ইসলাম কি চিকিৎসা বিষয়ে ভুলতথ্য দেয়?

ইসলাম কি চিকিৎসা বিষয়ে ভুলতথ্য দেয়?
🖋Author:- Aminur Rashid
💕 ধন্যবাদন্তে:- Ahmed Ali
____________________________________
___________________________________


.
আসসালামু আলাইকুম
.
সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার। আজ আলোচনা করব ইসলামে চিকিৎসা বিষয়ে ভুল তথ্য দে কি না। আসুন ইসলাম বিরোধীদের অভিযোগ গুলির জবাব দেওয়া যাক,,,
.
_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_- ◾ আজওয়া খেঁজুর কি বিষ থেকে রক্ষা করে?
_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-
.
.
💕 জবাব:- একটি হাদিস থেকে অভিযোগটি করে হয় সেটা নিম্নরূপ,
.
جُمْعَةُ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ هَاشِمٍ أَخْبَرَنَا عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرَّه“ فِي ذ‘لِكَ الْيَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ.

সা’দ (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলায় সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না।[১]
.
এমন আরো অনেক সহীহ হাদিস রয়েছে।[২]
.
তো এই হাদিসে বলা হয়েছে আজওয়া খেঁজুর।এখনে লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে কোন আজওয়া খেঁজুর সেটা কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলা হয় নি। অনেক রকমের আজওয়া খেঁজুর রয়েছে কিন্তু সেটা কোন আজওয়া খেঁজুর সেটা উল্লেখ করা হয় নি। তাই মুসলিমরা কখনো আজওয়া খেঁজুর খেয়ে বিষ পান করে মারা গেলে এতে হাদিস ভুল প্রমাণিত হবে না কারণ নবী মুহাম্মদ (স:) কোন আজওয়া খেঁজুরের কথা বলেছেন তা স্পষ্ট নয়। এমন কি সেই আজওয়া খেঁজুর যে একদম আলাদা সেটা আরেকটি হাদিস থেকে বুঝা যায়,,,
.
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا مَطَرٌ الْوَرَّاقُ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كُنَّا نَتَحَدَّثُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَذَكَرْنَا الْكَمْأَةَ فَقَالُوا هِيَ جُدَرِيُّ الأَرْضِ ‏.‏ فَنُمِيَ الْحَدِيثُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ ‏ "‏ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَالْعَجْوَةُ مِنَ الْجَنَّةِ وَهِيَ شِفَاءٌ مِنَ السَّمِّ ‏"‏ ‏.‏

আবু হুরায়রাহ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ:

আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে আলোচনারত ছিলাম। আমরা ছত্রাকের উল্লেখ করলে কতক সাহাবী বলেন, ছত্রাক জমিনের বসন্তরোগ। কথাটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কর্ণগোচর হলে তিনি বলেনঃ ছত্রাক হলো ‘মান্ন’-এর অন্তর্ভুক্ত। আজওয়া হলো জান্নাতের খেজুর এবং বিষের প্রতিষেধক।[৩]
.
এই হাদিসে বলা হয়েছে আজওয়া হলো জান্নাতের খেঁজুর এবং বিষের প্রতিষেধক। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম যে যে আজওয়া খেঁজুর নবী মুহাম্মদ (স:) খেতেন সেটা আলাদা আর সেই খেঁজুর কোনটা সেটা নির্দিষ্ট করে বলা হয় নি। জান্নাতেও আজওয়া খেঁজুর থাকবে যেটা হচ্ছে বিষের প্রতিষেধক।
.
কিন্তু পৃথিবীর বুকে নবী মুহাম্মদ (স:) যে আজওয়া খেঁজুর খেয়েছে সেটা কোনটা ও সেটা কি এখনো আছে নাকি নেই আমরা তা জানি না তাই আমরা যদি বিষ খেয়ে মারা যাই এতে হাদিস ভুল হবে না।
.
আর জান্নাতের ফলমূল দেখতে এক হলেও তা খেলে বুঝা যাবে যে ফলমূল সম্পূর্ণ আলাদা। এগুলি না কোন চক্ষু দেখেছে না শ্রবণ করেছে এ ব্যাপারে না মানুষের অন্তরে খেয়াল এসেছে। এমন স্বাদ ও সম্পূর্ণ আলাদা ফলমূল। [৪]
.
তাই আমরা বুঝলাম যে নবী মুহাম্মদ (স:) নির্দিষ্ট করে বলেন নি কোন আজওয়া খেঁজুর। তাই কোন আজওয়া খেঁজুর খেয়ে যদি বিষ পান করা হয় তাহলে একজন মানুষ বাঁচতেও পারে বা মরতেও পারে কারণ সেই আজওয়া খেঁজুর যে কোনটা সেটা বলা হয় নি। অনেক ধরনের আজওয়া খেঁজুর রয়েছে।
.
আর হাদিসে আরেকটি লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে নবী মুহাম্মদ (স:) বলেছেন "যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলায় সাতটি আজওয়া (উৎকৃষ্ট) খেজুর খাবে" অর্থাৎ আজওয়া খেঁজুর তার নিয়মিত খাওয়া চাই হঠাৎ খেয়ে বিষ পান করলে সেটা কাজ হবে কিভাবে? আবার কোন আজওয়া তা নির্দিষ্ট করে বলা হয় নি। আর সেই আজওয়া খেতে হবে প্রতিদিন সকালে। তাহলে প্রতিদিন যে খায় না সে এটা পরীক্ষা করবে কিভাবে?? নবী মুহাম্মদ (স:) বলেছেন যে প্রতিদিন খাবে। তাই এটাও লক্ষনীয় বিষয়।
.
▪ অতএব,,, হাদিস কখনো ভুল নয় পৃথিবীতে বহু রকমের আজওয়া খেঁজুর রয়েছে আর নবী মুহাম্মদ (স:) কোন আজওয়া খেঁজুর এর কথা বলেছেন সেটা স্পষ্ট নয় আর সেই আজওয়া খেঁজুর প্রতিদিন যে সকালে খায় তার কথা বলা। তাই কেউ যদি বিষ খেয়ে মারাও যায় সেটা কোন ভাবেই হাদিস ভুল করবে না কারণ হাদিসে কোন আজওয়া খেঁজুরের কথা বলা তা স্পষ্ট নয় এবং সেই খেঁজুর খেতে হয় নিয়মিত। নিয়মিত না খেলে কোন কাজ হবে না। আর সবশেষে বলব হাদিসে বলা হয়েছে বিষ কিন্তু এই বিষ যে মৃত্যু হওয়ার মতন বিষ তা বলা হয় নি। আর এই হাদিসের ব্যাখ্যা থেকে জানা যায় যে এই বিষ মৃত্যু হওয়ার মত ক্ষতিকর বিষ নয়।
.
"খেজুর এমনই এক ধরণের ফল যেটি পুষ্টিকর এবং ঔষধি গুণসম্পন্ন, যা অধিকাংশেরই শরীরের জন্য অনুকূল এবং প্রাকৃতিক তাপ উৎপাদনে বলকারক ভূমিকাসম্পন্ন। তদুপরি খেজুর, অন্যান্য খাবার আর ফলের মত ক্ষতিকারক বর্জ্য উৎপাদন করে না। বরং খেজুর শরীরের বর্জ্যকে পচন হতে রক্ষা করে বিশেষ করে তাদের জন্য যারা শুকনো খেজুর খেতে অভ্যস্ত।"[৫]
.
তাই এখানে আমরা বুঝলাম যে বিষ দিয়ে "মৃত্যু অনিবার্য এমন ক্ষতিকর বিষের কথা বলা হয় নি"। এটা আরো ভালোভাবে পরিষ্কার হয় যখন আমরা আরবী ইবারতটি দেখি সেখানে আরবী "সাম্ (سَّمِّ) যার অর্থ হল বিষ (poison) অথবা উপবিষ (Toxin)।" তাই আমরা ব্যাখ্যা ও হাদিস থেকে বুঝলাম যে আসলে এখানে উপবিষ (Toxin) হবে। মৃত্যু অনিবার্য এমন কোন ক্ষতিকর বিষ থেকে নয়। তাই যদি কেউ আজওয়া খেঁজুর খায় তাতে সে অনেক উপকারী লাভ করে যা বৈজ্ঞানিক ভাবে স্বীকৃত।[৬]
.
তাই এই হাদিসটা কোনভাবেই অবৈজ্ঞানিক বা ভুল নয়।
.
.
.
_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-
◾ছত্রাক কি চোখের জন্য নিরাময়?
_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-
.
.
💕 জবাব:- এই বিষয়ে প্রথমে আমরা হাদিসটি দেখে নেই,,,
.
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، سَمِعَ عَمْرَو بْنَ حُرَيْثٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، يُحَدِّثُ عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّ ‏ "‏ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ ‏"‏ ‏.‏

