কুরআন কি তাওরাত-ইঞ্জিল মেনে চলতে বলে?



কুরআন কি তাওরাত-ইঞ্জিল মেনে চলতে বলে?
🖋Author:- Aminur Rashid
================================
.
খ্রিষ্টান মিশনারীদের যখন বাইবেলের ভুল দিবেন কিংবা বাইবেলের বিকৃত হওয়া নিয়ে কোন তথ্য দিবেন তখন সরলমনা মুসলিমদের খ্রিষ্টানরা বুদ্ধি করে কিছু আয়াত দেখাবে কুরআন থেকে এবং বিভ্রান্ত করবে।
.
আসুন আজ এর ব্যবচ্ছেদ করা যাক,,,
.
📎 প্রথমে আমরা জেনে তাওরাত ও ইঞ্জিল নিয়ে!
.
তাওরাত:- ছয়টি হিব্রু বাইবেল, যেগুলোর ইংরেজি সংস্করণ হচ্ছে: Genesis, Exodus, Leviticus, Numbers, Deuteronomy. এগুলো ইহুদিদের মূল ধর্মগ্রন্থ। এরকম অনেকগুলো বইকে একসাথে The Old Testament বলা হয়।
.
ইঞ্জিল:- Gospel নামে পরিচিত – Matthew, Mark, Luke, and John। এগুলো মূলত খ্রিষ্টানদের ধর্মগ্রন্থ। এগুলোর ব্যাপারে মুসলিমদের অবস্থান হলো: ঈসা عليه السلام -কে যে ইঞ্জিল দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো হারিয়ে গেছে এবং গস্পেল বলতে যা এখন মানুষের কাছে আছে সেগুলো সব মানুষের লেখা, যার মধ্যে কিছুটা হলেও আল্লাহর বাণী রয়েছে। এমনকি এটা আজকাল খ্রিষ্টানদেরও অবস্থান যে, ইঞ্জিলের আসল গ্রন্থগুলো হারিয়ে গেছে।[ পড়তে পারেন:- https://uncovertrue.blogspot.com/2020/02/blog-post.html ]
.
🔎 এবার খ্রিষ্টান মিশনারীদের জবাব দেওয়া যাক,,,
.
◽অভিযোগ:- কুরআনে বহু জায়গায় বলা পূর্বের কিতাব মানার জন্য।তাহলে কেনো মুসলিমরা বাইবেল মানে না?
.
জবাব:- কুরআনে কোথাও নেই "বাইবেল" শব্দটা তাহলে বাইবেল পেলেন কোথায় কে জানে। কুরআনে যদি বলা থাকে "পূর্বের কিতাব বিশ্বাস করতে" তাহলে তো খ্রিষ্টানদের উচিত নবী মুহাম্মদ (ﷺ) কে মানা কারণ নবী মুহাম্মদ (ﷺ) কে যারা মানে না তারা কেনো আবার সেই নবীর উপর নাজিল করা কিতাব থেকে দলিল দেয়? কুরআনে বহু জায়গায় আছে যে তাওরাত-যাবুর বিশ্বাস করার জন্য। তবে তা আজ বিকৃত। কুরআন আসার পরে সব বাতিল কুরআন দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছে। বাইবেল সেই যুগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কুরআন দ্বীনকে করেছে পূর্ণাঙ্গ।[১]
.
আল্লাহ বলেন,,,
.
أَفَتَطْمَعُونَ أَنْ يُؤْمِنُوا لَكُمْ وَقَدْ كَانَ فَرِيقٌ مِنْهُمْ يَسْمَعُونَ كَلَامَ اللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُ مِنْ بَعْدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمْ يَعْلَمُونَ
হে মুসলমানগণ, তোমরা কি আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে? তাদের মধ্যে একদল ছিল, যারা আল্লাহর বাণী শ্রবণ করত অতঃপর বুঝে-শুনে তা পরিবর্তন করে দিত এবং তারা তা অবগত ছিল।
(সূরাঃ আল বাকারা, আয়াতঃ ৭৫)
.
এই একটা আয়াত খ্রিষ্টানদের দাবীকে বরবাদ করে দেয়।
📌 হে মুসলমানগণ, তোমরা কি আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে?
- দেখুন মুসলমানগণ যারা কুরআন মানে।
📌 তাদের মধ্যে একদল ছিল, যারা আল্লাহর বাণী শ্রবণ করত অতঃপর বুঝে-শুনে তা পরিবর্তন করে দিত এবং তারা তা অবগত ছিল।
- দেখুন তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিল যে লোকেরা বিকৃত করতো পরিবর্তন করতো এবং সে সম্পর্কে অবগতও থাকতো।
.
