আল্লাহ কি ফেরেস্তাগণদের মুখাপেক্ষী!?
🖋Author:- Aminur Rashid
____________________________________________________________________________
.
আসসালামু আলাইকুম
আলহামদুলিল্লাহ, সকল প্রশংসা আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালার। যিনি মহান এবং যিনি সর্বশক্তিমান। ইসলাম বিরোধীদের একটি অভিযোগ হলো আল্লাহ তায়ালা ফেরেস্তাদের দিয়ে কাজ করান যেমন জিব্রাইল (আ:) কে ওহী দিয়ে পাঠিয়েছেন। এখন ইসলাম বিরোধীদের Question হলো আল্লাহ কি তাহলে ফেরেস্তাদের মুখাপেক্ষী!? (নাঊজুবিল্লাহ মিন যালিক)
.
আসুন দেখে নেই....
.
পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহ তায়ালা বলেই দিয়েছেন তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। আল্লাহ বলেন,,,
.
اللَّهُ الصَّمَدُ
💕 আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, [১]
.
এবার ইসলাম বিরোধীদের অভিযোগের জবাবে আসি। ফেরেস্তাদের দিয়ে কাজ করানো মানে যে আল্লাহ ফেরেস্তাদের মুখাপেক্ষী তা নয়। কারণ আল্লাহ সব পারেন তিনি সর্বশক্তিমান।
.
وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ ثُمَّ يَتَوَفَّاكُمْ ۚ وَمِنْكُمْ مَنْ يُرَدُّ إِلَىٰ أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْ لَا يَعْلَمَ بَعْدَ عِلْمٍ شَيْئًا ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ قَدِيرٌ
.
💕 আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এরপর তোমাদের মৃত্যুদান করেন। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ পৌছে যায় জরাগ্রস্ত অকর্মন্য বয়সে, ফলে যা কিছু তারা জানত সে সম্পর্কে তারা সজ্ঞান থাকবে না। নিশ্চয় আল্লাহ সু-বিজ্ঞ সর্বশক্তিমান। [২]
(সূরাঃ নাহল, আয়াতঃ ৭০)
.
.
অতএব আমরা বুঝলাম আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। আল্লাহ যা চান তাই করেন আল্লাহ বলেন,,,
.
فَعَّالٌ لِمَا يُرِيدُ
💕 তিনি যা চান, তাই করেন। [৩]
.
আল্লাহ তায়ালা চেয়েছেন বলেই তিনি ফেরেস্তাদের নানান কাজে রেখেছেন। এতে আল্লাহর অক্ষমতা নয় বরং ক্ষমতা বুঝায়,,,
.
যেমন ধরুন,,
.
আপনি একজন বিজ্ঞানী তো আপনি একটি "রোবট" আবিষ্কার করলেন এই রোবটে আপনি প্রোগ্রাম সেটআপ করলেন আর এই প্রোগ্রাম অনুযায়ী "রোবট" গুলি কাজ করবে। আর তা সাফলও হলো "রোবট"রা প্রোগ্রাম অনুযায়ী কাজ করছে।
.
◾এখন এই যে রোবটর কাজ করছে যেমন বিছানা করছে কাপড় গোছানোর কাজ করছে সেসব কি একজন মানুষ পারে না? উত্তর হচ্ছে "হ্যাঁ" পারে। আর যে তা তৈরি করেছে তার আরো খ্যাতি হয় এবং তিনি যে একজন ইন্টেলিজেন্ট তাও প্রমাণ হয়।
.
ঠিক একই ভাবে আল্লাহ তায়ালা ফেরেস্তাদের তৈরি করেছেন যারা শুধু ভালো কাজ করতে সক্ষম। আর ফেরেস্তাদের তৈরি না করলেও আল্লাহ পারতেন তার পরেও করেছেন তার ইচ্ছায়।
.
এতে আল্লাহর অক্ষমতা নয় বরং ক্ষমতা প্রকাশ পায়।
.
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
.
لَيْسَ الْبِرَّ أَنْ تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا ۖ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ ۗ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ
💕 সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেস্তাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার। [৪]
.
.
তথ্যসূত্রঃ
[১] সূরা ইখলাস আয়াত, ২
[২] সূরা বুরুজ আয়াত, ১৬
[৩] সূরাঃ আল বুরূজ, আয়াতঃ ১৬
[৪] সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ১৭৭

0 Comments