কুরআনের ব্যাকারণগত ভুল নাকি ভাষার অলংকার!?


মুহাম্মদ আলী, সিরিজ - ১২
বিষয়:- কুরআনের ব্যাকারণগত ভুল নাকি ভাষার অলংকার!? 
____________________________________________________________________________

অভিজিৎ রায় আর আসিফ মহিউদ্দীন হঠাৎ কল দিলো মুহাম্মদ আলীকে। কলে আসিফ বলতে লাগলো,,, 

আসিফ:- তোর জন্য আমরা সামনের রেস্তোরায় অপেক্ষা করছি। চলে আয়, আমার সাথে সুরুজ আর অভিজিৎও আছে। 

মুহাম্মদ আলী:- আচ্ছা আসছি। 

[ মুহাম্মদ আলী এসে গেলো। চার কাপ চা আনা হলো। মুহাম্মদ আলী বলতে লাগলো ]

মুহাম্মদ আলী:- সকাল সকাল ডাকলি! কি ব্যাপার!? 

আসিফ:- তুই নাকি দয়ানন্দের সাথে কুরআন ব্যাকারণগত ভুল নিয়ে তর্ক করেছিস। আমার সাথে আয় সূরা ফাতিহা না বরং বহু বহু ব্যাকরণগত ভুল আছে। কয়টা লাগবে? 

মুহাম্মদ আলী:- তাই নাকি মশাই! আচ্ছা বলুন তো কয়েকটা। 

আসিফ:- শুন, কুরআন যদি আল্লাহর কথা হয়ে থাকে তাহলে কুরআনে কেনো একজায়গায় আমি, তিনি ব্যাবহার হয়েছে যদি সরাসরি আল্লাহর বাণী হয়ে থাকে তাহলে এমন আয়াত কেনো!? আবার আল্লাহকে আমরা বলে উল্লেখ করা তাহলে কি আল্লাহ বহুজন? তাহলে কি কুরআনে অন্যের কথা জিব্রাইল-মুহাম্মদ (সঃ) কিংবা অন্যাও মানুষের কথা যুক্ত করা!? ব্যাকারণগত ভুল নয়? 

[ মুহাম্মদ আলী চায়ে চুমুক দিয়ে বলতে লাগলো ]

মুহাম্মদ আলী:- কুরআনের বহু জায়গায় আল্লাহ কে আমরা বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এটা সম্মান বাচক হিসেবে। যেমন হিন্দিতে বলা হয় "हम" (হাম) ঠিক তেমনি। হিন্দিতে আবার "মেরা" বলার বদলে বলা হয় "হামারা"। তাই কুরআনে আমি আবার আমরা ব্যবহার হয়েছে যা আল্লাহর সম্মান বুঝায়। কিন্তু আল্লাহর বহু তা বুঝায় না। 
 قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, 
(সূরাঃ আল ইখলাস, আয়াতঃ ১)

আসিফ:- ওও তাই। তোর নাম আজ থেকে ত্যানামেন কারণ তুই সব সময় ত্যানা পেঁচানোর ধান্দায় থাকো! 

মুহাম্মদ আলী:- কোথায় ত্যানা পেলে একটু বলবে? তার পরে বললেন যে কুরআনে অনেক আয়াত রয়েছে যেখানে "আমি, তিনি" ব্যাবহার করা হয়েছে। তোমার প্রথম দেওয়া রেফারেন্সটি হচ্ছে সূরা ফাতিহা। সূরা ফাতিহা থেকে নাকি বুঝা যায় কুরআন অন্যের বাণী। (নাঊজুবিল্লাহ) 

اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ 
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।

مٰلِکِ یَوۡمِ الدِّیۡنِ 
যিনি বিচার দিনের মালিক।

اِیَّاکَ نَعۡبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسۡتَعِیۡنُ
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

اِہۡدِ نَا الصِّرَاطَ الۡمُسۡتَقِیۡمَ 
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,

صِرَاطَ الَّذِیۡنَ اَنۡعَمۡتَ عَلَیۡہِمۡ  
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। 

غَیۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ 
তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। 
এসব আর নতুন কিছু নয় সেই পুরাণ পেঁচাল। আসলে তোমরা ভুলে যাও কুরআন কোন মামুলি গ্রন্থ নয়। যে গ্রন্থ শুধু ইচ্ছে হলে পড়লাম আর ইচ্ছে হলে পড়লাম না। পবিত্র কুরআন আমাদের সঠিক পথ দেখানোর জন্য এসেছে। কুরআন শুধু আমরা অন্যান্য গ্রন্থের মতন পড়ি না। যেমন বাইবেলের যেসব ভার্স যা পড়লে একঘেয়েমি তৈরি হয়। কুরআন হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সাহিত্য একই সাথে অর্থবোধক। আর কুরআন এমন ভাবে আমাদের শিক্ষা দেয় যে আমরা একঘেয়ে হই না। পবিত্র কুরআন আমাদের পড়তে হয় নামাজে পড়তে হয় দোয়া হিসেবে পড়তে হয় আরো অনেক বিষয়ে। 
তাই আমাদের বুঝতে হবে কুরআন কোন সীমাবদ্ধ গ্রন্থ নয়। কুরআন আমাদের সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় এবং আমল করার গুরুত্বপূর্ণ পন্থা। কুরআনে বহু জায়গায় কথার বচন পাল্টানো হয়েছে। যার কারনে আমাদের একঘেয়েমি চলে যায়। 
আল্লাহ আমাদের বহু জায়গায় চ্যলেঞ্জ দিয়েছে কুরআনের মতন একটি গ্রন্থ তৈরি করে আনতে যদি সন্দেহ হয় কুরআন আল্লাহর কালাম নয়। 
কুরআনের মতন লিখা সম্ভব নয় এই কারণেই যে কুরআন একই সাথে সাহিত্যিক আবার অর্থবোধক এমন পারফেক্ট বচন ভঙ্গি। 
কুরআন আমাদের সব সময় কাছে থাকার জন্যই কুরআনের এই বচন ভঙ্গি। অনেক আয়াতে আল্লাহ নিজেকে তিনি আবার আমি বলে সম্বোধন করেছেন। কারণ কুরআন কোন জায়গায় সীমাবদ্ধ নয়। আমরা তা নামাজে দোয়াতে পাঠ করি। কিন্তু আমরা মানুষরা কোন গ্রন্থ লিখলে "আমি আমি" সব জায়গায় দিয়ে থাকি কিন্তু কুরআন বাচন ভঙ্গি পাল্টোয়ে গভীর ও মনযোগ তৈরি করে। এই কারণেই পৃথিবীতে সব থেকে পঠিত গ্রন্থ হলো কুরআন। 
শত শত বার পড়লেও কুরআন নতুনের মতন। তার বচন ভঙ্গি হলো মুগ্ধকর। আরবের লোকেরা কখনো এমন অভিযোগ আনতো না কুরআন শুনে কিন্তু আজকের বঙ্গীয় নাস্তিকরা আরবী ভাষায় যেনো PHD করে ফেলেছে। 
সূরা ফাতিহার অনেক রকমের গুনযুক্ত নাম রয়েছে। 
آدَمُ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِيْ ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيْدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُمُّ الْقُرْآنِ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِيْ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيْمُ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, উম্মুল কুরআন (সূরাহ ফাতিহা) হচ্ছে বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহা কুরআন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৭০৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
আমি উপরেই বলেছি আল্লাহ কুরআনকে এমন ভাবে নাজিল করেছেন এমন বচন ভঙ্গি দিয়েছেন যা খুবি মুগ্ধকর। নাস্তিকের কাছে হয়তো নয়। এই যে সূরা ফাতিহা এটি আল্লাহ আমাদের "আল্লাহর" হামদ বলার জন্যই দিয়েছে। তাই সূরা ফাতিহাকে সূরাতুল হামদও বলা হয়। 
যখন কোন মুসলিম নামাজে বলে (اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ) তখন আমার আল্লাহ বলেন "আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে"।
▫ সুতরাং,,আমরা দেখলাম সূরা ফাতিহা যে আল্লাহ আমাদের বুঝার ও পড়া এবং উপলব্ধি ও অন্তরের গভীরে প্রবেশ করার জন্য দিয়েছেন তা উপরের বিশ্লেষণ থেকেই বুঝলাম। যখন বান্দা সূরা ফাতিহা পড়ে আল্লাহ তার জবাব দেন। এমন অনেক আয়াত আছে তাই বুঝতে হবে কুরআন কোন সীমাবদ্ধ গ্রন্থ নয়। বরং একটি ঐশী সাহিত্যিক অর্থবোধক ভাষার অলঙ্কার ও শ্রেষ্ঠ বচন ভঙ্গির গ্রন্থ। 
কুরআনে এমন অনেক আয়াত আছে। যেখানে আল্লাহ বচন ভঙ্গি পাল্টে দিয়েছেন ঘুরিয়ে দিয়েছেন। কুরআনের অনেক আয়াতে আল্লাহ বচন ভঙ্গি পাল্টিয়ে মানবজাতিকে লক্ষ্য করে বলেন আবার অনেক আয়াতে নিজেই মানবজাতিকে শিখিয়ে দেন বলার জন্য। অনেক আয়াতে আল্লাহ নবীকে উদ্দেশ্যে করে আয়াত দেন নানা বচন ভঙ্গিতে। আর এটাকেই ব্যাকরণ গত ভুল বলছেন। এমন অনেক আয়াত আছে। 
তার কিছু হলো,,, 
হে মানবসমাজ, তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন। 
[ কুরআন ৪ঃ১ ]
যে কেউ আল্লাহ ও রাসুলের অবাধ্যতা করে ও তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন । 
[ কুরআন ৪ঃ১৪ ]
আর তোমরা আকাংক্ষা করো না এমন বিষয়ে যাতে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের একের ওপর অন্যের শ্রেষ্টত্ব দান করেছেন। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ, নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত।
[ কুরআন ৪ঃ৩২ ]