একটি হাদিসও রয়েছে,,,
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ: أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: " كَانَتْ مُلُوكٌ بَعْدَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَامُ بَدَّلُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ، وَكَانَ فِيهِمْ مُؤْمِنُونَ يَقْرَءُونَ التَّوْرَاةَ قِيلَ لِمُلُوكِهِمْ: مَا نَجِدُ شَتْمًا أَشَدَّ مِنْ شَتْمٍ يَشْتِمُونَا هَؤُلَاءِ، إِنَّهُمْ يَقْرَءُونَ: {وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ} [المائدة: 44]، وَهَؤُلَاءِ الْآيَاتُ مَعَ مَا يَعِيبُونَا بِهِ فِي أَعْمَالِنَا فِي قِرَاءَتِهِمْ، فَادْعُهُمْ فَلْيَقْرَءُوا كَمَا نَقْرَأُ، وَلْيُؤْمِنُوا كَمَا آمَنَّا، فَدَعَاهُمْ، فَجَمَعَهُمْ، وَعَرَضَ عَلَيْهِمُ الْقَتْلَ أَوْ يَتْرُكُوا قِرَاءَةَ التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ، إِلَّا مَا بَدَّلُوا مِنْهَا، فَقَالُوا: مَا تُرِيدُونَ إِلَى ذَلِكَ، دَعُونَا، فَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ: ابْنُوا لَنَا أُسْطُوَانَةً ثُمَّ ارْفَعُونَا إِلَيْهَا، ثُمَّ اعْطُونَا شَيْئًا نَرْفَعُ بِهِ طَعَامَنَا وَشَرَابَنَا، فَلَا نَرِدُ عَلَيْكُمْ. وَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ: دَعُونَا نَسِيحُ فِي الْأَرْضِ، وَنَهِيمُ وَنَشْرَبُ كَمَا يَشْرَبُ الْوَحْشُ، فَإِنْ قَدَرْتُمْ عَلَيْنَا فِي أَرْضِكُمْ فَاقْتُلُونَا. وَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ: ابْنُوا لَنَا دُورًا فِي الْفَيَافِي، وَنَحْتَفِرُ الْآبَارَ، وَنَحْتَرِثُ الْبُقُولَ فَلَا نَرِدُ عَلَيْكُمْ، وَلَا نَمُرُّ بِكُمْ، وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنَ الْقَبَائِلِ إِلَّا وَلَهُ حَمِيمٌ فِيهِمْ. قَالَ: فَفَعَلُوا ذَلِكَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَرَهْبَانِيَّةً ابْتَدَعُوهَا مَا كَتَبْنَاهَا عَلَيْهِمْ إِلَّا ابْتِغَاءَ رِضْوَانِ اللَّهِ فَمَا رَعَوْهَا حَقَّ رِعَايَتِهَا} [الحديد: 27] وَالْآخَرُونَ قَالُوا: نَتَعَبَّدُ كَمَا تَعَبَّدَ فُلَانٌ، وَنَسِيحُ كَمَا سَاحَ فُلَانٌ، وَنَتَّخِذُ دُورًا كَمَا اتَّخَذَ فُلَانٌ، وَهُمْ عَلَى شِرْكِهِمْ، لَا عِلْمَ لَهُمْ بِإِيمَانِ الَّذِينَ اقْتَدَوْا بِهِ، فَلَمَّا بَعَثَ اللَّهُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلَّا قَلِيلٌ، انْحَطَّ رَجُلٌ مِنْ صَوْمَعَتِهِ، وَجَاءَ سَائِحٌ مِنْ سِيَاحَتِهِ، وَصَاحِبُ الدَّيْرِ مِنْ دَيْرِهِ، فَآمَنُوا بِهِ، وَصَدَّقُوهُ، فَقَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَآمِنُوا بِرَسُولِهِ يُؤْتِكُمْ كِفْلَيْنِ مِنْ رَحْمَتِهِ} [الحديد: 28] أَجْرَيْنِ بِإِيمَانِهِمْ بِعِيسَى وَبِالتَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ، وَبِإِيمَانِهِمْ بِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَصْدِيقِهِمْ. قَالَ: يَجْعَلْ لَكُمْ نُورًا تَمْشُونَ بِهِ الْقُرْآنَ، وَاتِّبَاعَهُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: {لِئَلَّا يَعْلَمَ أَهْلُ الْكِتَابِ} [الحديد: 29] يَتَشَبَّهُونَ بِكُمْ {أَلَّا يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ} [الحديد: 29] الْآيَةَ "
...
