বাইবেল থেকে প্রমান ঈসা আঃ/যিশু জীবিত, মারা জায়নি!


🖋Author: MH Emon 
__________________________________________________________________________________

প্রথমে দেখি কুরআন কি বলে যিশু/ঈসা আঃ কে নিয়ে! 

কুরআন মতে যিশু বা ঈসা আঃ মারা যায়নি,তিনি এখনো জীবিত!

প্রমান : 

আর তাদের একথা বলার কারণে যে, আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায় পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে সন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি।
(সূরাঃ আন নিসা, আয়াতঃ ১৫৭)

(আলহামদুলিল্লা) কুরআন সুস্পষ্ট বলছে ঈসা আঃ/যিশু মারা যায়নি, তাকে হত্যা করা হয়নি। 

কুরআন থেকে প্রমানিত যিশু বা ঈসা আঃ এখনো জীবিত আছে।

এবার বাইবেল থেকে প্রমান করব, যে যিশু বা ঈসা আঃ জীবিত তিনি মারা যায়নি। 
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

বাইবেল থেকে প্রমান :

যিশু নিয়ে ভবিষ্যৎ বাণী যে তিনি মরবেন না!

ভবিষ্যৎবাণী:
17. আমি মরবো না, আমি বেঁচে থাকবো এবং প্রভু কি করেছেন তা আমি বলবো|(সামসঙ্গীত 118:17)

18. প্রভু আমায় শাস্তি দিয়েছেন, কিন্তু তিনি আমায় মরতে দেন নি|(সামসঙ্গীত 118:18)

এটা ঈসা আঃ বা যিশুকে নিয়ে তার জন্মের আগে করা ভবিষ্যৎবাণী, এখানে সুস্পষ্ট বলা হয়েছে, যে ঈসা বা যিশু মারা যাবে না।

◾এখন যদি ঈসা/যিশু মারা গিয়ে থাকে, তো ভবিষ্যৎ বাণী মিথ্যা হয়ে যাবে। কিন্তু না যিশু/ঈসা মারা যায়নি , ঈশ্বর/তাকে মরতে দেননি, দেখুন:

  7. খ্রীষ্ট যখন এ জগতে ছিলেন তখন সাহায্যের জন্য তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন৷ ঈশ্বরই তাঁকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে সমর্থ (সমর্থ মানে কি তা আশা করি সবাই বুঝেন) যীশু ঈশ্বরের নিকট প্রবল আর্তনাদ ও অশ্রুজলের সঙ্গে প্রার্থনা করেছিলেন৷ ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতি তাঁর নম্রতা ও বাধ্যতার জন্য ঈশ্বর যীশুর প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন৷(হিব্রুদের কাছে পত্র 5:7)

39. পরে তিনি কিছু দূরে গিয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে প্রার্থনা করে বললেন, ‘আমার পিতা, যদি সন্ভব হয় তবে এই কষ্টের পানপাত্র আমার কাছ থেকে দূরে যাক; তবু আমার ইচ্ছামতো নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছা পূর্ণ হোক্৷’(মথি 26:39)

এখানে ঈসা/যিশু ঈশ্বরের কাছে মৃত্যু থেকে বাচঁতে দোয়া করেছিলেন। আর (সামসঙ্গীত 118:17-18) ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী তার দোয়া কবুল হয়। ঈশ্বর যিশু বা ঈসা আঃ কে মরতে দেননি।

যিশু/ঈসা আঃ কে কোন শিষ্যই মরতে দেখেনি :

যিশু কে যখন সৈন্যরা গ্রেফতার করল, তখন শিষ্যদের অবস্থা দেখুন, 

50. তখন তাঁর সব শিষ্যেরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে গেলেন৷(মার্ক 14:50)

51. আর একজন যুবক উলঙ্গ শরীরে একটি চাদর জড়িয়ে তাঁকে অনুসরণ করল৷ তারা তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করল৷(মার্ক 14:51)

52. কিন্তু সে চাদরটি ফেলে উলঙ্গ অবস্থায় পালিয়ে গেল৷(মার্ক 14:52)

হ্যাঁ, এরাই ছিল যিশুর/ঈসা আঃ এর শিষ্য যারা তাকে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল, তাদের একজন তাকে ফেলে উলঙ্গ হয়ে পালিয়েছিল। এরাই নাকি বাইবেল লিপিবদ্ধ করেছে।

আপনারাই চিন্তা করেন,,কীভাবে আপনি শিষ্যদের কথা বিশ্বাস করবেন, যারা যিশু /ঈসা আঃ রেখে পালিয়ে গিয়েছিল। 

◾এখন প্রশ্ন থাকতে পারে যে, বাইবেলে তো যিশুর মৃত্যুর কথা তার শিষ্যরা লিখেছে, তা কি মিথ্যা ?