সাঈদ বিন যায়দ বিন আমর বিন নুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ছত্রাক হলো ‘মান্ন’-এর অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ বনী ইসরাঈলের আহারের জন্য নাযিল করেছিলেন। এর নির্যাস চক্ষুরোগের প্রতিষধক। [৭]
.
এখানে আরবী শব্দটা (الْكَمْأَةُ) ব্যাবহার হয়েছে যা দিয়ে সাধারণ ছত্রাক বুঝায় না। আর এই হাদিসটি অবৈজ্ঞানিক নয় বরং একটি বৈজ্ঞানিক বিষয় কারণ চোখের রোগ, পিঙ্ক আই (চোখ উঠা) নামেও পরিচিত, যা প্রায়ই শিশু এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের আক্রান্ত করে থাকে। যাদের অটোইমিউন ডিসঅর্ডার রয়েছে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে ব্যাক্টেরিয়াজনিত কঞ্জাঙ্কটিভাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
এই রোগ সাধারণত Staphylococcus aureus নামক ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এর কারণে হয়ে থাকে। [৮]
.
আর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে,ট্রাফল জাতীয় ছত্রাক এর নির্যাস Staphylococcus aureus এর বৃদ্ধি ৬৬.৪% পর্যন্ত রোধ করে।ফলে ব্যাক্টেরিয়া সুবিধা করতে পারেনা এবং রোগ নিরাময় হয়। [৯]
.
তাহলে হাদীস কখনোই অবৈজ্ঞানিক নয় বরং একটি বৈজ্ঞানিক নিদর্শন।
.
.
_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-
◾কালিজিরা কি সকল রোগের ঔষধ!? 
_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-
.
কালিজিরা নিয়ে নাস্তিকদের চুলকানি শেষ হবে না। আসলে নবী মুহাম্মদ (স:) বুঝিয়েছেন একটি আর নাস্তিকরা বুঝে আরেকটি। এই হাদিসটি,,,
.
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَارِثِ الْمِصْرِيَّانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، أَخْبَرَهُمَا أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ فِي الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ شِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ السَّامَ ‏"‏ ‏.‏ وَالسَّامُ الْمَوْتُ ‏.‏ وَالْحَبَّةُ السَّوْدَاءُ الشُّونِيزُ ‏.‏

