বাইবেল কার বাণী?


🖋Author:- Aminur Rashid

দেখতে দেখতে চলে যাচ্ছে রমজান। ভাইরাসের জন্য বাহিরেও যাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিকেল বেলা ছাদে গেলাম। এমন সময় ডেভিড খানের বন্ধু জেকব আসলো।

[ আগের কথা বলে রাখি জেকব কিন্তু তর্ক-বিতর্ক করে ডেভিডের মতন। তবে বেশি ত্যানা পেঁচানোর চেষ্টা চালায় ]

সাজিদ:- কিরে জেকব কি অবস্থা।

জেকব:- অবস্থা ভালো না। দেশের যে হাল।

সাজিদ:- ওও একই অবস্থা। পরিস্থিতিও ভালো হচ্ছে না। জানি না কবে সুস্থ শহর হবে।

জেকব:- তুই নাকি ডেভিডের সাথে বাইবেল নিয়ে তর্ক করিস?

সাজিদ:- হুম সে যদি করতে পারে আমি কেনো না?

[ সাজিদ তার phone open করে কি জেনো পড়ছে ]

জেকব:- কি পড়ছিস ফোনে?

সাজিদ:- এইতো কুরআনের একটা pdf পড়তাছি।

জেকব:- কুরআন??? কুরআন তো মানবরচিত মানুষের বানী।

সাজিদ:- কুরআন মানুষের বানী নয় আল্লাহ তায়ালার বানী। আল্লাহ এই উপদেশগ্রন্থ নাজিল করেছেন।

اِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا الذِّکۡرَ  وَ  اِنَّا  لَہٗ  لَحٰفِظُوۡنَ ﴿۹﴾
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
[ কুরআন সূরা হিজর ১৫:৯ ]

জেকব:- তাই নাকি?

সাজিদ:- হুম, কুরআন আল্লাহর বানী কোন না নবীর না মানুষের। কুরআন শুধুমাত্র আল্লাহর বানী। যা তার বার্তাবাহক নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাজিল করা হয়েছে।

وَ کَذٰلِکَ اَنۡزَلۡنٰہُ  قُرۡاٰنًا عَرَبِیًّا وَّ صَرَّفۡنَا فِیۡہِ مِنَ الۡوَعِیۡدِ لَعَلَّہُمۡ یَتَّقُوۡنَ اَوۡ  یُحۡدِثُ  لَہُمۡ  ذِکۡرًا ﴿۱۱۳﴾
আর এভাবেই আমি আরবী ভাষায় কুরআন নাযিল করেছি এবং তাতে বিভিন্ন সতর্কবাণী বর্ণনা করেছি, যাতে তারা মুত্তাকী হতে পারে অথবা তা হয় তাদের জন্য উপদেশ।
[ কুরআন সূরা ত্বাহা ২০:১১৩ ]

জেকব:- তোরা তো তোদের গ্রন্থকে আল্লাহর বানীই বলবি। কিন্তু আসল বানী হলো বাইবেল। বাইবেল হলো ঈশ্বরের বানী ঈশ্বরের বাক্য।

সাজিদ:- বাইবেল ঈশ্বরের বাক্য?

জেকব:- হুম বাইবেল ঈশ্বরের বাক্য

বাইবেলে বলা হয়েছে,,,,,

1:1 আদিতে বাক্যছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন আর সেই বাক্যই ঈশ্বর ছিলেন৷

1:1 In the beginning was the Word, and the Word was with God, and the Word was God.

1:2 সেই বাক্য আদিতে ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন৷

1:2 The same was in the beginning with God

[ KJV/ যোহন (John) 1:1-2 ]

সাজিদ:- আচ্ছা ধরে নিলাম বাইবেল ঈশ্বরের বাক্য কিন্তু সেটা ঈশ্বরের সাথে ছিলো। সাথে ছিলো তাই ঈশ্বর হয় কিভাবে?? অযৌক্তিক নয়?

জেকব:- কিভাবে অযৌক্তিক?

সাজিদ:- আমি যদি বলি,,,

আদিতে তেলাপোকা ছিল, তেলাপোকা জেকবের সঙ্গে ছিলো আর সেই তেলাপোকাই জেকব ছিলো৷

হা হা হা দেখলি কত অযৌক্তিক ভার্স?

জেকব:- ইয়ে মানে.....

সাজিদ:- আর ইয়ে মানে বলা লাগবে না। আচ্ছা বলো বাইবেল তো ঈশ্বরের বাক্য? পুরাপুরি ঈশ্বরের বাক্য???

জেকব:- ১০০% ঈশ্বরের বাক্য ঈশ্বরের বানী।

সাজিদ:- ভুল বললি। বাইবেল পুরাপুরি ঈশ্বরের বানী নয়।

জেকব:- ফালতু কথা বলে লাভ নাই। কিভাবে বাইবেল ঈশ্বরের বাক্য নয়???

সাজিদ:- আচ্ছা আমায় বল তো
বাইবেল এই কিতাব গুলির রচনা করেছে কে??
Philippians, Romans,1 Corinthians,2 Corinthians,1 Thessalonians,Philemon

জেকব:- পৌল।

সাজিদ:- পৌল কি ঈশ্বর?

জেকব:- না।

সাজিদ:- তাহলে বাইবেল পুরাটা ঈশ্বরের বাক্য?

জেকব:- হ্যাঁ

সাজিদ:- বাইবেলের ১৩ টি পুস্তক কার রচনা করা?

জেকব:- পৌলের।

সাজিদ:- ১৩ টা পুস্তক কি বাইবেলের অংশ নয়?


জেকব:- হুম।

সাজিদ:- তাহলে বাইবেল কিভাবে পুরা ঈশ্বরের বানী? সাথে আছে পৌলের বানী। পৌলের রচনা। পৌলের ১৩ টি কিতাব রচনা।

জেকব:- ইয়ে মনে...

[ অতঃপর জেকব দৌড় দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো। সাজিদ ইফতার করতে চলে গেলো। তার পর ইবাদতে মগ্ন হয়ে গেলো। কারণ বিজোড় রাতে আমাদের শবে কদর তালাশ করতে হবে। ]

📎সূত্র:- বাইবেলের ১৩ টি পুস্তক পৌলের রচনা করা। [WIKIPEDIA]


Post a Comment

0 Comments