দেনমোহর!


মুহাম্মদ আলী, সিরিজ - ৯
বিষয়:- দেনমোহর!
🖋Author:- Aminur Rashid
____________________________________________________________

কলেজে যাচ্ছে মুহাম্মদ আলী! মুহাম্মদ আলীর সাথে মিনার, আরিফ সকলেই একসাথে পড়ে। কলেজের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো সকলে। পৌছেও গেলো,,,,,, 

আরিফ:- আচ্ছা, সুরুজ কি আজ আসবে না কলেজে? 

মুহাম্মদ আলী:- কি জানি! আমায় তো বলেছে আসবে! 

[ তখনই সুরুজ হাজির সাথে একটা মেয়েও। সুরুজ বলতে লাগলো ]

সুরুজ:- শুনো ইনি আমাদের একজন আপু ইনার নাম জান্নাত। আমাদের সবার সিনিয়র। 

মুহাম্মদ আলী:- ওও আসসালামু আলাইকুম। 

জান্নাত:- আমাকে সালাম দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি এসব কুসংস্কার মানি না! আমি মুক্তি চাই। ধর্ম তো নারীকে শিকলবন্ধি করে রাখে। তাদেরকে টাকার বদলে যৌনসঙ্গী বানায়! 

[ সকলেই হা করে রইলো। সুরুজ বাদে কারণ সুরুজ আগে থেকেই জানে জান্নাত একজন নারীবাদী নাস্তিক! ]

মুহাম্মদ আলী:- তাই নাকি! আচ্ছা কলেজ শেষে এ ব্যাপারে আপনার সাথে কথা বলবো। ইনশাআল্লাহ! 

[ কলেজ শেষে সামনের ক্যান্টিনে সকলে গিয়ে বসলো! কফি আনা হলো, কফিতে চুমুক দিয়ে মুহাম্মদ আলী জান্নাতকে লক্ষ্য করে বলতে লাগলো ]

মুহাম্মদ আলী:- জ্বী এবার বলুন। 

জান্নাত:- আমি বলতে চেয়েছি তোমরা মুসলিমরা দেনমোহরের বিনিময়ে নারীর লজ্জাস্থান ক্রয় করো! 

মুহাম্মদ আলী:- তাই নাকি? 

জান্নাত:- হুম। হাদিসেই আছে,,, 

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ عَمْرٌو سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ حَدِيثِ الْمُتَلاَعِنَيْنِ فَقَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلْمُتَلاَعِنَيْنِ حِسَابُكُمَا عَلَى اللهِ أَحَدُكُمَا كَاذِبٌ لاَ سَبِيلَ لَكَ عَلَيْهَا قَالَ مَالِي قَالَ لاَ مَالَ لَكَ إِنْ كُنْتَ صَدَقْتَ عَلَيْهَا فَهُوَ بِمَا اسْتَحْلَلْتَ مِنْ فَرْجِهَا وَإِنْ كُنْتَ كَذَبْتَ عَلَيْهَا فَذَاكَ أَبْعَدُ لَكَ قَالَ سُفْيَانُ حَفِظْتُه“ مِنْ عَمْرٍو وَقَالَ أَيُّوبُ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ قَالَ قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ رَجُلٌ لاَعَنَ امْرَأَتَه“ فَقَالَ بِإِصْبَعَيْهِ وَفَرَّقَ سُفْيَانُ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَّابَةِ وَالْوُسْطٰى فَرَّقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَخَوَيْ بَنِي الْعَجْلاَنِ وَقَالَ اللهُ يَعْلَمُ إِنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْكُمَا تَائِبٌ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ قَالَ سُفْيَانُ حَفِظْتُه“ مِنْ عَمْرٍو وَأَيُّوبَ كَمَا أَخْبَرْتُكَ.

