বিসমিল্লায় গলদ??


গলদ সমাচার পর্ব-১
Author:- SH Shakib
বিষয়ঃ বিসমিল্লায় গলদ??
__________________________________________________________________________________

নাস্তিকঃআপনারা যে  কুরআন পড়েন সেটা আল্লাহর বানী নাকি মানুষের??
হুজুরঃ এমনটা কেন মনে হলো আপনার?
নাস্তিকঃ সূরা ফাতিহা দেখে।

হুজুরঃ কেন?

নাস্তিকঃ প্রথম আয়াতেই ত বলা,"পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি।"আল্লাহ নিজের নাম দিয়ে কেন শুরু করেছেন?
নাকি আল্লাহ তার আল্লাহর নাম দিয়ে শুরু করেছেন?
নাকি এটা মানুষের কথা?😃
হুজুরঃ তার আগে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন।

নাস্তিকঃ কী প্রশ্ন?

হুজুরঃ দরখস্তে বক্তব্য কী লিখে শুরু করতে হয়?
নাস্তিকঃ সবিনয় নিবেদন এই যে/বিনীত নিবেদন এই যে......
হুজুরঃ এটা কার থেকে শিখেছেন?

নাস্তিকঃ স্কুলেই ত শিক্ষকের কাছ থেকে শিখেছি।কিন্তু কেন?

হুজুরঃ আপনি বললেন,"সবিনয় নিবেদন এই যে..."।এমন কথা শিক্ষক কীভাবে বলতে পারে?আবেদন ত শিক্ষকের কাছেই করতে হয়।তাই না?

নাস্তিকঃ হুম।

হুজুরঃ ত শিক্ষক কি নিজের কাছেই আবেদন করছেন?নাকি শিক্ষক তার শিক্ষকের কাছে আবেদন করছেন?
আর এটা শিক্ষকে কীভাবে শেখাতে পারে??এ ত শিক্ষকের নয়,কোনো ছাত্রের বানানো কথা মনে হচ্ছে।😑
নাস্তিকঃ এত কথা পেচাচ্ছেন কেন!!শিক্ষক ছাত্রদের শেখাচ্ছেন কীভাবে দরখস্ত লিখবে।তাই তিনি এভাবে বলেন।

হুজুরঃ সূরা ফাতিহার ব্যাপারটাও ওরকম।মানুষের কীভাবে কোনো কাজ শুরু করা উচিত তা আল্লাহ শিখিয়ে দিচ্ছেন,যেমনটা শিক্ষক ছাত্রদের দরখস্ত শেখাতে করেন।

নাস্তিকঃ কিন্ত কাউকে কোনো কিছু বলার সময়, "বলো,পরম করুণাময়ের নামে শুরু করছি"---এমনটা বলতে হয়।এই আয়াত এমন নয় কেন??

হুজুরঃ আপনি ত দেখেছেন যে শিক্ষক নিজেই বোর্ডে দরখস্ত লিখতে থাকে আর ছাত্রদের বলে যে,"লেখ,সবিনয় নিবেদন এই যে..."।তাই না?
নাস্তিকঃ হুম।
হুজুরঃ কিন্ত দরখস্তে "লেখ" বলে কোনো শব্দ থাকে না কেন?
নাস্তিকঃ কারণ ছাত্ররা স্পষ্ট বুঝতে পারে যে,ওটা স্যারের নির্দেশ।আর ওটা দরখস্তের অংশও নয়।তাই সার লেখে না।
হুজুরঃ তেমনি আমরাও সহজেই বুঝতে পারি যে আল্লাহ ওটা বলতে নির্দেশ দিয়েছেন।তাই আয়াতে "বল" শব্দটা থাকার দরকারও নেই, যেমনটা দরখস্তের ক্ষেত্রে হয়েছে।
নাস্তিকঃ অ
হুজুরঃ কিন্ত নাস্তিকতা নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন ছিল।
নাস্তিকঃ না...ইয়ে মানে.... আজ আর না।তাড়াতাড়ি ছোটঘরে যেতে হবে মনে হচ্ছে😓...আসি হুজুর😓😓

Post a Comment

0 Comments