Answer : হ্যাঁ মিথ্যা লিখেছে,, যিশুর শিষ্যরা তখন পালিয়ে গিয়েছিল, তারা ইহুদি,রোমান সৈন্য তাদের মুখের কথা বাইবেলে লিপিবদ্ধ করে,, তারা ঈসা আঃ/ যিশুকে মরতে দেখেনি,এটাই সত্য।

আজ পর্যন্ত কোন খ্রিস্টান যিশুর মৃত্যু হয়েছে তার, কোন বিশুদ্ধ প্রমান দেখাতে পারেনি। তারা প্রমান দেখেবে, ইহুদি দেখেছে, রোমান সৈন্য দেখেছে ইত্যাদি।
কিন্তু তারা সত্য বলেছে না মিথ্যা বলেছে তা না ঈসা/যিশুর শিষ্য দেখেছে না বর্তমান খ্রিস্টানরা দেখেছে। তারা কেবল অন্ধদের মতো বিশ্বাস করে।

এরাই নাকি বাইবেল লিপিবদ্ধ করেছে।

যিশুর পূনরুত্থান নিয়ে ভুল তথ্য :

পূনরুত্থানের সময় সঠিক তথ্য কোনটি ?

◾যখন সূর্য উপরে উঠছিল ( মথি ২৮ঃ১), এর বিপরীতে আছে সূর্য তখন আধার ছিল (যোহন ২০ঃ১)।

◾মগ্দলীনি মরিয়ম (যোহন২০ঃ১) এর বিপরীতে আছে মগ্দলীনি মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম (মথি ২৮ঃ১)।অথবা মহিলাগণ (বহুবচন লক্ষ করুন লুক ২৩ঃ১ কবরে গেলেন)

◾একটা ভুমিকম্প হল, একজন সর্গদূত/ফেরেশতা নেমে আসলেন এবং পাথরটা সরিয়ে দিলেন কবরের মুখ থেকে এবং পাথরটার উপর বসলেন (মথি ২৮ঃ২), এর বিপরীতে আছে, যদিও আগে থেকেই পাথরটা সরানো ছিল! মগ্দলীনি মরিয়ম যখন কবরের কাছে যান তখন বাহ্যত পাথরটা আগে থেকেই সরানো ছিল (যোহন ২০ঃ১, মার্ক ১৬ঃ৪, লুক ২৪ঃ২)।

◾কবরে গমন করার উদ্দেশ্য ছিল, মৃতদেহে খোশবু মসলা লাগানো মাখানো (মার্ক ১৬ঃ১, লুক ২৪ঃ১) এর বিপরীতে আছে তারা কেবল কবরটাকে দেখতে গেলেন ( মথি ২৮ঃ১)

◾তাঁরা সমাধিগুহার ভিতরে গিয়ে দেখলেন, একজন যুবক ডানদিকে সাদা পোশাক পরে বসে আছেন,তাতে তারা ভয়ে চমকে উঠলেন (মার্ক ১৬:৫) এর বিপরীতে আছে, সেই সময় উজ্জ্বল পোশাক পরে দুজন ব্যক্তি হঠাৎ এসে তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন৷(লুক ২৪:৪)। 

সৈন্যরা ঈসা/যিশুকে কী রঙের পোশাক পড়াল :

মথির বক্তব্য
28. তারা যীশুর পোশাক খুলে নিল, আর তাঁকে একটা লাল রঙের পোশাক পরাল৷(মথি 27:28)

যোহনের বক্তব্য
2. সেনারা কাঁটালতা দিয়ে একটা মুকুট তৈরী করে সেটা যীশুর মাথায় পরিয়ে দিল৷ তারা যীশুকে বেগুনে রঙের পোশাক পরাল,(যোহন 19:2)

এখানে কে সত্য বলেছে?
এরাই নাকি বাইবেল লিপিবদ্ধ করেছে।

পুরো লেখা পড়ার পর আপনাদের অনুভূতি কি হচ্ছে জানি না। তবে চিন্তা করুন,যিশুর ✝ ক্রুশবিদ্ধকরণ নিয়ে কত গোঁজামিল বাইবেলে।

আল্লাহ কুরআনে বলেছেন
তিনি ঈসা আঃ/ যিশুকে মরতে দেননি। জীবিত অবস্থায় তাকে আসমানে তুলে নেয়া হয়েছে।   

বাইবেলের ভবিষ্যত বাণী ও ঈসা/যিশুর দোয়া অনুযায়ী তিনি বাইবেল মতে মারা যাননি।

(প্রমানিত)   

Post a Comment

0 Comments