নেই!

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে পরিবার/ ২. কৌশিক বর্গ/ অনুচ্ছেদ (৯,১০) ]

[২২] ত্রিপিটক বলে,,,

"১. যান নিষিদ্ধ
২৫৩. সেই সময় ষড়বর্গীয় ভিক্ষু পুরুষচালিত গাভীশকটে এবং নারীচালিত বলীবর্দশকটে আরোহণ করিয়া গমন করিতেছিল। (তদ্দর্শনে) জনসাধারণ আন্দোলন, নিন্দা এবং প্রকাশ্যে দুর্নাম প্রচার করিতে লাগিল : “এ যেন গঙ্গার মহাক্রীড়া!” ভিক্ষুগণ ভগবানকে এই বিষয় জানাইলেন। (ভগবান কহিলেন :)
“হে ভিক্ষুগণ, যানারোহণে যাইতে পারিবে না; যে যাইবে তাহার ‘দুক্কট’ অপরাধ হইবে।”

আমার জিজ্ঞাসা:- হায় হায়। যানবাহনে চলাচলের জন্য জনসাধারণ আন্দোলন নিন্দা জানালো? আর এ কারণে কেউ যানবাহনে আরোহণ করতে পারবে না। আবার যদি যানবাহন ব্যাবহার করে তাহলে তো দুক্কট অপরাধও হবে। এইটা কেমন বিধান?

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে মহাবর্গ/ ৫. চর্ম-স্কন্ধ/ যান, মঞ্চ এবং চৌকি সম্বন্ধে নিয়ম  ২৫৩ ]

[২৩] ত্রিপিটক বলে,,,

"২. রুগ্নের জন্য যানের বিধান
১. সেই সময় জনৈক ভিক্ষু কোশল জনপদ হইতে ভগবানকে দর্শন করিবার জন্য শ্রাবস্তীতে যাইবার সময়ে রাস্তার মধ্যে পীড়িত হইয়া পড়িলেন। তখন সেই ভিক্ষু গমনমার্গ হইতে অবতরণ করিয়া এক বৃক্ষমূলে উপবেশন করিলেন। জনসাধারণ সেই ভিক্ষুকে দেখিয়া কহিলেন, “প্রভো, আর্য কোথায় যাইবেন?” “বন্ধুগণ, আমি ভগবানকে দর্শন করিবার জন্য শ্রাবস্তী যাইব।” “প্রভো, আসুন, আমরাও তথায় যাইব।” “বন্ধুগণ, আমি রোগের জন্য যাইতে সমর্থ হইতেছি না।” “প্রভো, আসুন, যানে আরোহণ করুন।” “বন্ধুগণ, প্রয়োজন নাই, কেননা ভগবান যানে আরোহণ করিতে নিষেধ করিয়াছেন।” এই বলিয়া সংকোচ করিয়া যানে আরোহণ করিলেন না। অনন্তর সেই ভিক্ষু শ্রাবস্তীতে গমন করিয়া ভিক্ষুদিগকে এই বিষয় প্রকাশ করিলেন। ভিক্ষুগণ এই বিষয় ভগবানকে জ্ঞাপন করিলেন। (ভগবান কহিলেন :)
“হে ভিক্ষুগণ, আমি অনুজ্ঞা করিতেছি : রুগ্ন ভিক্ষু যানে আরোহণ করিতে পারিবে।”

আমার জিজ্ঞাসা:- যানে আরোহণ নিষেধ কিন্তু রোগিদের জন্য নয়। হায় হায় এমন হলে তো যাদের রোগ নেই তারা যানবাহনে আরোহণ করতে পারবে না। কথা একদম Clear ঠিক নয় কি?

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে মহাবর্গ/ ৫. চর্ম-স্কন্ধ/২. রুগ্নের জন্য যানের বিধান (১) ]