সা'ঈদ ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আমি লি'আনকারীদ্বয় সম্পর্কে ইবনু 'উমারকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লি'আনকারীদ্বয়কে লক্ষ্য করে বলেছিলেনঃ তোমাদের হিসাব নেয়ার দায়িত্ব আল্লাহ্‌রই। তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাচারী। স্ত্রীর উপর তোমার কোন অধিকার নেই। লোকটি বললঃ তবে আমার মালের কী হবে? তিনি বললেনঃ তুমি কোন মাল পাবে না। যদি তুমি সত্যবাদী হও তাহলে এর বদলে তুমি তার লজ্জাস্থানকে হালাল করে নিয়েছিলে। আর যদি তার উপর মিথ্যারোপ করে থাক, তবে তা তো বহুদূরের ব্যাপার। সুফ্‌ইয়ান বলেনঃ আমি এ হাদীস 'আম্‌র (রাঃ)- এর নিকট হতে মুখস্থ করেছি। আইয়ুব বলেন, সা'ঈদ ইবনু যুবায়র-এর কাছে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি ইবনু 'উমার (রাঃ)- কে জিজ্ঞেস করলামঃ এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে লি'আন করল (এখন তাদের বিধান কী?) তিনি তাঁর দু আঙ্গুল ইশারা করে বললেন, সুফ্‌ইয়ান তার তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল ফাঁক করে বললেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বনূ 'আজলানের এক দম্পত্তির বৈবাহিক সম্পর্ক এভাবে ছিন্ন করে দেন এবং বলেনঃ আল্লাহ তা'আলা জানেন যে, তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাচারী। সুতরাং কেউ তাওবাহ করতে প্রস্তুত আছ কি? এভাবে তিনি তিনবার বললেন। সুফ্‌ইয়ান বলেনঃ আমি তোমাকে যেভাবে হাদীসটি শুনাচ্ছি এভাবেই আমি 'আমর ও আইয়ুব (রাঃ) থেকে মুখস্থ করেছি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১৬)

[ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৩১২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com ]


قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِلْمُتَلاَعِنَيْنِ حِسَابُكُمَا عَلَى اللهِ أَحَدُكُمَا كَاذِبٌ لاَ سَبِيلَ لَكَ عَلَيْهَا قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَالِي قَالَ لاَ مَالَ لَكَ إِنْ كُنْتَ صَدَقْتَ عَلَيْهَا فَهُوَ بِمَا اسْتَحْلَلْتَ مِنْ فَرْجِهَا وَإِنْ كُنْتَ كَذَبْتَ عَلَيْهَا فَذَاكَ أَبْعَدُ وَأَبْعَدُ لَكَ مِنْهَا.

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

আছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লি’আনকারী স্বামী-স্ত্রীকে বলেছিলেন, আল্লাহই তোমাদের হিসাব নিবেন। তোমাদের একজন মিথ্যাবাদী। তার (মহিলার) উপর তোমার কোন অধিকার নেই। সে বললঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমার মাল? তিনি বললেনঃ তোমার জন্যে কোন মাল নেই। তুমি যদি সত্যি কথা বলে থাক, তাহলে এ মাল তার লজ্জাস্থানকে হালাল করার বিনিময়ে হবে। আর যদি মিথ্যা বলে থাক, তবে এটা তুমি মোটেই চাইতে পার না, তুমি তো তার থেকে অনেক দূরে। [৫৩১১; মুসলিম ১৯/হাঃ ১৪৯৩, আহমাদ ৪৫৮৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৬)

[ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৩৫০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com ]

[ সকলে চুপচাপ শ্রবণ করছে ]

মুহাম্মদ আলী:- হাদিসগুলিতে কোথাও বলা হয় নি যে "দেনমোহর দিয়ে লজ্জাস্থান ক্রয়" করা হয়েছে। হাদিসে তো ক্রয় শব্দটাই নেই। দেনমোহর হলো উপহারস্বরূপ। স্ত্রীর হক! আর আপনার দেওয়া হাদিস আর দাবী একে অপরের বিপরীত। 

জান্নাত:- (বিরক্ত কণ্ঠে) হাদিসগুলি পড়লে তো তাই মনে হয়! 

মুহাম্মদ আলী:- আপনার হাদিসগুলি হচ্ছে লি'আন বিষয়ক। স্বামী তার স্ত্রীর উপর যেনা-ব্যাভিচারের অভিযোগ আনার কারণে এবং স্ত্রী তা অস্বীকার করার কারণে তারা দুইজন যখন বিবাহবিচ্ছেদ হয় গেলো। তখন স্বামী যদি তার বিয়ের দেনমোহর দেওয়ার দাবী করে অর্থাৎ স্ত্রীর কাছ থেকে দেনমোহর নিতে চায় তাহলে নিতে পারবে না। এটাই হাদিসের উদ্দেশ্যে। 

যদি বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাহলে স্বামী কখনোই স্ত্রীর কাছ থেকে দেনমোহর নিতে পারবে না। 

তখন যদি স্বামী বলে কেনো দেওয়া যাবে না। তখন নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন কারণটা হলো বিয়ের পর থেকে সে ছিলো তোমার স্ত্রী। আর যখন তোমার স্ত্রী ছিলো তখন তোমার স্ত্রীর লজ্জাস্থানও হালাল ছিলো। 

