কুরআন অনুযায়ী চাঁদের আলো কি নিজেস্ব !?
🖋️Author:- Aminur Rashid
================================
.
ইসলাম বিরুধীরা বলে কুরআনে নাকি চাঁদের আলো নিজস্ব।
আসুন দেখে নেয়া যাক,,,,
.
আল্লাহ বলেন,,,
.
وَجَعَلَ الْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ الشَّمْسَ سِرَاجًا
এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।
(সূরাঃ নূহ, আয়াতঃ ১৬)
.
Arabic (سِرَاجًا) = A Lamp
[ https://www.almaany.com/en/dict/ar-en/%D8%B3%D8%B1%D8%A7%D8%AC%D8%A7/ ]
Arabic (نُورًا) = Light/A Reflected light
[ https://www.almaany.com/en/dict/ar-en/%D9%86%D9%88%D8%B1 ]
.
সুবাহানআল্লাহ,,, কুরআনে শব্দবচনের দিক থেকে অর্থগত দিক দিয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ করে যে চাঁদের আলো প্রতিফলিত।
.
আরো রয়েছে তাফসীর গ্রন্থে,,,
📌 তাফসীরে মাযহারী:- চাঁদের আলো প্রতিফলিত।
📌 তাফসীরে ফী যিলালিল:- চাঁদ আলো গ্রহণ করে সূর্য থেকে।
📌 তাফসীরে আহসানুল বয়ান:- চাঁদের নিজেস্ব কোন আলো নেই।
যখন ইসলাম বিরুধীরা দেখলো যে কুরআন অনুযায়ী চাঁদের আলো প্রতিফলিত তখন তারা কিছু না পেরে ধাপে ধাপে নিচে নামে।ইসলাম বিরুধীদের দাবী,,,
.
১ম ধাপের দাবী:- মেনে নিলাম যে এখানে নূর দিয়ে প্রতিফলিত বুঝায়।কিন্তু তাতেও হবে না কারণ এটা মানলে মুহাম্মদ (স:) কে আল্লাহর উপরে তুলা হয় কারণ সূরা নূরের ৩৫ নং আয়াতে বলা আল্লাহ নূর এবং অন্যদিকে সূরা আহযাবের ৪৬ আয়াতে বলা মুহাম্মদ (স:) হলো সিরাজ।তাহলে কি মুহাম্মদ (স:) আল্লাহর থেকে বড় ? [ নাউজুবিল্লাহ ]
.
জবাব:- যাইহোক, বুঝা গেলো চাঁদের আলো প্রতিফলিত তা নিয়ে কিছু বলতে না পেরে অবশেষে আল্লাহ ও রাসুল নিয়ে কথা বলছেন।
.
আসুন আয়াতটি দেখি যেখানে আল্লাহকে নূর বলা হয়েছে,,,
.
اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ ۖ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ ۖ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِنْ شَجَرَةٍ مُبَارَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ ۚ نُورٌ عَلَىٰ نُورٍ ۗ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَنْ يَشَاءُ ۚ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ ۗ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি, তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটি কুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত, কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য। তাতে পুতঃপবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল প্রজ্বলিত হয়, যা পূর্বমুখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। অগ্নি স্পর্শ না করলেও তার তৈল যেন আলোকিত হওয়ার নিকটবর্তী। জ্যোতির উপর জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান তাঁর জ্যোতির দিকে। আল্লাহ মানুষের জন্যে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
(সূরাঃ আন-নূর, আয়াতঃ ৩৫)
.
প্রথমত আমরা নূূর অর্থ যে "light" সেটা জানি তাই আমরা এখানে আলো নিতে পারি।যাইহোক তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম আয়াতে বলা আল্লাহ প্রতিফলিত আলো কিন্তু পরের অংশেই জবাব আছে আল্লাহ বলেছেন,,,
.
"তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটি কুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত, কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য।
.
দেখুন এখানেই প্রদীপ রয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।আল্লাহ নিজেই আলোর উৎস এবং তিনি সেই সাথে আলোর প্রতিফলনো।যেমন একটি বাল্প এর ভিতরে যে টিউব থাকে যার রয়েছে নিজেস্ব আলো আর তার উপরে গোল যে গ্লাস থাকে সেখানে তা প্রতিফলিত হয়, আশা করি বুঝেছেন।
.
২য় ধাপের দাবী:- মেনে নিলাম তার পরেও ভুল কারণ কুরআনের সূরা কিয়ামাহ এর ৮ নং আয়াতে বলা চাঁদ আলোহীন হয়ে যাবে তার মানে হলো যে চাঁদের নিজেস্ব আলো আছে।
.
জবাব:- আপনাদের জ্ঞানের লেভেল কত ডিগ্রি বলবেন কি !? আমরা জানি চাঁদেরো আলো আছে কিন্তু তা প্রতিফলিত আলো নিজেস্ব আলো নয়।আর আমরা এটাও জানি আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের বলছে একদিন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে।আর আল্লাহ এক কথাই বলেন,,,,
.
إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ
যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে।
(সূরাঃ আত-তাকভীর, আয়াতঃ ১)
.
দেখুন আল্লাহ একই কথা বলেছেন।এবং আল্লাহ আরো বলেছেন,,,
.
وَخَسَفَ الْقَمَرُ
চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে।
(সূরাঃ আল ক্বেয়ামাহ, আয়াতঃ ৮)
.
আলহামদুলিল্লাহ,,এই আয়াত থেকে চাঁদের নিজের আলো নয় বরং একটি যৌক্তিক কথা বলা হয়েছে।আমরা আজ জানি চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো, সূর্যের থেকে ধার করা প্রতিফলিত আলো আর যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে তখন চাঁদের সেই প্রতিফলিত আলোও চলে যাবে।এই জন্য আল্লাহ সুন্দর ভাবে যৌক্তিক বিষয়টা কুরআনে তুলে ধরলেন।তাই আয়াতে কখনোই চাঁদের নিজেস্ব আলো আছে প্রমাণ করে না বরং সূর্য যে আলো হারাবে তখন চাঁদে তা প্রতিফলিত হবে না যার কারণে চাঁদো আলো হারাবে।
.
৩য় ধাপের দাবী:- আচ্ছা মানলাম কুরআন অনুযায়ী চাঁদের আলো প্রতিফলিত কিন্তু এটা এরিস্টটল অনেক আগেই জানতো।
.
জবাব:- আপনি কি জানেন এরিস্টটল কত ভুল বলেছে যদি মুহাম্মদ (স:) এরিস্টটল থেকে কপি করতো তাহলে কেনো এরিস্টটলের ভুল গুলি কুরআনে উল্লেখ করা হলো না !? নবী মুহাম্মদ (স:) কিভাবে বেছে বেছে সঠিক গুলি কুরআনে লিখলো কেনো!? এতেই প্রমাণ হয় কুরআন আরবের কারো নয় নবী মুহাম্মদের নয় বরং আল্লাহর বানী।যেখানে কিনা এরিস্টটল এর মতবাদ আরবীতে অনুবাদ হয়েছে মু্হাম্মদ (স:) এর মৃত্যুর বহু বছর পরে !
.
আশা করি বুঝেছেন,,,,,






1 Comments
অসাধারণ ❤❤❤❤❤❤❤❤❤❤
ReplyDelete