কুরআনে নাস্তিক্যবাদ নিয়ে কিছু বলা হয়েছে কি!?


🖋Author:- Aminur Rashid
____________________________________________________________________________
.
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ
সকল প্রশংসা এবং শুকরিয়া আল্লাহ تعالى উপর যিনি আমাকে আর এই মানবজাতির স্রষ্টা। এবং দুরূদ ও সালাম প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর। অনেক নাস্তিকরা প্রশ্ন কিংবা দাবী করে কুরআনে নাস্তিক্যবাদ সম্পর্কে কিছুই বলা হয় নি। আসলে এটা ভুল কথা। আর নাস্তিকদের এই দাবীই প্রমাণ করে তারা কখনো কুরআন পড়েই নি।
.
.
◾আসুন আমরা দেখি কুরআনের Argument নাস্তিক্যবাদ সম্পর্কে।
.
১) তোমরা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছো? 
.
اَمۡ  خُلِقُوۡا  مِنۡ غَیۡرِ  شَیۡءٍ  اَمۡ ہُمُ الۡخٰلِقُوۡنَ ﴿ؕ۳۵﴾
তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারাই স্রষ্টা?
.
اَمۡ خَلَقُوا السَّمٰوٰتِ  وَ الۡاَرۡضَ ۚ بَلۡ  لَّا یُوۡقِنُوۡنَ ﴿ؕ۳۶﴾
না কি তারা আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে? বরং তারাতো অবিশ্বাসী
(Quran 52 : 35-36)
.
২) তোমরা কি সৃষ্টি করেছো? 
.
نَحۡنُ خَلَقۡنٰکُمۡ  فَلَوۡ لَا تُصَدِّقُوۡنَ ﴿۵۷﴾
আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাহলে কেন তোমরা বিশ্বাস করছনা?
.
اَفَرَءَیۡتُمۡ مَّا تُمۡنُوۡنَ ﴿ؕ۵۸﴾
তোমরা কি ভেবে দেখেছ তোমাদের বীর্যপাত সম্বন্ধে?
.
ءَاَنۡتُمۡ  تَخۡلُقُوۡنَہٗۤ  اَمۡ  نَحۡنُ  الۡخٰلِقُوۡنَ ﴿۵۹﴾
ওটা কি তোমরা সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?
(Quran 56:57-59)
.
৩) তারা কি মনে করে তাদের পুনরুত্থিত করা হবে না!! 
.
وَ قَالُوۡۤا اِنۡ ہِیَ  اِلَّا حَیَاتُنَا الدُّنۡیَا وَ مَا نَحۡنُ بِمَبۡعُوۡثِیۡنَ ﴿۲۹﴾
তারা বলেঃ এই পার্থিব জীবনই প্রকৃত জীবন, এরপর আর কোন জীবন নেই, আর আমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবেনা।
.
وَ لَوۡ تَرٰۤی اِذۡ  وُقِفُوۡا عَلٰی رَبِّہِمۡ ؕ قَالَ اَلَیۡسَ ہٰذَا بِالۡحَقِّ ؕ قَالُوۡا بَلٰی وَ رَبِّنَا ؕ قَالَ فَذُوۡقُوا الۡعَذَابَ بِمَا کُنۡتُمۡ تَکۡفُرُوۡنَ ﴿٪۳۰﴾
হায়! তুমি যদি সেই দৃশ্যটি দেখতে, যখন তাদেরকে তাদের রবের সম্মুখে দন্ডায়মান করা হবে, তখন আল্লাহ তা‘আলা জিজ্ঞেস করবেনঃ এটা (কিয়ামাত) কি সত্য নয়? তখন তারা উত্তরে বলবেঃ হ্যাঁ, আমরা আমাদের রবের (আল্লাহর) শপথ করে বলছি! এটা বাস্তব ও সত্য বিষয়। তখন আল্লাহ বলবেনঃ তাহলে তোমরা এটাকে অস্বীকার ও অমান্য করার ফল স্বরূপ শাস্তির স্বাদ গ্রহণ কর।
(Quran 6:29-30)
.
◾সহীহ হাদিসে এসেছে,,,
.
الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثُوْنِيْ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيْهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِالطُّوْرِ فَلَمَّا بَلَغَ هَذِهِ الْآيَةَ {أَمْ خُلِقُوْا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخٰلِقُوْنَ ط (35) أَمْ خَلَقُوا السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضَ ج بَلْ لَّا يُوْقِنُوْنَ ط (36) أَمْ عِنْدَهُمْ خَزَآئِنُ رَبِّكَ أَمْ هُمُ الْمُصَيْطِرُوْنَ ط (37)} قَالَ كَادَ قَلْبِيْ أَنْ يَطِيْرَ قَالَ سُفْيَانُ فَأَمَّا أَنَا فَإِنَّمَا سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيْهِ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِالطُّوْرِ وَلَمْ أَسْمَعْهُ زَادَ الَّذِيْ قَالُوْا