আবু হুরায়রাহ (রাঃ), থেকে বর্ণিতঃ:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ কালিজিরায় মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের নিরাময় আছে। ‘আস-সাম’ অর্থ মৃত্যু, হাব্বাতুস সাওদা অর্থ কালিজিরা। [১০]
.
হাদিসে বলা হয়েছে "কালিজিরা মৃত্যু ব্যাতীত সকল রোগের নিরাময়" ঔষধ নয় বরং নিরাময়। কিন্তু মৃত্যুর সময় কালিজিরা কোন কাজে আসবে না কোন ঔষধ এমন কি মৃত্যু থেকে বাঁচাতে পারে না কোন ডাক্তার। তো এই হাদিসে বলা হয়েছে সকল রোগের নিরাময়। আজ আমরা জানি যে কালিজিরায় অনেক উপকারীতা আছে। কালিজিরার মধ্যে যে কেরটিন যা ক্যান্সার রোগের জন্যও উপকারী এবং অম্ল রোগের জন্যেও। [১১]
.
শুধু তাই নয় কালিজিরায় রয়েছে অনেক উপকার যা নবী মুহম্মদ (স:) খেতে বলেছেন সেই কালিজিরায় রয়েছে অনেক উপকার।
.
১) কালো জিরার তেল মাথা ব্যাথা সারাতে দারুন উপকারী । কালো জিরার তেল কপালে মালিশ করলে এবং তিন দিন খালি পেটে ১ চা চামচ তেল খেলে আরোগ্য লাভ করা যায় ।
২) চুল শ্যাম্পু করার পর শুকিয়ে নিন। এবার পুরো মাথায় কালো জিরার তেল ভাল মতো লাগান । এক সপ্তাহ নিয়মিত করলে চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
৩) যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে তারা বুকে ও পিঠে কালো জিরার তেল মালিশ করতে পারেন,উপকার পাবেন।
৪) কালো জিরার তেল ও চূর্ণ ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। নিয়মিত সেবনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ।
৫) চা বা গরম পানির সাথে কালো জিরার তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি শরীরের বাড়তি মেদও কমে ।
৬) এক কাপ দুধ ও ১ চা চামচ কালো জিরা তেল একসাথে মিশিয়ে দৈনিক পান করুন। পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা কমে যাবে ।
৭) যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা দৈনিক কোন না কোন ভাবে কালো জিরা সেবনের চেষ্টা করুন, কারন কালো জিরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গরম ভাতের সাথেও কালো জিরার ভর্তা খেতে পারেন ।
৮) জ্বর হলে সকাল-সন্ধায় লেবুর রসের সাথে কালো জিরার তেল পান করুন । জ্বর দ্রুত সেরে যাবে ।
 ৯) হাঁটুর ব্যাথা সারাতে রোজ রাতে কালো জিরার তেল হাঁটুতে মালিশ করুন ,হাঁটুর ব্যাথা কমে যাবে ।
১০) ছুলি বা শ্বেতী হলে আক্রান্ত স্থানে আপেলের টুকরো দিয়ে ঘষে নিন,তারপর কালো জিরার তেল লাগান । এভাবে ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত লাগান।
১১) কালো জিরা নারী ও পুরুষে উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । বিশেষ করে পুরুষদের জন্য খুব উপকারি । নিয়মিত কালো জিরা সেবনে পুরুষত্ব হীনতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
১২) বাতের ব্যাথা সারাতে কালো জিরার তেল নিয়মিত মালিশ করুন । [১২]
.
.
তো আমরা দেখলাম কালিজিরায় অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে রোগ নিরাময়ের। এবার আসি মূল কথায় যে আসলেই কি সকল রোগের ঔষধ। উত্তর হচ্ছে কালিজিরা সকল রোগের ঔষধ নয় বরং নিরাময়। সকল রোগেই কালিজিরা একটু আকটু উপকার দিবেই।
.
এবার আপনি চলে যান নবী মুহাম্মদ (স:) এর সময়ে নবী মুহাম্মদ (স:) বলেছেন কালিজিরা সকল রোগের নিরাময় মৃত্যু ব্যাতীত। তিনি এটা দিয়ে বুঝিয়েছেন যে সকল রোগে যদি কালিজিরা খান তাহলে উপকার হবে। এর পরিমাণ কম বেশি হতেই পারে। কিন্তু পুরোপুরি যে হবে তা নবী মুহাম্মদ (স:) কখনোই আমাদের বুঝায় নি। নবী মুহাম্মদ (স:) এর সময় যে রোগ ছিলো তখন কি তিনি কালিজিরা খেয়েছেন??? আসুন হাদিসটি দেখি,,,
.
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ عُمَرَ خَرَجَ إِلَى الشَّأْمِ فَلَمَّا كَانَ بِسَرْغَ بَلَغَه“ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّأْمِ فَأَخْبَرَه“ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ بِه„ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