[حكم الألباني] صحيح الإسناد موقوف

ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, ঈসা ইব্‌ন মারয়াম (আ)-এর পর এমন কয়েকজন বাদশাহ্‌ ছিলেন, যারা তাওরাত এবং ইঞ্জিলে পরিবর্তন সাধন করেন। তাদের মধ্যে এমন কিছু ইমানদার লোকও ছিলেন, যারা তাওরাত পাঠ করতেন। তখন তাদের বাদশাহদেরকে বলা হলো- এ সকল লোক আমাদেরকে যে গালি দিচ্ছে, এর চেয়ে কঠিন গালি আর কি হতে পারে? তারা পাঠ করেঃ যারা আল্লাহ্‌র নাজিলকৃত আহ্‌কাম দ্বারা মীমাংসা করে না, তারা কাফির।“ তাদের পড়ার মধ্যে থাকে এই আয়াত এবং ঐ সকল আয়াত, যাতে আমাদের কর্মকাণ্ডের দোষ প্রকাশ পায়। তাদেরকে আহবান করুন, তারা যেন আমরা যেরূপ পাঠ করি, সেরূপ পাঠ করে, আর আমরা যেরূপ ঈমান এনেছি, সেরূপ ঈমান আনে। বাদশাহ তাদের সকলকে ডেকে একত্রিত করলেন এবং তাদের সামনে পেশ করলেন যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে, যদিনা তারা তাওরাত ও ইঞ্জিল পাঠ ত্যাগ করবে, তবে ঐ সকল আয়াত ব্যতীত, যা পরিবর্তন হয়েছে। তারা বললোঃ এর দ্বারা তোমাদের উদ্দেশ্য কী ? আমাদেরকে আমাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দাও। তাদের একদল বললঃ আমাদের জন্য একটি স্তম্ভ তৈরি কর, এরপর আমাদের তাতে চড়িয়ে দাও এবং আমাদেরকে এমন কিছু দান কর, যা দ্বারা আমরা আমাদের খাদ্য ও পানীয় উঠিয়ে নিতে পারি, তা হলে আমরা আর তোমাদের নিকট আসবো না। তাদের আর একদল বললঃ আমাদেরকে ছেড়ে দাও, আমরা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াব এবং বন্য পশুর ন্যায় আহার ও পান করবো। আর এরপর যদি তোমাদের দেশে আমাদেরকে পাও, তবে আমাদেরকে হত্যা করো। তাদের আর একদল বললোঃ বনে জঙ্গলে আমাদের জন্য গির্জা তৈরী করে দাও। আমরা কূপ খনন করবো এবং তরি-তরকারি ফলাব, আমরা তোমাদের কাছেও আসবো না, এবং তোমাদের পাশ দিয়ে কোথাও যাব না। আর এমন কোন গোত্র ছিল না, যাতে তাদের আত্মীয়-স্বজন না ছিল। পরে তারা ঐরূপ করলো। তখন আল্লাহ্‌ তা’আলা আয়াত নাযিল করেনঃ তারা নিজেরা এমন বৈরাগ্য ঠিক করে নিয়েছিল। আমি তাদেরকে এর বিধান দিইনি। তারা ঐ দরবেশের হক পূর্ণ করেনি। অন্যান্য লোকেরা বলতে লাগলোঃ আমরাও তাদের ন্যায়, যেমন অমুক অমুক লোক করে থাকে, অমূক লোকের ন্যায় জঙ্গলে জঙ্গলে ভ্রমণ করবো, ঐরূপ গৃহ নির্মাণ করবো, যেমন অমূক লোকেরা করেছিল। অথচ তারা শিরকে পতিত ছিল, তারা যাদের অনুকরণ করছিল, তাদের ঈমান সম্বদ্ধেও অবহিত ছিল না। যখন আল্লাহ্‌ তা’আলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে প্রেরণ করলেন, তখন তাদের মধ্যে কিছু লোক অবশিষ্ট ছিল। কেউ তো তার ইবাদতখানা হতে নেমে আসলো, ভ্রমণকারী তার ভ্রমণ হতে ফিরে আসলো, কেউ তার গির্জা হতে আসলো এবং তাঁর প্রতি ঈমান আনলো এবং তাকে বিশ্বাস করলো। তখন আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনয়ন কর, তা হলে তিনি তোমাদেরকে তাঁর রহমতের দ্বিগুণ দান করবেন, এক তো হযরত ঈসা (আ) -এর উপর ঈমান আনার দরুন এবং তাওরাত-ইঞ্জিলে বিশ্বাস স্থাপনের দরুন। আর দ্বিতীয়ত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর ঈমান আনা এবং তাঁকে সত্যবাদী জানার কারণে এবং তাঁকে সত্যবাদী বলে বিশ্বাস করার দরুন আল্লাহ্‌ তা’আলা এক আলো দান করবেন, যার আলোতে তোমরা চলাফেরা করবে, অর্থাৎ তা হলো কুরআন এবং তাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর অনুগমন অনুসরণ, যেন যে আহ্‌লে কিতাব তোমাদের মত হতে চায়; তারা যেন না বুঝে যে, তারা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ পাবে না।
.
