সকল নবী কি আরবে এসেছে? ফেরেস্তা সম্পর্কে কুরআন কি স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে?


মুহাম্মদ আলী, সিরিজ - ৪
বিষয়:- সকল নবী কি আরবে এসেছে? ফেরেস্তা সম্পর্কে কুরআন কি স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে? 
🖋Author:- Aminur Rashid
____________________________________________________________________________

মুহাম্মদ আলীর গলায় ব্যথা করছে। তাই গরম গরম কফি খেতে রওনা দিয়েছে। মুহাম্মদ আলীর মিনার নামে এক ভালো বন্ধু আছে। মিনার আর মুহাম্মদ আলী রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে একটি কফির দোকানে গিয়ে বসলো। অনেক কথাবার্তা হলো। মুহাম্মদ আলী বলতে লাগলো। 

মুহাম্মদ আলী:- আমার চাচাতো ভাই সুরুজ নাস্তিকদের ব্যাধিতে আক্রমণ হয়ে নাস্তিকদের মতন উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে। 

মিনার:- তাই নাকি? সে কোথায়? একটু কল দে তো। আসতে বল এখানে। আলোচনা করে দেখি সে কেমন নাস্তিক। 

[ মুহাম্মদ আলী সুরুইজ্জাকে কল দিলো। কয়েক মিনিট যেতে না যেতে সুরুজ হাজির। মিনার সুরুজ কে লক্ষ্য করে বলল ]

মিনার:- আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন? 

সুরুজ:- ভালোই আছি। আপনাকে ঠিক চিনলাম না। 

[ মুহাম্মদ আলী বলে উঠলো ]

মুহাম্মদ আলী:- সুরুজ, মিনার আমার বন্ধু। তোমার সাথে আজ সে আলোচনা করতে চায়। অনেক তো আমার সাথে আলোচনা করেছিস আজ মিনারের সাথেই কর। আমার গলা ব্যাথা তাই এতো কথা বলতে পারবো না। 

[ কফি হাজির। মিনার বলে উঠলো ]

মিনার:- সুরুজ তুমি আমাকে বলতে পারো যে কোন বিষয়ে। আমি যতটুকু জানি তোমাকে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি চাই না তুমি আলোর পথের পথ যাত্রী থেকে অন্ধকার পথের পথযাত্রী হও। 

সুরুজ:- অন্ধকারের পথযাত্রী?? হা হা হা আমি অন্ধকারের পথযাত্রী হবো বলে এতো মায়া দেখাতে আসছেন? অন্যদিকে বহু বছর আগে কত মানুষ অন্ধকার ডুবে ছিলো। কিন্তু সেখানে তোমার আল্লাহ কোন নবী পাঠান নি। শুধু আরবেই নবী পাঠিয়েছেন। এর থেকেই প্রমাণ হয় ইসলাম আরবদের জন্যই। আদম ছাড়া বেশিরভাগ নবীই আরবের। 

[ মিনার কফিতে চুমুক দিয়ে বলতে লাগলো ]

মিনার:- সুরুজ তুমি এতোটা অবুঝ আমি ভাবি নি। ভেবেছিলাম তুমি আমায় কোন হার্ড কিছু জিজ্ঞেস করবে। এখন তোমার প্রশ্ন শুনেই আমি হতাশ হয়ে গেলাম। 

সুরুজ:- তাই নাকি?? তাহলে উত্তরটা দিয়ে ধন্য করুন। 

মিনার: সুরুজ তোমার প্রশ্নটি খুবি কমন প্রশ্ন যার মূল হুতা হলো আরজ আলী। [১]

[ মুহাম্মদ আলী মিনারকে লক্ষ্য করে বলতে লাগলো ]

মুহাম্মদ আলী:- দিলে তো সব ফাঁস করে। হা হা হা

মিনার:- ধমকের সূরে চুপ থাকো তুমি। সুরুজের সাথে কথা বলতে দেও। 

[ মুহাম্মদ আলীর মেজাজ গরম হয়ে গেলো। চুপচাপ কফি খেতে লাগলো। মিনারের উপর রেগে গেলো ]

সুরুজ:- আমি কার থেকে কপি করি সেটা কি কোন মূখ্য বিষয় জনাব মিনার? 