‘উমার (রাঃ) সিরিয়া যাবার জন্য বের হলেন। এরপর তিনি ‘সারগ’ নামক স্থানে পৌছলে তাঁর কাছে খবর এল যে সিরিয়া এলাকায় মহামারী দেখা দিয়েছে। তখন ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) তাঁকে জানালেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা কোন স্থানে এর বিস্তারের কথা শোন, তখন সে এলাকায় প্রবেশ করো না; আর যখন এর বিস্তার ঘটে, আর তোমরা সেখানে অবস্থান কর, তাহলে তা থেকে পালিয়ে যাওয়ার নিয়তে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না। [১৩]
.
এই হাদিসটা দেখুন নবী মুহাম্মদ (স:) বলেছেন যেখানে মহামারী-প্লেগ ইত্যাদি সেখানে কেউ না যেতে এবং সেখান থেকে কেউ অন্য স্থানে গমন না করতে। আচ্ছা নবী মুহাম্মদ (স:) যে বললেন কালিজিরার কথা তিনি কি সেই মহামারীতে বলেছেন??? যে কোন কিছু করা লাগবে না কালিজিরা খাও??? বলছেন??? উত্তর হচ্ছে না। তিনি আমাদের যেটা বুঝিয়েছেন সেটা নাস্তিকরা বিকৃত করে তার প্রমাণ এই হাদিস।
.
নবী মুহাম্মদ (স:) আমদের বুঝাতে চেয়েছেন যে সকল রোগে যদি কালিজিরা খাওয়া হয় সেটা হবে নিরাময় পরিমাণ কম বেশি হতেই পারে কিন্তু তিনি কখনো বলেন নাই যে কালিজিরা খেলে রোগ শেষ হয়ে যাবে পুরোপুরি। তিনি এমন ভাবলে মহামারীর সময় এটাই করতে বলতেন।
.
এই যে মাথা ব্যাথা হলে আমরা নাপা খাই এই নাপা খেলে কারো কারো মাথা ব্যাথা শেষ হয় কারো নাপা খেলে শেষ হয় না। তাদের অন্য ঔষধ খেতে হয়। 💊
.
এখন কি বলবেন নাপা কোন কাজের না??? নাপা ফালতু??? আসলে নাপা ঠিকি মাথা ব্যথা জন্য নিরাময় এতে সেই উপাদান আছে কিন্তু তা দিয়ে যে সবার মাথা ব্যথা যাবে তা কিন্তু নয়। এটা সুক্ষ্ম পার্থক্য। তাই কালিজিরাও সকল রোগেও আমাদের জন্য নিরাময় এবং উপকার দান করেন। কিন্তু তা পুরোপুরি রোগ নিরাময় করে না। যা আমরা দেখলাম নবী মুহাম্মদ (স:) এর হাদিস থেকে।
.
তাই নাস্তিকরা এমনই তারা একটু বেশিই বুঝে। এর কারণ একটাই তাদের পূর্বপুরুষ তো ছিলো পশুজাত তাই পশুর আচার আচরণ থাকবেই। পশুর যেমন জ্ঞান নেই বুদ্ধি নেই ঠিক তদরূপ।
.
.
◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼◼
.
এবার বলব আমাকে খ্রিষ্টান-হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের লোকদের নিচে যা বলা হয়েছে তা কতটুকু উপকারী??? আমাকে এর উপকারী দেখানো হোক। রেফারেন্স সহ দেখান এসবের Benefit কি কি।
.
.
খ্রিষ্টান ধর্ম
.
🔖মানুষের মল
📓 Ezekiel 4:9-12
📌(৪:৯) ঈশ্বর আরও বললেন, “তুমি অবশ্যই কিছু শস্য নিয়ে এসে রুটি তৈরী কর। গম, বার্লি, বীন, মসুর, ভুট্টা ও কাজু এই সব কিছু কিছু পরিমাণ নাও। এই সমস্ত একটি পাত্রে নিয়ে মেশাও, তারপর তা গুঁড়ো করে তা দিয়ে আটা তৈরী করে রুটি বানাও। তুমি ৩৯০ দিন ধরে কেবল সেই রুটি খাবে।
📌(৪:১০) প্রতিদিন কেবল ১ পোয়া ময়দা নিয়ে রুটি বানাবে। সারা দিন ধরে মাঝে মাঝে সেই রুটি খেও।
📌(৪:১১) আর প্রত্যেকদিন কেবল ৩ পেয়ালা জল পান করো। সময় সময় সমস্ত দিন ধরেই তা খেতে পার।
📌(৪:১২) প্রতিদিন, নিজের রুটি তৈরী করবে। কিছু মানুষের মল নিয়ে তা আগুনে পুড়িও। তারপর সেটা যখন পুড়ছে তখন রুটিটা সেঁকো। যেখানে লোকরা তোমাকে দেখতে পাবে সেখানে রুটিটা খাবে।
.
🔖গোবর
📓 Ezekiel 4:15
(৪:১৫) তখন ঈশ্বর আমায় বললেন, “ঠিক আছে! রুটি পাক করার জন্য গোবরের ঘুঁটে ব্যবহার করো। মানুষের মল ব্যবহার করার দরকার নেই।
.
🔖মল-মূত্র
📓 2 Kings 18:27
(১৮:২৭) কিন্তু এই সেনাপতি রব্শাকি তখন বললেন, “আমাদের রাজা আমায় কেবলমাত্র তোমার বা তোমার রাজার সঙ্গে কথা বলতে পাঠান নি। আমি দেওয়ালের ওপরে বসে থাকা লোকদের সঙ্গেও কথা বলছি। কারণ তাদেরও তোমাদের মতো নিজেদের বিষ্ঠা খেতে হবে, আর নিজেদের মূত্র পান করতে হবে!"
.
📌"তারা হাতে সাপ নিবে এবং তারা বিষ খাবে তবুও মরবে না" (নব বিধান, মার্ক ১৬:১৮)
📌”যাঁরা বিশ্বাস করবে এই চিহ্নগুলি তাদের অনুবর্তী হবে৷ আমার নামে তারা ভূত তাড়াবে, নতুন নতুন ভাষায় কথা বলবে” (মার্ক ১৬:১৭)
📌"ছোট্ট সরষে দানার মতো এতটুকু বিশ্বাসও যদি তোমাদের থাকে, তবে তোমরা যদি এই পাহাড়কে বল, ‘এখান থেকে সরে ওখানে যাও’ তবে তা সরে যাবে৷তোমাদের পক্ষে কিছুই অসম্ভব হবে না৷’
(মথি : ১৭:২০)
.
🕉 হিন্দুধর্ম 🕉
.
হিন্দুধর্মে গো-মূত্র খেয়ে উপবাস করার আদেশ দেয়।
📔 Manusmriti 11/213