এটা একদম সহজ বিষয়। বিবাহ করার পরে লজ্জাস্থান হালাল হয়। কিন্তু বিবাহ ছাড়া অন্য কোন মহিলার লজ্জাস্থান হালাল নয় বরং হারাম। 

[ জান্নাতের চেহারা একটু ফ্যাকাশে হয়ে গেলো ]

মুহাম্মদ আলী:- আবার যদি বলি, আমিও একই দাবী করতে পারি। যেমন আমিও বলতে পারি "নাস্তিকরা ও সকল মানুষরা ভাত কাপড়ের বদলে নারীর লজ্জাস্থন ক্রয় করে" হবে? 

জান্নাত:- না এটা তো কুযুক্তি! 

মুহাম্মদ আলী:- ঠিক একই কাজ আপনারাই করছেন। ভাত কাপড় না দিলে যেহেতু আপনি কোন দাম্পত্য জীবন যাপন করতে পারবেন না সেহেতু এই দাবীও করা যায়। কিন্তু তা কুযুক্তি যা আপনিই দিলেন। 

জান্নাত:- ইয়ে মানে! 

মুহাম্মদ আলী:- মনে রাখবেন, ইসলাম নাস্তিকতা নয়। নাস্তিক্যবাদে তো বিয়ে ছাড়াই নারী লজ্জাস্থান হালাল। কিন্তু ইসলামে তার নিয়ম নেই! 

জান্নাত:- কি বললে?? 

মুহাম্মদ আলী:- হুম বলেছি, সত্যই বলেছি। 

হুমায়ুন আজাদ তার বইয়ে বলেছেন,,, 

"যদি কোন পুরুষ একাধিক নারীর সাথে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবন যাপন করতে চায়, তাতে সবাই যদি তাতে সুখী হয়, তাতে কারো আপত্তি থাকা উচিত নয় এবং কোন নারী যদি একাধিক পুরুষের সাথে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবন যাপন করতে চায়, তাতেও সবাই যদি তাতে সুখী হয়, তাতে কারো আপত্তি থাকা উচিত নয়। তাদের ওই জীবন যাপন অন্য কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। সুখী করে তাদের তা তাই অনৈতিক নয়।"
[ আমার অবিশ্বাস – হুমায়ুন আজাদ, পৃষ্ঠা:- ১৪২ ]

[ সুরুজের চেহারা থেকে হাসিমুখখানি উধাও হয়ে গেছে ]

মুহাম্মদ আলী:- সুতরাং, ইসলামে বিবাহ করার পরেই লজ্জাস্থান হালাল হয়। কিন্তু নাস্তিক্যবাদে বিবাহ ছাড়া যাকে তাকেই.... বাকিটা আর বললাম না! 

জান্নাত:- (নিশ্চুপ) 

মুহাম্মদ আলী:- সুতরাং,,, 
উপরের হাদিসে কোথাও বলা হয় নি দেনমোহর দিয়ে নারীর লজ্জাস্থান ক্রয় করার কথা। বরং বলা হয়েছে যখন স্বামী স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তখন স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী কোন দেনমোহর দাবী করতে পারবে না। দেখুন ইসলাম নারীর অধিকার দিয়েছে। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন নে নারীকে যে দেনমোহর ফিরত দেও বরং বলেছেন যেহেতু এতদিন যাবৎ স্ত্রীর সাথে জীবনযাপন করেছে স্ত্রীর সাথে দৈহিক মিলন করেছে তাহলে কোন হিসেবে স্বামী দেনমোহর দাবী করবে??? যেখানে বিবাহ করার পর থেকে স্ত্রীর সাথে জীবনযাপন করেছে স্ত্রীর সাথে দৈহিক মিলন করেছে। 

তাহলে স্বামী কোন ভাবেই স্ত্রীর কাছ থেকে দেনমোহর দাবী করতে পারবে না। 

হাদিসে বলা হয়েছে,,, 

"তাহলে এ মাল (দেনমোহর) তার লজ্জাস্থানকে হালাল করার বিনিময়ে হবে"

স্ত্রীর সাথে জীবনযাপন। স্ত্রীর সাথে দৈহিক মিলন করেছে কারণ নারীকে বিবাহ করলে তার লজ্জাস্থান পুরুষের জন্য হালাল। কোন মূখে আবার বিবাহবিচ্ছেদের পরে দেনমোহর দাবী করবে? তাই এসবের বিনিময়ে স্ত্রীর দেনমোহর স্ত্রীর। স্বামী নিতে পারবে না। 

তাহলে বুঝা গেলো স্ত্রীকে এতদিন (মিলন) করে বিবাহবিচ্ছেদের পরে স্বামী কখনোই স্ত্রীর কাছ থেকে দেনমোহর দাবী করতে পারবে না। 

এটা কি নারীর অধিকার দেয় নি??? 