যুবায়র ইব্‌নু মুত‘ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে মাগরিবে সূরাহ তূর পাঠ করতে শুনেছি। যখন তিনি এ আয়াত পর্যন্ত পৌঁছেন তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? আসমান-যমীন কি তারাই সৃষ্টি করেছে? আসলে তারা অবিশ্বাসী। আমার প্রতিপালকের ধনভাণ্ডার কি তাদের কাছে রয়েছে, না তারাই এ সমূদয়ের নিয়ন্তা তখন আমার অন্তর প্রায় উড়ে যাবার অবস্থা হয়েছিল। সুফ্ইয়ান (রহ.) বলেন, আমি যুহরীকে মুহাম্মদ ইব্‌নু জুবায়ির ইব্‌নু মুত‘ইমকে তার পিতার বর্ণনা করতে শুনেছি তার পিতা যুবায়র বলেছেন যে, যা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে মাগরিবে সূরাহ তূর পাঠ করতে শুনেছি। কিন্তু এর অতিরিক্ত আমি শুনিনি যা তাঁরা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন।
.
[ সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৮৫৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: ihadis.com ]
.
.
◾প্রিয় পাঠক
এবার আপনারাই বলুন এসব কি কোন আস্তিক-ঈশ্বর বিশ্বাসীদের লক্ষ্য করে বলা হয়েছে নাকি নাস্তিক- ঈশ্বর অবিশ্বাসীদের লক্ষ্য করে বলা হয়েছে!? আমি নিজ থেকে কিছুই বলব না। কারণ তা বুঝার সাধ্য মানুষদের রয়েছে। আসলে কুরআন না পড়লে কিছুই পাওয়া যায় না। কুরআন না পড়লে কুরআনে নাস্তিকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে তা পাওয়া যাবে না। আমাদের পড়তে হবে না পড়লে কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়। যেমন অনেকে বলেন কুরআনে ডাইনোসর সম্পর্কে কিছুই বলা নাই। তবে ডাইনোসর সম্পর্কে বলা আবশ্যক নয় তবুও কুরআন নাম ধরে না ডেকে সুন্দর ভাবে মানুষদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। কারণ কুরআন শুধু মাত্র টেলিগ্রাফিক বার্তা। তার পরেও তার ইঙ্গিত কুরআনে রয়েছে।
.
وَ اللّٰہُ خَلَقَ کُلَّ دَآبَّۃٍ  مِّنۡ مَّآءٍ ۚ فَمِنۡہُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰی بَطۡنِہٖ ۚ وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰی  رِجۡلَیۡنِ ۚ  وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ یَّمۡشِیۡ عَلٰۤی اَرۡبَعٍ ؕ یَخۡلُقُ اللّٰہُ  مَا یَشَآءُ ؕ اِنَّ  اللّٰہَ  عَلٰی کُلِّ  شَیۡءٍ  قَدِیۡرٌ ﴿۴۵﴾
আল্লাহ সমস্ত জীব সৃষ্টি করেছেন পানি হতে, ওদের কতক পেটে ভর দিয়ে চলে এবং কতক দু’ পায়ে ভর করে চলে এবং কতক চলে চার পায়ে, আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
(Quran 24:45)
.
.
আসলে না পড়লে কোন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়। আল্লাহ কুরআনে আস্তিক-নাস্তিক বিষয়ে বলেছেন তবে না পড়লে তা পাওয়া যাবে কিভাবে!? কুরআন নাস্তিক সম্পর্কে বলেছে সাথে দিয়েছে আর্গুমেন্ট। আলহামদুলিল্লাহ
না পড়লে কখনোই তা আমরা পাবো না।
.
.
মনে পরে গেলো দুটি আয়াতের কথা....
.
اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّکَ الَّذِیۡ خَلَقَ ۚ﴿۱﴾
পাড়ো তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। (Quran 96:1)
.
وَ مِنۡہُمۡ اُمِّیُّوۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ الۡکِتٰبَ اِلَّاۤ اَمَانِیَّ وَ اِنۡ ہُمۡ  اِلَّا یَظُنُّوۡنَ ﴿۷۸﴾
আর তাদের মধ্যে আছে নিরক্ষর, তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া কিতাবের কোন জ্ঞান রাখে না এবং তারা শুধুই ধারণা করে থাকে।
(Quran 2:78)
.
.
❤اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ❤

Post a Comment

0 Comments