[ মুহাম্মদ আলী এক গ্লাস পানি ঢক ঢক করে পান করলো। আর সকলে চুপচাপ শুনতে লাগলো ]

মুহাম্মদ আলী:- দেখুন আয়াতগুলো কিন্তু একটাও ভুল নয় বরং সরাসরি আল্লাহর কথা। আর আমি উপরেই বলছি আল্লাহ বচন ভঙ্গি পাল্টিয়ে অনেক আয়াত দিয়েছেন যা একঘেয়েমি তৈরি করে না। আল্লাহ নবীকে বলার জন্য নবীকে লক্ষ্য করে তিনি সরাসরি বানী পাঠিয়েছেন। আর সূরা ফাতিহা আমাদের প্রতি তার হামদের জন্য পাঠিয়েছেন। এই সুক্ষ্ম বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এই বাচন পাল্টে যাওয়া আরবী ভাষায় "ইলতিফাত"। 
যেমন একটি আয়াতে আল্লাহ শব্দের বচন পাল্টে দিয়েছেন। 
وَهُوَ الَّذِي أَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجْنَا بِهِ نَبَاتَ كُلِّ شَيْءٍ فَأَخْرَجْنَا مِنْهُ خَضِرًا نُخْرِجُ مِنْهُ حَبًّا مُتَرَاكِبًا وَمِنَ النَّخْلِ مِنْ طَلْعِهَا قِنْوَانٌ دَانِيَةٌ وَجَنَّاتٍ مِنْ أَعْنَابٍ وَالزَّيْتُونَ وَالرُّمَّانَ مُشْتَبِهًا وَغَيْرَ مُتَشَابِهٍ ۗ انْظُرُوا إِلَىٰ ثَمَرِهِ إِذَا أَثْمَرَ وَيَنْعِهِ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكُمْ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন অতঃপর আমি এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি, অতঃপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করি। খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি, যা নুয়ে থাকে এবং আঙ্গুরের বাগান, যয়তুন, আনার পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত এবং সাদৃশ্যহীন। বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য কর যখন সেগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপক্কতার প্রতি লক্ষ্য কর। নিশ্চয় এ গুলোতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদারদের জন্যে। 
(সূরাঃ আল আনআম, আয়াতঃ ৯৯)
এখানে তিনি হলেন আল্লাহ। আর পরের লাইনে বচন পাল্টে আমি ব্যাবহার হয়েছে। কিন্তু আয়াতে তিনিও আল্লাহ আর আমিও আল্লাহ। প্রথমে তিনি দিয়ে শুরু করেছেন। পরে থেকে আমি দিয়ে বলে গেছে। 
▫ তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন
▫ অতঃপর আমি এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি,
▫ অতঃপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করি
প্রথমে উচু ভাবে তিনি বলা হয়েছে পরে বচন পাল্টানো হয়েছে। এটা আরবী ভাষার লোকেরা ঠিকই বুঝেছে কিন্তু বঙ্গীয় নাস্তিক নয়। আর কুরআন যদি মানুষও লিখিত তাহলেও বাইবেলের মতন লেখা যেতো একটি গল্পের বইয়ের মতো। কিন্তু কুরআন শ্রেষ্ঠ সাহিত্য এবং সাথে অর্থবোধক। যদি একই আয়াতে "তিনি আবার আমি আবার তিনি" ব্যাবহার হতো তাহলে কথা ছিলো। তবে এই আয়াতে প্রথমে উচু ভাবে তিনি পরে আমি আমি বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা জিব্রাইলের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন বার্তা। আর মনে রাখতে হবে প্রথমে তিনি বলা হয়েছে কারণ আল্লাহ হলেন অহংকারী ও সর্বশক্তিমান সর্বশ্রেষ্ঠ।