মিনার:- তা নয়। আমি উত্তর দিচ্ছি, তোমাকে বুঝতে হবে আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন এবং দিয়েছেন কিতাব। প্রতিটি জাতির নিকট নবী প্রেরণ করা হয়েছে।

قُلْ آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ عَلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَالنَّبِيُّونَ مِنْ رَبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ

বলুন, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের উপর, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁদের সন্তানবর্গের উপর আর যা কিছু পেয়েছেন মূসা ও ঈসা এবং অন্যান্য নবী রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁরই অনুগত। [২]
.
প্রত্যাক জাতির নিকট নবী প্রেরণ করা হয়েছে শুধু আরবে নয়। 

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ ۖ فَمِنْهُمْ مَنْ هَدَى اللَّهُ وَمِنْهُمْ مَنْ حَقَّتْ عَلَيْهِ الضَّلَالَةُ ۚ فَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانْظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِينَ

আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্যে বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে গেল। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে।[৩]

সুরুজ:- তাই নাকি? যাই বলেন নবীদের বেশিরভাগ আরবেই এসেছে। 

মিনার:- কয়েকজন নবীর জন্মস্থান ও তাদের দাওয়াত স্থান। 

১) আদম (আ:) অবতরণ করেছে ভারতে-শ্রীলঙ্কায়। [৪]
২) হূদ (আ:) ইয়েমেনে জন্মগ্রহণ করেন। [৫]
৩) সালেহ (আ:) সামুদ গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। [৬]
৪) ইব্রাহিম (আ:) দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন। [৭]
৫) লূত নবী ও ইব্রাহিম মিশরেও ছিলেন। তারপরে তারা জর্দানে গিয়েছেন হিজরত করেছেন। [৮]
৬) ইয়াকুব (আ:) ফিলিস্তিনে বসবাস করতেন। [৯]
৭) ইউনুস (আ:) ইরানে জন্মগ্রহণ করেন। [১০]
৮) মূসা (আ:) মিসরে জন্মগ্রহণ করেছেন। [১১]
৯) ইউসা (আ:) সহ হারুন (আ:) ফিলিস্তিন দাওয়াত দিয়েছেন। [১২]
১০) সুলাইমান (আ:) দামেস্কে বসবাস করেছিলেন। [১৩]
১১) লোকমান্ (আ:) একজন আফ্রিকান আর সেখান থেকে তিনি আরবে গিয়েছেন। [১৪]

▪ মাত্র কয়েকটা উদাহরণ দিলাম। এবার বলুন
◾আফ্রিকা কি আরব দেশ?? 
◾জর্দান কি আরব দেশ প্রাচীন থেকে?? 
◾ফিলিস্তিন কি সেই সময় আরব দেশ ছিল?? 
◾ভারত-শ্রীলঙ্কা কি আরব দেশ?? 
◾মিসর কি আরব দেশ?? 

সুরুজ:- (নিশ্চুপ) 

[ মিনার কফির কাপে আরেক চুমুক দিয়ে বলতে লাগলো ]

মিনার:- উত্তর হচ্ছে না। তাই সকল নবী আরবে এসেছে দাবীটা একদম বানোয়াট। 

সুরুজ:- (নিশ্চুপ) 

মিনার:- সবশেষে বলব, কুরআনে উল্লেখিত সকল নবী আরবে আসে নি। তাই আমরা জানি না যে বাকি যে অসংখ্য নবী-রাসুল এসেছে তারা কোথায় কোথায় এসেছে তাহলে পরিসংখ্যান আমাদের বলে দেয় যে সব জাতির মধ্যেই এসেছে নবী কারণ যাদের উল্লেখ করা হয়েছে তারা সকলে আরবে আসে নাই। এটাই প্রমাণ করে সকল নবী আরবে নয় সকল জাতির নিকট প্রেরণ হয়েছেন। সেটা হলো ২লক্ষ ২৪হাজার কিংবা ১লক্ষ ২৪হাজার এক কথায় অসংখ্য নবী রাসুল সকল জাতির  নিকট এসেছে। যা কুরআনের কিছু নবীর উল্লেখ থেকেই সুস্পষ্ট। 

সুরুজ:- (নিশ্চুপ) 

মিনার:- কি হলো কিছু বলো? বুঝতে পেরেছো? 

সুরুজ:- আমাকে অর্ক স্যারের কাছে যেতে হবে। তবে একটা কথা বলতে চাই। 

মিনার:- বলতে থাকো। 

সুরুজ:- নবী-রাসুল নিয়ে যেহেতু কথা হচ্ছে তাহলে শুনো। কুরআনে বলা হয়েছে ফেরেস্তারা পৃথিবীতে রাসুল হিসেবে বিচারণ করেন না। আবার অন্য আয়াতে বলা ফেরেস্তাদের আল্লাহ রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেন। এটা কি বৈপরীত্য হয়ে গেলো না? 