জান্নাত:- (হতাশ হয়ে) ইয়ে মানে! 

মুহাম্মদ আলী:- উপরের আলোচনা থেকে আমরা যে সিদ্ধান্তে আসতে পারি। 

১) হাদিসে কোথাও বলা হয় নি দেনমোহরের বদলে লজ্জাস্থান ক্রয় করার কথা। 

২) হাদিসে বলা হয়েছে যখন বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাবে তখন স্বামী তার স্ত্রীর কাছ থেকে দেনমোহর দাবী করতে পারবে না। কারণ এতোদিন যাবৎ স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য জীবনযাপন করেছে। স্ত্রীর সাথে মিলন করেছে। তাই স্বামী তার স্ত্রীর কাছ থেকে দেনমোহর চাইতে পারবে না। স্ত্রীকে দেওয়া দেনমোহর বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পরেও স্ত্রীর কাছে থাকবে। 

৩) নাস্তিক্যবাদের ইজমা হচ্ছে যে কোন নারী সাথে ব্যাভিচার করা যাবে। সম্মতি থাকলে এবং কারো ক্ষতি না হলে।
"যদি কোন পুরুষ একাধিক নারীর সাথে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবন যাপন করতে চায়, তাতে সবাই যদি তাতে সুখী হয়, তাতে কারো আপত্তি থাকা উচিত নয় এবং কোন নারী যদি একাধিক পুরুষের সাথে বিবাহিত বা অবিবাহিত জীবন যাপন করতে চায়, তাতেও সবাই যদি তাতে সুখী হয়, তাতে কারো আপত্তি থাকা উচিত নয়। তাদের ওই জীবন যাপন অন্য কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। সুখী করে তাদের তা তাই অনৈতিক নয়।"
[ আমার অবিশ্বাস – হুমায়ুন আজাদ, পৃষ্ঠা:- ১৪২ ]

৪) দেনমোহর হলো স্ত্রীর জন্য উপহার। 

কিন্তু ইসলামে বিবাহিতা স্ত্রীর সাথে সহবাস জায়েজ হালাল। নাস্তিক্যবাদের মতন যে কোন মেয়ের সাথে সহবাস হালাল নয়। 

مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ ح و حَدَّثَنِي خَلِيفَةُ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَوَكَّلَ لِي مَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ وَمَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ تَوَكَّلْتُ لَهُ بِالْجَنَّةِ.

সাহ্‌ল ইবনু সা’দ সা’ঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে কেউ আমার জন্য তার দু’পা ও দু’চোয়ালের মাঝের স্থানের দায়িত্ব নেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নেব। [১০৩](আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫১)

ফুটনোটঃ
[১০৩] অর্থাৎ যিনা ব্যাভিচার থেকে দূরে থাকবে এবং জিহবা সংযত রাখবে। 

[ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৮০৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com ]

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ الْيَهُودَ، جَاءُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ مِنْهُمْ وَامْرَأَةٍ زَنَيَا، فَأَمَرَ بِهِمَا فَرُجِمَا قَرِيبًا مِنْ مَوْضِعِ الْجَنَائِزِ عِنْدَ الْمَسْجِدِ‏.‏

‘আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ইয়াহূদীরা তাদের এক পুরুষ ও এক স্ত্রীলোককে হাযির করল, যারা ব্যভিচার করেছিল। তখন তিনি তাদের উভয়কে রজমের (পাথর নিক্ষেপে হত্যা) নির্দেশ দেন। মসজিদের পাশে জানাযার স্থানের নিকটে তাদের দু’জনকে রজম করা হল।

[ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩২৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com ]

নাস্তিকদের কাজই হলো অপব্যাখ্যা করা। মিথ্যাচার করা ও অপপ্রচার করা। 
আশা করি সকলে বুঝতে পেরেছেন। 

[ সুরুজের খুব রাগ হলো! সুরুজ চলে গেলো কিছু না বলে। আর জান্নাতো চলে গেলো। আরিফ বলতে লাগলো ]

আরিফ:- আজ সুরুজ ও নতুন অথিতি দুজনই জব্দ হলো। হা হা হা

Post a Comment

0 Comments