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৪০০
হাদিসের মান: সহিহ মাওকুফ
Source: ihadis.com
.
অতএব, তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিল হলো বিকৃত এবং যার হয়েছে বহু সংশোধন। তাই এই আয়াত থেকে স্পষ্ট যে তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিল এক সময় ছিলো "সত্য মিথ্যার ফয়সালা[২] কিন্তু সেসব সেই যুগের মানুষরা বিকৃত করেছে কারণ সেসব বাতিল হয়ে গেছে কুরআনের পরে।বাইবেলে যে বিকৃত তার বহু প্রমাণ রয়েছে। বাইবেলে রয়েছে নানান বিকৃত কথাবার্তা। কিন্তু কুরআন কখনোও বিকৃত হবে না তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিল হয়েছে কুরআন আসার পরে বাতিল তাই হয়েছে কিন্তু কুরআন কখনো বিকৃত হবে না।কারণ কুরআনের সংরক্ষক আল্লাহ নিজেই।
.
📌 কুরআনে কোন সংশয়-ভুল নেই।[৩]
📌 কুরআনের সংরক্ষক আল্লাহ।[৪]
📌 কুরআনে কোন অসংগতি নেই।[৫]
.
◽অভিযোগ:- আল্লার বাক্য তো বিকৃত করা সম্ভব নয় তাহলে কিভাবে বাইবেল বিকৃত করলো?
.
জবাব:- যেটা বাতিল করেছেন সেটা নাসখ হয়ে গিয়েছে কুরআন আসার পরে বাইবেল বাতিল হয়েগেছে কুরআন এসেছে মানবজাতির জন্য। আর বইবেল যে বিকৃত করেছে তার মূল কারণ হলো বাইবেল বাতিল করা হয়েছে আর তাই আল্লাহ বলেছেন "পূর্বে একদল ছিলো যারা আল্লাহর বানী শ্রবণ করতো ও বিকৃত করতো" (২:৭৫) অতএব এতেই প্রমাণ হয় বাইবেলে একসময় ছিলো আল্লাহর বানী কিন্তু তা এখন বিকৃত। তা কুরআনের পরে বাতিল।তাই বাতিল বিষয়কে বিকৃত করতে সক্ষম কিন্তু কুরআনকে বিকৃত করতে পারবে না কারণ তার সংরক্ষক আল্লাহ তায়ালা। আল্লাহে বাক্য বিকৃত হয় না তবে যে বিষটি শুধু যুগের মধ্যে বা কোন প্রক্ষাপেটের জন্য তখন সেটা সেই সময়কার জন্যই সীমাবদ্ধ। বাইবেলও সেই সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ।যেমন আল্লাহ অনেক আয়াত দিয়েছে যা পরবর্তীতে নাসখ হয়েছে। আল্লাহ তার থেকে উত্তম আয়াত দেন আর নাসখ বলতে স্রষ্টার একটি বিধান নতুন আরেকটি বিধান দ্বারা বাতিল হয়ে যাওয়াকে বোঝায়।আর বাইবেলে বিকৃত কারণ বাইবেল কুরআনের পরে বাতিল ও তা অনেকেই বা কৃত ও পরিবর্তন করেছে।বাতিল বিষয় পরিবর্তন করতে সক্ষম তবে কুরআন নয়।
.
◽অভিযোগ:- কুরআনে যেহেতু বলা হয়েছে বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য তাহলে কেনো মানবেন না?
.
জবাব:- হুম কুরআনে অনেক জায়গায় বলা হয়েছে বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য।[৬]
আর আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি যে একসময় তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিল আল্লাহর কিতাব ছিলো আমরা শ্রদ্ধা করি।তবে সেটা আমরা মানবো না কারণ তা বাতিল হয়ে গেছে বিকৃত হয়ে গেছে যা উপরেই আলোচনা করেছি।
.
আশা করি খ্রিষ্টান মিশনারীদের মিথ্যাচার বন্ধ হবে।
.
💟 QURAN 💟
.
তথ্যসূত্র
[১] সূরা মায়িদাহ ৫:৩
[২] সূরা মায়িদাহ ৫:৪৪
[৩] সূরা বাকারাহ ২:২
[৪] সূরা হিজর ১৫:৯
[৫] সূরা নিসা ৪:৮২
[৬] সূরা বাকারাহ ২:৪

Post a Comment

0 Comments