যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না ?

যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না ? 
🖋Abuturab Ahmed Tanvir
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না [১]যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম[২], আর আমি সকল প্রাণবান জিনিসকে পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না? [Al-Quran :21ঃ30]
[১] চোখে দেখে জানা হোক কিংবা বুদ্ধি-বিবেচনা দ্বারা জানা হোক। কেননা, এরপর যে বিষয়বস্তু আসছে তার সম্পর্ক কিছু চোখে দেখার সাথে এবং কিছু ভেবে দেখার সাথে। [ফাতহুল কাদীর]
[২] رتق শব্দের অর্থ বন্ধ হওয়া, আর فتق এর অর্থ খুলে দেয়া। উভয় শব্দের সমষ্টি رتق ও فتق কোন কাজের ব্যবস্থাপনা ও তার পূর্ণ ক্ষমতার অর্থে ব্যবহৃত হয়। সে হিসেবে আয়াতের অনুবাদ এই দাঁড়ায় যে, আকাশ ও পৃথিবী বন্ধ ছিল। আমি এদেরকে খুলে দিয়েছি। সহীহ সনদে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন এর অর্থ হচ্ছেঃ আসমান ও যমীন পরস্পর মিলিত ছিল তারপর আমরা সে দুটিকে পৃথকীকরণ করেছি। হাসান ও কাতাদা রাহেমাহুমাল্লাহ বলেনঃ এতদুভয়ের মধ্যে বাতাস দ্বারা পৃথকীকরণ করেছেন। [ইবন কাসীর; কুরতুবী] মোটকথাঃ এ শব্দগুলো থেকে যে কথা বুঝা যায় তা হচ্ছে এই যে, বিশ্ব-জাহান প্রথমে একটি পিণ্ডের আকারে ছিল। পরবর্তীকালে তাকে পৃথক পৃথক অংশে বিভক্ত করে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নীহারিকা ইত্যাদি স্বতন্ত্র জগতে পরিণত করা হয়েছে।
আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে আদিতে আকাশ বাতাস,চন্দ্র,সূর্য,নক্ষত্র, গ্রহ,নিহারিকা পুঞ্জ, ব্লাক হোল সব কিছু মিশে একসাথে ছিলো।এটার ঘনত্ব ছিলো খুব বেশি।মহাবিশ্বেরসবকিছু ছিলো একটা বিন্দু।
বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছে "The singularity"বা মহা একত্ব।তারপর এক মহা বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে।বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন বিগ ব্যাং থিওরি।
যারা স্টিফেন হকিং এর ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইটা পড়েছেন তারা নিশ্চয় জানেন। স্টিফেন হকিং এর ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইটা পড়েছেন তারা নিশ্চয় জানেন।স্টিফেন হকিং এই কুরআনের আয়াতের সত্যতা প্রমাণ করছেন।
২০০১ সালে আমেরিবকার মহাকাশ গবেষণা বিজ্ঞান কেন্দ্র নাসা মহাকাশে একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে জানতে পারে মহাবিস্ফোরণের সত্যতা।
অথচ আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে রাসূল স: এর দ্বারা কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ পাক এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
আল্লাহু -আকবার
.
প্রসঙ্গক্রমে পড়তে পারন:- https://uncovertrue.blogspot.com/2020/02/blog-post_92.html

Post a Comment

0 Comments