[২৩] ত্রিপিটক বলে,,,

"১. সেই সময় জনৈক ভিক্ষুর ‘পাদকীল’ রোগ ছিল। ভিক্ষুগণ তাহাকে ধরাধরি করিয়া বাহ্য এবং প্রস্রাব করাইবার জন্য লইয়া যাইতেন। ভগবান শয়নাসন দেখিবার জন্য বিচরণ করিবার সময় সেই ভিক্ষুগণকে তাহাকে (রুগ্ন ভিক্ষুকে) বাহ্য এবং প্রস্রাব করাইবার নিমিত্ত ধরাধরি করিয়া বাহিরে লইয়া যাইতে দেখিতে পাইলেন; দেখিতে পাইয়া সেই ভিক্ষুগণের নিকট উপস্থিত হইলেন, উপস্থিত হইয়া তাহাদিগকে কহিলেন, “হে ভিক্ষুগণ, এই ভিক্ষুর নিকট কোন রোগ হইয়াছে?” “প্রভো, এই আয়ুষ্মানের ‘পাদকীল’ রোগ হইয়াছে, আমরা তাহাকে ধরাধরি করিয়া বাহ্য এবং প্রস্রাব করাইবার জন্য লইয়া যাইতেছি।” ভগবান এই নিদানে, এই প্রকরণে ধর্মকথা উত্থাপন করিয়া ভিক্ষুগণকে আহ্বান করিলেন :
“হে ভিক্ষুগণ, আমি অনুজ্ঞা করিতেছি : যাহার পদে বেদনা আছে অথবা যাহার পা ফাটিয়াছে কিংবা যাহার ‘পাদকীল’ রোগ আছে সে চর্মপাদুকা পরিধান করিতে পারিবে।”

আমার জিজ্ঞাসা:- পায়ের রোগে জুতা জায়েজ আর পা ভালো থাকলে নাজায়েজ। এমন কেনো? কেনো? জুতো ছাড়া কি রাস্তাঘাটে চলাচল করা যায়? পায়ে কত কিছুই লেগে যেতে পারে! আসলে এর যৌক্তিকতা কি?

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে মহাবর্গ/ ৫. চর্ম-স্কন্ধ/৮. অবস্থাবিশেষে আরামেও চর্মপাদুকা ব্যবহার বিধেয়/ অনুচ্ছেদ ২৪৯ এর ১ ]

[২৪] ত্রিপিটক বলে,,,

"হে ভিক্ষুগণ, গোচর্ম ব্যবহার করিতে পারিবে না; যে ব্যবহার করিবে, তাহার ‘দুক্কট’ অপরাধ হইবে।”
“হে ভিক্ষুগণ, কোনো রকমের চর্ম ব্যবহার করিতে পারিবে না; যে ব্যবহার করিবে, তাহার ‘দুক্কট’ অপরাধ হইবে।”

আমার জিজ্ঞাসা:- এই হলো আসল ঘটনা। যেখানে চর্ম ব্যাবহার পাপকাজ সেখানে জুতো তো পাপকাজ হবেই। একই সাথে চর্ম দিয়ে তৈরি সকল কিছুই ব্যবহার পাপকাজ!? গরু যেমন হিন্দুদের মা সেহেতু মায়ের চার্ম দিয়েও জুতা তৈরি পাপকর্ম হওয়ার কথা। এসব কি অজ্ঞতার ফসল নয়?

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে মহাবর্গ/৬. প্রাণিহিংসায় প্রেরণা দান ও চর্ম ব্যবহার নিষিদ্ধ ]

[২৫] ত্রিপিটক বলে,,,

"১. সে সময় ষড়বর্গীয় ভিক্ষু চর্মপাদুকা পরিয়া গ্রামে গমন করিত। (তদ্দর্শনে) জনসাধারণ আন্দোলন, নিন্দা এবং প্রকাশ্যে দুর্নাম প্রচার করিয়া বলিতে লাগিল : “শাক্যপুত্রীয় শ্রমণগণ যেন কামসেবী গৃহী!” ভিক্ষুগণ ভগবানকে এই বিষয় জানাইলেন। (ভগবান কহিলেন :)

“হে ভিক্ষুগণ, চর্মপাদুকা পরিয়া গ্রামাভ্যন্তরে যাইতে পারিবে না; যে যাইবে তাহার ‘দুক্কট’ অপরাধ হইবে।”

২. সেই সময় জনৈক ভিক্ষু পীড়িত ছিলেন। তিনি চর্মপাদুকা ব্যতীত গ্রামে যাইতে সমর্থ হইতেছিলেন না। ভিক্ষুগণ ভগবানকে এই বিষয় জানাইলেন। (ভগবান কহিলেন :)

“হে ভিক্ষুগণ, আমি অনুজ্ঞা করিতেছি : রুগ্ন ভিক্ষু চর্মপাদুকা পরিয়া গ্রামে যাইতে পারিবে।”

আমার জিজ্ঞাসা:- তার মানে গ্রামের জুতা পরিধান করা যাওয়া যাবে না। শুধু মাত্র রুগ্ন হলেই!? এটা কেমন বিধান?