তাই ধরুন আমি একজন রাজা আসীফের কাছে বার্তা পাঠাবো অভিজিৎ এর মাধ্যমে। 

আমি অভিজিৎকে বললাম যাও বৎস আসীফকে গিয়ে বলে আসো 

"তিনি সব খাজনা মওকুফ করেছেন। সুতরাং আমি সেই খাজনা পরের বৎসর নিবো"

এখন অভিজিৎ আসীফকে গিয়ে বলল রাজামশাই এর কাছ থেকে বার্তা এসেছে। রাজা মশাই বলেছেন 
"তিনি এ বছরের খাজনা মওকুফ করব না। কারণ আমি সেই খাজনা জমিয়ে রাখবো"

ঠিক একই রকমের। এই যেমন জিব্রাইল (আঃ) বলেন "আমি জিব্রাইল" [১৩] (সুনানে নাসায়ী ৪৪৮) 

এখন আল্লাহ যেহেতু মহান, সর্বশক্তিমান তাই আল্লাহ নিজেকে তিনি বলেছে তার পর আমি বলে বলেছেন। এটাই বচন ভঙ্গি পাল্টানো।

ওহী তো আল্লাহ দিয়েছেন অর্থাৎ সেই কথাটাও আল্লাহর। তিনিও আল্লাহ আর আমিও আল্লাহ। আমায় যদি আসীফ নামে কেউ বলে যে রফিককে গিয়ে বলে আসো 
"তিনি জার্মান ভিক্ষুক নন আর না আমি মূর্খ"

এখানে "তিনি" ও হলেন আসীফ আর "আমি" হলেন আসীফ। শুধু মাত্র বচন ভঙ্গি পাল্টানো হয়েছে আর কিছু নয়। 

আসিফ:- হা হা হা যত্যসব গোঁজামিল। 

মুহাম্মদ আলী:- এক কথায় এসব হলো ইলতিফাত। আল্লাহ নিজেকে একসময় দ্বিতীয় পুরুষ। আবার প্রথম পুরুষ আবার তৃতীয় পুরুষে পরিবর্তন করেন। 

আল্লাহ নিজেকে তৃতীয় পুরুষ (Person) থেকে প্রথম পুরুষে পরবির্তন করেন এটাই ইলতিফাত এবং এটাই ভাষার অলংকার। আল্লাহ হঠাৎ বচনভঙ্গি বদলে ফেলেন।
( তাদাব্বুরে কুরআন — পৃষ্ঠাঃ- ৭৮৮ ) 

আশা করি বুঝেছো। ইলতিফাত সম্পর্কে জানলে আর এসব নিয়ে সমস্যা থাকতো না। ইলতিফাত সম্পর্কে জেনে আসো। এসব কুরআনের অলংকার যা তোমরা বঙ্গীয় নাস্তিকরা বুঝবে না। 

[ সকলে নিশ্চুপ। মুহাম্মদ আলী ঢক ঢক করে পানি পান করলো। আসিফ সহ সবাই চলে গেলো যার যার বিল দিয়ে। ]

Post a Comment

0 Comments