(Subsisting on) the urine of cows,cowdung, milk, sourmilk, clari ed butter, and a decoction of Kusa-grass, andfasting during one (day and) night, (that is) called aSamtapana Krikkhra.
[ Translated by G. Buhler ]
.
বৌদ্ধধর্ম
.
📌 সাপের দংশন করলে:- বাহ্য,প্রস্রাব,ভস্ম,এবং মৃত্তিকা সেবন করতে হবে।
📌 বিষের চিকিৎসা:- মল ভক্ষণ করা।
📌 ঘরদিন্নক চিকিৎসা:- সীতার মাটি জলে মিশিয়ে সেবন করা।
📌 দুষ্টগ্রহ চিকিৎসা:- আমিষক্ষার জল পান করিবে।
📌 পান্ডুরোগ চিকিৎসা:- গোত্রের হরিতকী ভিজিয়ে পান করবে।
.
[ রেফারেন্স:- বিনয়-পিটক/মহাবর্গ/স্বেদ মোচন ও শাস্ত্র চিকিৎসা/পৃষ্ঠা:- ২৯২-২৯৪ ]
.
.
◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾◾
 .
উপরে দেওয়া রেফারেন্সগুলির BENEFIT আমাকে দেখান। কতটুকু উপকারী কত বড় চিকিৎসা??? আর কিভাবে সম্ভব?? আমাকে বলবেন!
.
সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার।
ধন্যবাদ............
.
.
তথ্যসূত্রঃ
[১] সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৪৪৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
[২] সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৫২৩৪
এই হাদিসে বলা হয়েছে মদিনায় উৎপন্ন এক জাতীয় আজওয়া। তাই যে কোন আজওয়া নয়। আরো, সহিহ বুখারী ৩৮৭৬/ তিরমিজি ২০৬৮/-- ihadis.com
[৩] তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
null, হাদিস নং ৩৪৫৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
[৪] তাফসীর ইবনে কাসীর পৃষ্ঠা:- ২৪০
[৫] (Egypt), 2003 p.121)
[৬] http://guide2herbalremedies.com/dates-protect-arteries/
.
https://ezinearticles.com/?Four-Types-of-Toxins-Harmful-to-Our-Body&id=5925446
. http://en.ytyaoye.com/xwzx_detail/newsId=df4178ce-cc72-497a-beb0-cca6ed98f318&comp_stats=comp-FrontNews_list01-1288750998573.html
[৭] তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৪৫৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
[৮]
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6003010/
[৯] https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/15551385
[১০] তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৪৪৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
[১১] "কালোজিরা - উইকিপিডিয়া" https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE
[১২] https://m.priyo.com/i/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A7%A7%E0%A7%A8%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%94%E0%A6%B7%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A3#sthash.lvOdsETQ.dpuf
[১৩] সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৭৩০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com
.
💟 (اَللَّهُ) 💟

Post a Comment

0 Comments