মিনার:- হুম,, এ ব্যাপারে আমি জানি। আসলে তুমি বুঝতে পারো নি। ফেরেস্তা থেকেও মানুষ উত্তম। আর সূরা বনি ইসরাইলের ৯৫ নং আয়াতে কোথাও বলা হয় নি যে ফেরেস্তারা পৃথিবীতে আসেন না। 

[১৭:৯৫] বনী-ইসরাঈল

قُل لَو كانَ فِي الأَرضِ مَلائِكَةٌ يَمشونَ مُطمَئِنّينَ لَنَزَّلنا عَلَيهِم مِنَ السَّماءِ مَلَكًا رَسولًا

বায়ান ফাউন্ডেশন:
বল, ‘ফেরেশ্তারা যদি যমীনে চলাচল করত নিশ্চিন্তভাবে তাহলে আমি অবশ্যই আসমান হতে তাদের কাছে ফেরেশতা পাঠাতাম রাসূল হিসেবে’।

দেখো এখানে কোথাও বলা হয় নি ফেরেস্তারা পৃথিবীতে আসে না বা বিচরণ করে না বরং বলা হয়েছে যদি ফেরেস্তারা "নিশ্চিন্তভাবে" চলাচল করতো তাহলে ফেরেস্তাদের রাসুল বানানো হতো। মানে তাদের উপর বিধান দেওয়া হতো। যেমন, দাউদ (আঃ), ঈসা (আঃ), মূসা (আঃ), মুহাম্মদ (সাঃ) তাদের উপর বিধান-শরিয়ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফেরেস্তারা সব সময় আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকে। তারা বিচরণ করে তবে নবীদের মতন নয়। তারা সব সময়ই আল্লাহর আদেশেই চলতে থাকে। 

তাই ফেরেস্তাদের উপর শরিয়ত নাজিল হয় না। তবে বাণীবাহক রাসুল হিসেবে তারা আসেন। অর্থাৎ নানান বাণী নিয়ে নবীদের কাছে আসেন। যেমন জিব্রাঈল (আঃ) দূত রূপে বাণী নিয়ে আসতো। 

আর সূরা হজ্জ আয়াত ৭৫ এ বলা হয়েছে,,,

اللَّهُ يَصْطَفِي مِنَ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا وَمِنَ النَّاسِ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ
আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্ব দ্রষ্টা!" 

 رَسُول رُسُل 
এর বহুবচন। এর অর্থঃ প্রেরিত দূত, বাণী বাহক। [ আহসানুল বয়ান ] রাসুল শব্দের অর্থ দূত। আল্লাহ দূতরূপে ফেরেশতা পাঠিয়েছনে যেমন জিব্রাঈল (আঃ)। মানুষদের মধ্যে রাসুল দ্বারা নবীদের বিশেষ মর্যাদাবাহী দূতদের বোঝানো হয়েছে। আমরা জানি ফেরেস্তারা মানুষের রূপ নিয়ে দূত হিসেবে আসে।

"ফেরেস্তা দূত হয়ে এসে কথা বলে" [ সহীহ বুখারী, হাদিস:- ২ ]

বনি ইসরাঈলের শ্বেতওয়ালা, টাকওয়ালা,অন্ধ লোকদের কাছে ফেরেস্তা মানুষের রূপে এসেছেন [ সহীহ বুখারী, হাদিস:- ৩৪৬৪ ]

ফেরেস্তা অনেক কর্ম করতেও পৃথিবীতে আসেন। 
তুমি কিভাবে বলছো এটা বৈপরিত্য। বরং এটা বৈপরিত্য নয় তোমার বুঝার ভুল। 

সুরুজ:- ওও তাই নাকি। ত্যানাবাজী আর কতদিন করবেন? দুই আয়াতেই রাসুল এসেছে। এক সূরা বনি ইসরাইল ৯৫ আয়াত অনুযায়ী রাসুল পৃথিবীতে আসে না বিচরণ করে না। আবার সূরা হজ্জের ৭৫ নং আয়াতে বলা রাসুল হিসেবে আসে। কোনটা সত্য? দুই জায়গায় একই শব্দ।

মিনার:- আমি আগেই বলেছি বনি ইসরাইলের সেই আয়াতে রাসুল হিসেবে আসেন না। মানে তাদের উপর কোন বিধান দেওয়া হয় না। তবে তারা বাণীবাহক হিসবে আসেন নবীদের বাণী দিয়ে যান। তোমাকে বুঝতে হবে একই শব্দ অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন অর্থ বহন করে। ফেরেস্তারা আল্লাহর আল্লাহর আদেশ মেনে চলে দিন রাত। তারা কোন খারাপ কাজ করতে পারে না। তাদের বৈশিষ্ট্য আলাদা। আর নবীগণ যারা মানুষ তাদের উপর শরিয়ত-বিধান দেওয়া হবে তারা হয় রাসুল। অন্যদিক ফেরেস্তারা বাণী বহন করে তবে তাদের উপরে বাণী অর্পিত হয় না (ঈসা/মূসা) এর মতন। তবে তারা বাণী নিয়ে নবীদের কাছে পৌছিয়ে দেন তাই তাদেরও বাণীবাহক রাসুল বলা যায়। 

সুতরাং ফেরেস্তারা বাণীবাহক রাসুল। আর নবীগণের অনেকের উপর শরীয়ত অর্পিত হয়। যেমন মূসা/ঈসা তাই তারা রাসুল। 

সুরুজ:- উদাহরণ? 