[ রেফারেন্স:- বিনয়পিটকে মহাবর্গ/ ৮. জুতা পায়ে গ্রামে গমন নিষিদ্ধ/ অনুচ্ছেদ (১,২) ]

( বিঃদ্রঃ আরো অনেক আছে আপাতত এতোটুকুই যথেষ্ট। পরবর্তীতে আরো দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ )

ইসলামের সাথে তূলনা

◾ইসলামে বাদ্যযন্ত্র হারাম কারণ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমেই অন্য ধর্মের লোকেরা পূজা করে। আর যেসব ভালো এবং বাদ্যযন্ত্র বিহীন গান কিংবা কবিতা তা ইসলামে হালাল।

[ রেফারেন্স:- সহীহ বুখারী হা/২৮৩৫ (ihadis.com) ]

◾ইসলামে যানবাহন হালাল। যানবাহনে চলাচল করাও হালাল।

[ রেফারেন্স:- সুনানে আবু দাঊদ হা/৩২৯৭ ]

◾ইসলামে ক্রয় বিক্রয় ও বাণিজ্য হালাল।

[ রেফারেন্স:- সহীহ বুখারী হা/২০৭৬ ]

◾ইসলামে জুতা পরিধানও হালাল।

[ রেফারেন্স:- সুনানে আবু দাঊদ হা/৪১৩৯ ]

দেখুন ইসলাম কিন্তু ত্রিপিটকের মতন অযৌক্তিক বা অজ্ঞতা পূর্ণ বিষয় বলে নি তার পরেও দাবি করা হয় ইসলাম নাকি সেকেলে ধর্ম।

উপসংহার

ইসলাম হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ বিধান। আপনি তখনি তা বেশি উপলব্ধি করতে পারবেন যখন তূলনা করবেন। নাস্তিক্যবাদে কোনই বিধান নেই। নাস্তিকতা হলো নিজ ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল যেটাই মন চায় সেটাই জায়েজ নাস্তিকতার ভিতরে। আর হিন্দুধর্মে তো বিধিবিধানের কোন অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। এই যে বেদ যাকে সংবিধান দাবি করা হয় এই বেদে ধর্ষণ সম্পর্কে কোন কথাই বলা নেই। আর বাইবেলে তো নবীরাই ধর্ষণ করে।(নাঊজুবিল্লাহ)
আরেকটি কথা বলে রাখা ভালো। আমরা কখনোই ধর্মের সমলোচনা করতে চাই না তবে ইসলামবিরোধীদের জন্য বাধ্য হতে হয়। তবে আমরা সমলোচনা করি না। না ব্যাবহার করি অশ্লীল বাক্য। বরং সত্যকে জানিয়ে দেই।

সুতরাং, আপনি স্বীকার করেন বা না করেন। ইসলামই হলো সর্বশ্রেষ্ঠ জীবনব্যবস্থা। আজ পর্যন্ত না কেউ দেখাতে পেরেছে না পারবে। কিয়ামত পর্যন্ত সময় দিলেও কেউ এমন একটি মতবাদ বা ধর্ম দেখাতে পারবে না যেটি ইসলামের থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং এমন একটিও ধর্ম দেখাতে পারবেনা যেটি মানবতার সকল সমস্যার সমাধান। OPEN CHALLENGE

আল্লাহ তায়ালা বলেন,,,

[৩:১৯] আল ইমরান

إِنَّ الدّينَ عِندَ اللَّهِ الإِسلامُ وَمَا اختَلَفَ الَّذينَ أوتُوا الكِتابَ إِلّا مِن بَعدِ ما جاءَهُمُ العِلمُ بَغيًا بَينَهُم وَمَن يَكفُر بِآياتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَريعُ الحِسابِ

নিশ্চয় আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের নিকট জ্ঞান আসার পরই তারা মতানৈক্য করেছে, পরস্পর বিদ্বেষবশত। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করে, নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত।

Post a Comment

1 Comments

  1. হাসতে হাসতে শেষ 🤣🤣🤣
    এরকম বৌদ্ধ ধর্মের আরো পোস্ট দেবার বিণীত অনুরোধ জানাচ্ছি✊
    আর আমি আমার টাইমলাইনে পোস্ট করবো

    ReplyDelete