মিনার:- এই ধরো,, আল্লাহ তায়ালা কুরআনে নিজেকে নূর বলেছেন। আবার নবীকেও নূর বলেছেন। আবার চাঁদের আলোকেও নূর বলেছেন। একই শব্দ হলেও ক্ষেত্র বিশেষে আলাদা। আল্লাহর নূর আর চাঁদ ও রাসুলের নূর এক নয়। দুইটাই আলাদা। 

সুরুজ:- (হতাশ হয়ে) আচ্ছা সব বুঝলাম। তবে রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেন এ কথা দিয়ে যে শুধু বাণীবাহক বুঝানো হয়েছে। শরীয়ত বিধান অর্পিত হবে বুঝানো হয় নি সেটা কিভাবে তুমি বললে?

মিনার:- কুরআনের ব্যাখ্যার মাধ্যমে। 

সুরুজ:- কিভাবে? 

মিনার:- আচ্ছা, কুরআনে আল্লাহকে নূর বলা হয়েছে নবীকে নূর বলা হয়েছে। Right? 

সুরুজ:- হুম। 

মিনার:- এবার আমরা কিভাবে বের করবো যে এখানে আল্লাহ আর রাসুলের নূর এক নয়। কিভাবে জানো? আমরা কুরআনেই উত্তর পেয়ে যাবো। কারণ কুরআন বলেছে "আল্লাহর সমতূল্য কেউ নেই" (১১২:৪)

সুতরাং, আল্লাহর নূর আর নবীর নূর এক নয়। যেমন টর্চলাইটের "আলো" আর সূর্যের "আলো" এক নয়। দুইটাই আলো তবে এক নয়। 

ঠিক একই ভাবে। কুরআন হাদিস অনুযায়ী এমন কোন প্রমাণ নেই যেখানে নবী ঈসা (আঃ) মূসা (আঃ) এর মতন ফেরেস্তাদের উপর শরিয়ত-বিধান অর্পণ করা হয়েছে। তবে ফেরেস্তারা যে বাণীবাহক হিসবে আসতো তার বহু বর্ণনা রয়েছে। 

সুতরাং,, সুস্পষ্ট ভাবে ফেরেস্তারা বাণীবাহক হিসেবে বাণী পৌছে দেয়। তাই তাদের রাসুল বলা। আর মূসা (আঃ) ও এমন আরো নবীদের উপর শরিয়ত-বিধান অর্পণ করা হয়েছে তাই তাদের রাসুল বলা। 

এই পার্থক্য কুরআন পড়লেই সুস্পষ্ট। যেমন আল্লাহর নূর আর নবীর নূর এক নয় তা কুরআন পড়লেই সুস্পষ্ট ভাবে বুঝা যায়। 

[ সুরুজ কিছু না বলেই চলে গেলো ]

মুহাম্মদ আলী:- তোর সাথে আর কথা বলবো না মিনার। 

মিনার:- কেনো আমি কি করলাম? 

মুহাম্মদ আলী:- তুই আমায় চুপ থাকতে বললি কেনো? ধমকের সূরে? 

মিনার:- ওও। আসলে তকে ধমকের সূরে যদি চুপ থাকতে না বলতাম তাহলে সুরুজ কেঁদে দিতো। হা হা হা

[ মুহাম্মদ আলী আর মিনার অনেক্ষণ হাসলো।কফির বিল দিয়ে। চলে গেলো মসজিদে আসরের সালাতের জন্য ]

তথ্যসূত্র
[১] আরজ আলী মাতুব্বর রচনাসমগ্র-১, 'সত্যের সন্ধান', পৃষ্ঠা ৯৪
[২] সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ৮৪
[৩] সুরা ইউনুস ১০:৪৭, সুরা রা’দ ১৩:৭, সুরা হিজর ১৫:১০, সুরা নাহল ১৬:৩৬
[৪] কাসাসুল আম্বিয়া পৃষ্ঠা:- ৫৭
[৫] কাসাসুল আম্বিয়া পৃষ্ঠা:- ১০৭
[৬] কাসাসুল আম্বিয়া পৃষ্ঠা:- ১২০
[৭] কাসাসুল আম্বিয়া পৃষ্ঠা:- ১৫৬
[৮] কাসাসুল আম্বিয়া পৃষ্ঠা:- ২২১-২২২
[৯] কাসাসুল আম্বিয়া পৃষ্ঠা:- ৫৬৯
[ বাকি সকল তথ্য পাবেন কাসাসুল আম্বিয়াত নবীগণের জীবনী অধ্যায়ে ]

Post a Comment

0 Comments